হিন্দী সিরিয়াল ও আমার ভাবনা.........
লিখেছেন লিখেছেন আফরোজা হাসান ২৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:৫৭:০৯ রাত
বর্তমান সময়ে খুব শুনি টিভি সিরিয়ালের ক্ষতিকর ও অশান্তিকর দিক নিয়ে অনেককে কথা বলতে। কিন্তু সবাই শুধু নিন্দা ও সমালোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেন তাদের কথাবার্তা। সুন্দর ও সুষ্ঠু সমাধানের কথা এই পর্যন্ত কাউকেই বলতে শুনিনি আমি। মহিলারা সারাদিন ঘরে বসে সিরিয়াল দেখেন আর কুটনামী শেখেন। সুতরাং, এইসব বন্ধ করতে হবে। অবশ্যই বন্ধ করতে হবে কিন্তু কিভাবে? নিন্দা জ্ঞাপন করে কি মানুষকে সেই পথ থেকে ফেরানো সম্ভব যা সে মনের খোঁড়াক হিসেবে গ্রহণ করছে? তাহলে তো ড্রাগ নেয়া বন্ধ হয়ে যেত সেই কবেই। সিরিয়ালটাকে ড্রাগের সাথে তুলনা করলে মনেহয় খুব ভুল হবে না? কারণ ড্রাগের অভাবে যেমন শরীরে তৈরি হয় অস্থিরতা, ঠিক তেমনি গতকালের পর কি হলো জানার জন্য সিরিয়ালের সময় হলেই মন ছটফট করতে থাকে। একজন ড্রাগ অ্যাডিক্টকে অনেক বোঝানোর পরও নেশার সময় হলে সে ছুটে যায় ড্রাগের কাছে। ঠিক তেমনি একজন সিরিয়াল অ্যাডিক্টও শত নিন্দা শুনে ছুটে যান টিভির কাছে। আসলে নিন্দা ও সমালোচনা কখনোই কোন কিছুর সমাধান হতে পারে না। একজন ড্রাগ অ্যাডিক্টকে যেমন সে নিজে না চাইলে নেশার জগত থেকে বের করে নেয়া সম্ভব হয় না। ঠিক তেমনি সিরিয়াল অ্যাডিক্টকেও সে নিজে অকল্যাণ বুঝে দেখা বন্ধ না করলে ফেরানো সম্ভব নয়। মানুষের স্বভাব হচ্ছে সে যখন কোন কিছুতে আনন্দ খুঁজে পায়, অন্যরা যাই বলুক না কেন সেটা ছাড়তে পারে না বা চায় না। বরং নিন্দা ও সমালোচনা অনেক সময় ক্ষেপিয়ে তোলে মানুষকে। যারফলে জেদ করে সেই কাজ আরো বেশি করে মানুষ।
বেশ কিছুদিন আগে পরিচিত এক বোন ফোন করে রাগে গজগজ করতে করতে বললেন, ভাবী কি কি কারণে ঘরে রহমতের ফেরেশতা আসে না বলেন তো একটু আমাকে। কি হয়েছে জানতে চাইলে উনি জানালেন উনার স্বামী বলেছেন হিন্দী সিরিয়াল দেখলে ঘরে রহমতের ফেরেশতা ঢোকা ছেড়ে দেয়। জানালেন এই নিয়ে উনার স্বামী খুব খারাপ ব্যবহার করেছেন। স্বামী কাজ থেকে ফিরে দেখেন উনি হিন্দী সিরিয়াল দেখছে। আর তাতেই প্রচণ্ড ক্ষেপে যান। উনাকে বকাঝকা করতে করতে বলেছেন, এইসব দেখো বলেই আমার ঘরে রহমতের ফেরেশতা ঢুকতে পারে না। অভাব অনটন দূর হয় না আমাদের জীবন থেকে। তুমি আমার সংসারের সকল অশান্তির কারণ। ইত্যাদি ইত্যাদি। বললাম, এর আগেও শুনেছি সিরিয়াল দেখা নিয়ে ভাইয়ের সাথে আপনার ঝগড়ার কথা। সংসারের শান্তি নষ্ট হয় এমন জিনিস দেখতে যান কেন শুধু শুধু? বোনটি জবাবে বললেন, এখন থেকে আরো বেশি করে দেখবো। দেখি কি করে সে। আমি হেসে ফেললে কিছুক্ষণ পর সেই বোনটিও হাসলো এবং বলল, সিরিয়াল না দেখলে সময় কি করে কাটাবো আমি বলেন তো? স্বামী কাজে ও বাচ্চা স্কুলে চলে যাবার পর তো তেমন কোন কাজই থাকে না করার মত। তিনজন মানুষের ছোট্ট সংসার তাই রান্না ও কাজও তেমন থাকে না।
বললাম সময় কাটানোর জন্য টিভিই দেখতে হবে এমন তো কোন নিয়ম নেই। আপনি কোরআন পড়ুন অর্থ সহ, তাফসীর পড়ুন। হাদীস, সাহাবীদের জীবনী, ইসলামী ইতিহাস, ইসলামী সাহিত্য কত কিছু আছে সময় কাটানোর উপকরণ হিসেবে। এছাড়া বাংলা সাহিত্যের গল্প-উপন্যাস-কবিতা তো আছেই। স্বামী ও বাচ্চা বাইরে খেতে পছন্দ করে এমন নিত্যনতুন রান্না শিখুন। রান্না করে তাদেরকে সারপ্রাইজ দিন। বাইরে থেকে শোপিস না কিনে নিজের ভেতরের সৃজনশীলতাকে বের করে নিয়ে আসুন। বেতের ঝুড়ি কিনে এনে প্ল্যাস্টিকের লতা-পাতা-ফুল দিয়ে মনের মতো ডেকোরেশন করেন। তারপর ঝুলিয়ে দিন ঘরের এক কোণে। এভাবে নিজের হাতে বানানো বিভিন্ন ধরণের শোপিস দিয়ে সাজান আপনার ঘর। চাইলে করার মত এমন অনেক কিছু পাবেন। যা করতে গেলে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটতে হবে আপনাকে। তখন সিরিয়াল দেখা তো দূরে থাক টিভির দিকে তাকানোরই ফুরসত মিলবে না। উনি বললেন, এভাবে তো কেউ কখনো বুঝিয়ে বলেনি। হেসে বললাম, এই তো আমি বুঝিয়ে বললাম। শুরু করে দিন আজ থেকেই। চলেন এক্ষুনি একটা মেক্সিকান ডিশ রান্না করা শিখিয়ে দিচ্ছি আপনাকে। আপনার ভুলে রাগ করে বেড়িয়েছে আপনার স্বামী। তাই তাকে প্রশান্ত করার দায়িত্বও আপনার। সুন্দর করে রান্না করেন। তাড়াতাড়ি খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিন মেয়েকে। তারপর সুন্দর করে নিজেকেও সাজিয়ে অপেক্ষা করেন উনার জন্য। পরিবেশকে আরো রোম্যান্টিক করতে পারেন চাইলেই। নিভিয়ে দিন ঘরের সব বাতি। জ্বালিয়ে দিন কয়েকটি ক্যান্ডেল। হয়ে যাক আজ রোম্যান্টিক ক্যান্ডেল লাইট ডিনার। পাবেন খুঁজে এমন আনন্দময় একটা দৃশ্য আপনার সিরিয়ালে?
হাসলো আমার কথা শুনে বোনটি কিন্তু হাসিতে প্রফুল্লতার ছোঁয়া ছিলো না। বুঝলাম এত কড়া কথা যে শুনিয়ে গিয়েছে তার জন্য আয়োজন করা সত্যি কিছুটা কষ্টেরই বটে। হেসে বললাম, আপনাকে মেক্সিকান ডিশ কেন রান্না করতে বললাম জানেন? মেক্সিকান খাবারে বেশ ঝাল থাকে। আপনি ইচ্ছানুযায়ী সেই ঝালের মাত্রা আরেকটু বাড়িয়ে দিতে পারেন। উনি আপনার মন জ্বালিয়েছে বদলে আপনি উনার জিভ জ্বালিয়ে দিন। হয়ে যাক শোধ বোধ। বুঝিয়ে না বলে হৈচৈ করার জন্য কিছু তো একটা শাস্তি হওয়া উচিত উনারও। মন খুলে হেসেছিলেন তখন বোনটি। যতদূর জানি উনি এখন সিরিয়াল দেখার বদভ্যাস ত্যাগ করেছেন। আসলে আমরা চাইলেই ইচ্ছা ও চেষ্টার দ্বারা আমাদের জীবনটাকেই করে তুলতে পারি আমাদের জন্য বিনোদনের একটা মাধ্যম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সেই পন্থা জানা নেই আমাদের। যারফলে বিনোদনের জন্য আমাদেরকে চোখ রাখতে হয় টিভির পর্দায়। জীবনের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে কত শত চমক। সেগুলোকে খুঁজে বের করে উপভোগ করতে করতেই কেটে যেতে পারে আমাদের সমস্ত অবসর। অথচ জানা না থাকার কারণে অবসর কাটানোর জন্য আমাদেরকে এমন জিনিসের কাছে যেতে হয় যা মনকে প্রশান্ত করার বদলে করে আরো অশান্ত। তাই হিন্দি সিরিয়ালের বিরুদ্ধে বিশেধাগার গড়ে তোলার সাথে সাথে এর ক্ষতিকারক দিক গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে হবে সবার সামনে। পরিচিতজন যারা সিরিয়াল দেখেন তাদেরকে নিরুৎসাহিত করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে। এবং তাদেরকে জানাতে, বোঝাতে ও শেখাতে হবে কিভাবে নিজের জীবনটাকেই করে তোলা যায় বিনোদন ও অবসর কাটানোর মাধ্যম হিসেবে।
দুনিয়াটা একটা পরীক্ষাক্ষেত্র। মানুষকে তাই জীবন যাপন করতে হয় হাজারো পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে। ধন-সম্পদ, পরিজন সবই ফিতনার বস্তু। স্ত্রীরাও স্বামীদের জন্য বিরাট পরীক্ষার বস্তু। সিরিয়াল যেহেতু বোনেরা বেশি দেখেন তাই তাদেরকে বোঝানোর ক্ষেত্রে ভাইদেরকে মনে রাখতে হবে রাসূল (সঃ) কথা। আবু হুরায়রা রা থেকে বর্ণিত, রাসূল (সঃ) বলেছেন-“ উত্তম পন্থায় মহিলাদের সংশোধন করার চেষ্টা করো। কারণ মহিলাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে একটি বাঁকা হাড় থেকে। সে হাড়ের উপরের অংশ বাঁকা। যদি তাদেরকে বেশী সোজা করতে চাও তারা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি মোটেই সোজা করতে না চাও তাহলে বাঁকাই থেকে যাবে।” এই হাদিসটিতে মহিলাদের স্বভাবের বৈশিষ্ট্যর কথা উল্লেখ করে পুরুষদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করার উপদেশ দান করা হয়েছে। সবর ও হিকমাহ অবলম্বন করার নসীহা দেয়া হয়েছে। যদিও নেককার মহিলারা এই উপদেশের কথা স্মরণে রেখে নিজেদেরকে সাধারণ মহিলাদের দোষত্রুটি থেকে উর্দ্ধে রাখার চেষ্টা করে। নিজেদেরকে স্বভাবগত বক্রতা থেকে বের হতে চেষ্টা করে। কিন্তু এরজন্য শরীয়তের যে জ্ঞানের দরকার হয় তা যেহেতু সবার থাকে না। ধীরে ধীরে অর্জিত হয় এই জ্ঞান। তাই ততদিন পর্যন্ত অবশ্যই সবর ও হিকমাহ অবলম্বন করতে হবে।
সংসার জীবনটা আসলে উভয়েরই। তাই একে অন্যকে দোষারোপ না করে, নিন্দা ও সমালোচনা না করে উচিৎ একে অন্যের সহযোগী হওয়া। একে অপরকে সাহায্য করা নিজ নিজ বদভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসার। পরিবারের প্রতিটি সদস্য যদি এমন একে অপরের সাহায্য সহযোগী হয়ে উঠে তাহলে জীবনকে সঠিক ও সুন্দরের পথে পরিচালনা করা আসলে মোটেই কঠিন কিছু নয়, ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
২২০০ বার পঠিত, ৪৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখনই সময় আমাদেরকে ইসলামের সংস্কৃতিতে সজ্জিত হয়ে অপসংস্কৃতির বিরদ্ধে রুখে দাড়ানো।
আপনার সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অনেক অনেক শুকরিয়া আপনাকে।
ভাবী কোন এক সিরিয়ালের নাম উল্লেখ করে হাসতে হাসতে বলতে লাগল 'ওটা দেখা সে বন্ধ করতেই পারবেনা।'
আমি তখন বললাম 'আচ্ছা ভাবী বলেনতো ব্যাপারটা কেমন হবে যখন কেউ আপনার মা-বাবা-ভাই-বোন সবার উপর টর্চার করছে,নির্যাতন করছে।কিন্তু পাশের বাসায় আপনাকে মজার মজার বিনোদন দিয়ে ভুলিয়ে রেখেছে,আপনাকে চমৎকার সব উপহার দিচ্ছে!আপনি কি পারবেন সেই বিনোদন আর উপহার গ্রহন করতে?ইন্ডিয়া আমাদের ভাই-বোনদের হত্যা করছে,আমাদের দেশটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে আর আমাদের ব্রেইনঅশ করছে এই সিরিয়াল আর তার সস্তা পন্যগুলো দিয়ে!'শুধু এটুকু নয় আরো অনেক অনেক কথা হয়েছির এ ব্যাপারে।
ভাবী বুঝল, তারপর বললো 'অনেক ভুল আছে ভাবী আরেকজন যদি সাহায্য করে তাহলে বুঝতে সহজ হয়'।
তার কিছুদিন পরে ফোন করে ভাবী বলছে 'ভাবীইইই আমি এখন হিন্দী সিরিয়াল দেখিনা'আমার মুখ থেকে আপনা আপনি বের হয়ে এল 'আলহামদুলিল্লাহ'।
তোমার লেখাটা ভাল লাগল আপু।
পোষ্টের সময় ১২:৫৭:০৯ রাত
তোমার না ক্লাস চলে এই সময়???? দাঁড়াও ক্লাসে বসে ব্লগীং বন্ধ করছি তোমার।
তবে লেখাটা অনেক সুন্দর হয়েছে।
হিন্দি সিরিয়ালের দর্শক সংখ্যায় নারী বেশী নাকি পুরুষ বেশী?
অনেক অনেক শুকরিয়া ভাইয়া।
বাব্বাহ! যেমন সাজেশান দিয়েছেন...
খুব সুন্দর...
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
আল্লাহ সবকিছু সহজ করে দিন আপনার জন্য এই দোয়া রইলো। বারাকাল্লাহু ফীক।
ধন্যবাদ আপনাকে।
এই টেকনিক কাজ করবেনা।
অভিমান করা আমার স্বভাব, কিন্তু সেটা আমার অনেক ক্ষতি করে প্রায় সময়। কারন মানসিক ভাবে আঘাত করে। @কাজিন
সূরা-ইউসূফে আজিজের স্ত্রী ও তার সখীদের কথোপকথন ইয়াদ করুন ।
যদিও তারা ইউসূফের প্রতি জুলেখার আচরণকে বাড়াবাড়ি বলেছিল , তারা কিন্তু পরে ইউসূফকে তার মনিবের স্ত্রীর আবেদনে সাড়াই দিতে বলেছিল ।
বেশ কয়েক বছর ইউসূফ এই মিথ্যা অভিযোগে জেলে থাকার পরে যখন আজিজের আদেশে মুক্ত হন তখন আজিজ ইউসূফের নির্দোষিতা বুঝতে পারেন এবং জুলেখাকে (জুলেখাও স্বীকার করে যে সেই ফুসলিয়েছিল)ভর্তসনা করেন - '' তোমাদের নারীদের ছলনা ভয়ংকর '' ।
আপনি হিন্দি/ভারতীয় সিরিয়াল নিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট দিলেন , সাথে আপনার স্বগোত্রীয়রাও এসে বেশ কিছু আপনার পক্ষে মন্তব্য দিচ্ছেন । এর কুফল সম্পর্কে তারা যে কম জানে না তা ভালই বোঝা যাচ্ছে ।
কিন্তু বাস্তবে আমরা কি দেখি ? সন্ধ্যে হতে না হতেই রিমোট চলে যায় বাড়ির মহিলাদের হাতে । গ্রোগাসে তারা গিলতে থাকে এই সিরিয়ালগুলো , আশে পাশে কি হচ্ছে খেয়ালই করে না । রাত ১১/১২ টার আগে তাদের হাত থেকে রিমোট পাওয়া যায় না ।
তাদের ভারতীয় সিরিয়াল দেখার এই পাগলপনার জন্যই বিখ্যাত উপস্থাপক হানিফ সংকেত ক্ষোভ করে বলেছিলেন :
'' ক্ষুধার্ত বাঘের মুখ থেকেও খাবার ছিনিয়ে নেওয়া যায় , কিন্তু ভারতীয় সিরিয়াল দেখতে বসা মহিলাদের কাছ থেকে রিমোট নেওয়া অসম্ভব ''।
হিন্দী সিরিয়াল মহিলারাই দেখে এবং এ থেকে শেখা জিনিসগুলো (কূটনামী) পরিবারের উপর ইস্তেমাল করে ।
স্বামী বেচারারা বুঝতে পারে যে কেন তার এই শান্তির সংসারে আগুন লেগে আছে ।
কিন্তু তারা পারে না মহিলাদের এই ভয়ংকর নেশা থেকে ফেরাতে । কারণ তারা এটা বন্ধ করতে চাইলে সংসারে অশান্তির সৃষ্টি করে , ঠিক একজন ড্রাগ এডিক্টের মত ।
মাঝে মাঝে হুজুগ উঠে ভারতীয় জিনিস বর্জনের । ব্লগেও ওঠে । এসব হুজুগ যারা তোলে তাদের ১০০%ই ছেলেরা । আমি তাদের এইসব বৃথা আস্ফালন দেখে টিটকারি মারী - '' আগে ভাবীর সামনে এ কথা বলেন তো দেখি ?''
মেয়েরা কখনই ভারতীয় পণ্য ব্যবহার বর্জনের কথা কোন কালেও বলে না । বলবে কেন ? কারণ ভারতীয় সিরিয়ালে এমন জিনিস দেখানো ও শিখানো হয় যা দেখে এবং শিখে মেয়েরা পরিবারের উপর অশান্তি এনে অযাচিত বসিং করা শুরু করে ।
ঠিক যেমন আমেরিকা ও তার মিত্ররা কোন দেশকে লুটতে যাবার অজুহাত খুঁজতে জঙ্গিবাদকে দায়ী করে এগোয় । অথচ এই লাদেন , সাদ্দাম , তালেবান তাদেরই সৃষ্টি । আর এই জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র আসে তাদেরই নির্বাচনী প্রচারণায় ডোনেট করা অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ।
এরা যখন মানবাধিকারে বুলি কপচায় তখন খুব হাস্যকর লাগে - ইসরায়েলের ফিলিস্তিনে ক্রমাগত হামলার কথা , ইরাক - আফগানিস্তানে হামলার কথা এরা কি মানবাধিকারে লঙ্ঘন বলে মনে করে না ?
ইরান পরমানু অস্ত্র তৈরি না করতেই উনারা হয়রান । ইরান এই অস্ত্র বানালে নাকি ম্যাসাকার করে ফেলবে !
সবাই জানে যে কোন দেশে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী পারমানবিক অস্ত্র আছে । আরও জানে যে কোন দেশ আরেকটি দেশের জনপদের উপর একটি নয় দু দুটি পারমানবিক বোমা ফেলেছে.
যাদের আরেকটি দেশ পারমনাবিক বোমা মারার রেকর্ড আছে এবং যাদের এই অস্ত্রও মজুদ আছে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী তারা কি হুমকি , না কি যে এখনও একটাও বানাতে পারে নি তারা হুমকি ?
এসব সমস্যার সমাধান তখনই হবে যখন এসব মারাত্মক অস্ত্র যারা উতপাদন করছে , মজুদ করছে এবং অন্যের উপর মারছে - তাদেরকে নিবৃত করতে পারলে ।
আমরা ছেলেরা বললে কিছু হবে না , আপনাদের নারীদের থেকেই পজিটিভ এবং কার্যকর উদ্যোগ আসতে হবে ভারতীয় সিরিয়ালের এই করাল থাবা থেকে নিজেকে এবং সমাজকে মুক্ত করতে ।
পারবেন - শাহবাগে লাকিরা যেমন গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিচ্ছিল , নারীবাদীরা যেমন হেফাজতের বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছিল ; ভারতীয় সিরিয়াল বন্ধে এই রকম কোন দৃশ্যমান একটিভিটি দেখাতে ?
আমার হাজবেন্ড যেমন বিয়ের পর আমাকে বলেছিলেন আমার রাজ্যে তুমি ততক্ষন রাণী যতক্ষণ না তুমি শরীয়তের সীমা অতিক্রম না করছো। আমি প্রজা হয়ে তোমার আদেশ পালন করবো কিন্তু শুধু সেইসব ক্ষেত্রে যা আমার আমলনামাকে সমৃদ্ধ করবে। আমার সংসারে তুমি মুক্ত, স্বাধীন যা ইচ্ছে তুমি করতে পারো শুধু আল্লাহ নারাজ হবেন এমন কাজ ছাড়া। আমি যদি আমার আপন ভাইবোন সম্পর্কেও কিছু বলতে যাই উনি আমাকে মনে করিয়ে দেন যে, চলো আমরা একে অন্যেকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ানো থেকে মুক্ত রাখি। আমি আজ যা কিছু বিয়ের আগে আমার বাবা ও ভাইয়ারা এবং বিয়ের পর আমার হাজবেন্ডের সঠিক পথ প্রদর্শনের কারণে। আলহামদুলিল্লাহ।
পুরুষদেরকে আল্লাহ নেতৃত্বের স্থান দিয়ে পাঠিয়েছেন। তাদের উচিত সেই স্থানে সমাসীন হওয়া। নাহয় মেনে নিলাম আমি আপনার কথা যে নারীরা সকল অশান্তির কারণ। পুরুষরা তাহলে এর প্রতিকার করার উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না কেন? অশান্তি সৃষ্টিকারী, কুটনা মহিলা নিয়ে সংসার করছেন কেন? তালাক দিচ্ছেন না কেন? দিয়ে দিক এমন মহিলাদের তালাক। করে নিক আরেকটা বিয়ে। দশটা পুরুষ এটা করতে পারলে একশোটা নারী ভয়ে সিরিয়াল দেখা বন্ধ করে দেবে। কিন্তু তা না করে পুরুষরা বৌকে খুশি রাখতে গিয়ে আল্লাহকে নারাজ করেন।
বলা হয় যোগ্যরা যখন নিজেদের দায়িত্ব বহনে গাফলতি করবে, অযোগ্যরা সেই স্থান দখল করে নেবেন। পুরুষ কর্তা হতে পারছে না বলেই নারীর কর্তৃত্ব বিদ্যমান সমাজে। তাও পুরো সমাজে না নির্দিষ্ট একটা অংশে। তা না হলে আমাদের দেশে অসহায় নারীর সংখ্যাই বেশি। জীবনের ঘানী টানটে টানতে কখন যে তারা শেষ বেলায় পৌছে যান নিজেরাই টের পান না। সিরিয়াল দেখে কুটনামী ও অশান্তি শেখার অবকাশই তাদেরকে দেয় না জীবন।
শাহবাগে লাকিরা গলা ফাটিয়ে শ্লোগান দিতে পারে কারণ তাতে ইন্ধন জোগায় ইমরানরা। নারীবাদীরা হেফাজতের বিরুদ্ধে সমাবেশ করতে পারে কারণ তাদের পেছনে কাজ করে পুরুষেরা। ইনশাআল্লাহ মহিলারাও পারবে সিরিয়াল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে যদি তাদের স্বামীরা চারিত্রিক দৃঢ়তা নিয়ে তাদের পাশে থাকে।
ভাই আপনারা জেগে উঠুন। নেতৃত্বের গুণাবলী দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে আপনাদেরকে। প্রয়োগ করুন আপনাদেরকে দেয়া আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আল্লাহ যেখানে একটা বিশেষ পর্যায়ে গিয়ে স্ত্রীকে প্রহারের অনুমতি দিয়েছেন স্বামীকে , সেখানে আপনারা বানিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ।
প্রহার তো দূরের কথা, মানসিক আঘাত করলেই জেল জরিমানা ।
কোনটা আপনাদের কাছে প্রিয় :
আল্লাহর আইনে বেশী বাড়াবাড়ি করলে স্বামীর মার খাওয়া , না কি
স্বামী তাকে অফেন্সিভ কিছু বললেই আইনে মার প্যাঁচে স্বামীকে বাটে ফেলা ?
প্যারা নং ২ :
আপনার ২য় প্যারার ১ম ৩-৪ লাইন প্রথম প্যারার সাথে খুবই কন্ট্রোভার্সিয়াল ।
সূরা নিসা এর ৩৪ নং আয়াত দেখুন । আল্লাহর বলে দেওয়া নিয়মকে রিভার্স হতে দেখে মনটা কি বিদ্রোহ করে ওঠে না ?
স্বামীকে কি বলেন না যে , তুমি যে আমাকে আবেগের ঠেলায় তোমার উপর কর্তৃত্ব করতে বলছো এটা তো আল্লাহর আদেশের বিপরীত ? আল্লাহ কি এতে নারাজ হবেন না তার কথার বিপরীতে যাওয়া হচ্ছে দেখে ?
না কি মেঘ না চাইতে জল পেয়ে মনে মনে পুলকিত হন ?
'' আমি যদি আমার আপন ভাইবোন সম্পর্কেও কিছু বলতে যাই উনি আমাকে মনে করিয়ে দেন যে, চলো আমরা একে অন্যেকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ানো থেকে মুক্ত রাখি।''
০ আপনার আপন ভাইবোন সম্পর্কে কি বলতে যান ? ভাল না খারাপ বলতে যান সেটাই তো বলেন নাই এখানে । অমনিই বলে ফেললেন আপনার স্বামী না কি আপনাকে মনে করিয়ে দেন যে, চলো আমরা একে অন্যেকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ানো থেকে মুক্ত রাখি।
আপনি আপনার ভাইবোন সম্পর্কে কুতসা করেন না কি স্বামীর সামনে !!!
স্বামী/স্ত্রীর কি কেউ কারও সামনে নিজের আপনজনকে নিয়ে গিবত করে !!!!
প্যারা নং ৩ :
১ম প্যারাতেই মনে হয় এই ব্যাপরে বলে ফেলেছি বেশ কিছু ।
'' করে নিক আরেকটা বিয়ে। ''
লোম বাছতে কম্বল উজাড় হবার জোগাড় হয়ে যায় যে !
প্যারা নং ৪ :
''তাও পুরো সমাজে না নির্দিষ্ট একটা অংশে।''
রাজনীতি ও প্রশাসন কি সমাজের খুব ছোট একটা অংশ !?
এরা যতটা না এসেছে নিজেদের যোগ্যতায় তার চেয়ে বেশী এসেছে পূর্বসূরী পুরুষদের নামের উপর ।
তারপরেও নিজেদের পরবর্তী প্রজন্মের পুরুষদের কাছে ভার দিয়ে সরেও যায় না ।
অযোগ্য যে তা গত ২ যুগে এদেশের মানুষ হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেয়েছে । দূর্নীতির ব্রাজিলে পরিনত হয়েছি আমরা ।
ক্ষমতার চূঁড়ায় গেলে নারীরা যে কি ভয়ংকর হতে পারে তার একটা প্রদর্শনী আমরা দেখছি হরহামেশাই ।
উন্নত দেশগুলোতেও নারীকে এতটা লাই দেওয়া হয় না যা বাংলাদেশে দেওয়া হয় ।
আমেরিকাতে আজ পর্যন্ত কোন নারী প্রেসিডেন্ট হওয়াতো দূরের কথা নমিনেশনও পায় নি । কেন ? আমেরিকা না খুব সভ্য দেশ !
আসলে এসব দেশ যদিও বা কখনও কখনও নারীদের ক্ষমতার চূঁড়ায় আনতে চেয়েছিল , তা বাংলাদেশের অবস্থা দেখে মিইয়ে গেছে ।
এমন কি গতবার রমনি নাম নিয়েও এক প্রার্থীকে হারতে হয়েছিল ।
''সিরিয়াল দেখে কুটনামী ও অশান্তি শেখার অবকাশই তাদেরকে দেয় না জীবন।''
০ মূল পোস্টের সাথে সম্পূর্ণ কন্ট্রোভার্সিয়াল । সিরিয়ালের ঘটনায় সামনে কি হবে তাই সবসময় তার মাথায় কিল বিল করে ।
প্যারা নং ৫ :
পুরুষের সাপোর্ট লাগবে কেন ? আপনারাই না বলেন - আমরা নারী সবই পারি !
প্যারা নং ৬ :
তাহলে সবখানে নারীর ক্ষমতায়নের আওয়াজ আসে কেন ? বেলুন কি চুপসে যাচ্ছে?
“পুরুষ নারীর অভিভাবক এবং ভরণপোষণকারী, কারণ আল্লাহ্ এককে [পুরুষকে] অন্য [নারী] অপেক্ষা অধিক [শক্তি] দান করেছেন, এবং এ কারণে যে তারা [পুরুষ] তাদের অর্থ সম্পদ দ্বারা তাদের [নারীদের] ভরণপোষণ করে। সুতরাং পূণ্যবতী নারীরা ভক্তিভরে তাদের [স্বামীদের] বাধ্য থাকবে এবং [স্বামীদের] অনুপস্থিতিতে আল্লাহ্ তাদের যা হেফাজত করতে বলেছেন তার হেফাজত করবে। যেসব নারীদের থেকে তোমরা অবাধ্যতার এবং অসৎ আচরণের আশংকা কর [প্রথমে] তাদের সদুপদেশ দাও। [তারপর] তাদের সাথে শয্যা বর্জন কর, এবং [সর্বশেষে হালকা ভাবে] তাদের প্রহার কর। কিন্তু তারা যদি আনুগত্যে ফিরে আসে তবে তাদের বিরুদ্ধে [বিরক্ত করার] কোন পথ অন্বেষণ করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহান এবং সর্বশ্রেষ্ঠ।”
অবাধ্য নারীদের ব্যাপারে যে আদেশ দেয়া হয়েছে তা কি স্বামীরা পালন করেন? একদল বৌয়ের কথায় উঠবোস করেন আর আরেক দল বৌকে ভৎসনা করেন। তৃতীয় একটি দল আছে যারা সংখ্যায় খুব কম তারা সৎ উপদেশ দেন। এবং আমি আমার স্বামীর উদাহরন দিয়ে সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম। অনেক সময় আপনজনদের আচরণে কষ্ট পেয়ে আমরা অন্য কাউকে খুঁজে মন হালকা করার চেষ্টা করি। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী সর্বাবস্থায় একে অন্যের কল্যাণকামী। তাই দুর্বলতার মুহুর্তেও আল্লাহর বাণী স্মরণ করিয়ে দিয়ে ব্যহত করে ভুল করা থেকে।
কিন্তু কয়জন স্বামী আল্লাহর কালাম মুখে নিয়ে সুউপদেশ দিতে যান স্ত্রীকে? পারেন না কারণ নিজেরাই হয়তো হকের পথে চলে না। এখন আপনি বলবেন স্ত্রীরা বাধ্য করে হারাম পথে চলতে। এই ব্যাপারেও কিন্তু আল্লাহর সাবধানী বাণী আছে...
হে বিশ্বাসীগণ ! প্রকৃত পক্ষে, তোমাদের স্ত্রীগণের মধ্যে এবং সন্তানদের মধ্যে [ কেহ কেহ ] তোমাদের শত্রু। সুতারাং তাদের সম্বন্ধে সাবধান থেকো। কিন্তু যদি তোমরা তাদের ক্ষমা কর, তাদের দোষত্রুটি উপেক্ষা কর এবং লুকিয়ে রাখ, তবে জেনে রাখ, আল্লাহ্ বারে বারে ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়।
এই আয়াতের তাফসীরে বলা হয়েছে-“সাধারণ মানুষ পার্থিব জীবন নিয়ে এতটাই উন্মত্ত হয়ে পড়ে যে পরলোকের জীবনের কথা সে ভুলে যায়। পাশ্চাত্য সভ্যতার ভোগ বিলাসের জীবন, পরিবার সন্তান -সন্ততিকে করে আকর্ষিত ফলে অনেক সময়েই তাদের অতিরিক্ত আকাঙ্খা মিটাতে যেয়ে পরিবার প্রধানের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক জীবন সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাদের প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ -মমতার কারণে প্রায়ই পার্থিব জীবনের প্রতি অধিক আকৃষ্ট হয়ে, অধিক উপার্জন ও অধিক সঞ্চয়ের আকাঙ্খা জন্মে। ফলে আখিরাতের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করে। সেই জন্য তাদের ব্যাপারেও সংযম অবলম্বন করতে ও বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করা হয়েছে। এখানেও আল্লাহ্ বলেছেন যে, তাদের সাথে যেনো দুর্ব্যবহার করা না হয়। তাদের ভদ্র জীবন যাপন ও পরিমিত আরাম আয়েশের বন্দোবস্ত করবে কিন্তু এর পরেও তারা যদি তাঁকে প্ররোচিত করতে থাকে অন্যায় পথে পার্থিব ভোগবিলাসের জীবনের উপকরণ সংগ্রহের জন্য এবং আধ্যাত্মিক ক্রিয়া কর্মে অবহেলা করার জন্য আল্লাহ্ তাদের সাথে দুর্ব্যবহার না করে ক্ষমা করতে বলেছেন। তাদের জন সমক্ষে হাস্যস্পদ করা চলবে না কিন্তু একই সাথে সে তার আধ্যাত্মিক জীবনে কর্তব্য সম্বন্ধে হবে যত্নশীল।”
কিন্তু বাস্তবে কি করেন পুরুষেরা? স্ত্রীর অন্যায় আবদার মেনে নেন এবং বাইরে গিয়ে তার নামে কুৎসা রটান, গীবত করেন। আপনার নিজেরই অসংখ্য মন্তব্য তার প্রমাণ। কোথাও কিন্তু নারীদেরকে সুপরামর্শ দেবার কথা বলেন না আপনি। নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
কি বলা হয়েছে সুরা আত তাহরীম এর ৬ নং আয়াতে?
"হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই আগুন থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর, যাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ। তারা আল্লাহ তা’আলা যা আদেশ করেন, তা অমান্য করে না এবং যা করতে আদেশ করা হয়, তারা তাই করে।”
সুতরাং, পরিবারকে দোযখের আগুন থেকে বাঁচানো দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। এবং পরকালে এর জন্য মহান আল্লাহ্র কাছে জবাবদিহি করতে হবে। রাসূল (সঃ) বলেন, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে। [বুখারী, ৪৮০৯]
যাইহোক, আমরা প্রত্যেকে চিন্তা করি, কথা বলি নিজ নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে। আপনার আর আমার অভিজ্ঞতা এক নয়। জীবনকে দেখার ও বোঝার দৃষ্টিও আলাদা আমাদের। সুতরাং, এখানে যুক্তি তর্ক করা অর্থহীন। আর অর্থহীন কাজে সময় নষ্ট করা থেকে আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাযত করুন। আমীন।
আল্লাহ তায়ালা ভালো রাখুন আপনাকে। আমীন।
হারিকেনের জন্য কাঠখোট্টা খুঁজতে হবে।
তোমার মাতুব্বরি করতে হবেনা।
ভাগো এখান থেকে।
শুকরিয়া আপুমণি আপনাকে ব্যস্ততার মধ্যেও সময় করে পড়ার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন