মনের ঘরে ঘুণ পোকা......

লিখেছেন লিখেছেন আফরোজা হাসান ২৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:৪৯:৫৮ রাত



আপা আমার পক্ষে আর সংসার করা সম্ভব নয়। আমি রানিয়াকে ডিভোর্স দিতে চাই। প্লিজ তুমি ব্যবস্থা করো।

কথাটা শুনে ছোটভাইয়ের দিকে চোখ তুলে তাকালো অধরা। রাগ, ক্ষোভ ও বিরক্তি মেশানো আভা খেলা করছে সিহাবের চেহারা জুড়ে। হেসে ফেললো অধরা। হাত ধরে টেনে পাশে বসালো ভাইকে।

বোনের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে সিহাব বলল, আমি আর এসব নিতে পারছি না আপা। যথেষ্ট হয়েছে। রোজ রোজ একই ধরণের প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে আমি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। রানিয়ার সন্দেহ করার স্বভাব এখন মানসিক রোগের পর্যায়ে চলে গিয়েছে।

সেক্ষেত্রে ওকে কোন মানসিক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবি। কিন্তু তুই ডিভোর্স দিতে চাইছিস কেন?

ওহ! আপা সব ব্যাপারে তোমার এই ফান ভালো লাগে না। তোমাকে যখন বলেছিলাম রানিয়ার সাথে কথা বলো তুমি রাজী হওনি। বলেছো স্বামী-স্ত্রীর একে অন্যের প্রতি আস্থা অর্জন কখনোই তৃতীয় পক্ষের সহয়তায় হওয়া উচিত নয়। এতে বন্ধন একে অন্যেকে আঁকড়ে বেড়ে উঠার বদলে তৃতীয় কারো গায়ে ঝুলে থাকবে স্বর্ণলতার মতো।

সেই কথা তো আমি এখনো বলবো। দাম্পত্যর প্রথম দিকে ছোটখাট মনোমালিন্য হতেই পারে। তাই বলে প্রতিবারই যদি সমাধানের জন্য তৃতীয় কারো কাছে যেতে হয় সম্পর্কটার শুরুটাই হয় পরনির্ভরতায়। একে অন্যের হাত ধরে যাদেরকে জীবনের লম্বা সফর পাড়ি দিতে হবে তাদের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া থাকা উচিত। আর ছোটখাট মনোমালিন্য, অভিমান, রাগ এই বোঝাপড়াতে অনেক সহায়তা করে। জানা যায় একে অপরের অপছন্দ-অপছন্দ, ভালোলাগা-মন্দলাগা, বেড়িয়ে আসে দুর্বলতা, গোমড়। যা পরবর্তিতে একে অপরকে বুঝতে সহায়তা করে। তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতি এসবকে ব্যহত করে প্রচণ্ড রকম।

কিন্তু মান অভিমান আর সন্দেহ তো এক জিনিস না!

সন্দেহ করতে পারে এমন কাজ তুই করিস কেন?

এটা তুমি কেমন কথা বললে আপা? আমি কেন সন্দেহ করার মত কাজ করবো? ওর স্বভাব হচ্ছে সন্দেহ করা।

যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে সেই স্বভাব তৈরিতে তোরও নিশ্চয়ই অবদান আছে।

তুমি এই কথা বলছো আপা? তুমি জানো না আমি কেমন? ঝামেলা থেকে সবসময় একশো হাত দূরে থাকতে চেষ্টা করি আমি। এক ছাদের নীচে থেকে সারাক্ষণ একে অপরের সাথে জিভের তরবারি লড়াই চলুক চাই না বলেই আমি ডিভোর্সের কথা চিন্তা করেছি। আমি শান্তি চাই। সেজন্য সারাজীবন একা থাকতে হলে তাতেও আমি রাজী আছি। কিন্তু ঝগড়াঝাটি করা আমার পক্ষে সম্ভব না।

ভাইয়ের চোখে মুখে ফুটে ওঠা অভিমান দেখে মায়াতে মন ভরে গেলো অধরার। আসলেই সিহাব ঝামেলা পছন্দ করে না। ছোটবেলাতেও যেখানেই কোন ঝালেমা দেখতো সেখান থেকে নিরাপদ দুরুত্বে থাকতো। ভাইয়ের চুলে হাত বুলিয়ে দিয়ে অধরা বলল, তুই বারান্দায় গিয়ে বোস। আমি কফি নিয়ে আসি আমাদের জন্য।

কিছুক্ষণ পর কফির সাথে ভাইয়ের পছন্দের মুগ ডালের হালুয়াও নিয়ে এলো অধরা। হাসিমুখে বোনের হাত থেকে হালুয়ার প্লেট নিলো সিহাব। মুখে দিয়ে বলল, উমম...ইয়াম্মি! তোমার হাতের হালুয়ার কোন তুলনা নেই আপা। তোমাকে আমি হালুয়াতে গোল্ড মেডেল দেয়া উচিত।

হাসতে হাসতে অধরা বলল, অথচ তোর ভাইয়া খেতেই চান না আমার বানানো হালুয়া। এত শখ করে বানাই এক টুকরোও মুখে দেননা।

হাসলো সিহাবও। তোমার আর শোয়েব ভাইয়ার এত অমিল তারপরও তোমরা এত সুখী দম্পতি কিভাবে হলে সেটাই ভাবি মাঝে মাঝে। আপা কেন এত অমিল থাকার পরও মনোমালিন্য হয় না তোমাদের?

কারণ আমরা কখনোই একে অন্যের উপর নিজ নিজ পছন্দ-অপছন্দ জাহির করি না। কয়েকদিন আগে কি হয়েছে জানিস? আমি শোয়েবের জন্য একটা শার্ট কিনে এনেছিলাম। কিন্তু উনার চেহারা দেখে বুঝলাম যে ঠিক পছন্দ হয়নি। আমি তখন বললাম ঠিকআছে এটা পাল্টে তুমি তোমার পছন্দ অনুযায়ী কিছু কিনে এনো। কথা প্রসঙ্গে যখন এটা বড় মামীমাকে বললাম। মামীমা দাঁত কিড়মিড় করে বললেন, কি তোর পছন্দের শার্ট শোয়েব পছন্দ হয়নি বলে পাল্টে অন্য শার্ট নিয়ে এসেছে? আর তুই আনতে দিয়েছিস? আমি হলে তোর মামার কল্লা ফেলে দিতাম। সব শার্ট আগুণ দিয়ে জ্বালিয়ে দিতাম। জীবনে আর কোনদিন শার্টই পড়তে দিতাম না। মামীমা আমার সাথে ফান করেছে কিন্তু এমন কিছু সত্যি অনেকেই করে। সঙ্গীর পছন্দ হোক বা না হোক নিজের পছন্দকে চাপিয়ে দেয় তার উপর। অথচ সব ব্যাপারে পছন্দ-অপছন্দ মিলতেই হবে, মতের মিল হতেই হবে এমন কিন্তু কোন শর্ত নেই। নিজ নিজ পছন্দ বা মতে দৃঢ় থেকে অন্যের পছন্দ বা মতকে সম্মান প্রদর্শন করার মাধ্যমেও কিন্তু সুখী জীবন যাপন করা যায়। কিন্তু নিজের পছন্দ বা মতকে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়াকে অনেকে ভালোবাসা মনে করে, অনেকে অধিকার মনে করে। কিন্তু এরফলে মনের ঘরে ঢুকে পড়ে ঘুণ পোকা। যা ধীরে ধীরে কুড়ে কুড়ে ক্ষয় করতে থাকে সম্পর্কের বাঁধনকে। একসময় শুধু ঘরের অবয়ব থেকে যায় কিন্তু ভেতরটা জুড়ে বিরাজ করে শুধুই হাহাকার।

সন্দেহও তো এমনই এক ঘুণ পোকা তাই না আপা? আমি এমন ঘুণে খাওয়া ঘর চাই না আপা। প্লিজ আমাকে সাহায্য করো। রানিয়ার সন্দেহ ভরা দৃষ্টি, শব্দ আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে।

তুই ভুল বুঝছিস সিহাব। যাকে তুই সন্দেহ ভাবছিস সেটা আসলে তোর প্রতি রানিয়ার ভালোবাসার প্রকাশ। এই ব্যাপারটা প্রায় সবার ক্ষেত্রেই ঘটে আপনজন বা বিশেষ বন্ধনগুলোকে ঘিরে। আমরা তাদেরকে হারাতে চাই না, তাদেরকে কারো সাথে শেয়ার করতে চাই না বলেই তাদের ব্যাপারে খুব সাবধানী হয়ে উঠি। এর পেছনে প্রিয়জনকে হারানোর ভয় কাজ করে, সে শুধুই আমার এই স্বার্থ কাজ করে। আর এসব সন্দেহের উৎস নয়। জানিস মানুষের প্রতিটা মানবিক আবেগে চুম্বকীয় ক্ষমতা বিদ্যমান।

চুম্বকীয় ক্ষমতা? সেটা আবার কেমন?

চুম্বক যেমন শুধু ধাতব বস্তুকেই আকর্ষণ করে। মানবিক অনুভূতিগুলোও ঠিক তাই করে। বিষণ্ণতার কথাই ধর। যখন কেউ বিষণ্ণ হয় তার মনে খেলা করে হতাশা, নিরাশা, দুরাশা, একাকীত্ব। যা তাকে টেনে নিয়ে যায় শূন্যতার দিকে। আবার হতাশা, নিরাশা, দুরাশা, একাকীত্ব থেকেও মনকে ঘিরে ধরে বিষণ্ণতা। আবার ধর রাগ আকর্ষণ করে ঘৃণা, ক্ষোভ, বিদ্বেষ, প্রতিশোধ। আবার এই প্রত্যেকটি থেকে জন্ম হতে পারে রাগের। ঠিক তেমনি সন্দেহকে আকর্ষণ করে অবিশ্বাস, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, সংশয় ইত্যাদি। যা কিনা আলাদা আলাদা ভাবে হতে পারে সন্দেহের কারণ। কিন্তু প্রিয়জনকে ঘিরে আমাদের মনে যে সন্দেহের জন্ম হয় সেটার পিছনে অবিশ্বাস, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, সংশয় ইত্যাদির রূপে যা থাকে তা আসলে তাকে হারানোর ভয়। কারো সাথে তাকে শেয়ার করার অনীহা। তার কাছে আমার চেয়ে মূল্যবান কেউ থাকতে পারবে না, কিছু থাকতে পারবে না এই চাওয়া বা আবদার। আসলে প্রিয় মানুষটিকে অনেক সময় আমরা নিজস্ব সম্পত্তি মনে করতে শুরু করি। ভাবতে থাকি আমি ছাড়া আর কারো কোন অধিকার নেই তার উপর। এই ভাবনাটা আসে ভালোবাসার অবুঝ আর জেদী সত্ত্বা থেকে। অবুঝ ও জেদের সংমিশ্রণে সৃষ্ট সেই সত্ত্বার হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। তাই উদ্ভট কর্মকান্ড ও কথাবার্তা করে ও বলে। বেশির ভাগ মানুষ মনের এই কর্মযজ্ঞ সম্বন্ধে অজ্ঞ বলেই এসবকে সন্দেহ ভাবে। কিন্তু এসব সন্দেহ না।

এখন তাহলে আমি কি করবো?

বুঝতে চেষ্টা করতে হবে রানিয়ার অবুঝ ও জেদী সত্ত্বাটিকে।

আমি কেন বুঝবো?

কারণ তোর প্রতি ভালোবাসার কারণেই সেই সত্ত্বাটি হিতাহিত জ্ঞান শূন্য আচরণ করছে।

হেসে ফেললো সিহাব। উফ রে আপা মানুষকে কথার ফাঁদে ফেলার স্কুল খোলা উচিত তোমার।

হেসে, শোন রানিয়াকে নিয়ে দুজন মিলে একসাথে বসে কথা বল। মন দিয়ে শোন ওর মনের সব অভিযোগ। যখন রানিয়া কথা বলবে ভুল শুধরে দিতে যাস না তখন। শুধুই শুনে যাবি চুপচাপ। যখন রানিয়ার মন থেকে ঝরে যাবে শেষ শব্দবিন্দুটি। তখন ওকে বুঝিয়ে বলবি কোথায় কোথায় ওর বোঝার ভুল হয়েছে। কিছু ভুল তোরও আছে সেসবও সুন্দর করে মেনে নিবি। এবং ভবিষ্যতে চলার পথকে যাতে সন্দেহের রূপে ভালোবাসা বাঁধাগ্রস্ত করতে না পারে সেই ব্যাপারে দুজন মিলে করণীয় বর্জনীয় নির্ধারণ করে নিবি।

ইনশাআল্লাহ আমি করবো তুমি যা বলছো তাই। কিন্তু তুমিও কথা বলো রানিয়ার সাথে।

হেসে, জীবনকে সুখী ও সুন্দর করে গড়ে তোলার নিয়তে তোরা দুজন কথা বল মন খুলে। তাহলে দেখবি আর কারোই প্রয়োজন পড়ছে না, ইনশাআল্লাহ। আসলে কি জানিস বিশেষ সম্পর্কগুলোর ক্ষেত্রে মানুষ ভুলে যায় যে, নতুন একটা বন্ধন গড়ে ওঠার মানে এটা নয় যে তাদেরকে গোটা দুনিয়া থেকে আলাদা হয়ে যেতে হবে। প্রতিটা সম্পর্কের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা আছে তাই তার জায়গা কেউ দখল করে নেবে এই ভয়কে মনে জায়গা করে নিতে ব্যহত করতে হবে। চলার পথে হাজারো মানুষের সাথে পরিচয় হবে, চেনা-জানা হবে। প্রয়োজনে একসাথে কাজ করতে হবে। কিন্তু সব সম্পর্কই যে ভালোবাসা নয় এটা খেয়াল রাখতে হবে। কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না। ভালোবাসাও আতিশয্যে সম্পর্ক হারিয়ে ফেলে মাধুর্য। ঐ যে কথায় বলে না যে সম্পর্ক পাখীর মত। জোড়ে চেপে ধরলে মারা যাবে আর হালকা ভাবে ধরলে উড়ে যাবে। রহস্যটা আসলে এখানে। কাহলিল জিব্রানের কবিতার সেই লাইন দুটা -“ নাচ-গাও-আনন্দ করো একই সাথে কিন্তু ধরে রেখো তোমাদের স্বকীয়তা, যেমনি করে বীণার তন্ত্রীগুলো আলাদা থেকেও বেজে ওঠে একই সুরের মুর্ছনায়।”

আমি বুঝতে পেরেছি আপা। জাযাকিল্লাহ।

শোন একটু কিছু হলেই এমন ডিভোর্স ডিভোর্স করে লাফাস না। কারো সঙ্গ ছাড়া, ভালোবাসা ছাড়া জীবন যাপন করা এত্তো সহজ নয়। আর জীবনের জীয়নকাঠি যেই ভালোবাসাতে তার ছোঁয়া পেতে কিছু কষ্ট তো করতেই হবে। ভালোবাসাকে ভালোবাসা দিয়েই বাঁধতে হবে মনের ঘরে। মাঝে মাঝে কিছু অসাবধানতা, অসতর্কতায় ফিকে হয়ে যাবে মনের ঘরের দেয়াল। নতুন করে তখন রঙের প্রলেপ দিয়ে ম্লান হয়ে যাওয়া অংশগুলোকে রাঙিয়ে দিতে হবে। যে আপন তাকে আপন ভেবেই বুকে আগলে রাখতে হয়। কখনোই ভাবা উচিত না তাকে ছাড়াও জীবন কেটে যাবে। হ্যা এটা ঠিক কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না। কিন্তু যখন প্রয়োজন হবে নাহয় দিব্যি কাটিয়ে যাবো তাকে ছাড়া আমার জীবন। কিন্তু সে কাছে থাকতে কেন এমন ভাবনাকে মনে প্রবেশ করতে দেবো? তাই সবসময় খেয়াল রাখতে হবে মনের ঘরে যেন কিছুতেই প্রবেশ না করতে পারে ঘুণ পোকা। এখন মুখ ভোঁতা করে বসে না থেকে বাসায় যা। আর শোন যাওয়ার সময় রানিয়ার জন্য ওর পছন্দের কিছু নিয়ে যাস। বলতে বলতে হেসে ফেললো অধরা। বোনের হাসি সংক্রামিত হলো সিহাবের মুখেও.........

বিষয়: বিবিধ

১৯৮৩ বার পঠিত, ৪৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

168286
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:০১
গন্ধসুধা লিখেছেন : নাচ-গাও-আনন্দ করো একই সাথে কিন্তু ধরে রেখো তোমাদের স্বকীয়তা, যেমনি করে বীণার তন্ত্রীগুলো আলাদা থেকেও বেজে ওঠে একই সুরের মুর্ছনায়।” Happy
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০০
122494
আফরোজা হাসান লিখেছেন : হুমম...খুব প্রিয় দুটি লাইন আমার। Happy
168294
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:১৫
মোকাররম৭৬ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০০
122496
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। Happy Good Luck Good Luck
168303
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:৩৯
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আপনি যা লিখেছেন মাশা আল্লাহ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে Rose Rose
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০১
122497
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। Happy Good Luck Good Luck
168322
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:২৩
ভিশু লিখেছেন : ফ্যান্টাস্টিক! কিন্তু কয়েকটি সন্দেহ:
১. সমঝোতাকে ৩য় পক্ষ-নির্ভর-মুক্ত রাখার অভ্যেস করার জন্যই কি হানিমুন করা হয়?
২. বোনের হাতের কফি + মুগ ডালের হালুয়া > সমঝোতা ফিরিয়ে আনতে বেশ কার্যকর অ্যাডিটিভস মনে হলো?!Eat
৩. মামীমা: 'মামার কল্লা ফেলে দিতাম'...WorriedRolling on the Floor
৪. ভালোবাসার অবুঝ আর জেদী সত্ত্বাটা কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?It Wasn't Me!
৫. কোথায় কোথায় 'কথার ফাঁদে ফেলার স্কুল' আছে? ভর্তির সিস্টেম কি?Chatterbox
৬. ভালোবাসার আতিশয্যেও মাধুর্য হারিয়ে ফেলতে পারে সম্পর্ক?! ইশ্‌ কি দারুণ কথা...Surprised
৭. সম্পর্ক পাখীর মত - জোড়ে চেপে ধরলে মারা যাবে আর হালকা ভাবে ধরলে উড়ে যাবে?Sad
৮. মনের ঘরের দেয়ালেও নতুন করে রঙ করা যায়?!Whew!
৯. পোস্টে আরুজ্বির প্রপিক ছিনতাই করা হয়েছে কেন্নো?Crying
মাশাআল্লাহ...Praying মাই হ্যাট অফ > রোজা আপুজ্বি! আল্লাহ আপনাকে সত্যিই অসাধারণ কিছু যোগ্যতা দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ...HappyGood Luck
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:২১
122202
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : ১.আসলে জীবনে তৃতীয় পক্ষেরও দরকার আছে কিন্তু সর্বক্ষেত্রে তাদের উপর নির্ভরশীল না হওয়াই উচিত। আর আমার মতে হানিমুনে তৃতীয় পক্ষ থাকা ভালো। Big Grin আমাদের ভাইয়ারা হানিমুনে যাবার সময় আমাদেরকেও সাথে নিয়ে যেত। Smug আমরা পাহাড়া দিতাম মুনকে যাতে মেঘে ঢেকে না ফেলে আর হানি যাতে কেউ খেয়ে ফেলতে না পারে। Eat
২. আমার মতে এইসব হচ্ছে মন পরিবর্তনকারী মারাত্মক ঘুষ। Give Up
৩. অধরার মামীমা অনেক ভালো। আমাদের বড় মামীমা মামাকে ডাইনিং টেবিলের উপর এক পায়ে দাঁড় করিয়েও রাখে মাঝে মাঝে। Rolling on the Floor
৪. জানি না। জবাব রোজা দিবে। Rolling Eyes
৫. টপ সিক্রেট! Don't Tell Anyone
৬.সত্যিই কিন্তু এমন হয়। ভালোবাসাও মানুষদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় অনেক সময়। Whew! D'oh
৭. কাহলিল জিব্রানের কবিতার লাইন দুটি কিন্তু সত্যি চমৎকার। পুরো কবিতাটি পড়ে দেখতে পারেন। ভালো লাগবে। Music
৮. জানি না। জবাব রোজা দিবে। Yawn
৯. এমন ঝিলমিলে ঘরে নাকি ঘুণ পোকা মানায় না তাই আমার প্রপিক বাদ দিয়ে দিয়েছে। Crying

২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:৫৭
122217
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : সন্দেহ একটি জটিল রোগ। এতগুলা প্রশ্ন করার মানে হলো ঠিক মত মনোযোগ দিয়ে পড়ে নাই Frustrated :Thinking
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০৯
122504
আফরোজা হাসান লিখেছেন : মনের ঘরেই দেখা মিলবে ভালোবাসার অবুঝ আর জেদী সত্ত্বাটির। Smug
চোখ বন্ধ করে উঁকি দিয়ে দেখুন না একটু। ঐ তো গাছেয় ছায়ায় দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট কুটিরটি। আকাশে দেখুন সাতরঙা বিশাল রঙধনু খেলা করছে। ডুবিয়ে দিন হাত পছন্দের রঙে। বুলিয়ে দিন পরম মমতায় কুটিরের গায়। Tongue
ভালো থাকুন। Good Luck Good Luck Good Luck
168326
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:৩২
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আপা সালাম। বয়সে আমার চেয়ে ছোট হলেও, সংসারের জটিল একটি সমস্যা, যা কিনা অনেক পরিবারকেই ভিতরে ভিতরে ঘুনে পোকার ন্যায় কুটে কুটে খেয়ে ঝাঁঝরা করে ফেলছে, সে সম্বন্ধে এমন সুন্দর করে বলেছেন যে মনে হচ্ছে আপনি এ বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছেন এবং এ ব্যাপারে উচ্চতর কোন ডিগ্রি আপনার করতলগত।
আপনার এই থিসিসটি হোক অনেক ভঙ্গুর পরিবারের পথ চলায় নুতন করে বাঁচার উপায়, আমিন।
আবারো ধন্যবাদ।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:১১
122505
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম। অনেক অনেক শুকরিয়া ভাইয়া। Happy Good Luck Good Luck Happy
168333
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:৫৬
পলাশ৭৫ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০১
122498
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। Happy Good Luck Good Luck
168355
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:৩৫
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : গল্পের নায়ক নায়িকাদের নামগুলো কেমন যেন।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০২
122499
আফরোজা হাসান লিখেছেন : জ্বী নামগুলো ঠিক দেশী দেশী শোনায় না। Happy অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।Good Luck Good Luck
168368
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:৫৫
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : সুন্দর লেখাটির জন্য... Love Struck

২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০২
122500
আফরোজা হাসান লিখেছেন : জাযাকিল্লাহু খাইরান। Love Struck Love Struck Love Struck
168369
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:০৪
রাবেয়া রোশনি লিখেছেন : একই ঘরে থেকে দুজন দুই মেরুর বাসিন্দা হয়ে থাকাটা কখনও কাম্য নয় ।
চমৎকার লিখেছেন আপুমণি মাশাআল্লাহ ।
জাযাকাল্লাহু খাইরান Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Praying Praying
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:১২
122506
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ! দুই মেরুর বাসিন্দা হয়ে থাকা নিয়েও পোষ্ট দেবো। Tongue
অনেক ভালোবাসা তোমার জন্য। Love Struck Love Struck Love Struck
১০
168379
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:০৭
সাইদ লিখেছেন : চমৎকার লিখেছেন!!! অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০৩
122501
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। Happy Good Luck Good Luck Happy
১১
168401
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:২০
আলোকিত ভোর লিখেছেন : ধন্যবাদ Rose
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০৩
122502
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।Happy Good Luck Good Luck
১২
168452
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
পবিত্র লিখেছেন : আসলে প্রিয় মানুষটিকে অনেক সময় আমরা নিজস্ব সম্পত্তি মনে করতে শুরু করি। ভাবতে থাকি আমি ছাড়া আর কারো কোন অধিকার নেই তার উপর। এই ভাবনাটা আসে ভালোবাসার অবুঝ আর জেদী সত্ত্বা থেকে। অবুঝ ও জেদের সংমিশ্রণে সৃষ্ট সেই সত্ত্বার হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। তাই উদ্ভট কর্মকান্ড ও কথাবার্তা করে ও বলে। বেশির ভাগ মানুষ মনের এই কর্মযজ্ঞ সম্বন্ধে অজ্ঞ বলেই এসবকে সন্দেহ ভাবে। কিন্তু এসব সন্দেহ না।

একথাটা সবারই জানা দরকার। অনেক সময় মেয়েরা কিছু জানতে চাইলেই পুরুষরা তা সন্দেহ করছে মনে করে। Worried
চমৎকার পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:১৩
122507
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আসলে সন্দেহের সংজ্ঞা জানা না থাকার কারণে এমনটা হয়। কিছু জানতে চাইলেই মনে করে অবিশ্বাস করা হচ্ছে। Straight Face
অনেক অনেক শুকরিয়া আপনাকে। ভালো থাকুন। Happy Good Luck Good Luck
১৩
168458
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪০
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : সুন্দর হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০৩
122503
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। Happy Good Luck Good Luck
১৪
168472
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০২
জোছনার আলো লিখেছেন : ইস!একদম মন-প্রান সবই ফুলে উড়া ছোট্ট বর্ণীল প্রজাপতির মতন ছোয়ে দিয়ে গেলো প্রতিটি শব্দ! আর এই লিখা আমার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় । সংসারে প্রয়োজনে এপ্লাই করতে হবে :p


সম্পর্ক পাখীর মত। জোড়ে চেপে ধরলে মারা যাবে আর হালকা ভাবে ধরলে উড়ে যাবে।
কিংবা লবনের মতন! খুব বেশী দিলে তিক্ততা আসবে আবার কম দিলে বিস্বাদ হয়ে যাবে! পাখির মতন হোক কিংবা লবনের মত যাইহোক না কেনো আদরে থাকুক,পরিমিত থাকুক আর সবচেয়ে বড় কথা অটুট থাকুক এই সম্পর্কগুলো। Love Struck
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:১৯
122509
আফরোজা হাসান লিখেছেন : পাখির মতন হোক কিংবা লবনের মত যাইহোক না কেনো আদরে থাকুক,পরিমিত থাকুক আর সবচেয়ে বড় কথা অটুট থাকুক এই সম্পর্কগুলো। অনেক সুন্দর বলছো। Happy
দোয়া, শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো তোমার জন্য। Love Struck Praying Good Luck
১৫
168500
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার। তোমার কাউন্সিলিং বেশ ভালো লাগলো Thumbs Up Rose
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২১
122510
আফরোজা হাসান লিখেছেন : এই মন আমার জানিতে চায় যে কথাWaiting
গায়েব থেকে কেন দেন মোদের ব্যথা Tongue

শুকরিয়া আপুজ্বী।Love Struck Love Struck
১৬
168540
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪৫
বিন হারুন লিখেছেন : পুরো গল্প হৃদয় কাড়া আমার ক্ষেত্রে "যাকে তুই সন্দেহ ভাবছিস সেটা আসলে তোর প্রতি রানিয়ার ভালোবাসার প্রকাশ" কথাটা একটু বেশি. অনেক অনেক ধন্যবাদ Rose
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২২
122511
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। Happy Good Luck Good Luck
১৭
168715
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:০৫
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : মুগ্ধতা ছড়ানো একটি পোস্ট! ধন্যবাদ আপনাকে।
২৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:০৪
123057
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। Happy Good Luck Good Luck Happy
১৮
168771
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৮
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : এতো এক্সপ্রিয়েন্সড যদি আগে থেকেই হয়ে যাই।
ভবিষ্যতে কি হবে?
Sad Crying Sad Crying
২৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:০৫
123058
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ যা হবে মঙ্গলের জন্যই হবে। Smug
১৯
169144
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:২৫
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : তোমাকে আমি হালুয়াতে গোল্ড মেডেল দেয়া উচিত। :-b

আমাকে তুমি খাওয়াওনি কিন্তু, মনে আছে তো????? Crying
২৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:০৫
123059
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আপুনি কেন আমাকে আঘাত করছেন। Crying Crying Crying
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৫৬
123806
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমার এক বোনের ইচ্ছে অপূর্ণ থাকবে, আরেক বোন কান্নাকাটি করবে তাই কি হয়? নাও, দু’জনে মিলে হালুয়া খাও Happy
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১২
124315
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : এই না হলে বড়াপু! হেব্বি টেস্ট আপুনি! জাযাকিল্লাহ!Love Struck
২০
170104
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৫২
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : অনেক সময় ভালবাসা থাকা সত্ত্বেও সম্পর্ক টেকেনা যেহেতু পরস্পরকে বুঝার মানসিকতা থাকেনা। পরিবারের সদস্যরা এক্ষেত্রে পজিটিভ ভূমিকা রাখলে অনেক সংসার বাঁচত।
সুন্দর পরামর্শসম্বলিত গঠনমূলক গল্পটির জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু Love Struck Love Struck

৩০ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:১০
124217
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ভালো বোনেরাও কিন্তু তারার মতো আপুনি। Love Struck শুকরিয়া আপনাকে। Happy Good Luck Good Luck Happy
২১
185299
০২ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৩৮
মায়িশাহ মুনাওয়ারাহ লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো আপু। আপনার লেখা গুলো পড়ছি আর মূগ্ধ হচ্ছি। এত সুন্দর করে কীভাবে লেখা যায়। আল্লাহ আপনার কলমে আরো শাণিত করুন
০২ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৭
137410
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ। আপনার দোয়ায় আমীন।Praying
অনেক অনেক শুকরিয়া আপনাকে। Happy Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File