সন্তান প্রসবে সিজার : একজন নারীর সাথে হসপিটাল ও ডাক্তারদের এ কেমন প্রতারণা ?
লিখেছেন লিখেছেন মামুন আব্দুল্লাহ ০৪ নভেম্বর, ২০১৫, ০৫:১৭:০২ বিকাল
বর্তমানে আমাদের দেশে ফ্রি চিকিতসা কল্পনাও করা যায় না !
সরকারী হসপিটালগুলোর ডাক্তার নার্সরা সরকারী মেডিসিন রোগীদের না দিয়ে সেগুলো বিভিন্ন ফার্মাসীতে বিক্রি করে দেয় । এভাবে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার মেডিসিন সরকারী হসপিটালগুলো থেকে উধাও হয়ে যায় ! আমাদের দেশে প্রসূতি মায়েদের ফ্রি সেবা তো আমরা চিন্তাও করতে পারি না অথচ বাহিরের দেশগুলোতে এ ধরনের সেবাগুলি বিনা খরচেই পেয়ে থাকে একজন নারী । যদি বৃটেনের কথাই বলি এখানে একজন নারীর বাচ্চা প্রসবে নরমাল ওয়েতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পর যখন দেখে যে এখন আর নরমালভাবে বাচ্চা প্রসর করানো সম্ভব হচ্ছে না ঠিক সেই মূর্হুতে এসে একজন নারীকে ডাক্তার ও নার্স এবং ঐ নারীর হাসবেন্ড বা তার আত্নীয়কে বলে যে আমরা আর নরমাল ওয়েতে বাচ্চা প্রসব করাতে পারবো না । ঠিক তখনই সন্তান প্রসবে সিজার পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়,আর আমাদের দেশে সন্তান প্রসবে সিজার এটা একটা ব্যবসা ! বাংলাদেশের নারীদের শাররিকভাবে ও মানসিকভাবে আগে থেকেই হসপিটালগুলো ও ডাক্তার নার্সরা সময় নির্ধারণ করে দেয় যে,আপনার নরমাল ডেলিভারী হবে না ! কারন আপনার বাচ্চা অনেক বড়ো হয়ে গেছে সুতরাং সিজার না করালে বাচ্চা ও মায়ের অনেক ঝুকি হতে পারে ! একজন নারীকে আগেই ডাক্তার নার্স ও হসপিটালগুলো বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো শুরু করে যাতে একজন নারী বাচ্চা প্রসবে সিজার করাতে বাধ্য হয় ! এমনকি অনেক সময় নরমাল ডেলিভারী হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও ইনজেক্শন দিয়ে বাচ্চা প্রসব র্দীঘায়িত করিয়ে হলেও সিজার করাতে বাধ্য করাই । এটা বাংলাদেশের হসপিটালগুলোর একটি কমন ব্যবসা আর এভাবেই নারীরা একধরনের স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্য দিয়ে তার অনাগত সন্তানকে সিজারের মাধ্যমে দুনিয়াতে আনতে হয়,এই সিজার পদ্ধতি নারীদেরকে তাদের স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকেও বিরত রাখে এবং সন্তান প্রসবে সিজার পদ্ধতি একজন নারীকে শাররীকভাবে অনেক মারাত্নক ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয় একজন সিজারিয়ান মা তার স্বাভবিক চলাফেরা ও ভারী ধরনের কাজগুলো আর তার পক্ষে আগের মতো করা অনেক ঝুকিপূর্ণ হয়ে পরে। এভাবেই অল্প বয়সেই একজন নারীকে তার স্বাভাবিক জীবনযাপন পদ্ধতি থেকে খুবই সচেতনভাবে চলতে হয় । অথচ একমাত্র বাংলাদেশেই নারীরা বর্তমানে সন্তান প্রসবে সবচেয়ে বেশী সিজারের শিকার ! এটা মূলত দেশের হসপিটালগুলোর এক ধরনের প্রতারণা যা একজন নারীকে স্বাস্থ্যগতভাবে খুবই ঝুকিতে ফেলে দেয় । যে দেশে একজন রোগীকে হসপিটাল ও প্রাইভেট চেম্বারগুলোতে গেলে এভাবেই প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে,এসব অসহায় রোগীরা একরকম বাধ্য ও জিম্মি হয়েই এসব হসপিটালগুলোতে চিসিতসা নিতে আসেন ! এর মূল কারন