একটি পানির বোতল, গ্লাস এবং কিছু উপলব্ধি......

লিখেছেন লিখেছেন আফরোজা হাসান ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:২৮:৩৬ বিকাল



গতকাল দুপুরের খাবারটা আমাকে একা একাই খেতে হয়েছিল! একা টেবিলে বসে খেতে ভালো লাগে না তাই খাবারের প্লেট নিয়ে নাকীবের কাছে গিয়ে বসেছিলাম! নাকীব কার্টুন দেখছিল আর জাম্পিং জাম্পিং করছিল! খাবার কিছুটা শুকনো ছিল তাই মুখে দেবার পর একটু পানি পান করে নেবার প্রয়োজন অনুভব করলাম! নাকীবকে বললাম যে, বাবা আম্মুতাকে একটু পানি এনে দাও। টেবিলে থাকা পানির বোতলে অল্প একটুখানি পানি ছিল! নাকীবকে বললাম পানি ভরে আনতে! কিন্তু যেহেতু স্পাইডারম্যান কার্টুন চলছিল! যে কার্টুনের এক মূহুর্তও নাকীব মিস করতে নারাজ! তাই যে বোতল উপুড় করে সবটুকু পানি গ্লাসে ঢাললো! কয়েকবার ঝাঁকিও দিলো বোতলে যাতে পানির শেষ বিন্দুটিও গড়িয়ে গ্লাসে এসে পড়ে! এভাবে সবটুকু পানি গ্লাসে ঢেলে আমার কাছে নিয়ে এসে হাসি দিয়ে বলল, দেখেছো গ্লাস প্রায় ভরে গিয়েছে! পানি বড় বোতলে ছিল তো তাই অনেক কম দেখাচ্ছিলো বুঝলে আম্মুতা! কিন্তু দেখো গ্লাসে ঢালার পর কত বেশি দেখাচ্ছে! কথা শেষ করে আমার হাতে গ্লাস দিয়ে নাকীব আবারো নিজের কাজে ফিরে গেলো! কিন্তু আমি একবার বোতল আরেকবার গ্লাসের দিকে তাকালাম! আমার কাছেও মনেহলো বড় বোতলে থাকার কারণেই আসলে মনেহচ্ছিলো খুবই অল্প পানি! অথচ যখন গ্লাসে ঢালা হলো ঠিকই প্রায় পুরো গ্লাসটি ভরিয়ে দিলো সেই অল্প একটু পানিটুকুই।

অনেকগুলো ভাবনা এসে জড়ো হয়েছিল মনের মাঝে! গত পরশু আমার সাথে সংঘটিত আরেকটি ঘটনা মনে পড়লো। নাকীবকে আনতে যাচ্ছিলাম স্কুল থেকে। পথে ছোট্ট একটা বাচ্চাদের পার্ক আছে। প্রায়ই পার্কটির সামনে একজন বয়স্কা মহিলা বসে থাকেন। রাস্তা দিয়ে চলা প্রতিটি পথিকের দিকে তাকিয়ে মুখের কাছে হাত নিয়ে ঈশারায় বলেন, খাওয়ার জন্য তাকে কিছু দিতে। অন্যের দুঃখে দুঃখী এবং অসহায়কে সাহায্য করতে হবে এই বোধ নাকীবের মনে জাগ্রত করার লক্ষ্যে প্রায়ই ঐ মহিলাকে সাহায্য দেয়াই ওকে দিয়ে। তখন দান-সাদাকা বিষয়েও বুঝিয়ে বলি! যাকাতের ব্যাপারে বোঝাতে গিয়ে বলেছিলাম যে, পাঁচ ইউরো আমাদের কাছে হয়তো তেমন একটা ম্যাটার না! কাউকে দিতেও তেমন কষ্ট হয় না যেহেতু আল্লাহ রহমতে আমাদের কাছে আরেকটু বেশি অর্থ আছে! কিন্তু যার কাছে একটি ইউরোও নেই সে এই পাঁচ ইউরো দিয়েই অনেক কিছু করে ফেলতে পারবে ইনশাআল্লাহ! এইজন্যই আল্লাহ যাদের অর্থ আছেন তাদেরকে একদমই অর্থহীন যারা তাদেরকে সাহায্য করতে বলেছেন! যাইহোক, আমাদের বাসা থেকে নাকীবের স্কুলে যাওয়ার পথটুকু বেশ ঢালু। যাবার সময় নীচের দিকে নামতে অনেক সহজ কিন্তু ফেরার পথে উপরের দিকে উঠতে বেশ কষ্ট। গত পরশু আমার শরীরটা সামান্য অসুস্থ্য ছিল। ফেরার পথে তাই বাসে আসার ইচ্ছে ছিল। তাই যাবার পথে সেই মহিলাটি যখন সাহায্য চাইলেন নাকীবকে দিয়ে সাহায্য দেয়ানো সম্ভব হবে না ভেবে আমিই দিতে গেলাম। কিন্তু পার্স খুলে দেখি টাকা না নিয়েই বেড়িয়ে পড়েছি! আর খুচরা পয়সা যা আছে সব মিলিয়ে এক ইউরো পুরো হতেও কয়েক সেন্থ কম। মহিলার দিকে তাকিয়ে, ‘সরি আপনাকে পরে দেব’ বলে পা বাড়াতে যাচ্ছিলাম উনি তখন বলল, তোমার কাছে যা আছে তাই আমাকে দাও।

খুব সংকোচ হচ্ছিলো এত কম সাহায্য দিতে। কিন্তু আবার নাও বলতে পারলাম না। উনাকে তখন পার্স থেকে সবগুলা খুচরা পয়সা বের করে দিলাম। মহিলার চোখে মুখের সেই আনন্দের কথা কোন বাক্যে প্রকাশ করবো বুঝতে পারছি না। কোন কিছু পেয়ে হারিয়ে ফেলার পর, আবারো ফিরে পাবার আনন্দ বোধকরি এমনই হয়। ফেরার পথে বাসের জানালা দিয়ে দেখলাম মহিলাটি বসে রুটি খাচ্ছেন। উনার মুখের কাছে হাত নিয়ে ক্ষুধার অনুভূতি প্রকাশের কথাটি মনে পড়ে গেলো। মনে পড়লো পঞ্চাশ সেন্থ দিয়ে নরম্যল মানের একটি রুটি কিনতে পাওয়া যায়, সত্তর সেন্থ দিয়ে অনেক মজার ডোনাট কেনা সম্ভব, চল্লিশ সেন্থ দিয়ে ছোট এক বোতল জ্যুস পাওয়া যায়। এমন আরো কিছু খাবার আছে যা খুব সহজেই কিনে খাওয়া সম্ভব ঐ পয়সা দিয়ে যা দিতে আমি লজ্জিত ও সংকোচ বোধ করছিলাম। সেদিন সারাটা দিনই আমার মাথায় এই চিন্তাটা ঘুরপাক খেয়েছে যে, কেন আমি একদম কিছু না দেবার চেয়ে কিছু অন্তত দেয়া থেকে বিরত থাকতে চেয়েছিলাম?! আমাদেরকে ছোটবেলা থেকে শেখানো হয়েছে দানের পরিমাণ কোন ম্যাটার না। তোমার কাছে যা বিন্দু একজন অসহায়ের কাছে সেটাই হয়তো সিন্ধু হয়ে ধরা দেবে! অথচ তারপরও কেন আমি সংকোচ করেছিলাম এই ভাবনাটা খোঁচাতে লাগলো থেকে থেকে! “অল্প দান করতে লজ্জাবোধ করো না! কেননা বিমুখ করা অপেক্ষায় অল্প দান অনেক ভালো!” আমার সবচেয়ে প্রিয় বাণীর মধ্যে তো হযরত আলী(রা)বলা এই বাণীটাও আছে। তাহলে কেন এই অনুভূতিটা ভোঁতা হয়ে গিয়েছিল আমার?!

সব মিলিয়ে একসময় মনেহলো দান-সাদাকা বিষয়ে অনেকদিন কোন আলোচনা শোনা হয়নি, নিজেরও করা হয়নি! বেশ কিছুদিন এই বিষয়ে কোন চর্চা হয়নি বলেই কি তবে অল্প কিছু দান করতে আমি লজ্জিত বোধ করেছিলাম?! একটা গল্পের কথা মনে পড়লো তখন। এক যুবক ইসলামী আলোচনার মজলিসে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল ঘুরে ফিরে রোজ প্রায় একই ধরণের কথা শুনতে হয় সেজন্য। সেই মজলিস যিনি পরিচালনা করতেন তিনি একদিন যুবকের বাড়ি এলেন। কেন মজলিসে যায় না সেটা শোনার পর উনি মুখে কিছুই বললেন না। শুধু চলে যাওয়ার সময় ফায়ার প্লেস থেকে একটা কয়লার টুকরো লাঠি দিয়ে বের করে আনলেন। কিছুক্ষণ জ্বলে থাকলো ঠিকই কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে কয়লার টুকরোটি উত্তাপহীন হয়ে গেলো। যুবকও উপলব্ধি করলো সে কি ভুল করতে বসেছিল। ইসলামি মজলিস থেকে দূরে থাকার ফলে তার ঈমানের দীপ্ততাও তো এমনি করে মিলিয়ে যেত এক সময়! অথচ নিয়মিত মজলিসে গেলে ঈমানের উজ্জ্বলতা হ্রাস পাবার সম্ভাবনা কম এবং বৃদ্ধি পাওয়াটাই স্বাভাবিক! আমি নিজেও আবারো উপলব্ধি করলাম যে, শরীয়তের বিষয়সমূহকে যত বেশি চর্চা করা হয় ব্যবহারিক জ্ঞান ততই শানিত থাকে। কর্মের আগে নিয়্যাত নির্ধারণ হয়ে যায়, নিয়্যাতে খুলুসিয়াত বৃদ্ধি পায়। অন্তরও অনেক বেশি তৃপ্ত ও প্রফুল্ল থাকে।

ভেবে দেখলাম ঐ মহিলাকে দান করার মূল উদ্দেশ্যেটা আসলে নাকীবকে দান করে দেখানো ও শেখানোতেই পরিণত হয়ে গিয়েছিল আমার কাছে! একজন অসহায় মানুষকে আমি সাহায্য করতে পারছি! এই যে ক্ষমতাটা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাকে দিয়েছেন সেজন্য শুকরিয়া আদায় করার কথা তাই স্মরণে আসেনি আমার! ঐ মহিলার জায়গায় আজ আমিও থাকতে পারতাম! এই উপলব্ধি থেকে কৃতজ্ঞ হতেও ভুলে গিয়েছিলাম! শুধু ভাবছি আমার এই অকৃতজ্ঞ দান থেকে কি সত্যিই আমার ছেলে কোন শিক্ষা নিতে পেরেছে গত দুই মাসে?! আমলের প্রতিদান দেয়া হবে নিয়্যাতের ভিত্তিতে! আমার নিয়্যাত কি ছিল? যতই ভাবছি, নিজেকে বিবেকের আয়নায় দেখার চেষ্টা করছি, ততই লজ্জিত বোধ করছি! কাজের পেছনে আসলে নিয়্যাতটা কি সেটা চিন্তা করতে অনেক সময় আমরা ভুলেই যাই। অভ্যাস বশত, বা করতে হবে তাই করে ফেলি। এরফলে হয়তো আমাদের অনেক ভালো কাজ প্রকৃত এবং কাঙ্ক্ষিত সুফল বয়ে আনতে ব্যর্থ হয় আমাদের জন্য। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের হৃদয়ে লুকায়িত আমলের ভিত্তিতে আমাদেরকে পুরষ্কৃত করবেন! কোন কাজ করার আগে তাই পুনঃপুন নিয়্যাত বিবেচনা করে দেখা উচিত আমাদের। কেননা নিয়্যাতের স্বচ্ছতার অভাবে আমাদের অনেক কল্যাণমূলক কাজ হয়তো বিফলে চলে যাবে! রবের কাছে তাই আজ আকূল হয়ে প্রার্থনা করছি, প্রবাহমান দীনতার স্রোতে অন্তরের আলো মোর নিভু নিভু, তাওফীক দিও নিয়্যাতের খুলুসিয়াত অর্জনে হে দয়াময়, পরম করুণাময় প্রভু........ Praying Praying Praying

বিষয়: বিবিধ

২১২০ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

294909
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৫
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমি আছি এখানে Sad
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৪
238336
আফরোজা হাসান লিখেছেন : এমন মন খারাপ করে না থেকে বরং হট চকলেট পান করো...Happy

১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৫
238363
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : হারিকেনের ফাঁকিবাজি এখন অসীম হয়ে গিয়েছে.....Rolling Eyes
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
238893
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমি হট চকোলেট খাবো না! Crying Crying Crying কাপুচিনি খাবো আমি!Crying Crying

@প্রিয়(ন্তি)পুনি..... আপনার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙ্গার আগ পর্যন্তপোস্ট না পড়েই আমি ফাঁকিবাজি চালিয়ে যাবো!! Angel Talk to the hand Rolling Eyes Don't Tell Anyone
294912
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪২
আবু ফারিহা লিখেছেন : অামীন। ভালো লাগলো।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৫
238337
আফরোজা হাসান লিখেছেন : অনেক অনেক শুকরিয়া ভাইয়া!Happy জাযাকাল্লাহ...Praying Praying
294915
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৩
সন্ধাতারা লিখেছেন : আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের হৃদয়ে লুকায়িত আমলের ভিত্তিতে আমাদেরকে পুরষ্কৃত করবেন! কোন কাজ করার আগে তাই পুনঃপুন নিয়্যাত বিবেচনা করে দেখা উচিত আমাদের। কেননা নিয়্যাতের স্বচ্ছতার অভাবে আমাদের অনেক কল্যাণমূলক কাজ হয়তো বিফলে চলে যাবে! রবের কাছে তাই আজ আকূল হয়ে প্রার্থনা করছি, প্রবাহমান দীনতার স্রোতে অন্তরের আলো মোর নিভু নিভু, তাওফীক দিও নিয়্যাতের খুলুসিয়াত অর্জনে হে দয়াময়, পরম করুণাময় প্রভু........। আমিন
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:২৪
238484
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আমীন! Praying Praying Praying
294917
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০২
সন্ধাতারা লিখেছেন : অন্নেক আবেদনময়ী লিখা আপুজ্বি। খুব ভালো লাগলো। শুভেচ্ছান্তে আপনার প্রিয় অর্কিড......।

১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:২৫
238485
আফরোজা হাসান লিখেছেন : অনেক অনেক শুকরিয়া আপি! জাযাকিল্লাহু খাইরান! দোয়া ও শুভকামনা রইলো আপু আপনার জন্য! Praying Praying Good Luck Praying Praying
294918
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০৪
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:২৬
238486
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ! দোয়া ও শুভকামনা রইলো। Praying Good Luck Praying
294922
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১০
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : প্রবাহমান দীনতার স্রোতে অন্তরের আলো মোর নিভু নিভু, তাওফীক দিও নিয়্যাতের খুলুসিয়াত অর্জনে হে দয়াময়, পরম করুণাময় প্রভু...আমীন! Praying Praying Praying

আমাদের নাকীব সোনা বাবাটা তো তোমার জন্য জ্ঞানাপোলব্ধির খাজানা হয়ে এসেছে...
আলহামদুলিল্লাহ! Angel Angel Big Hug Big Hug Star Star Thumbs Up Thumbs Up Bee Bee Love Struck Love Struck
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:২৭
238487
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ! আসলেই আব্বাটা আমার জন্য অনেক বড় একটা নিয়ামত! আল্লাহ ওকে মুমিন বান্দাহ হিসেবে কবুল করে নিন! আমীন। অন্নেক ভালোবাসা তোমার তরে আপ্পি। Love Struck Love Struck Love Struck
294924
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৫
রুম্মাম সাকিব রুশো লিখেছেন : ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:২৮
238488
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ! দোয়া ও শুভকামনা রইলো অনেক। Praying Good Luck Praying
294964
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২১
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম। মাশাআল্লাহ নাকীব আব্বুর কথা পড়ে অন্তরটা ভরে গেলো! অফুরান দোআ আমাদের ছোট আব্বার জন্য!

অভ্যাসবশত অনেক কাজ করতে করতে অনক ক্ষেত্রেই সঠিক ইখলাস বা আত্নসমালোচনার বাইরে চলে আসি আমরা!আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে অবিচল রাখুন এই দোআ আমাদের সবার জন্য!


প্রবাহমান দীনতার স্রোতে অন্তরের আলো মোর নিভু নিভু

তাওফীক দিও নিয়্যাতের খুলুসিয়াত অর্জনে হে দয়াময়, পরম করুণাময় প্রভু...


জাযাকিল্লাহু খাইর। Angel Praying Love Struck Rose
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:২৯
238489
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম! Happy জ্বি আপু আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে অবিচল থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন। Praying Praying
অনেক অনেক ভালোবাসা , দোয়া ও শুভকামনা রইলো আপুনি। Love Struck Love Struck
294976
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩৯
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : অনেক অনেক ভাল লাগলো পোষ্টটি। জাযাকাল্লাহু খাইর ।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:৩০
238490
আফরোজা হাসান লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ! দোয়া ও শুভকামনা রইলো অনেক! Praying Good Luck Praying
১০
295049
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:১৭
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : Ameen
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:৩০
238491
আফরোজা হাসান লিখেছেন : দোয়া ও শুভকামনা রইলো আপনার জন্য! Praying Good Luck Praying
১১
295080
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:৩৪
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ঠিকই বলেছ আপু, কুর'আন থেকে একদিনও দূরে থাকলে মনের ওপর এর প্রভাব কমতে থাকে, আর দু'একদিন গেলে নিজেই সেটা অনুভব করা যায়। তাই সব জেনে গেছি শিখে গেছি ভেবে এর থেকে দূরে সরে যাবার, এর চর্চাকে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করার কোন সু্যোগ নেই।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫০
238770
আফরোজা হাসান লিখেছেন : জ্বি আপু! আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে তাওফীক দিন জীবনের প্রতিটি মূহূর্ত যেন আমরা কুরআনের সংস্পর্শে অতিবাহিত হরতে পারি। আমীন। Praying Praying Praying
অনেক অনেক শুকরিয়া আপু। Love Struck Love Struck
১২
295242
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৬
নিরব পড়ুয়া লিখেছেন : আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে কবুল করেন। আমিন
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫১
238771
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আমীন। Praying অনেক ধন্যবাদ। দোয়া ও শুভকামনা রইলো। Praying Good Luck Praying
১৩
295335
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫৯
ভিশু লিখেছেন : পড়েছি আগেই, কিন্তু কিছু বলা হয়ে ওঠেনি। পারতে আপনার লেখা পড়তে ছাড়ি নাহ। কি অতি সাধারণ একটি ব্যাপারকে খুবি মূল্যবান একটি জায়গায় উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন, মাশাআল্লাহ। সবাই এভাবে পারেন নাহ। মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর পথে অর্থব্যয়ে আরো অগ্রসর হওয়ার এবং সেটির উদ্দেশ্য পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ এবং উপযুক্ত তথা শুধুমাত্র তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই করার তৌফিক দিন। আমীন। জাযাকাল্লাহ খাইর।
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:৪৭
239091
আফরোজা হাসান লিখেছেন : মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর পথে অর্থব্যয়ে আরো অগ্রসর হওয়ার এবং সেটির উদ্দেশ্য পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ এবং উপযুক্ত তথা শুধুমাত্র তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই করার তৌফিক দিন। আমীন। Praying Praying

অনেক অনেক শুকরিয়া আপনাকে ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করে পোষ্ট পড়ার এবং এত্তো সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের দ্বারা সবসময় উৎসাহ জাগিয়ে যাবার জন্য। Happy বারাকাল্লাহু ফীক। Praying Praying
১৪
295379
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:৪৪
কাহাফ লিখেছেন :

স্হান-কাল-পাত্রের ভিন্নতার কারণে একই বস্তু কতটা ভিন্ন আবয়বে উপস্হিত হতে পারে গ্লাস-পানির উদাহরণে প্রস্ফুটিত হয়েছে!
'নিয়্যাত'এর বিশুদ্ধতার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাও বুঝে আসল!
অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকিল্লাহু খাইরান!! Rose Rose Rose
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:৪৯
239093
আফরোজা হাসান লিখেছেন : জ্বি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের নিয়্যাতে খুলুসিয়াত দিন। আমীন। Praying Praying
অনেক অনেক শুকরিয়া আপনাকে। Happy বারাকাল্লাহু ফীক। Praying Praying
১৫
295387
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:২৬
গন্ধসুধা লিখেছেন : সৎ কর্ম নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল।আল্লাহ আমাদের তৌফিক দিন Praying
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:২০
239108
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আমীন। অনেক শুকরিয়া আপু। ইমামা সোনার জন্য অন্নেক আদর রইলো।Love Struck
১৬
295394
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৭
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : সমস্ত প্রশংসা মহান রবের যিনি আপনাকে খুব সুক্ষ্ম অনুভূতি দান করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ
বেশাক আমালের মধ্যে এখলাস একমাত্র মহান রবই দান করেন।
তাই এখলাসের জন্য প্রচন্ড দোয়া করা রবের কাছে।
শয়তান বড়ই দুরদর্শি এবং শিক্ষিত বুদ্ধিমান শত্রু এর কাছ থেকে পানাহ পাওয়ার জন্য মহান রবের কাছে বেশি বেশি কান্নাকাটি করা চাই।
সত্যিই আফসোস কতপ্রকার যে নেক সুরতে ধোঁকা এই শয়তান দিতে পারে ওহ.....
দু একটি ধোঁকা হয়তো প্রকাশ পায় চোখের সামনে কিন্তু কতশত ধোঁকা অধরাই রয়ে যায়।
তাই তওবাহ এর শক্তি ছাড়া এই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার মত আর কিছুই নাই।
Good Luckএকজন বলেছিলো প্রচুর টাকা উপার্জন করি তাড়পর তা আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজে খরচ করবো।Good Luck
হা এখানেও বলেছিলাম এটিও একটি সুক্ষ্মটাইপের ধোঁকা শয়তানের যেটা তাকে বুঝিয়েছিলাম।-আল্লাহ হেফাজত করুন। তওবাহ তওবাহ আর তওবাহ।
Good Luck আমার ছোট্টজীবনে দুতিন পাতা ডায়রী লিখেছি তারমধ্যে একটা লিখা ছিলো ২টাকা নিয়ে যে ২টাকার জন্য কি পরিমান কষ্ট পেয়েছিলাম।
আসলেই প্রয়োজনের সময় ঐ দুটাকার মূল্য ২হাজার টাকার থেকেও বেশি।
Good Luck চিন্তা করছি কেয়ামতের ময়দানে একটি নেকির জন্য কেমন হবে যেখানে দুইটাকার জন্য এত কষ্ট।
হা কি হবে মা বাবা সন্তানকে চিনবেনা। না চিনবে স্বামী স্ত্রীকে আর স্ত্রী স্বামিকে ওহ একনেকি মাত্র একটি নেকির জন্য হাহাকার আর এখন নেকনিয়ত করলেই কত কোটি কোটি নেকি অর্জন করা যায়। হা প্রয়োজন এমনি।
যখন কোন স্টুডেন্ট পরিক্ষায় ৭৯ পায় তখন তার ১ নাম্বার প্রয়োজন হয় ৮০ জন্য। হা ১টা নাম্বার এর কত প্রয়োজন। ১টা নম্বর যদি স্যার দয়া করে না দেন তাহলে এ হবে এ+ হবেনা।
Good Luck Good Luck সত্যিই এ পোষ্টটি পড়ে অভিভূত আপু।
খুউব খুউব শুকরিয়া।
আল্লাহ আপনার আমালে আরো এখলাস দান করেন।
আমিন।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
238894
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Thumbs Up Thumbs Up Bee Chatterbox Chatterbox Day Dreaming Not Listening Not Listening I Don't Want To See I Don't Want To See Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:২১
239109
আফরোজা হাসান লিখেছেন : তোমার এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে আমিও অভিভূত! মাশাআল্লাহ! Happy অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো আওণের জন্য। Praying Praying Good Luck Good Luck Praying Praying
১৭
295605
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:১৭
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : এত সুন্দর উপলব্ধি! দোয়া রইলো নাকিব সোনামনির জন্য Praying Rose Good Luck
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:২২
239110
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ! অন্নেক শুকরিয়া আপু। আপনার জন্যও দোয়া ও শুভকামনা রইলো। Happy Praying Good Luck Happy
১৮
295656
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:১৬
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : আসসালামুয়ালাইকুম আফরোজা আপুজি, Wave

আপুনি জানো, তোমার প্রতিটা লিখাই আমার কাছে মনে হয় একটা করে চমক! Star
সাবলীল ভাষায় জীবনের হাঁটা-চলা থেকে অভূতপূর্ব কিছু শিখার চমক, Star
সৃষ্টিকর্তার জন্যে সৃষ্টিকে আরো বেশি করে ভালোবাসতে শিখার চমক !! Star
ঠিক সেরকম-ই এই লিখাটাও একটা চমক!! মাশাআল্লাহ্‌! আল্লাহ্‌ তা'আলা তোমাকে আমাদের আরো এমনি লিখা উপহার দিবার তাওফিক দেন! আমিন আমিন

Thumbs Up অনেক অনেক শুকরিয়া জাঝাকিল্লাহ খইর উপকারী নাসীহাটির জন্যে Good Luck
২০ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:১৫
239314
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম! Happy
আলহামদুলিল্লাহ! তোমার এত্তো সুন্দর মন্তব্যটিও কিন্তু আমার জন্য একটা চমক Star
অনেক অনেক দোয়া, শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপুনি তোমার জন্য। Praying Good Luck Love Struck
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৩২
239544
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : হা হা !! তোমাকে চমকাতে পেরে ধন্য হলাম! আমিন আমিন। অনেক দুয়া রইলো তোমার জন্যেও আপুনি। ফী-আমানিল্লাহ্‌ Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File