যে কারনে ফজর নামাজ পড়তে যায় না মানুষ !
লিখেছেন লিখেছেন মামুন আব্দুল্লাহ ০২ জানুয়ারি, ২০২০, ০২:০১:৫২ রাত
যে কারনে ফজর নামাজ পড়তে যায় না মানুষ !
এক সময় গ্রামে কিংবা শহরে ফজরের নামাজে অনেক মুসল্লি দেখা যেতো। বিশেষ করে গ্রামে সকালবেলা মসজিদগুলোতে অনেক মানুষ নামাজ পড়তে যেতো এবং সকলেই ঘুম থেকে খুব ভোরে উঠতেন! সকালে বাচ্চারা আরবী পড়তে মসজিদ কিংবা মাদ্রাসায় যেতো। এই দৃশ্য এখন অনেকটাই হারিয়ে গেছে । এখন গ্রামেও লোকজন আগের মতো ঘুম থেকে খুব সকালে উঠেন না,আর বাচ্চারাও আগের মতো আরবী পড়তে যায় না।
এক মোবাইল ও ফেইসবুকের কারনেই সকালবেলা মসজিদে গিয়ে ফজরের নামাজ পড়া কমেই গেছে। ছোটবেলা যখন মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যেতাম অনেক মুসল্লি দেখা যেতো,আর এখন একদম মুরব্বি যারা তারাই হয়তো ফজরের নামাজে যায়। তার কারন সারারাত মোবাইল আর ফেইসবুক ব্যবহার করে মানুষ সকালবেলা ঘুম ছাড়া কিছুই বুঝে না। এক সময় ছিল না মোবাইল ছিলনা ফেইসবুক। তাই মানুষ রাত না জেগে ঘুমিয়ে যেতেন।
মোবাইল ও ফেইসবুক যেমন মানুষকে ফজর নামাজবিমূখী করেছে,তেমনি সকালবেলা বাচ্চাদের আরবী পড়তে যাওয়ার পথ কমিয়ে দিয়েছে মনিং স্কুল । এক সময় সকালবেলা মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলো ছোট ছোট বাচ্চাদের আরবী পড়ার গুনগুন শব্দ শুনা যেতো এখন কদাচিত গ্রামে দেখা গেলেও সংখ্যাটা একদমই কম আগে যেখানে প্রতি বাড়িতে একসাথে অনেক বাচ্চারা আরবী পড়তে যেতো এখন অনেক অনেক কমে এসেছে,তবে সামনে সংখ্যা আরো কমে আসবে। যদিও অনেক পরিবার এই মনিং স্কুলের কারনে বাচ্চাদের সকালে আরবী পড়তে দিতে পারে না,এই কারনে বিকালবেলা অনেকেই আরবী পড়ানোর জন্যে বাসায় হুজুর রেখে আরবী চর্চাটা বাচ্চাদের মাঝে ধরে রেখেছেন। তেমনি এক সময় যারা নিয়মিত ফজরের নামাজ পড়তে যেতো এখন এক ফেইসবুক ও মোবাইল এর কারনে অনেকেই আগের মতো আর ফজর নামাজে যায় না ।
ফজর নামাজ সকালে আরবী পড়া ও সকালে ঘুম থেকে উঠার রীতি আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই জন্য বাড়ছে রোগ-ব্যাধির পরিমাণ,আর এতে করে কমছে মানুষের আয়ুকাল।
দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে ডাইবেটিসসহ জটিল জটিল রোগ।
মানুষ আগে রাত জাগতো না এখন এমন অনেকেই আছে রাত ৩/৪টায়ও ঘুমাতে যায়। শুয়ে শুয়ে ইউটিউব ,ফেইসবুক ও অন্যান্য সব অপশন দেখেই পুরো রাত শেষ করে দিচ্ছে তারপর ঘুমাতে গেলে উঠে সকাল ১০টা কিংবা ১১টায় । যাদের স্কুল কলেজ ও অফিস আছে তারা চোখ ঢলতে ঢলতে স্কুল, কলেজ ও অফিসে রওনা হন। বাকিরা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করতেই ১০টা বেজে যায় কারো কারো আবার ১২টায় সকালের নাস্তা হয় না।
মূলত প্রযুক্তিই আমাদের দিন দিন এমন বানিয়ে দিচ্ছে। আমরা প্রযুক্তির সাথে দিন দিন নিজেদের আরো বেশী জড়িয়ে নিচ্ছি।
বিষয়: বিবিধ
৮৩৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন