নারীরা আসলেই কি চায় ?
লিখেছেন লিখেছেন মামুন আব্দুল্লাহ ৩১ মার্চ, ২০১৬, ০৮:৩২:৩৬ রাত
নারীদের ওপর নির্যাতন ও ধর্ষন বেড়ে যাওয়ার নৈপথ্যের প্রথম কারন হলো নারীদের দিন দিন ক্ষমতা বেড়ে যাওয়া ! নিরাপত্তার চেয়ে যখন নারীরা বর্তমানে নিজেদের ক্ষমতাটাকে বেশী প্রাধান্য দিচ্ছেন,আর নারীরা ক্ষমতা নিতে গিয়ে তখনই নিরাপত্তা হারাচ্ছে !
যদি ক্ষমতা না চেয়ে শুধুই নিরাপত্তা চাইতেন তাহলে মনে হয় নারী নির্যাতন,নারীদের ওপর অত্যাচার,জুলুম ও ধর্ষনের মতো জগন্য অপরাধগুলোর মতো ভয়াবহতার মধ্যে তারা এতোটা কখনোই পড়তেন না ! হয়তো আমার সাথে অনেকই দ্বিমত পোষণ করতে পারেন;কিন্তু বাস্তব সত্যটা এটা যে,বেশীর ভাগ নারীই বর্তমানে ক্ষমতা চায় !সমঅধিকার চায় ! একজন পুরুষের মতো নের্তৃত্ব চায় ! একজন পুরুষের মতো সব ধরনের কাজের সাথে নিজের সম্পৃত্ত করতে চায় ! একজন নারী যখন নিজেদেরকে পুরুষের সমান মনে করবে পুরুষের সাথে সমানভাবে চলতে চাইবে তখন একজন নারীকে সমানভাবে নিরাপত্তা দেয়া কারো পক্ষেই সম্ভব হবে না ! এখানেও আমার সাথে হয়তো অনেকই একমত হবেন না ! কারন যেখানে ইসলাম নারীদের মর্যাদা দিয়েছেন নিরাপত্তা ও পর্দা প্রথা ইসলামই নারীদের সর্বপ্রথম দিয়েছেন !
"আর আমরা নারীরা যদি শুধুই সমঅধিকার আর ক্ষমতা নিয়ে ব্যস্ত থাকি তাহলে তো নিরাপত্তা ভুলন্ঠিত হবেই ! "
ইসলাম নারীদের যতোটুকু অধিকার দিয়েছে যতোটুকু মর্যাদা দিয়েছে তার চেয়ে বেশী অধিকার চাইতে গেলে তো তাদের সম্ভ্রমহানী,মর্যাদাহানী ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবেই এটাই স্বাভাবিক !
আমরা নারীরা সত্যিকার অর্থেই শুধু ক্ষমতা চাই সবক্ষেত্রে সমানভাবে চলতে চাই তার জন্যেই আজ নারীরা প্রতিটি জায়গায় লাঞ্চিত হচ্ছে নিপিড়িত হচ্ছে নির্যাতিত হচ্ছে এবং ধর্ষিত হচ্ছে ! কারন ক্ষমতা নিতে গেলেতো আসলেই সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা পেতে কষ্ট হবেই !
বর্তমানে মেজরেটি পার্সেন্ট নারী নিরাপত্তা চায় না (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া ) তারা নিজেদের পশ্চিমা সংস্কৃতির সাথে গা ভাসিয়ে দিতে চায় ( যদিও কিছু নারী মা বোনরা শুধুই নিরাপত্তা চায় কারন তারা জানে নিরাপত্তা পেলে সব কিছুই পাওয়া যাবে !) এসব কারনে নিরাপত্তা না পেলে ক্ষমতা পেয়েও নির্যাতিত ও ধর্ষিত হতে হবে । আমরা কিছু নারীপুরুষরা এখন একত্রে মিলে বেহায়পানা শুরু করে দিয়েছি !
"বেহায়পনা আর নারীর ক্ষমতায়নের যুগে এসব নারীরা আসলেই কতোজন নারী প্রকৃতপক্ষে নিরাপত্তা চায় ? ইন্টারনেট সংস্কৃতি,মোবাইল সংস্কৃতির পাশাপাশি নারীদের অবাধ চলাফেরার কারনেই নারী নির্যাতন বেড়েছে আশংখাজনক হারে ।"
শুধু ২০১৪/২০১৫ সালে নারী নির্যাতনের হারটা খুবই ভয়ানকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । বর্তমানে একটি সংস্থার রির্পোট অনুযায়ী ৭৪ শতাংশ নারী শিশু মহিলা কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে ! গৃহকর্মী থেকে শুরু করে স্কুল,কলেজ,ইউনিভারসিটির তরুনীরা গামের্ন্টস নারী শ্রমিক ও গৃহকর্তীরা ভিক্টিম হচ্ছে ।
"আজকাল নারীরা নিজেদের নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করে দিয়েছেন "!
পুরুষদের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্যে ! তাদের পোশাক তাদের অঙ্গভংগি তাদের চলাফেরার স্টাইল সব কিছুই শুধু একশ্রেনীকে আর্কষন করার জন্যে !
আর একারনেই দিন দিন দেশে ন্যাক্কারজনক হারে ধর্ষন বেড়ে গেছে ! যদিও এক্ষেত্রে অনেক সময় পুরুষরা দায়ি;কিন্তু নারীদের বেহায়পনা আর অশালীন পোষাকই একশ্রেনীকে ধর্ষনে প্রলুব্ধ করে ! ( কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া ) । নারীরা যতোই শিক্ষিত হচ্ছেন ততোই তারা আরো বেশী নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন ! ইসলামী অনুশাসন না মেনে শিক্ষিত হওয়ার কারনে সংসার সমাজে তারা নিজেদের আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতা পাওয়ার জন্যেই মেজোরেটি পারসেন্ট নারী তাদের সম্ভ্রম মর্যাদা ও নিরাপত্তা হারিয়ে ফেলছেন,আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো পারিবারিক কলহ এবং কিছুক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা,রাজনৈতিক ক্ষমতা চরির্তাথ করার জন্যে নারীরা নির্যাতন ও ধর্ষনের মতো বিকৃত অপরাধের শিকার হচ্ছেন । তবে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই নারীরাই দায়ী ! যদিও অনেকই দ্বিমত পোষন করতে পারেন ।
"তারপরও আমরা চাই সমাজে দেশে সর্বত্রই নারী নির্যাতন নারী ধর্ষন বন্ধ হোক ! "
সমাজে অনেক নারী আছেন যারা একটি সুন্দর নিরাপদময় জীবন চায় তারা তাদের নিরাপত্তা চায় তাদের মর্যাদা চায় ! ঐসব মা বোনরা জানে যে আমাদের ক্ষমতার চেয়ে নিরাপত্তা বড়ো,আর আমরা নিরাপত্তা পেলে বাকি সবকিছুই পাবো !
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে কিছু নারী পুরুষের উম্মাদনার কারনে সমাজে নারী ধর্ষনটা বেড়েছে । যারা আজ এসবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবে তারাই মুলত: কোনো না কোনোভাবে জড়িত রয়েছেন ।
আসুন আমরা আমাদের সমাজ ও দেশটাকে গড়তে নারীদের সম্মান জানাই তাদের মর্যাদা দেই এবং সর্বপরি একজন নারীর সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব একজন পুরুষের একটি সমাজের একটি দেশের !
"একজন নারী নিরাপত্তা পাওয়ার অর্থ-
আমার মা নিরাপত্তা পেলো,
আমার বোন নিরাপত্তা পেলো,
আমার মেয়ে নিরাপত্তা পেলো,
আমার স্ত্রী নিরাপত্তা পেলো !
যারা দু:চরিত্রের মানুষ তাদের কাছে ভালোমন্দ কোনোই পার্থক্য নেই ! আর ঐসব লোকদের কাছে কোনো নারীই নিরাপদ নয় !
লেখক : এম.এ.মামুন
বিষয়: বিবিধ
১১৫০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন