সকল শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অভিভাকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা !
লিখেছেন লিখেছেন মামুন আব্দুল্লাহ ২১ এপ্রিল, ২০১৯, ০২:১২:০৪ দুপুর
দেশের সকল শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলছি
শিক্ষাকে পণ্য নয়! ব্যবসা নয় ! সেবা হিসেবে গ্রহন করুন ? তাহলে একজন শিক্ষার্থী প্রকৃত শিক্ষা পাবে এবং সকল শিক্ষককেও শিক্ষকতাকে পেশাদার হিসেবে নিতে হবে ! যদি শুধু উপার্জনের চিন্তাই মাথায় থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে ।
স্কুলে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের মারধর করা ধমকের সুরে কথা,বেঞ্চে উঠেয়ে দাড় করিয়ে রাখা,মাঠের মধ্যে রোদ্রে এক পায়ে শাস্তি দেয়া,কান ধরিয়ে উঠবস করা,বেতরাঘাত করা এসব আমাদের দেশের শিক্ষকদের একটি বিকৃত সংস্কৃতি চর্চা । অভিভাবকদের শাসানো ও অপমান করা এ ধরনের রীতি শুধু আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেই দেখা যায় ।
এ ধরনের বিকৃত শাসন;বরং শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও লেখাপড়াকে বাধাগ্রস্থই করে না পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থীকে বিপদগামীও করে তুলে । সুতরাং একজন শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধুসূলভ আচরণ করাটা খুবই প্রয়োজন । একজন শিক্ষক শুধু পাঠদান করাই তার দায়িত্ব নয় একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকও বটে;কিন্তু আজকাল খুব কম সংখ্যক শিক্ষকই শিক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবকসূলভ আচরণ করেন ।
একজন আদর্শবান শিক্ষক কখনও তার শিক্ষার্থী তাদের অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরন করেন না;নীতি ও আর্দশহীন শিক্ষকরাই;রবং অভিভাবকদের সাথে অভদ্র ও আশালীন ব্যবহার করে থাকেন ।
সারা দেশের শিক্ষকদের উদেশ্যে বলতে চাই শিক্ষকতা ও শিক্ষা পেশা একটি সম্মানের পেশা । দেশ গড়ার কারীগর বানানোর এক মহান পেশা,আর এ মহান ও সম্মানের এই পেশায় আসতে হলে টিকে থাকতে হলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে সর্বদা সহনীয় মার্জিত ও সুন্দর আচরণ করা বাঞ্চনীয় । শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে শাসন করুন,তবে সেই শাসন নয় যা তাদেরকে বিপথে ও মানসিকভাবে খারাপ দিকে ধাবিত করবে।
সুশাসন ও সুন্দর আচরণ আদর দিয়েই শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলুন, আর একজন অভিভাবককে সব সময় সম্মান করুন ।
একজন শিক্ষার্থীর সামনে তাদের অভিভাবকদের সাথে বিনয়,নম্র ও ভদ্র ব্যবহার করার চেষ্টা করুন । বর্তমানে কিছু বিকৃত রুচির শিক্ষকদের কারনে শিক্ষার্থী ও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ।
আজকাল শিক্ষাকে ব্যবসা মনে করার কারনেই সম্মান শব্দটা উঠে যাচ্ছে ! শিক্ষক গর্ভানিং বডি নিজেদের মতো করেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে । শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের শিক্ষক ও গর্ভানিং বডি মূল্যায়ন করেন না।
তবে দেশের সচেতন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আরো সর্তক থাকতে হবে । তাছাড়া নকল প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন । নকল কখনও ভালো ফলাফল বয়ে আনে না;বরং শিক্ষাকে ধ্বংস করে । পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের বাজে আচরণও বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি ।
____আল মামুন
লন্ডন,২০ এপ্রিল,২০১৯ইং
বিষয়: বিবিধ
৮২৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন