নিজেকে খুঁজে ফিরি নিজেরই মাঝে......২
লিখেছেন লিখেছেন আফরোজা হাসান ৩০ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:৫৪:১১ বিকাল
ক্লাসের লেকচার শেষ করে ঘড়ির দিকে তাকালো অধরা। এখনো পনেরো মিনিট হাতে আছে। পরীক্ষার খাতায় যে যার যা মনে এসেছে তাই লিখেছে সেটা নিয়ে বকাঝকা করবে নাকি নিজের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির ব্যাপারে কথা বলবে ভাবতে ভাবতে চোখ চলে গেলো ক্লাসের শেষ সিটে বসা জুম্মির দিকে। গালে হাত দিয়ে উদাস মনে জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। এটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। লেকচার চলাকালীন সময়েও জুম্মির মনকে একাধীক বার আকাশ থেকে টেনে নামিয়ে আনতে হয়। বকা দিয়েও লাভ হয়নি এই ব্যাপারে। মায়াকাড়া হাসির সাথে মধু ঝরা কণ্ঠে জবাব দেয়, আমি কি করবো ম্যাম আকাশ যে আমাকে ‘আয় খুকু আয়’ সম্বোধনে সুরে সুরে ডাকে। অধরা বুঝতে পারে মেয়েটার মনের ভেতরটা অনেকটা আকাশের মতো। বায়বীয় শূন্যতা আর তাতে ভাসে নানাধরনের অনুভূতির মেঘ। আকাশের বুকে ভাসমান মেঘদের মতোই ক্ষণে ক্ষণে বদলায় তার আকার, একসাথে এসে জড়ো হয় আবার খণ্ড খণ্ড হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। তাই আকাশের মাঝে জুম্মি খুঁজে ফিরে নিজেকে। জুম্মি...
অধরার ডাকে আকাশ থেকে নেমে এলো জুম্মির দৃষ্টি। ভালো ভাবে তাকালো অধরার দিকে। নাহ চেহারা দেখে তো ম্যামকে বিরক্ত বা রাগান্বিত মনেহচ্ছে না। স্বভাব সুলভ হাসি দিয়ে বলল, জ্বী ম্যাম।
ঐ জোকসটা শুনেছো? যেটাকে এক ব্যক্তি তার সর্বাঙ্গে ব্যথা নিয়ে ডক্টরের কাছে হাজির হলেন। ডক্টর তার সারা শরীর চেকাপ করেও ব্যথার অস্তিত্ব খুঁজে পেলেন না। কিন্তু সেই ব্যক্তির জোর দাবী এটাই ছিলো যে সে শরীরের যেখানেই স্পর্শ করছে ব্যথার অনুভূতি টের পাচ্ছে। পরবর্তিতে দেখা গেল যে সেই ব্যক্তির ব্যথা আসলে ছিলো তার আঙ্গুলে। যারফলে সে যেখানেই হাত দিচ্ছিলো ব্যথার অনুভূতি টের পাচ্ছিলো।
জ্বী ম্যাম আপনি এই জোকসটা একদিন ক্লাসে বলেছিলেন।
আমাদের শরীর ও মনের সম্পর্কটা অনেকটা এই জোকসের ঐ ব্যক্তির অবস্থার মত। মন যদি ভালো না থাকে তাহলে শরীর প্রফুল্ললতা নিয়ে কোন কাজই করতে পারে না। আর কাজ করার ব্যধতা না থাকলে তো শরীরও ঝিম ধরে বসে থাকে। আবার শরীর যদি ভালো না থাকে মনের জোরে যতই চলতে চেষ্টা করো না কেন ক্লান্তি ঘিরে ধরবে একটু পর পর। শরীর ও মন যেটাই খারাপ থাক না কেন একটি প্রভাবিত করে অপরটিকে। যারফলে কাজ হয় না পারতে দায়সাড়া গোছের। আমাদের শরীরের ভেতর মনের বাস। শরীর ও মন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। শরীর ভাল না থাকলে মন ভাল থাকে না, মন ভাল না থাকলে শরীর ভালো থাকলেও যথাযথ কাজ করতে পারে না। কাজেই সুস্থ্য থাকার জন্য এই দুটিকেই ভাল রাখার চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমরা শরীরের ব্যাপারে যতটুকু জানি বা যত্নশীল মনের ব্যাপারে সিকি পরিমাণও জানি না বা যত্নশীল না। আমাদের শরীরে প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য উভয় অংশের কোথায় কি আছে সেই সম্পর্কে আমাদের পরিপুর্ণ ধারণা থাকলেও, জানি না মনের কিছুই। শরীরের ব্যাপারে আমরা যতটা যত্নশীল মনের ব্যাপারে ততটাই উদাসীন। শরীরটাকে ফিট রাখতে কত উদ্যোগই না গ্রহণ করি আমরা কিন্তু মনকে ফিট রাখতে কি কিছু করি? শরীরের মধ্যে শুধু চেহারাটাকে সাজাতেই কত রকমের প্রসাধনী আছে কিন্তু মনের প্রসাধনীর খোঁজ কি জানি আমরা? মাথা ব্যথা করলে পেইন কিলার নিতে হবে, এসিডিটির সমস্যা হলে এন্টারসিড খেতে হবে, ডায়রিয়া হলে স্যালাইন খেতে হবে ডাক্তারের কাছে না গিয়েই আমরা এই প্রাথমিক চিকিৎসা গুলো জানি। কিন্তু মনের মধ্যে শূন্যতার অনুভূতি হলে কি করতে হবে, কোনকিছুতে আগ্রহ বোধ না হলে কি করতে হবে, কারণে অকারণে রাগ হলে কিংবা একটুতেই ধৈর্য্যচ্যুতি হলে এর প্রতিকার কি তা কি জানি? উপটান, মুলতানি মাটি, কাঁচা হলুদ, দুধের সর, নানা ধরণের মশ্চারাইজার কত কিছুই না ঘষি আমরা শরীরের চামড়াকে ঠিক রাখার জন্য। কিন্তু মনের আবরণ রোদ-খরা-বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে ক্ষয়ে যেতে থাকে, খাদা-খন্দ তৈরি হতে থাকে আমরা তা ঘষে ঠিক করা তো দূরে থাক হয়তো খবরই রাখি না। আর খবর রাখি না বলেই মন অশান্ত হলে আমরা জানি না কেন সে অশান্ত, সামান্য কোন কথায় ভীষণ ভাবে রিঅ্যাক্ট করার পেছনে কারণ খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে ভেবে নেই যে আমার স্বভাবটাই মনেহয় এমন। কিন্তু খুঁজে দেখি না কেন আমার স্বভাবটা এমন। অথচ শারীরিক কোন উপসর্গ নিয়মিত হতে থাকলে বড় কোন রোগের পূর্বাভাস ভেবে আমরা ডক্টরের কাছে ছুটি। নিশ্চিত হবার জন্য করি কত ধরণের এনালাইসিস। আরেকটা সমস্যা কি জানো?
পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছিলো ক্লাসজুড়ে। প্রশ্ন করতে করতে অস্থির করে তোলা ছেলেমেয়েগুলো একদম চুপ হয়ে গেলেও তার দিকে নিবদ্ধ থাকা চোখগুলোকে ছলছলে নদী মনে হতে লাগলো অধরার। ভাসমান শ্যাওলার মতোই যাতে ভেসে বেড়াচ্ছে প্রশ্নরা। ছলকে ছলকে বেড়িয়ে আসতে চাইছে কিন্তু পারছে না কোন এক অজানা কারণে।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে অধরা বলল, তোমরা তো জানো বিশাল বড় যৌথ পরিবার আমাদের। চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুপাতো সব কাজিনরা মিলে একসাথে ভাইবোনের মত বড় হয়েছি আমরা। কোন একটা অদ্ভুত কারণে আমাদের সব ভাইবোনদের মধ্যে পরিবারের প্রতিটি সদস্যর কাছে আমি সবচেয়ে বেশি স্পেশ্যাল। ছোটবেলা থেকেই জ্বর ঠাণ্ডা তো দূরে থাক আমি যদি স্বাভাবিক কোন কারণেও একটি হাঁচি বা কাশি দিতাম পাশে পরিবারের যেই থাকতো লাফ দিয়ে উঠতো আমাকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাবার জন্য। কিন্তু আমার মনের ব্যাপারে কখনোই কাউকে এতটা যত্নশীল পাইনি আমি। বরং মনখারাপ করলে, চুপ করে বসে থাকে, ভালো লাগছে না বললে মামণি খুব বিরক্ত হতেন। ক্ষোভ নিয়ে বলতেন, বেশী আহ্লাদের কারণেই নাকি আমি মুডি হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। আমার চুলকে আরো সুন্দর করার লক্ষ্যে চুলে এগ হোয়াইট ঘষতেন যে মামণি তাকে কিন্তু আমি পাশে পাইনি কোন কারণে ঘষা লেগে মনের এক কোনার রঙ উঠে যাওয়া অংশে নতুন রঙের প্রলেপ দেবার জন্য। আমি আমার মামণির দোষ বলছি না। মনের ব্যাপারে যে আমাদের আপনজনেরাও উদাসীন সেটা বোঝাতে চাচ্ছি। আর এজন্যই শারীরিক অসুস্থতার সময় পাশে বসে রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটিয়ে দেন যে আম্মু, দেখা যায় মনের একটা অন্যরকম আবেগের প্রকাশ দেখে তিনিই বকে দিচ্ছেন আচ্ছা মতো। প্রতিদিনের রুটিন ভেঙ্গে সাতটার বদলে আটটায় ঘুম থেকে উঠলে চিন্তিত মুখে আদর মাখা কণ্ঠে যে আব্বু জানতে চান, কি রে মা তোর শরীর খারাপ করেনি তো? তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু বললে সেই আব্বুই বিরক্ত কণ্ঠে বলেন, সব ইচ্ছাকে পাত্তা দেয়া ঠিক না। কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই আদর মাখা কণ্ঠে জানতে চান না যে, কেন তোর ইচ্ছা করছে না মা খুলে বল আমাকে।
টুপ টুপ করে অশ্রু বিন্দু ঝরে পড়তে শুরু করলো কয়েকটি চোখ থেকে। সিক্ত হয়ে উঠেছিল অধরার আঁখিদ্বয়ও। ঘড়ির দিকে তাকালো আর মাত্র সাত মিনিট বাকি তার ক্লাস শেষ হতে। সময়ের সাথে ছুটতে গেলে এখন আশ্রয় হওয়া চলবে না তাকে। সময় মাঝে মাঝে এমনই এক নিষ্ঠুর বাহনে পরিণত হয় যা মানুষকে একদণ্ড দাঁড়াবার সুযোগ দেয় না প্রিয়জনদের পাশে। ঠিক যেন স্টেশনে পৌছে নির্দিষ্ট ট্রেন চলতে শুরু করেছে এমন এক অবস্থা। নিজের মালপত্র নিয়ে ছুটন্ত ট্রেনের পিছনে ছোটা। সময় নেই বিদায় জানাতে আসা প্রিয়জনের দিকে তাকানোর। হাত বাড়িয়ে অশ্রু মোছা তো দূরে থাক, হাত নেড়ে বিদায় জানানোরও সময় নেই। তা না হলে ব্যহত হবে তার নিজের গন্তব্যে পৌছা।
কথা শুরু করলো অধরা। মনের জগতে আমরা যেমন একলা। মনের পরিচর্যায়ও আমরা একদম একলা। সবচেয়ে আপন যে জন সেই জনকেও বেশির ভাগ সময়ই পাশে পায় না মন। আর এতে আপনজনের কোন দোষ নেই। সে নিজেই তো মন সম্পর্কে উদাসীন কিংবা অজ্ঞ। তার হয়তো ঐ বুঝটুকুই নেই যে এখন কেউ তাকে চাইছে পাশে। তাই নিজেকেই হতে হবে নিজ মনের সুখ-দুঃখের সাথী, আশ্রয়, অবলম্বন, পথপদর্শক। আর সেজন্য জানতে হবে মনকে, বুঝতে হবে মনকে, করতে হবে মনের যত্ন, মাখতে হবে মনে প্রসাধনী। মনেরও আছে ব্যথা, ভোগে মন পানিশূন্যতায়, ধিকিধিকি জ্বলে মন নিরবধি। তাই জানা থাকতে হবে মনের পেইন কিলার কি, কিসে দূর হবে পানিশূন্যতা, কার প্রভাবে মন ক্ষান্ত হবে দহন করা থেকে। বুঝতে পেরেছো তো তোমরা সবাই আমার কথা?
জ্বী ম্যাম। ভেসে এলো সবার মৃদু কণ্ঠস্বর।
তাহলে আজ থেকে শুরু করো নতুন করে নিজেকে জানা। বুঝতে চেষ্টা করো তোমাদের মনের অনুভূতিগুলোর পেছনের কারণ। কিসে আনন্দ পায়, কিসে বিষণ্ণ হয়, কিসে সুখ পায় মন, কিসের প্রভাবে হয় বেদনাক্ত। তারপর খুঁজে বের করতে চেষ্টা করো এর উপশম। কথা বলো নিজের সাথে মন খুলে। হয়ে উঠো নিজেই নিজের সবচেয়ে কাছে বন্ধু, পরামর্শদাতা। তবে হ্যা একটা বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে কখনোই যাতে মন টেনে নিয়ে যেতে না পারে সীমালঙ্ঘনের পথে। আমরা সবাই জানি তো সর্বক্ষেত্রে আমাদের সীমা কি?
শরীয়ত ম্যাম। জবাব দিলো জুম্মি।
হ্যা শরীয়ত। আরেকটা কথা সবসময় শরীয়তের বাউন্ডারি থেকে এতটুকু দুরুত্বে অবস্থান করার চেষ্টা থাকতে হবে যাতে কখনো পা পিছলে পড়ে গেলেও বাউন্ডারির ভেতরেই থাকে আমাদের শরীর ও মন। এমন যাতে নাহয় শরীর ও মনের অর্ধেক বাউন্ডারির ভেতর আর অর্ধেক বাইরে। বুঝতে পেরেছো?
জ্বী ম্যাম। এবার সবার কণ্ঠস্বর বেশ দৃঢ় মনেহলো অধরার কাছে। হেসে বলল, তাহলে আজ এই পর্যন্তই থাক আমাদের আলোচনা।
বিষয়: বিবিধ
২২৬১ বার পঠিত, ৬৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খুব সুন্দর একটি ক্লাসে থাকলাম এতক্ষণ ..... শুকরিয়া আপুনি !
আপনারা দোয়া করেন ইনশাআল্লাহ বই বের করার চিন্তা করবো।
অনেক শুকরিয়া ভাইয়া।
একদম ঠিক বলেছেন আপা। আপনার লেখায় সব সময় সুন্দর একটা বার্তা থাকে ।আল্লাহ আপনাকে আরো ভালো লেখার,সুন্দর লেখার তৌফিক দান করুন। আমীন।
ভালো থাকুন। অনেক শুকরিয়া।
মন তাই কেঁদে কেঁদে সুখ খোঁজে
মনকে তাই দিতে হবে বলার সুযোগ
উগড়ে যেন দিতে পারে জমানো অভিযোগ...
সুন্দর লিখা আপু! শুভকামনা রইলো!
ধারণা নয় অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি..
যাই হোক ধন্যবাদ। আমি আমার মত করে রান্না করে তোমাকে জানাব
ধন্যবাদ
আল্লাহ বাঁচাইছে আমারে। আলহামদুলিল্লাহ।
ও হ্যাঁ, পোস্ট এর কথা বিরিয়ানী খাওয়ার পর বলবো। এখন রান্নায় একটু ব্যস্ত
দোয়া করবেন কেউ যেন তৃপ্ত না হয় আমার লেখা পড়ে। সবার মনে যেন জাগিয়ে যেতে পারি তৃষ্ণা। তাহলে পিপাসার তাড়নায় সবাই ছুটবে পানির সন্ধানে। আর হয়তো খুঁজে পাবে নিজ নিজ মিঠা পানির সরোবর.....
আরু ব্যস্ত তাই আমাকে টাইপ করতে হয় টাইপ করা শেষ করতে পারলেই এসে যাবে নেক্সড ক্লাস, ইনশাআল্লাহ।
অনেক শুকরিয়া আপনাকে।
এখন আপনার পোষ্টগুলো পড়ে তা আর মনে হয় না. অনেক ভাল লাগে আপনার পোষ্টগুলো.
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
তুমি
টুপ টুপ করে পড়
মনের জানালায় উঁকি দিয়ে
দোর খোল
দোর খোল।
শিশির কণা
চোখের পাপড়িতে
ভীর কর না অযথা।
সিক্ত হৃদয়
ভালবাসা মন
ফিরে এল
বুঝি ফিরে এল।"
হৃদয়কে নাড়া দিল।
আপনার জন্য দোয়া এবং এক টুকর মেঘের শুভেচ্ছা।
তা তুমি আছো কেমন পাখী?
ওহ জিজ্ঞেস করা তো নিষেধ
ঠিকআছে মুখ বন্ধ রাখি...
খুব সুন্দর এবং সাবলীল ভাবে লিখেছেন মাশাল্লাহ ! আমি খুব মনোযোগ দিয়ে লেকচার শুনেছি আপুমণি । জাযাকাল্লাহু খাইরান
করতে যদি চাও মনকে বাধ্য
শরীরের মত করিতে হবে যতন
তবেই হবে মন তোমার আপন...
সবসময় শরীয়তের বাউন্ডারি থেকে এতটুকু দুরুত্বে অবস্থান করার চেষ্টা থাকতে হবে যাতে কখনো পা পিছলে পড়ে গেলেও বাউন্ডারির ভেতরেই থাকে আমাদের শরীর ও মন। - উত্তম পরামর্শ
সহজ এবং সাবলীল ভাষায় মনের দুর্বোধ রহস্যগুলোকে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপু
দূর হয় মনের কিছু সুপ্ত ভাবনা
মনেহয় হচ্ছে না সময়ের অপচয়
সাদাকায়ে জারিয়া এরাই হবে নিশ্চয়ই..(ইনশাআল্লাহ)
অনেক অনেক শুকরিয়া আপু।
মনের মধ্যে শূন্যতার অনুভূতি হলে কি করতে হবে, কোনকিছুতে আগ্রহ বোধ না হলে কি করতে হবে, কারণে অকারণে রাগ হলে কিংবা একটুতেই ধৈর্য্যচ্যুতি হলে এর প্রতিকার কি তা কি জানি?
এগুলোতো সব আমার রোগ! অনেক দিন ধরেই ভোগছি আমি। মনেহচ্ছে এখন একজন মনের মতো অবিজ্ঞ চিকিৎসক পেয়েগেলাম আমি। সম্ভবত আমার কপাল খুলেগেছে যাজাকিল্লাহু খাইর। অনেক অনেক আদর লক্ষি আপুটার জন্য।
আল্লাহ যেন সফল করেন আমার এই প্রচেষ্টা। আমি যেন আমার এই চারটি ভাইবোনের সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান ফুটিয়ে তুলতে পারি আমার লেখাতে। আমীন।
বোন দুজনের নামও জানতে খুব খুব ইচ্ছে করতেছে : এটা আবার আমার রোগের কারনে কিনা স্পষ্ট নয়
বলবোনা।
এইতো আমি এসে গেছি।
কয়েকদিন ঘড়ের বাহিরে ছিলাম।
আসলেই আমি বেশ ভাগ্যবান আলহামদুলিল্লাহ ।
শুকরিয়া হারিকেন।
শুকরিয়া আপু।
ক্লাসের পিছনের দিকের ছাত্র হিসেবেই শুরু করলাম।
আসলেই শরীরে যদি ব্যাধি হয় তবে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহি দৈ ও তিতা লাগে আর যদি শরীর ভালো এবং ক্ষুধা থাকে তবে লবন আর কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাতও অমৃত মনে হয়। নামাজ পড়লে হৃদয় প্রশান্ত যদি না হয়, নেক আমালের প্রতি যদি মন আকর্ষন অনুভব না করে তবে এটা অবশ্যিই ধ্বংসের কারন। শরীরের রোগের জন্য যেমন ডাক্তার ওষুধ প্রয়োজন হয়। তেমনি মনের রোগের জন্য অবশ্যই ডাক্তার ওষুধ প্রয়োজন।
তাই আপনার ক্লাসের মনোযোগী ছাত্র হিসেবে বসে পড়লাম। পর্বগুলো ধীরে ধীরে পড়ব তাহলে আমি অনেক উপকৃত হব ইনশাআল্লাহ। আর কিছু সময় নিজেকে দেয়ার জন্য অবশ্যই বের করবো।
শুকরিয়া জাজাকাল্লাহ আপু।
[অফটপিকঃ
"আমান মনটা মাঝে মাঝে খারাপ হলে আমার প্রিয় "ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) এর মুকাশাফাতুল ক্কুলুব বইটি পড়ি আর দ্বীল লাগিয়ে শুধুই পড়ি। অঝড় ধারায় কাঁদি কাঁদতে কাঁদতে অন্তরটা পরিস্কার হয়ে যায়।]
মনটা খুব বেশি গুরুত্বপুর্ণ। মনকে অবহেলা করি বলেই আমরা আত্মশুদ্ধির পথে চলতে পারি না। বার বার ব্যহত হয় আমাদের পথচলা।
আসলে নিজেকে জানা ও বোঝাটা খুব খুব বেশি প্রয়োজন আমাদের জন্য।
জানি না কতটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারবো আমি আমার লেখাতে এই প্রয়োজনীয়িতা।
আমার মন খারাপ হলে কি করি এখন বলবো না। তবে কোন না কোন ভাবে জানিয়ে দেব, ইনশাআল্লাহ।
ভাইটিকে এত সুন্দর মন্তব্যর জন্য জাযাকাল্লাহ।
আনন্দময়তায় ভরে উঠুক ভুবন...
মন্তব্য করতে লগইন করুন