করি পুষ্প রে বিকশিত-৩

লিখেছেন লিখেছেন আফরোজা হাসান ২৪ মার্চ, ২০১৪, ০৮:১৬:৫৩ রাত



নাস্তা করতে এসে টেবিলে পিজা দেখে বিশাল হাসি ফুটে উঠলো মুসআবের চেহারাতে। ছুটে এসে আম্মুকে জড়িয়ে ধরলো। নায়লাও আদর করে ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো। আসফিন ও মাশফিয়ারও পিজা অনেক পছন্দ। দেরি না করে তিনজনই তাই বসে গেলো নাস্তা করতে। তাড়াহুড়া করে গরম পিজাতেই কামড় বসিয়ে দিলো মুসআব। সাথে সাথেই চিৎকার করে উঠলো। কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল, খুব জ্বালা করছে মুখ। মনেহয় আমার জিভ পুড়ে গিয়েছে।

আসফিন আনন্দিত কণ্ঠে বলল, মুসআব ভাইয়া মামীর কাছে কথা গোপন করে তুমি যে দুষ্টু কাজ করেছিলে সেটা আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ বলো।

কেন এমন করো বাবা? জানোই তো যে অনেক গরম! বলতে বলতে ছেলের দিকে ছুটে যাচ্ছিলো নায়লা কিন্তু আসফিনের কথা শুনে দাঁড়িয়ে গেল। হাসি চেপে একরাশ কৌতুক ভরা চোখে অন্তরাও তাকালো ছেলের দিকে।

মাশফিয়া বিরক্ত কণ্ঠে বলল, আসফিন তুমি সবসময় শুধু বেশি কথা বলো। ভাইয়ার জিভ পুড়ে গিয়েছে আর তুমি বলছো আল্লাহ দুষ্টু কাজ মাফ করে দিয়েছেন। আর দিলেও তুমি কিভাবে জানো? ছোট্ট বয়সে বাচ্চারা অ্যাঞ্জেল থাকে। তুমি এখন আর অ্যাঞ্জেল নাই। তুমি হচ্ছো মহা পাজী।

আসফিন নিজের স্বপক্ষে প্রবলভাবে মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলল, আপ্পি আমি সত্যি বলছি। তুমি আম্মুতাকে জিজ্ঞেস করো। আমি মাছ খেতে গিয়ে গলায় কাঁটা বেঁধে গিয়েছিল। আমি অনেক কান্না করছিলাম। আম্মুতা তখন আমাকে বলেছিল, “রাসূল(সঃ বলেছেন, মুসলিমদের যে কোন অসুখ, মনখারাপ, এমনকি কাঁটা বিধলেও সে কারনে আল্লাহ্ তার গুনাহ ক্ষমা করে দেন।” আমি তখন আর কান্না করিনি। পরে ডক্টর আঙ্কেল আমার কাঁটা বের করে দিয়েছিলেন। ঠিক বলেছি না আম্মুতা?

অন্তরা হেসে বলল, হ্যা বাবা তুমি একদম ঠিক বলেছো। আচ্ছা এখন তোমরা খেয়ে চাপ চুপচাপ। পরে তোমাদের সবাইকে বুঝিয়ে বলবো এই বিষয়ে, ইনশাআল্লাহ। এখনো অনেক গরম তাই আস্তে আস্তে সাবধানে খাও।

নাস্তা করা শেষ হলে বাচ্চাদেরকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে বের হলো অন্তরা আর নায়লা। বাচ্চাদেরকে খেলা করতে বলে দুজন এক পাশে গিয়ে বসলো। ছুটোছুটি করে খেলতে থাকা বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে নায়লা হেসে বলল, যখনই বাচ্চাদেরকে নিয়ে পার্কে আসি খুব ছোট হয়ে যেতে ইচ্ছে করে জানো? নিজের ছোটবেলাটাকে তখন খুব মনে পড়ে। কত ধরণের খেলা খেলেছি আমরা। আর আমাদের বাচ্চারা খেলা বলতে বোঝে নানা ধরণের ইলেক্ট্রনিক্স গেমস। যান্ত্রিকতা বাচ্চাদের মধ্যে আনন্দ, উচ্ছ্বাসকে কেমন যেন হ্রাস করে দিচ্ছে দিনকে দিন, তাই না?

অন্তরা বলল, বাচ্চাদের মধ্যে যাতে আনন্দ, উচ্ছ্বাস অক্ষুণ্ণ থাকে সেই দায়িত্ব বাবা-মাকেই পালন করতে হয়। আর তুমি যেভাবে ওদেরকে বড় করছো তা কিন্তু মুগ্ধ হবার মত। তুমি তোমার সবটা সময় বাচ্চাদের পিছনেই ব্যয় করো। আমি তো যখনই তোমাকে দেখি অনুভব করি আসফিনকে আরো সময় দেয়া প্রয়োজন আমার।

এত ব্যস্ততার পরও তুমি ছেলেকে অনেক সুন্দর ভাবে বড় করেছো। অবশ্য তোমার আসফিন তো এমনিতেই সবকিছু বোঝে। যে সুন্দর করে যুক্তি দেয়, মাশাআল্লাহ। আমার গুলোর মত হলে পাগল হয়ে যেতে।

অন্তরা হেসে বলল, আসফিনের কর্মকান্ড তুমি দেখো না তাই এভাবে ভাবছো। মাছের কাঁটার কথাই ধরো। ওর কান্না বন্ধ করার জন্য আমি হাদিসটা বলেছিলাম। সাথে সাথে কাজও হয়েছিল। কিন্তু কয়েকদিন পর আসফিন ইচ্ছে করে মাছের কাঁটা গলায় বাঁধিয়েছিল গোনাহ মাফ হবে সেজন্য। শুধু তাই না বাগানে গিয়ে গায়ে গোলাপের কাঁটার খোঁচা লাগাতো, ক্যাকটাসের খোঁচা লাগাতো। এরপর যখন বুঝিয়ে বললাম যে, নিজেই নিজেকে কষ্ট দিলে আল্লাহ গোনাহ তো মাফ করবেনই না উল্টো তোমার উপর আরো বিরক্ত হবেন, তখন গিয়ে এসব বন্ধ করেছে।

নায়লা হাসতে হাসতে বলল, আমি তো আরো মনেকরি আসফিন তোমাকে একদম যন্ত্রণা করে না। যা বলো সবই বুঝে নিতে দেখি তো আসফিনকে।

হেসে, এমনিতে তো আর সব বোঝে না ভাবী। সারাটা ক্ষণ কিভাবে প্রশ্ন করতে থাকে সেটা তো দেখোই। যদিও বাচ্চাদের প্রশ্ন করার স্বভাবটা খুবই ভালো। এতে ওদের মনে কি ভাবনা চিন্তা চলছে সেটা জানা যায়। বুঝিয়ে বলে দেয়া সম্ভব হয় সবকিছু। আমি আসলে কখনোই আসফিনকে প্রশ্ন করতে বাঁধা দেইনি। বরং সবসময় চেষ্টা করেছি ওর প্রতিটা প্রশ্নের জবাব যুক্তির সাথে বুঝিয়ে বলতে। এভাবেই ধীরে ধীরে আসফিনও যুক্তির পথে চলতে শিখে নিয়েছে। আর আমি কখনোই কোন কিছু করার কারণ হিসেবে বাবা বা আম্মুতা খুশি হবে এমনটা বলিনি আসফিনকে। বরং সবসময় বলেছি আল্লাহ খুশি হবেন কিংবা আল্লাহ নারাজ হবেন। নিজের গড়ে উঠার পরিবেশ থেকে আমি এটাই জেনেছি ও বুঝেছি যে, এই জান্নাতি পাখী গুলোকে ফুলের কলি রূপে আল্লাহ আমাদের কাছে পাঠান। আর এই কলিরা যথাযথ কেবল মাত্র তখনই বিকশিত হতে পারে যখন ওদের ভিত্তি হয় ইসলামের মূল স্তম্ভ সমূহ।

কিন্তু এত ছোট বয়সে ইসলাম বুঝিয়ে বলা তো সম্ভব নয় বাচ্চাদেরকে।

ইসলাম করে দেখানো তো সম্ভব, তাই না? আমি তো আসফিনকে বলার চেয়ে করে দেখাতেই বেশি চেষ্টা করি। আমার এখনো মনেআছে ছোটবেলায় আমাদেরকে ঘুম থেকে ডাকার জন্য বাবা বা মামণি যেই আসতেন, শুভসকাল বলার আগে সালাম দিতেন। একটা সময় আমাদেরও ঘুম থেকে উঠে সবার আগে একে অন্যেকে সালাম দেয়াটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। খাবার শুরু আগে বিসমিল্লাহ, খাবার শেষে আলহামদুলিল্লাহ, কোন কিছু করার ইচ্ছা প্রকাশ করার সময়, ইনশাআল্লাহ, কারো প্রশংসা করার সময় মাশাআল্লাহ, ইত্যাদি আমরা বাবা-মামণিকে বলতে দেখেই আয়ত্ত করে ফেলেছিলাম। যখন আরেকটু বড় হলাম সব কাজ শুরুর ও শেষের দোয়াও একই ভাবে বাবা-মামণি আমাদেরকে শিখিয়ে নিয়েছিলেন। আমরা টেরও পাইনি যে আমরা শরীয়তের গন্ডির মধ্যে বড় হচ্ছি। কারণ কোন কিছুই চাপিয়ে দেয়া হয়নি আমাদের উপর। বরং কৌশলে অভ্যাসে পরিনত করে দেয়া হয়েছে। আমিও এমনটাই করার চেষ্টা করেছি এবং করি আসফিনের সাথে। সবকিছু অভ্যাস করানোর পর যখন ওকে বলবো ইসলাম তোমাকে এসব করতে বলছে। এবং আসফিন দেখবে যে ইতিমধ্যেই এসব সে করে। তখন ইসলামকে মেনে চলা মোটেই কঠিন মনে হবে না ওর কাছে, ইনশাআল্লাহ।

নায়লা হেসে বলল, তোমাদের ছোটবেলার কথা শুনলে আসলেই খুব ঈর্ষা হয় মাঝে মাঝে। আমাদের বাবা-মা আমাদেরকে এভাবে বড় করেননি।

আসলে বাবা-মার সাথে যদি বাচ্চাদের খুব সুন্দর একটা সহজ সরল বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্ক থাকে। খুব আন্তরিক একটা ভালোবাসা মেশানো শ্রদ্ধাবোধ যদি বাবা-মায়েরা সন্তানদের মনে জন্ম দিতে পারেন তাহলে বাচ্চাদের গড়ে তোলাটা অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। তবে এটি কেবল মাত্র তখনই সম্ভব যখন আমরা বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের সঠিক জীবনবোধ দিতে পারেন। বাচ্চাদেরকে জাগ্রত বিবেকের আলোয় আলোকিত পথে চলতে শেখায়। আমি মনেকরি বাচ্চাদেরকে যদি শুধু একটি বাক্য অর্থসহ শেখানো যায় তাহলেই তারা সমস্ত বৈরিতা তুচ্ছ করে নিজ প্রবৃত্তিকে জয় করতে পারে। “তুমি মুসলিম” এই একটি বাক্যের প্রকৃত উপলব্ধিই যথেস্ট যে কোন মানুষকে সমস্ত দীনতা-হীনতা, স্বার্থপরতা, অপবিত্রতা থেকে মুক্ত রাখার জন্য। কেননা ইসলাম সেই ধর্ম যার মধ্যে শুধু আছে কল্যাণময়তা। আর ইসলাম তথা শরীয়তের পুর্ন জ্ঞান হচ্ছে মানুষের রক্ষা কবজ।আর বাচ্চাদের মনে এই জ্ঞান ঢোকানো কোন কঠিন কিছুনা। বাচ্চাদের মন হচ্ছে পানির মতো। যে পাত্রে রাখা হবে তারই আকার ধারণ করবে। এটা আমাদের ব্যর্থতা যে আমরা সঠিক পাত্রের সন্ধান আমাদের সন্তানদেরকে দিতে পারি না।

অন্তরার কথাগুলো ভাবনার গভীর জগতে নিয়ে গেলো নায়লাকে। এক দৃষ্টিতে বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে নিজের করণীয় কি সেটাই ভাবতে লাগলো।

বিষয়: বিবিধ

১৩১৭ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

197263
২৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৫৮
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩৮
147915
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ। Happy অনেক অনেক শুকরিয়া আপনাকে। Good Luck Good Luck
197274
২৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০৫
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : অন্তরার কথাগুলো ভাবনার গভীর জগতে নিয়ে গেলো নায়লাকে। এক দৃষ্টিতে বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে নিজের করণীয় কি সেটাই ভাবতে লাগলো।


ভাল্লাগসে এরকম লেখা আরো চাই
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৪২
147917
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আমার সব লেখা তো এই এক রকমেরই। Sad আমি চেষ্টা করেও পারছি না লেখার ধরণ পাল্টাতে। Worried পরিচিতজনেরা সবাই বলে আমার লেখার কোন সাহিত্য মান নেই। যা আছে সবই লেকচার। Crying

অনেক অনেক শুকরিয়া আপনাকে। শুভকামনা রইলো। Happy Good Luck Good Luck Happy
197287
২৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১৪
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আসলে বাবা-মার সাথে যদি বাচ্চাদের খুব সুন্দর একটা সহজ সরল বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্ক থাকে। খুব আন্তরিক একটা ভালোবাসা মেশানো শ্রদ্ধাবোধ যদি বাবা-মায়েরা সন্তানদের মনে জন্ম দিতে পারেন তাহলে বাচ্চাদের গড়ে তোলাটা অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। Good Luck Thumbs Up Rose
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৪৩
147918
আফরোজা হাসান লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। Happy Good Luck Good Luck Happy
197289
২৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১৭
গেরিলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৪৩
147919
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ। Happy Good Luck Good Luck Happy
197296
২৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:২৯
Sada Kalo Mon লিখেছেন : অসাধারণ লেখনি। সত্যিই ছোট থেকেই ইসলাম শিক্ষা দিলে বড় হলে আর জামেলায় পড়তে হয় না, কারণ তার মধ্যে নৈতিকতা জন্ম নিবে। অনেক ভালো লাগলো....
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:১১
147931
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ। Happy অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। Good Luck Good Luck
197312
২৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৫৯
নীল জোছনা লিখেছেন : প্রাণ মন হৃদয় সব ছুঁয়ে গেলো। অবাক করা লেখা। Rose Rose
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:১২
147932
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ। Happy অনেক অনেক শুকরিয়া। Good Luck Good Luck
197363
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:১৫
দ্য স্লেভ লিখেছেন : পুলাইনদের তো দেখছি ফার্মের মুরগীর মত পুষছেন....যা বুঝান তাই বুঝে এবং মানে। এরকম হলে বাপ মায়ের তো ঠ্যাঙের উপর ঠ্যাং তুলেই জীবন পার করার কথা। এইটা সুপার নিয়ামত্ । নাহ এরা আমার মত হল না....কেন যে হলনা...আমরা ছিলাম খোদার খাসী। সারাদিন ছেড়ে দেওয়া থাকত...সন্ধ্যায় ঘরে ফিরত....

আপনার সন্তানরা মারামারি করেনা ??
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:০৯
147316
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ভাইয়া মনের কথাটাইতো বললেন আচ্ছা বলেনতো সকালবেলা খালে নেমে দুপুরে আসলে কেমন হতো??
চোখ লালটুকটুকRolling on the FloorRolling on the FloorRolling on the FloorRolling on the FloorRolling on the FloorRolling on the FloorRolling on the Floor
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৪৮
147339
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমি স্কুল জীবনে কখনও ৪ ঘন্টার নীচে গোসল করেছি তা মনে পড়েনা। বিলে যেতাম মাঝে মাঝে,সন্ধ্যার আগে বাড়ির কথা মাথায় আনতাম না,চোখ হত লাল
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৪৯
147341
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সামনের গেইট দিয়ে বাড়ি ঢুকতাম না,কারন মাইরের ব্যাপার ছিল কপালের লেখা
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:২৬
147933
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ভাই রে বোঝাইলেই কি আর বোঝে???!!! At Wits' End বুঝতে শেখার পর থেকে বোঝাতে বোঝাতে এখন গিয়ে একটু বোঝে। Rolling Eyes তাও বেশির ভাগ সময়ই যা বলি তারচেয়ে বেশি বোঝে। Give Up

মারামারি করার চেয়ে তর্ক-বিতর্ক বেশি করে আমাদের বাচ্চারা। Whew! সবাই তার্কিক আর যুক্তিবাদী। D'oh ইচ্ছে আছে যুক্তিবাদী বাচ্চাদেরকে নিয়ে একটা সিরিজ লিখার, ইনশাআল্লাহ। Happy

@ আওণ, আপনারা ছোটবেলায় এত দুষ্টুমি করেছেন যে, এই জেনারেশনের বাচ্চাদের ভাগে আর কিছুই রাখেননি। Tongue
197372
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:৩২
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:২৬
147934
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। Happy Good Luck Good Luck Happy
197435
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৫:২৬
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আসলেই আপু শৈশবে পরিবারে বড়রা শিক্ষা এবং নীতির যে বীজ বুনে দেয়
বাচ্চারা সেভাবেই গড়ে উঠে। ভালো লাগলো আপনার ফুল,কলিদের কথাগুলো Love Struck Love Struck Love Struck
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:২৯
147935
আফরোজা হাসান লিখেছেন : শৈশবে বীজ বুনে দিতে পারলে আসলে অনেক সহজ হয়ে যায় বাচ্চাদেরকে মনের মত গড়ে তোলাটা। Happy শুকরিয়া আপু। Love Struck
১০
197451
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:১১
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : এতো গুডুগুডু
...............
ধন্যবাদ।
এরা কি গাছের গোড়ায় দুধ ঢালে??Smug
২৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৪
147792
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : উহু এরা মায়ের এইসব কান্ড শুনে বলে, আমরা কত্তো গুডু বেবী দেখেছো। Tongue

আপনার জন্য সূর্যোদয়ের ছবি। Big Grin

২৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৬
147810
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খাইরান আপু।
সত্যি নয়ন জুড়ানো ছবি।
চমৎকার অনেক ধন্যবাদ। আপু।
২৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৬
147811
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খাইরান আপু।
সত্যি নয়ন জুড়ানো ছবি।
চমৎকার অনেক ধন্যবাদ। আপু।
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৩১
147937
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনারা সব দুষ্টুমি করে ফেলেছেন, ওদের গুডু গুডু না হয়ে উপায় আছে?! সব দোষ তো আপনাদের। Frustrated Waiting Time Out
১১
197452
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:১২
ইমরান ভাই লিখেছেন : অগ্রিম আম খান। ফরমালিন দেয়া মনে হয়। তাই খাবার সময় সাবধান। Big Grin Big Grin Big Grin


২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৩৪
147938
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আমাদের এখানে বারো মাসই পাওয়া যায় আম। তারপরও দেশী আমের মজাই আলাদা। অনেক ধন্যবাদ। Happy Good Luck Good Luck Happy
১২
197761
২৫ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৬
নিভৃত চারিণী লিখেছেন : গল্পটা কি শেষ করে দিলেন আপু ?
২৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৪
147746
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : চিন্তা করো না শেষ হয়নি এখনো গল্প। অতীত অভিজ্ঞতা বলে সব গল্প সাত পর্বে শেষ হয়। Tongue

আবার অতীত অভিজ্ঞতা এটাও বলে কোন গল্প আঁটকে গেলে তৃতীয় পর্বের পরেই আটকায়। Yawn
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৩৫
147939
আফরোজা হাসান লিখেছেন : না এখনো শেষ হয়নি আপুনি। অনেক কিছু বলার এখনো যে বাকি। Smug
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২৮
148401
নিভৃত চারিণী লিখেছেন : ধন্যবাদ আরোহী আপুনি। রোজা আপুর ব্যাপারটা জানিয়েছ বলে Happy

তাহলেই ভালো, গল্পটা পড়ার জন্য আসি আপনার ব্লগে। আফরোজা আপু।Love Struck Love Struck Love Struck
১৩
197790
২৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৭
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : আফ্রু নীচের ছবিটা নিয়ে আমাকে আরেকটা গপ্পো লিখে দিবে? তুমি না আমার গুলগুলা আপ্পুনিটা। Kiss Kiss

২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৪১
147941
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ছবিটা দেখে সত্যিই গল্প লিখতে ইচ্ছে করছে। এক রাজার ছিল দুইটা রাজকন্যা। একদিন সমুদ্র ভ্রমণে বের হয়ে ঝড়ে জাহাজ ডুবে গেলো। যে রাজকন্যাটা রাজার কোলে ছিলো তাকে রক্ষা করতে পারলেও, অপর রাজকন্যাটি হারিয়ে গেলো সমুদ্রের গভীর জলে। কি লিখবো এই গল্প??? Smug Tongue
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:০৪
148451
ইমরান ভাই লিখেছেন : তারপরে কি সেই রাজকন্যা মৎস রানী হয়ে গেল Thinking Thinking Thinking Tongue Tongue
১৪
198058
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:০৫
ভিশু লিখেছেন : অন্তরাদের মতো মা পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের!
২৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৩১
148794
আফরোজা হাসান লিখেছেন : অন্তরার মতো মা'দের তৈরি করতে হয়। সবাই যদি নিজেদেরকে আদর্শ বাবা-মা হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করে তাহলে এমন বাবা-মায়েদের অভাব থাকবে না, ইনশাআল্লাহ। Happy
১৫
198552
২৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:২৮
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ইমানের বীজ বপন কর আমলের পুষ্পে ভরে উঠুক সকল মুসলিমের আংগিনা! সুন্দর লিখাটির জন্য শুকরিয়া। Good Luck
২৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৩২
148796
আফরোজা হাসান লিখেছেন : অনেক ভালোবাসা আপুনি। Love Struck আচ্ছা বলেন তো এটা কি ফুল? Smug আমি বহুদিন পর দেখলাম। Happy

২৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৫৭
148911
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : লজ্জাবতী ফুল! ছুঁলেই পাতাগুলি কুঁকড়ে যেতো! অনেক খেলেছি এই ফুল দিয়ে ছোট বেলায়!Love Struck Love Struck Love Struck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File