কেমন হওয়া উচিত মানুষের সম্পর্ক
লিখেছেন লিখেছেন আফরোজা হাসান ২১ জানুয়ারি, ২০১৩, ১১:৩৬:০২ রাত
এই পৃথিবীতে মানুষের জন্ম শুধু নিজের জন্য নয়। মানব জীবনের উচ্চ লক্ষ্য আছে। মহত্তর আদর্শ আছে। অন্যের প্রতি সহানুভূতি, সাহায্য ও অনুগ্রহ প্রকাশ ও অন্যের দুঃখ মোচনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে মানব জীবনের সার্থকতা। মানুষ যাতে পরস্পরকে সহায়তা করে তাই সৃষ্টিকর্তা মানুষের মনে দয়া-মায়া-স্নেহ-ভালোবাসা ইত্যাদি অসংখ্য মানবিক গুণ দিয়েছেন। এসব গুণসমূহকে বিকশিত করতে হলে সবার আগে হৃদয়ের সঙ্কীর্নতা দূর করতে হবে। ইংরেজীর হিউম্যান রিলেশন শব্দটির প্রতিটা অক্ষরের একটা করে অর্থ রয়েছে।
H( এইচ ) হ্যাভ সেলফ কন্ট্রোল অর্থাৎ নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ।
U(ইউ)-আন্ডার্স্ট্যান্ডিং অর্থাৎ অপরের অবস্থান থেকে চিন্তা করা।
M(এম)-মেক আদারস ইন্টারেস্ট এজ ইউর ওন অর্থাৎ নিজের মতো অপরের আগ্রহ তৈরী করা।
A(এ)- এডমিন হোয়েন ইউ আর রং অর্থাৎ নিজের ভুল স্বীকার করা।
N(এন)-নেভার ক্রিটিসাইজ পাবলিকলি অর্থাৎ সবার সামনে সমালোচনা না করা।
R(আর)-রিজন সুড বি কনস্ট্রাকটিভ অর্থাৎ প্রতিটি কাজের গঠনমূলক কারন থাকা।
E(ই)-এক্সপ্লেইন প্রেসিসেলি এ্যন্ড টু দ্যা পয়েন্ট অর্থাৎ সংক্ষেপে এবং ঠিক বিষয়ে ব্যাখ্যায় পারঙ্গম হওয়া।
L(এল)-লিড বাট ডু নট ড্রাইভ অর্থাৎ দিক নির্দেশক হওয়া কিন্তু চালক না হওয়া।
A(এ)- এভয়েড কুইক জাজমেন্ট অর্থাৎ অতি দ্রুত বিচার না করা।
T(টি)-টেক কেয়ার অব লিটল থিংকস অর্থাৎ বিষয় যত ক্ষুদ্রই হোক তা বিবেচনায় আনা।
I(আই)-ইনফর্ম আদারস এবাউট দ্যা ম্যাটার অর্থাৎ সবাইকে জানানো।
O(ও)- অফার হেল্পফুল সাজেশন অর্থাৎ অপরকে সাহায্য করা।
N(এন)-নেভার ফরগেট টু প্রাইস ফর এ জব ওয়েল ডান অর্থাৎ ভালো কাজের জন্য উপযুক্ত সম্মান জানানো।
S(এস)- স্টেস দ্যা পজেটিভ অর্থাৎ ইতিবাচক চিন্তার অধিকারী হওয়া।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি সম্পর্ক তৈরির সময় কিংবা সম্পর্কের বন্ধনকে অটুট রাখতে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখি? আসলে মানুষের সম্পর্ক গুলোকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তুলতে দরকার নৈতিক মূল্যবোধ ও মনুষ্যত্ব অর্জন। আর এসব অর্জনের জন্য আমাদেরকে দরকার হলে প্রতিযোগিতার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। দুনিয়াবী প্রতিযোগিতা ছেড়ে নামতে হবে আত্মিক উন্নতির প্রতিযোগিতায়। ইসলামের দৃষ্টিতে হিংসা-বিদ্বেষ দোষনীয়। কিন্তু প্রতিযোগিতাকে ইসলাম শুধু অনুমোদনই করেনি, উৎসাহিতও করেছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনে বলেছেন-“ তোমার প্রভুর ক্ষমা লাভের উদ্দেশ্যে দ্রুত ধাবমান হও। এবং সেই জান্নাতের জন্য [প্রতিযোগিতা কর] যার বিস্তৃতি আসমান ও যমীনের সমান, যা প্রস্তুত করা হয়েছে পূণ্যাত্মাদের জন্য।” অর্থাৎ, আল্লাহ ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করতে বলেছেন। রাসুল (সঃ) জ্ঞানলাভ ও নেক কাজে তা ব্যয় করাকে উৎসাহিত করেছেন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন