একটি শিশুর নামাজ শেখার গল্প……

লিখেছেন লিখেছেন আফরোজা হাসান ১২ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:৪০:৩৭ বিকাল



বিভিন্ন সময় বোনদের সাথে যেসব হালাকাতে অংশগ্রহণ করি তাতে প্রায় সবাই যে প্রশ্নটা করেন তা হচ্ছে, সন্তানদের কিভাবে নামাজে অভ্যস্ত করাবেন! আমি সবসময় যে পরামর্শ দিতাম তা হচ্ছে, শিশুদেরকে মুখে বলে করানোর চাইতে, করে দেখিয়ে শেখানোটা অনেক বেশি সহজ। সুতরাং, বাবা-মা যদি নিয়মিত নামাজ আদায় করেন শিশুরা দেখে দেখে সেটা রপ্ত করে ফেলবে ইনশাআল্লাহ। সুতরাং বাবা-মাকে নিয়মিত নামাজ আদায় করতে হবে। এবং সন্তানদেরকেও উৎসাহিত করতে হবে নামাজের ব্যাপারে। ছোটদের ভাষায় ওদেরকে বুঝিয়ে বলতে হবে নামাজ কেন পড়তে হবে, নামাজ পড়লে আল্লাহ অনেক খুশি হবেন ইত্যাদি। তবে এখন কিন্তু আমি এই পরামর্শ ঠিক এমন করে বলি না কাউকেই। কেন?! কারণ আমার পুত্র সেই উপায় রাখেনি। ছোটবেলায় নাকীবও অন্য আর সব বাচ্চাদের মত আমরা যখন নামাজ পড়তাম পাশে এসে দাঁড়িয়ে যেত। আমাদের সাথে রুকু, সিজদাহ দিতো, কখনো ওর বাবার পিঠে উঠে বসে থাকতো, কখনো বা গলা ধরে ঝুলতো নামাজের সময়। এসব কর্মকান্ড করে কিছুক্ষণ পর আবার নিজের খেলায় ফিরে যেত। ছয় বছর পর্যন্ত এমনই চলছে। এরপর হাসানজ্বি বললেন, এখন থেকে আমাদের নামাজের ব্যাপারে সিরিয়াসলি একটু একটু করেতৈরি করানো উচিত নাকীবকে।

আমরা দুজন মিলে ঠিক করলাম যে, বাকি সব ওয়াক্ত নাকীব ওর ইচ্ছে মত নামাজ আদায় করবে শুধু যোহর ছাড়া। যোহরের চার রাকআত ফরজ ওকে পুরোটাই আদায় করাবো আমরা। আগের মত আর দু’এক রাকাত আদায় করেই দৌড় দিতে দেয়া যাবে না। আমরা দুজন মিলে বসে খুব সুন্দর করে নাকীবকে বুঝিয়ে বললাম, নামাজের মাঝখান থেকে ইচ্ছে মত উঠে যাওয়া ঠিক নয়। পুরো নামাজ শেষ করে সালাম ফিরিয়ে এরপর তুমি আবার খেলা করবে। সে নিজে যেহেতু জ্ঞান হবার পর থেকেই যুক্তিবাদী(মাশাআল্লাহ)তাই যুক্তি বোঝে এবং মেনেও নয়। সপ্তাহ খানেক খুবই সোনা বাচ্চা হয়ে আমাদের সাথে যোহরের চার রাকআত ফরজ নামাজ আদায় করলো। এক সপ্তাহ পর থেকে তার উসখুস শুরু হয়ে গেলো। সে হচ্ছে জাম্পিং বেবী। এক মূহুর্ত স্থির থাকে না। সেখানে সাত-আট মিনিট চুপচাপ দাড়িঁয়ে থাকাটা কষ্টসাধ্যই তার জন্য। তো একদিন ঠিক নামাজের আগ মূহুর্তে সে ওয়াশরুমে যেতে চাইলো। দুপুরে তাড়া থাকে আমাদের দুজনেরই। নাকীব দেরি করবে বের হতে তাই ওকে ছাড়াই নামাজ আদায় করে নিলাম। দ্বিতীয়দিনও সে একই সময়ে ওয়াশরুমে যেতে চাইলো। তৃতীয়দিনও যখন একই কথা বললো নামাজের আগে আমাদের দুজনের বুঝতে বাকি রইলো না যে, আমাদের সুপুত্র কেন ওয়াশরুমে গিয়ে বসে থাকেন। সে আসলে নামাজে ফাঁকি দিতে চায়। আমরা দুজন সেদিন নামাজ না পড়ে বসে রইলাম। নাকীব বেড়িয়ে যখন দেখলো আমরা ওর জন্য বসে আসি। সে খুবই আহত (মানসিকভাবে) হয়ে চুপচাপ আমাদের সাথে নামাজে দাঁড়িয়ে গেলো।

প্রথম প্রথম আমরা নাকীবকে নামাদের ভেতরের সূরা, তাসবীহ কিছুই পড়াইনি। ও শুধু আমাদের সাথে উঠ-বোস করতো। বেশ কিছু সূরা তার মুখস্ত ছিল। আর আমি প্রতিদিন ঘুমোতে যাবার সময় দু’তিন বার নামাজের ভেতরের সব দোয়া সমূহ ওকে পড়াতাম। আমরা চাইনি নামাজের ব্যাপারে বাড়তি কোন চাপ দিতে ওর উপর। কিংবা এভাবে বললে ভালো যে, ওকে বুঝতে দিতে চাইনি বাড়তি কিছু করানো হচ্ছে ওকে দিয়ে। ওয়াশরুমের আইডিয়া ফেল করার পর তিন-চার দিন পুত্র আমাদের চুপচাপই রইলো। এরপর একদিন ঠিক নামাজের আগে প্রচন্ড পেটব্যথা শুরু হলো তার। নড়তেই পারে না ব্যথার প্রচন্ডতায়। ওকে শুইয়ে দিয়ে আমরা দুজন নামাজ আদায় করে নিলাম। আমাদের নামাজ শেষ আর পুত্রের ব্যথা ভালো হয়ে জাম্পিং জাম্পিং শুরু। পরদিন যখন আবারো পেটব্যথা শুরু হলো হাসানজ্বি ছেলেকে আদর করে হেসে বললেন, কোন সমস্যা নেই বাবা তুমি শুয়ে থাকো। বাবা আর আম্মুতা নামাজ শেষ করে তোমাকে শিখিয়ে দেব শুয়ে শুয়ে কিভাবে নামাজ আদায় করতে হয়। নাকীব চোখ বড় বড় করে বলল, শুয়ে শুয়েও নামাজ পড়া যায়? হাসানজ্বি হেসে বলল, হুম যায় তো। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে এত বেশি ভালোবাসেন যে, যদি আমাদের কষ্ট হয় তাহলে যাতে বসে বা শুয়েও নামাজ পড়তে পারি সেই সুযোগও দিয়ে দিয়েছেন। নাকীব তখন উঠে বসে বলল, বাবা ব্যথা কমে গিয়েছে তোমাদের সাথেই নামাজ পড়বো। আলহামদুলিল্লাহ এরপর আর কোনদিনও নামাজ ফাঁকি দেবার নতুন কোন বুদ্ধি বের করেনি নাকীব।

আমরা যখন দেখলাম যোহরের চার রাকআত ফরজ নামাজ পড়াতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে নাকীব। তখন আসরের নামাজেও ওকে সাথে নিতে শুরু করলাম। যোহর ও আসর নামাজ বেশ কিছুদিন নিয়মিত আদায় করার পর মাগবীবের সময় ওকে সাথে রাখলাম। যখন দেখলাম যে নামাজের সময় হবার পর ডাকলেই নাকীব চলে আসছে। তখন আমরা ওকে বোঝালাম নামাজের সময় শুধু উঠ বোস করলেই হবে না। সূরা ও দোয়াও পড়তে হবে। ততদিনে সবকিছু ওর মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল। আমরা তখন ওকে আমাদের সাথে নামাজ না পড়িয়ে একা একা পড়ালাম কয়েকদিন। জোড়ে জোড়ে পড়তো নাকীব সবকিছু তাই ভুল হলে ধরিয়ে দিতাম। সপ্তাহ খানেক পরই একা একা নামাজ আদায় করতে শিখে গিয়েছিল। এর মাস খানেক পর আমরা ওকে ঈশার ফরজ নামাজ পড়ানো শুরু করেছিলাম। ছয় বছর বয়স থেকে নাকীবকে নামাজের ব্যাপারে উৎসাহিত করতে শুরু করেছিলাম আমরা। মোটামুটি পুরো এক বছর লেগেছিল নাকীবকে খুশি মনে নামাজ আদায়ে অভ্যস্ত করতে। এর মাঝে আমরা কখনোই ওর সাথে রাগ করিনি। ফাঁকি দেয়ার যেসব পন্থা বের করেছিল সেসব যে আমরা বুঝতে পেরেছি সেটাও ওকে বুঝতে দেইনি। পেট ব্যথার মিথ্যা বাহানা করছে সেজন্য কোন ভৎসনাও দেইনি। আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় ছিল ধীরে সুস্থে নাকীবের মধ্যে নামাজের অভ্যাস তৈরি করার। তাই হুট করে কোন কিছু চাপিয়ে দেবার প্রয়োজন পড়েনি।

আর প্রথম মাসখানেক ছাড়া নাকীবও কখনোই বিরক্ত বা দুঃখী মন নিয়ে নামাজ আদায় করেনি। আমরা খেয়াল রেখেছি ওর ইচ্ছার দিকে। হয়তো বা আমাদের তাড়া ছিল বাইরে যাবার। কিন্তু তখন নাকীবের পছন্দের কার্টুন চলছিল টিভিতে। আমরা ওকে বলেছি ঠিকআছে তুমি এখন কার্টুন দেখো পরে একা নামাজ আদায় করে নিয়ো। কার্টুন শেষ হবার সাথে সাথে নিজেই জায়নামাজ বিছিয়ে খুশি মনে নামাজে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আমাকে বলতেও হয়নি। কোথাও বেড়াতে গিয়ে দু’একদিন যদি নামাজ পড়বে না এমন বলেছে, আমরা জোড় করে বাধ্য করিনি যেহেতু ওর উপর নামাজ ফরজ নয়। কিন্তু পড়ে অন্য সময় আদর করে বুঝিয়ে বলেছি কখনোই নামাজ ছেড়ে দেয়া ঠিক নয়। হিসাব করে দেখেছি পুরো আড়াই বছর লেগেছে আমাদের নাকীবকে মোটামুটি নামাজের বিষয়ে শেখাতে এবং খুশি মনে আদায় করতে অভ্যস্ত করতে। এখন আলহামদুলিল্লাহ বলাও লাগে না। সে নিজেই নামাজের ব্যাপারে অনেক সতর্ক ও আগ্রহী। গত বছর প্রচন্ড জ্বর করেছিল নাকীবের। এত অসুস্থ্য বাচ্চাকে উঠিয়ে নামাজে ডাকতে ইচ্ছে করেনি তাই একাই দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর টের পেলাম নাকীব বিছানা থেকে উঠে এসে পাশে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। সেদিন আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় আনন্দ ও প্রাপ্তির অশ্রু গড়িয়ে পড়েছিল চোখ দিয়ে। যখন নাকীবকে বসে থাকতে দেখি কখন তার বাবা বাসায় ফিরবে এবং সে বাবার সাথে জামায়াতে নামাজ আদায় করবে! কিংবা বার বার ফোন করে ওর বাবাকে তাগাদা দেয় যখন যে, বাসায় এসো একসাথে নামাজ আদায় করবো! আলহামদুলিল্লাহ প্রশান্তিতে ভরে যায় মন।

আসলে আমরা চেষ্টা করলেই বিন্দু বিন্দু করে শরীয়তের ভালোবাসার সিন্ধু গড়ে তুলতে পারি আমাদের সন্তানদের মনের ভেতরে। সেজন্য আমাদেরকে শুধু একটু কৌশলী এবং কিছুটা ধৈর্য্যশীল হতে হবে। তাড়াহুড়া করা চলবে না একদমই। শরীয়তের বিধান সারাজীবন মেনে চলতে হবে আমাদের সন্তানদেরকে। তাই সতর্ক থাকতে হবে গোড়ায় যেন গলদ থেকে না যায়। ভিত্তি যেন মজবুত হয়। সন্তানদের উপর শরীয়তের বিধান কখনোই চাপিয়ে দেয়া উচিত নয়। কেননা চাপিয়ে দিলে সেটা বোঝাতে পরিণত হবে, কখনোই ভালোবাসাতে নয়। সুযোগ পাওয়া মাত্রই নিজের উপর থেকে সেই বোঝা সরিয়ে দিতে সচেষ্ট থাকবে। তাই শরীয়তের প্রতিটা বিধান নিজেরা মেনে চলতে হবে, কেন মেনে চলছি সেটা সন্তানদেরকে বুঝিয়ে বলতে হবে। এবং সন্তানরাও যাতে মেনে চলতে পারে সেজন্য ধীরে ধীরে ওদেরকে সেই ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতে হবে। ফজরের নামাজ আমরা নাকীবকে পড়াতে শুরু করেছিলাম ওর আট বছর হবার পর। তাও ঘুম থেকে উঠার পর পড়ে নিতো। এখনো ঘুম থেকে উঠার পরই ফজরের নামাজ পড়ে। কেননা এখন আমাদের এখানে সূর্যোদয় হয় সাড়ে আটটায়। নাকীব আটটায় ঘুম থেকে উঠে ওয়াক্ত থাকতে থাকতেই নামাজ আদায় করে নিতে পারে। যেহেতু খুব শিঘ্রীই নাকীবের দশ বছর হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ ইচ্ছে আছে এখন থেকেই ছুটির দিনগুলোতে ওকে উঠিয়ে ধীরে ধীরে ফজরের আযানের পরপরই নামাজ আদায়ের অভ্যস্ত করে তোলার।



বিষয়: বিবিধ

২৪৩০ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

293664
১২ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৩
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের নাকীব সোনা আব্বাটার জন্য এত্তো এত্তো আদর, ভালোবাসা ও দোয়া। Praying Praying Angel Angel Love Struck Love Struck
দোয়া করি তোমার সোনামণিরা সবাই এমনি করে সারাজীবন তোমার চোখে প্রশান্তির আনন্দাশ্রু বইয়ে দিক। আমীন। Praying Praying


আমারো এখন ভাইয়ার মত বলতে ইচ্ছে করছে গল্প টল্প লেখা আজ থেকে অফ! তুমি শুধু বাচ্চাদের কথা লিখবে। আর কিচ্ছু না! Big Grin
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:০৩
237422
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আমারো মাঝে মাঝে ঠিক এমনটিই ইচ্ছে করে। সব বাদ দিয়ে শুধু বাচ্চাদের কথাই লিখতে ইচ্ছে করে। জাযাকিল্লাহ আপুনি। Love Struck Love Struck
293667
১২ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৪১
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : অ-ন্নে-ক ভালো লাগলো Good Luck Good Luck যাজাকিল্লাহু খাইর। Rose Good Luck Good Luck Rose
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:০৪
237423
আফরোজা হাসান লিখেছেন : শুকরিয়া! অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো। Praying Good Luck Frustrated
293679
১২ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৭
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ। পিলাচ Rose Rose
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:০৫
237424
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। Happy Good Luck
293681
১২ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার শিক্ষনিয় পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শিশুদের ছোটকাল থেকে আমরা নামাজে অভস্ত্য করাইনা আর মসজিদে গেলে ধমক দিয়ে পিছনে ঠেলে দিতে দিতে মসজিদ থেকে বের করে দিই। নারিদের মসজিদে যাওয়া নিষিদ্ধ ফতোয়া ও দিয়ে দিই!!!
এভাবে আমাদের অশিক্ষিত মেীলবি সমাজ মানুষ কে নামাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে।
আমার সাড়ে চার বছর বয়সি কন্যাও গত বছর দেড়েক ধরে আমি নামাজ পড়লে আমার পাশে এসে তার উপহার পাওয়া ছোট্ট জায়নামাজ নিয়ে নামাজ পরতে চায়। কিন্তু কেউকেউ আছেনন অতি আদরে বাচ্চাদের নামাজ পড়তে হয়না এই উপদেশ দিয়ে ছোটদের নামাজে নিরুৎসাহিত করেন।
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:০৮
237426
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আসলেই আমাদের ভুলের কারণেই শিশুরা নামাজের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে না, নামাজকে ভালোবাসতে শেকজে না! অথচ পরবর্তিতে আবার আমরাই শিশুদেরকে নানান ভাবে বাধ্য করি, শাস্তি দেই এরজন্য। অথচ একটু সতর্কতা এই অবস্থা থেকে খুব সহজেই আমাদেরকে মুক্তি দিয়ে পারে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার কন্যার জন্য অনেক অন্নেক দোয়া ও আদর রইলো। Happy
293687
১২ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:০৮
237427
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। Happy Good Luck Happy
293700
১২ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
চোথাবাজ লিখেছেন : রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার শিক্ষনিয় পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শিশুদের ছোটকাল থেকে আমরা নামাজে অভস্ত্য করাইনা আর মসজিদে গেলে ধমক দিয়ে পিছনে ঠেলে দিতে দিতে মসজিদ থেকে বের করে দিই। নারিদের মসজিদে যাওয়া নিষিদ্ধ ফতোয়া ও দিয়ে দিই!!!
এভাবে আমাদের অশিক্ষিত মেীলবি সমাজ মানুষ কে নামাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে।
আমার সাড়ে চার বছর বয়সি কন্যাও গত বছর দেড়েক ধরে আমি নামাজ পড়লে আমার পাশে এসে তার উপহার পাওয়া ছোট্ট জায়নামাজ নিয়ে নামাজ পরতে চায়। কিন্তু কেউকেউ আছেনন অতি আদরে বাচ্চাদের নামাজ পড়তে হয়না এই উপদেশ দিয়ে ছোটদের নামাজে নিরুৎসাহিত করেন।
রিপোর্ট করুন
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:১০
237428
আফরোজা হাসান লিখেছেন : এত সুন্দর মন্তব্যে রিপোর্ট করবো কেন চোথবাজ ভাইয়া?! Worried :Thinking Rolling Eyes Tongue
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। Happy Good Luck Happy
293705
১২ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৩
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ছোট বাচ্চা বয়স ৪ বছর, নাম রাফি।
২০ রাকাত তারাবীহ বেশ তারতীলের সাথে পড়েছে।
কোন দুষ্টুমি বা কাউকে বিরক্তও করেনি।
প্রথম কাতারে পড়েছে।
এত ছোট বয়সে দীর্ঘ ২০ রাকাত নামাজ তারতীলের সাথে অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।
আমার দেখা অনুযায়ী তাকবির উলাহ এবং শুরু থেকেই পড়েছে।
দোয়া করি আল্লাহ বাবুটাকে দুনিয়াতে এবং আখিরাতে কবুল করে নিন।
আমিন।
-আমার দেখা এবারের রমজানের তারাবীহ নামাজের অভিজ্ঞতা।
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:১১
237430
আফরোজা হাসান লিখেছেন : মাশাআল্লাহ! আমিও দোয়া করি আল্লাহ বাবুটাকে দুনিয়াতে এবং আখিরাতে কবুল করে নিন। আমিন।Praying Praying
293706
১২ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৫
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : সরি মামাটার জন্য খুউব দোয়া আদর আর ভালোবাসা রইলো Love Struck Love Struck Love Struck
সল্টি মামা , লাইক মামা তারা বা কেমন আছেন?
সবাই কেমন আছেন?
Happy Happy Happy খুউব খুউব ভালো লাগ্লো শুকরিয়া জাজাকাল্লাহ আপু।
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:১২
237431
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ সবাই ভালো আছে। পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত তারা সবাই। দোয়া করবেন ওদের জন্য। আপনার জন্যও অনেক অনেক দোয়া রইলো। Praying Praying
293739
১২ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:১৩
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : অর্ধ্বেক পড়েই দোড় দিলাম, যেতে হবে যে, তবে যেটুকু পড়েছি, বিয়ের পর আল্লাহ যদি আমাকে দেন, তাহলে এইভাবেই এপ্লাই করব ইনশা আল্লাহ।
ভাল থাকুন।
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:১২
237432
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাওফীক দিন। আমীন। Praying Praying
১০
293763
১২ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৫৭
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : পোষ্টটি স্ট্রিকি করা হোক । Rose Rose Rose Rose Rose
Rating: 10/10
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:১৩
237433
আফরোজা হাসান লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খাইরান। Praying Praying
১১
293772
১২ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১৭
ক্ষনিকের যাত্রী লিখেছেন : চমৎকার। খুব খুব ভালো লাগলো। জাযাকিল্লাহু খাইরান। Rose Rose Rose
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:১৩
237434
আফরোজা হাসান লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। বারাকাল্লাহু ফীক। Praying Praying Praying
১২
293798
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:০৪
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম! নাকিব বাবাতার নামাজ শিক্ষা পড়লাম আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ আমাদের সকলের কলিজার টুকরা সন্তানদের পাঁচ ওয়াকত নামাজী হিসেবে কবুল করে নিন!পিতামাতাগন যেনো সঠিকভাবে সন্তান প্রতিপালন করতে পারেন সেই তৌফিক দান করুন!

নামাজে নড়াচড়া কম করার জন্য যে পয়ন্টের সিস্টম করেছিলে সেটা নিয়েও লিখে ফেলো আপু! আশাকরি উপকার হবে অনেকের! জাযাকিল্লাহু খইর! নাকীব বাবাকে অনেক অনেক আদর ও দোআ!তোমাদর আন্তরিক অভিনন্দন ও শুকরিয়া!




নাকিব বাবার জন্য! ওকে বলে দিও মধু দেয়া ভিতরে!( মনে আছে আমি চিনি ভালভাবে নাড়ি নি? কি কান্ড হয়েছিলো সেদিন Give Up)




আশাকরি পছন্দ করবে! Angel




তোমাদের দুজনার জন্য! Day Dreaming
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:২০
237435
আফরোজা হাসান লিখেছেন : এই লেখাটার মধ্যেই পয়েন্টের কথা উল্লেখ করা উচিত ছিল! কিন্তু অনেক পরে মনে পড়েছিল। তখন আর ঢুকে এডিট করতে ইচ্ছে করেনি। Worried
আপনার সাথে বসে কাপুচিনো পান করার কথা মনে পড়ে গেলো। আপুনি মিস ইউ Crying Crying Crying চলে আসেন আবারো স্পেনে। এবার ঘুরতে বের হবো সবাই মিলে ইনশাআল্লাহ। Love Struck

নাকীবকে দেখিয়েছি অ্যাংরি বার্ডের পিক। গ্রাসিয়াস বলেছে আপনাকে। আর বলেছে সে এখন এই গেমসটাই খেলছে। অনেক শুকরিয়া আপ্পি। Love Struck Love Struck
১৩
293811
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:৩৩
কাহাফ লিখেছেন :

সন্তানদের উপর পিতা-মাতার প্রভাব সব চেয়ে বেশী পড়ে!
তাঁরা যদি নামাজী হন তাহলে সন্তানরাও হবে! এর জন্যে কিছুটা ধৈর্য্য আর তালিমের ব্যবস্হা করতে হবে,যেরুপ আপনি বললেন!
ভাল লাগল সুন্দর উপস্হাপনা!! Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Rose Rose Rose
১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১৮
237925
আফরোজা হাসান লিখেছেন : জ্বি আমরা যদি চাই আমাদের সন্তানরা আলোর পথের পথিক হোক! তাহলে আমাদেরকেই ওদের চলার পথে আলো জ্বালাতে হবে! Happy জাযাকাল্লাহ! Praying
১৪
293821
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:৩৪
রুম্মাম সাকিব রুশো লিখেছেন : সুন্দর কথা আরো সুন্দর ভাবে উপস্হাপনার জন্য
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১৯
237926
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ! Happy শুভকামনা রইলো। Good Luck Good Luck
১৫
293888
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো আপু নাকীব সোনামনির কথা শুনে Love Struck অনেক অনেক দোয়া আর আদর রইলো Praying Good Luck Rose

১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:২২
237928
আফরোজা হাসান লিখেছেন : জাযাকিল্লাহ আপুনি! Love Struck আপনার জন্যও অনেক অনেক দোয়া রইলো। Good Luck Good Luck
১৬
294235
১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪১
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : Happy post ta sticky kora hok......@modu mama
১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:২৩
237929
আফরোজা হাসান লিখেছেন : হাহাহা...অনেক অনেক শুকরিয়া! Happy
১৭
294630
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০৩
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের নাকীব সোনা আব্বাটার জন্য এত্তো এত্তো আদর, ভালোবাসা ও দোয়া।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
238142
আফরোজা হাসান লিখেছেন : অনেক অনেক শুকরিয়া আপু। Happy আপনার জন্যও অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো। Praying Good Luck Praying
১৮
294728
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:৪৮
গন্ধসুধা লিখেছেন : আমার কাজে দিবে।শুকরিয়া Rose
নাকীববাবার জন্য অন্নকে ভালবাসা রইল Bee
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩০
238332
আফরোজা হাসান লিখেছেন : দোয়া করি যেন কাজে লাগে তোমার! কাজে লাগলেই তো লেখাটা সার্থক হবে ইনশাআল্লাহ! Happy আমাদের ইমামা সোনার জন্যও অনেক অন্নেক আদর, দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। Love Struck Love Struck Love Struck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File