নিজেকে খুঁজে ফিরি নিজেরই মাঝে......৬

লিখেছেন লিখেছেন আফরোজা হাসান ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৭:৪৭:২৫ সন্ধ্যা



স্কাইপ ওপেন করতেই হড়বড় করে কথা বলতে শুরু করলো সাদাত। আপ্পি তোমাকে সেই কবে থেকে বলছি আমাকে এমন কোন মেডিসিন দাও যাতে আমার অভিমান করার অভ্যাসটা ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু তুমি আমার কথায় কানই দিচ্ছো না। তুমি সারাক্ষণ সমাজ সেবায় ব্যস্ত থাকে। ঘরের মানুষের জন্য সময়ই নেই তোমার।

ভাইয়ের কথা শুনে হেসে ফেললো অধরা। ওরে বাবা এত্তো অভিযোগ? আচ্ছা বল দেখি কি হয়েছে তোর শুনি।

তোমাকে তো বলেছিই যে, মানুষের সামান্য কথাতেই অভিমান হয় আমার। খুব খুব রাগ হয় তখন। এতে বিঘ্নিত হয় আমার স্বাভাবিক কাজকর্ম। আজ কোন সমাধান না নিয়ে আমি ছাড়ছি না তোমাকে।

অধরা বলল, ঠিকআছে সমাধান দিয়েই নাহয় যাবো। কিন্তু অভিমান হলে আবার রাগ হবে কেন? অভিমান আর রাগ তো এক জিনিস না। রাগ হচ্ছে একটি নেতিবাচক অনুভূতি আর অভিমান হচ্ছে অধিকার ও ভালোবাসার সংমিশ্রণের মিশ্র অনুভূতি। যখন কারো আচরণ বা কথা আমাদেরকে মনকে ব্যথাতুর করে দেয় সেটা হচ্ছে অভিমান। কিন্তু কারো কথা বা আচরণ যখন মনে বিদ্বেষ ও ঘৃণা তৈরি করে, মন প্রতিশোধ নিতে চায়। কিংবা তাকে মন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে চায় সেটা কিন্তু অভিমান না বরং রাগ। কেননা অভিমান আসে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে। আর রাগ আসে অহং ও প্রতিহিংসা থেকে।

আরো একটু বুঝিয়ে বলো আপ্পি।

হেসে, তোর সমস্যার সমাধান দেবার আগে জানতে হবে তোর অভিমানটা কি ধরণের? অভিমানের আসলে অনেক ধরণ। সমাধান দেবার জন্য তাই জানা দরকার অভিমানের উৎস কোথায়। তোকে আমি কয়েকটি প্রশ্ন বলে দিচ্ছি। চিন্তা ভাবনা করে জবাব দেবার চেষ্টা কর। ভেবে দেখ তো কতটা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর বিষয়ে অভিমান হয় তোর? ধর কাউকে ফোন করেছিস কিন্তু সে কোন কারণে রিসিভ করলো না। কারণ কি হতে পারে সেই চিন্তা না করেই কি আগে অভিমান দানা বেঁধে উঠে মনে? কিংবা কেউ কথা দিয়ে কথা রাখতে পারলো না। এর পেছনের কারণ জানার আগেই কি অভিমান হয়? কারো বলা একটা শব্দও যদি অপছন্দ হয় তাহলে কি তার প্রতি অভিমান হয়?

হ্যা আমার এমন একটুতেই অভিমান হয়। একটা শব্দ অপছন্দ হলেও আমি কষ্ট পাই।

আচ্ছা অভিমান হলে তোর মনে কি ধরণের চিন্তার উদ্রেক হয়। নেগেটিভ নাকি পজেটিভ? মানে মনে কষ্টের মেঘ জমে নাকি রাগের লাভা তৈরি হয়? কেউ আঘাত করলে কোন স্বত্ত্বাটি আগে নড়ে উঠে? বেদনার নাকি যন্ত্রণার? ভেতরটা কি দুমড়ে মুচড়ে ওঠে নাকি ধিকি ধিকি জ্বালা করে?

কিছুক্ষণ চুপ থেকে সাদাত বলল, নেগেটিভ চিন্তাই বেশি কাজ করে।

কষ্ট পাস নাকি মেজাজ খারাপ হয়? ভেবে জবাব দিতে হবে।

হুম...মেজাজই আসলে খারাপ হয় আমার।

আমিও সেটাই ভাবছিলাম। তুই যাকে অভিমান ভাবছিস সেটা আসলে অভিমান না রাগ। তোর ইগো। আর ইগো বলেই তোর মনে রাগের উদ্রেক হয়, তার কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চেষ্টা করিস তুই নিজেকে। কোন কোন ক্ষেত্রে সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেলার কথাও ভাবিস।

হ্যা সত্যিই আমার এমনটাই হয়। এত রাগ হয় ইচ্ছে করে আর সম্পর্কই রাখবো না।

হেসে, জানিস মানুষ কিন্তু সবার উপর অভিমান করে না। খুব কাছের বা প্রিয়জনদের উপরই অভিমান করে। যাদেরকে সে পছন্দ করে, ভালোবাসে। আর ভালোবাসার একটা দাবী আছে। সেই দাবী থেকে মানুষ আশা করে যে প্রিয়জন তার অভিমানটা বুঝবে এবং তাকে মানাতে আসবে। কিন্তু এমনটা যদি না হয় তাহলে মনে কষ্ট তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। ক্রমাগত এমনটা ঘটতে থাকলে কষ্ট একসময় রাগে, রাগ ক্ষোভে এবং ক্ষোভ অহংয়ে পরিবর্তিত হতেই পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে লক্ষণীয় হচ্ছে এই অহংয়ের উৎপত্তি অভিমানে। যা অনাদর-অবহেলা-অবমূল্যায়নের বিষ পান করে করে একসময় বিরক্ত হয়ে রাগ ও ক্ষোভের পথ ধরে অহংয়ের মঞ্জিলে পৌছেছে। তাই বাইরে থেকে দেখতে একে অহংয়ের মত নাক উঁচু মনে হলেও, সঠিক মূল্যায়ন, একটু আদর ও আহ্লাদ এবং স্বীকৃতি পেলেই বরফের মত গলে যাবে। কিন্তু এর বদলে যদি অপবাদ কিংবা অপমানের বৃষ্টি ঝরতে থাকে অনবরত। মনের গহীনে তৈরি হয়ে যায় কোন খরস্রোতা নদী। তাহলে সমাধানটা বেশ জটিল। কেননা তখন আর কোন কিছুই প্রভাব ফেলতে পারে না মনে। কিন্তু তোর সমস্যা এটা না। পান থেকে চুন খসলেই তোর রাগ হয়। তুই যেটাকে অভিমান ভাবছিস সেটা আসলে অভিমানরা বরং রাগ। আর রাগ বলেই সেটা তোর স্বাভাবিক কর্মকান্ডকে ব্যহত করে।

এখন তাহলে আমি কি করবো?

মানুষকে বোঝার চেষ্টা করবি। নিজেকে দিয়ে অন্যকে যাচাই করার চেষ্টা করবি। মানুষকে বিচার কথা ছেড়ে দিবি। আমরা যখন মানুষকে বিচার করতে শুরু করি, তখন তাকে আর ভালোবাসতে পারি না। কারণ এই পৃথিবীতে কোন মানুষই অন্য কারো মত না। কেউই দোষ ও গুণের উর্দ্ধে না। কেউই একশো ভাগ তোর মনের মত হবে না। কারোই সব কথা তোর মনকে ছুঁয়ে যাবে না ভালো লাগার পরশ হয়ে। দেখ প্রত্যেকটা মানুষ চিন্তা করে তার নিজ নিজ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে। প্রত্যেকে প্রভাবিত হয় নিজ নিজ পরিবেশ-পরিস্থিতি ও পরিমণ্ডল দ্বারা। সুতরাং, এটা আশা করাও অন্যায় সবাই তোর মত ভাববে। আমরা সবাই যার যার দৃষ্টিতে জগতকে দেখি। তুই তাই তোর দৃষ্টিভঙ্গী অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে পারিস না। শরীয়ত ছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রে কারো দিকে আঙ্গুলও তাক করতে পারিস না। আমরা সবাই আলাদা। আমাদের উপলব্ধিও তাই আলাদা। এই কথাটা মনে রাখলেই যে কোন সম্পর্কের মাঝে জটিলতা অনেক কমে যায়। কিন্তু আমরা সেটা না করে অন্যের উপর নিজ উপলব্ধি চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করি।

হুমম...তুমি একদম ঠিক বলেছো আপ্পি।

হেসে, আরেকটা গুরুত্বপুর্ণ কথা কি জানিস? আমরা যাদেরকে ভালোবাসি তাদেরকে ঘিরে আমাদের চাহিদাটা উচ্চাশার পর্যায়ে চলে যায়। আমরা তাদের কাছ থেকে শুধু ইতিবাচক আচরণই প্রত্যাশা করি। কিন্তু এই পৃথিবীতে কারো পক্ষেই সবসময় একই রকম আচরণ করা সম্ভব নয়। তাই আপনজন, প্রিয় ও পছন্দের মানুষদেরকে যদি আমরা কিছু কষ্ট দেবার অধিকারও দিয়ে দিতে পারি তাহলেও সম্পর্কের টানাপোড়ন অনেকটা কমে যেতে পারে।

হেসে, বাবার কথা মনেআছে আপ্পি তোমার? বাবা যে বলেন, প্রতিটা মানুষের মধ্যে এক টুকরো করে মেঘ আছে। যে মেঘ কখনো ঝরঝর বারিধারা হয়ে তোমার মনের বৃক্ষকে সেচ দিয়ে যাবে। আবার কখনো কালবৈশাখী হয়ে ভেঙ্গে দিয়ে যাবে কিছু ডালপালা।

হেসে, হুমম...এই তো আমার ছোট্ট ভাইটি বুঝতে পেড়েছে। আমাকেও যখন কোন প্রিয়জন কষ্ট দেয় আমি মনে মনে বলি, এত শ্রাবণ দিলো যে আমারে, কিছু ডালপালা দিলাম তাহারে।

শব্দ করে হেসে ফেললো সাদাত। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, মানুষকে বোঝার জন্য আমাকে কি করতে হবে আপ্পি?

নিজেকে বুঝতে হবে। যখন তুই নিজেকে বুঝতে পারবি তখন অন্যের প্রত্যেকটা কথা ও আচরণের পেছনে যে কোন না কোন কারণ আছে সেটা অনুধাবন করতে শিখে যাবি।

ঠিকআছে আপ্পি আমি এখন থেকে নিজেকে খুব ভালো মতো বোঝার চেষ্টা শুরু করবো, ইনশাআল্লাহ। তুমি আমাকে সাহায্য করবে তো?

হেসে, ইনশাআল্লাহ অবশ্যই সাহায্য করবো। এখন তুই যার উপর রাগ করেছিস ও যে কারণে করেছিস সেটা শান্ত মনে চিন্তা করে দেখ। নিজেকে ঐ অবস্থানে নিয়ে চিন্তা করে দেখতে চেষ্টা কর। এবং ঐ ব্যক্তির অবস্থানকে অবশ্যই খেয়াল রাখবি। যাচাই যেন নিজের অবস্থান দিয়ে না হয়। যাচাই হতে হবে সেই ব্যক্তির অবস্থান দিয়ে।

ঠিকআছে আপ্পি।

ইনশাআল্লাহ পরে তাহলে আবার কথা বলবো তোর সাথে এই বিষয়ে। এখন রাখি।

ভাইকে বিদায় দিয়ে দুই শিষ্য মিলে রাতের খাবারের কি অবস্থা করলো সেই খোঁজ নেবার জন্য রওনা করলো অধরা।

বিষয়: বিবিধ

১৮৪৩ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

177968
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৫
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : বরাবরের মত জব্বর হইছে ,,চালিয়ে যান ,,,
যদি পারেন আজ আমার ব্লগ বাড়িতে দেখে আসবেন আপু
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪৫
131183
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ অবশ্যই আসবো আপনার ব্লগ বাড়িতে। Happy
অনেক অনেক শুকরিয়া। Happy Good Luck Good Luck Happy
177981
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:০৫
ভিশু লিখেছেন : অভিমান আসে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে... Day Dreaming অভিমান, রাগ, ইগো, চাহিদার উচ্চাশা, মেঘ, বৃষ্টি, কালবৈশাখী...র ওপর একটা ভালো ক্লাস কর্লাম! ঠিকাছে...Chatterbox এখন থেকে বলার চেষ্টা কর্বো: এত শ্রাবণ দিলো যে আমারে, কিছু ডালপালা দিলাম তাহারে।...Sad Whew! Happy Good Luck Rose
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৫০
131187
আফরোজা হাসান লিখেছেন : কথাটা নিজেকে নিজে বলতে পারলে কিন্তু সত্যিই অনেক শান্তি পাওয়া যায় মনে। তবে নিজেকে কিছু বলার ও বোঝানোরও কিন্তু টেকনিক আছে। ছোট্ট বাবুদেরকে যেমন চকলেটের লোভ দেখাই আমরা অনেকটা সেরকম। কারণ 'মন' কোন ছোট্ট বাবুর চেয়ে কি কোন অংশে কম বলেন! Sad D'oh Whew!
177991
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৬
আশা জাগানিয়া লিখেছেন : সাইকোলজি এই জন্যই আমার প্রিয় অনেক, তা যেমন নিজেকে বুঝতে সাহায্য করে তেমনি অন্যদেরও। আর শরীয়ত আমাদের দেখায় সঠিক পথ, তাই এই জ্ঞানকে শরীয়তের মাপকাঠিতে যাচাই করে সাংঘষর্িক যা তা বাদ দিয়ে শুদ্ব জ্ঞানটা নিতে পারলে বুঝার পরিসরটাও হয় অপরিসীম। জাযাকআল্লাহ্ খাইর সুন্দর পৌষ্টের জন্য। Rose Good Luck

বানান ভুল হলে আমি কিছু জানিনা। I Don't Want To See Give Up
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৩৫
131102
ইশরাত জাহান রুবাইয়া লিখেছেন : বানান নিয়ে কি হলো? তুমিও কি ভিশু একাডেমির অভিধান ফলো করছো নাকি?Rolling on the Floor

সাংঘর্ষিক, শুদ্ধ, জাঝাকিল্লাহ, পোষ্ট!Give Up
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৩
131112
আশা জাগানিয়া লিখেছেন : নারে ভাই, না লিখতে লিখতে লেখার এই দশা! Straight Face Yawn
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৫২
131191
আফরোজা হাসান লিখেছেন : হুমম...সাইকোলজি থেকে জ্ঞান আহরণ করার সময় ছাঁকনি সাথে রাখাটা অত্যাবশ্যকীয় শর্ত। Happy
আমি এত লিখি তাও একশোটা বানান ভুল করি। Sad
ভালো লাগলো তোমার মন্তব্য দেখে। Love Struck
178006
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৩৭
ইশরাত জাহান রুবাইয়া লিখেছেন : আমিতো সবগুলি পর্ব পড়তে পারিনি! Worried Worried
সময় করে একে একে পড়ে নিব ইনশা আল্লাহ! Love Struck Love Struck Love Struck
তোমার লেখাগুলি মন দিয়ে না পড়লে মাথায় ঢুকেনা তো তাই! Tongue Love Struck
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৫৪
131192
আফরোজা হাসান লিখেছেন : এত সহজ করে লিখি তাও কেন মাথায় ঢুকে না। Crying আগে পরীক্ষা শেষ হোক তারপর সময় করে পড়ো। Love Struck
178030
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:১৩
ডাক্তার রিফাত লিখেছেন : আমার সাথে তো সাদাতের পুরাই মিলে গেলো Surprised Surprised
আপু আমিও বহুত চিকিৎসা নিয়েছি(মানে অনেকেই বুঝানোর চেষ্টা করে)
কিন্তু যেই লাও সেই কদু।
আবার ঠিকই অভিমান,কান্না,রাগ,জিদ সবই এসে ভর করে Crying
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:০৮
131198
আফরোজা হাসান লিখেছেন : একটা ছোট শিশু যখন ভুল বা অন্যায় করে তাকে আমরা যেমন ভুলটার সম্পর্কে বুঝিয়ে বলি, এরফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে সেটা বুঝিয়ে বলি, এমন না করার উপকারিতা বুঝিয়ে বলি। মনকে কোন কিছু বুঝিয়ে বলার সময়ও ঠিক এমনটাই করতে হবে।
এককথায় সেলফ হিপনোটিজম। Happy
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১১
131607
ডাক্তার রিফাত লিখেছেন : কিন্তু আপু ঐ মুহুর্তে কিছুই কাজ করে না মাথায় :(
178039
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:২৬
জোবাইর চৌধুরী লিখেছেন : ভালো লাগল, অনেক ধন্যবাদ।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:০৯
131199
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। Happy Good Luck Good Luck Happy
178059
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৫০
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : ঠিকআছে আপ্পি।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:০৯
131200
আফরোজা হাসান লিখেছেন : হুমম...ঠিক থাকলে তো আলহামদুলিল্লাহ। Happy
178062
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৫৯
বিন হারুন লিখেছেন : রাগ আর অভিমানের পার্থক্য এবং সংজ্ঞা শিখলাম. অনেক অনেক ধন্যবাদ Rose
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১০
131201
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। Happy Good Luck Good Luck Happy
178093
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৫২
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আপু আমি কিন্তু চতুর্থ পর্বে আছি এখন।
এ পর্বে আসবো ৫ নম্বর পর্ব পড়ে।
কারন বুঝতে চেষ্টা করছি চতুর্থ পর্ব।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১১
131202
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ এত মন দিয়ে পড়ছেন জেনে আমার লেখাটাকে সার্থক মনেহচ্ছে। Happy
১০
178108
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:০৫
নূর আল আমিন লিখেছেন : আপু অসাধারণ লিখেছেন ধন্যবাদ
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১২
131203
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। Happy Good Luck Good Luck Happy
১১
178193
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৫৩
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৩৬
132158
আফরোজা হাসান লিখেছেন : জো তামবিয়েন তে আমো মুচিসিমো। Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck
১২
178276
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:২৯
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : Rose Rose Rose Rose Rose Rose Roseঅসাধারণ লিখেছেন ধন্যবাদ Thumbs Up
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৩৭
132159
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। Happy Good Luck Good Luck Happy
১৩
178286
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:০৭
রাইয়ান লিখেছেন : হুম ... অভিমান .... Thinking এই ক্লাসটা করার পর থেকে কেবলি ভাবছি , মনের ভেতর যে কালবৈশাখী বয়ে যায় মাঝে মাঝেই , আবার ঝড়ের পরেই নামে শ্রাবনধারা , এর কি নাম দেয়া যায় , অভিমান নাকি জমে থাকা রাগ বা কষ্ট !
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৪৩
132163
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ও মেয়ের নাম দেবো কি ভাবি শুধু তাই...ঠিক এমনই এই অনুভূতির নাম দেবো কি ভেবে যাই অবিরত...Worried
তবে মন নামক বইটার প্রতিটি পৃষ্ঠার প্রতিটি শব্দ সম্পর্কে যদি ধারণা রাখা যায় তাহলে অনুভূতি গুলোকে কোট করা সম্ভব হয়। Happy
সেজন্য নিজের সাথে সময় কাটাতে হবে। কিন্তু দুনিয়ার সবাইকে সময় দিতে গিয়ে আমাদের যে নিজস্ব সময় বলে যে কিছুই থাকে না। বিশেষ করে সংসার জীবনে একবার যখন পদচিহ্ন পরে যায় আমাদের। Straight Face
১৪
178290
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:০৭
ট্রাস্টেড থিফ লিখেছেন : আমার একটা সাবজেক্টের নাম ছিল বিজনেস সাইকোলজি। সাইকোলজি সাথে বিজনেস মিশাইয়া যে হালুয়া তৈরি হইতো সেই টার্মগুলা বুঝতে বুঝতে আমার হালুয়া টাইট হইয়া যাইতো। তবে আপনার ক্লাসটা ভালই কারণ হালুয়া (ঘিলু) কিভাবে ঠান্ডা রাখতে হয় সেটা পড়তে মেজাজ গরম হওয়ার কথা নয়। এক কথায় অসাধারণ। Happy
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৫১
132165
আফরোজা হাসান লিখেছেন : সাইকোলজি যখন বিভিন্ন জিনিসের সাথে মিশে সামনে আসে তখন সত্যিই হযবরল লাগে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। Happy Good Luck Good Luck Happy
১৫
178301
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:১০
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমি মন্তব্য করতে ভীষণ ভয় পাচ্ছি! সবতো আমার গায়ে লাগতেছে! মনে হচ্ছে সাদাত দুষ্টুটা "আমি"। I Don't Want To See

আমি সিরিয়াজ কনফিউশ্যানে পড়েগেছি। আমার কি তাহলে রাগ বেশি, (কিন্তু আমারতো অহং ও প্রতিহিংসা নেই মনেহয়, তাহলে রাগ বলবো কেমনে?) আর অভিমানও বলতে পারতেছি না, নিশ্চিত করে! এই মুহুর্তে At Wits' End


অর্ধেক পড়ে আটকে আছি। আর পড়তে পারতিছি না। Sad যাক বাবা, আরও কয়েকবার পড়েই মন্তব্য করবো ঠিকাছে আপ্পি? Waiting
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৫৩
132166
আফরোজা হাসান লিখেছেন : লেখাটা যদি আপনার সামান্যতম কাজেও আসে তাতেই আমি খুশি। Happy
১৬
187961
০৬ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩১
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ অনেক শুকরিয়া আপু।
আমি চিন্তার মাঝে ছিলাম যে আমার কোনটি বেশি?
বা সত্যিই আমি কি অভিমানী?
না রাগী?
নিজেকে নিয়ে অনেক ভাবার পর এ সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছি যে " আমি অভিমানি কিন্তু প্রায় সময়ই আমি নিজের অভিমানকে গিলে ফেলি হজম করে ফেলি এবং কাউকে বুঝতেও দেইনা শুধু নিজেই কষ্ট করি।"
Good Luck আর আমার রাগটা হচ্ছে অভিমানের তুলনায় অনেক কম কিন্তু এই ব্যাটাকে হজম করতে পারিনা। মাঝে মাঝে এর জন্য অন্যকেও কষ্ট দিয়ে ফেলি। Good Luck
ছোট বিষয় গুলোকে আমি কন্সিডার করতে পারি । যেমন কেউ আমাকে বললো ৪টায় দেখা করবে তো সে একদিন ৪টা বলে ৫টায় আসলো। আরেকদিন এমন করলো। আরেকদিন করলো। পরপর এমন করলে তখন অনেক ক্ষেপে যাই। প্রচন্ড রাগ করি তখন। কিন্তু দু একদিন এমন করলে রাগ করিনা অভিমানকে হজম করে ফেলি। Good Luck Happy গুলিয়ে ফেললাম মনে হয়? Good Luck Happy
পর্বটি আমার জন্য অনেক ভালো নিজেকে বুঝতে পারছি।
আপু এ পর্বগুলো পড়ার পর নিজের অনেক পরিবর্তন হচ্ছে যেমন এখন আমি আমার নিজেকে নিয়ে ভাবছি। নিজের দৈনিক কাজগুলোকে নোট করে নিচ্ছি সময়ের কাজ সময়েই করছি।
অনেক বিষয়ই চিন্তা করেছি।
Good Luck কিন্তু নিজের প্রিয় রংটা এখনও বের করতে পারলাম না Sad Crying Good Luck
Good Luck আরেকটা প্রবলেম আমার সেটা হলো অনেক বিষয়ে কিছু না করার জন্য মন থেকে তীব্র বাধা আসে। কিন্তু যখন সেই কাজটি মনের তীব্র বাধার পরেও সম্পাদন করি।
তখন অনেক ভালো হয় অথবা খারাপ হয়।
যেমনঃ মনে হলো এই দোকানের চটপটি খেওনা তারপরেও যদি খাই তবে মনের খচখচের কারনে তীব্র অশান্তি হয়।
আবার ধরুন একটি লেখা পড়তে ইচ্ছে করছেনা সেটি জোড় করে পড়লে আমার অন্নেক ফায়দা হয়।
পড়ের পর্বে চললাম আপু ।
অনেক শুকরিয়া Good Luck Good Luck Happy
১২ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:২০
141898
আফরোজা হাসান লিখেছেন : রাগ আর অভিমান বেশির ভাগ সময়ই আসলে গুলিয়ে যায়। তবে আমি বুঝতে পেরেছি আপনার কথা। আলহামদুলিল্লাহ। পরের গল্পটিতে রাগ ও অভিমানকে আরেকটু সুন্দর করে গুছিয়ে বলার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

নিজের পছন্দ- অপছন্দ বোঝার জন্য মজার একটা পদ্ধতি আছে। দেখি কোন গল্পে আনতে পারি কিনা।

কথায় বলে ''ভক্তিতে মুক্তি'' আবার বলে ''বনের বাঘে খায় না মনের বাঘে খায়" আরেকটা কথাও আছে "জোড় যার মুল্লুক তার"। আসলে সব প্রবাদ যেমন সবার ক্ষেত্রে খাটে না। মনের ইচ্ছারাও তেমনি অবস্থা ও পরিস্থিতি ভেদে ভিন্ন ভিন্ন অ্যকশন রেখে যায় মনে।

অনেক শুকরিয়া আপনাকেও।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File