হসপিটালগুলোর মালিকদের হসপিটাল ভাড়া,প্রতিদিনের ডাক্তার বিল, নার্স ও হসপিটালের স্টাপদের বেতন সব মিলিয়ে নিজেরা বিলাসবহুল জীবন যাপন করার পাশাপাশি ডাক্তারদের বিদেশ ভ্রমন বাড়ি গাড়ী দিতে গিয়েই দেশে আজ চিকিতসা সেবার নামে চলছে রমরমা ব্যবসা । কেউ কেউ চিকিতসা করতে এসে সহায় স্বম্ভল ভেটে বাড়ি সব বিক্রি করে দিতে হয় । কেউ তার জমিজমা বিক্রি করে চিকিতসা করে কেউ সেই রোগীর টাকা অসুধাপায়ে উপার্জন করে বাড়ি গাড়ি করে বিলাসীতায় সেই টাকা খরচ করছে মাসে মাসে ট্রেনিং এর নামে বিদেশ টুর করছে ! এভাবেই দিনের পর দিন অসহায় মানুষগুলো হসপিটালের মালিক ডাক্তার ও নার্সদের দ্বারা শোষিত হচ্ছে আর এসব কর্মকান্ড দেখেও সরকার প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছে ! বাংলাদেশের অনেক হসপিটালের মালিকরা ডাক্তারকে নিয়োগ দেয়ার আগে একজন ডাক্তারের করনীয় কি রোগীদেরকে কিভাবে দীর্ঘমেয়াদী চিকিতসা সেবায় আনতে হবে সেই ট্রেনিংও দিয়ে দেয় ! সেভাবেই ডাক্তাররা দিনের পর দিন একজন নারীকে সেবার নামে প্রতারনা করে যাচ্ছে,এভাবেই হসপিটালগুলোর ব্যবসাকে ধরে রাখার জন্যে দেশের নারীদের মৃতুর ঝুকিতে ফেলে ডাক্তার হসপিটালগুলো তাদের প্রতারনা চালিয়ে যাচেছ । দেশের সাধারণ মানুষ ও নারীদের এসব হসপিটাল ও ডাক্তাররা এভাবেই জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ।
______এম.এ.মামুন
বিষয়: বিবিধ
২৮২৫ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মা বোনদের অবশ্যই সচেতন হওয়া দরকার, যেন ডেলিভারীর সময় ডাক্তারের কাছে যেতে না হয়।
ব্যাপারটা এতটা জলবত-তরলং মনে করিনা!
হয়তো ডাক্তার/ক্লিনিকের অধিকাংশই এমন, কিন্তু বিপরীত চিত্রও কম নয়!
হয়তো নরমাল ডেলিভারীর সম্ভাবনা ৯০% এবং মাত্র ১০% ঝুঁকি! কিন্তু যদি ঐ ১০% সামনে এসে যায় এবং জটিলতা দেখা দেয় তখন তো ডাক্তার ও ক্লিনিকের দফারফা হবে!
তাই উভয়পক্ষের ১০০% নিরাপত্তা নিশ্ৈত করতে এর বিকল্প নেই!
জাতীয়ভাবে নৈতিকতা পূণরুদ্ধার এবং প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থাকে সততার শিকলে আবদ্ধ করতে না পরলে এসব হাওয়াই বক্তব্য ও চিন্তাভাবনার কোন কার্যকারিতা নেই!!
এই ডাক্তার নার্সদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া হলে তাঁরাও ৯৯% ঝুঁকি নিতে পারেন বলে বিশ্বাস করি!
তাই সন্তান জন্মদানের সময় তাদের মেয়ের যাতে কোন কষ্ট না হয় সেজন্য জামাইকে বাধ্য করে বড় কোন লাক্সারিয়াস বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করাতে ।
টাকা তো আর উনাদের দিতে হবে না , জামাইকেই দিতে হবে ।
বুঝেছেন এখন বাংলাদেশের ডাক্তাররা কেমন পেশাদারী ।
ধন্যবাদ ।
বাংলাদেশী একজন ডাক্তারের মেন্টালেটি এমন যে ডা: মানেই আমার একটা বাড়ি একটা গাড়ি লাগবেই তার জন্যে একজন রোগীকে এসব ডাক্তাররা র্দীঘদেয়াদী একটি চিকিতসার আওতায় নিয়ে আসে আর দিনের পর দিন বিনা কারনেই লোক দেখানো চিকিতসা দিচ্ছে আর হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা । মন্তব্যের অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকুন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন