নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করুন !

লিখেছেন লিখেছেন মামুন আব্দুল্লাহ ১১ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৬:৩৩:০৯ সন্ধ্যা



দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা খুবই ভয়াংকর আকার ধারন করছে । বর্তমানে মহিলা নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা অতীতের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে। নির্যাতনের পর নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনাও ঘটছে । নির্যাতনের শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজের ছাত্রী ও ছোট বাচ্চারাও । প্রত্যেকদিনই কোথায়ও না কোথায়ও ঘটছে ধর্ষণের মতো জঘন্যতম অপরাধ। ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ড ও লাশ গুম করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতেই ক্ষান্ত হচ্ছে না নরপশুরা। পরিচয় গোপন করতে নারীকে পুড়িয়ে মারছে সেই হায়ানার দলের লোকেরা । জোরপূর্বক অশ্লিল ছবি তোলা, মোবাইলে অশ্লিল ভিডিও আপলোড করে প্রচার করা , ঘটনা প্রকাশ না করার জন্যে সাদা কাগজে স্বাক্ষর আদায় করছে নরপশুরা ।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গিয়েও কোনো ধরনের কাজ হয় না। প্রায় ঘটনায় থানায় মামলা হলেও গ্রেফতার হয় না দোষীদের । পাশবিক নির্যাতনের পর ভিডিওচিত্র ধারণ করে ইন্টারনেট মোবাইলে প্রকাশ করে সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে ধর্ষিতার পরিবার ও পরিজনদের । এসব ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে হুমকি দেয় বখাটেরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গিয়েও নির্যাতিত পরিবারটি আশ্রয় পায় না। পায় না ন্যায় বিচার। দোষীদের সঙ্গে থানা পুলিশের যোগসূত্রের অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক কিশোরীকে তিনদিন আটক রেখে গণধর্ষণের ঘটনায় দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো আন্দোলন করছে। মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠনগুলো দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচার দাবি করেছে।

গত কয়েকদিন আগে কক্সবাজারে সদর উপজেলার পিএমখালী এলাকায় গণধর্ষণের পর এক কিশোরীকে নির্মমভাবে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে লাশ গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্ত বাহিনীরা । ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে দুর্বৃত্তরা নিহতের লাশ বাড়ির পাশে একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখে।

সরকারি ও বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে পর্যায়ক্রমে নারী নির্যাতন বেড়েই চলছে। আইনের আশ্রয় নিতে পারছে না নির্যাতিত নারীরা। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সংরক্ষিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, বিগত বছরগুলোতে সারাদেশে নারীর ওপর নিপীড়ন, ধর্ষণ, খুন, অপহরণ, যৌন নির্যাতন শ্লীলতাহানি ও নারী-শিশু পাচারসহ নির্যাতনের ঘটনা ১৮ হাজার ৯৪৭টি ও গণধর্ষনের শিকার হয়েছে ৮৬ জন নারী । মানবাধিকার সংস্থা ও সরকারের এ ব্যাপারে আরো সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে হবে। যে হারে দেশে হত্যা গুম ও ধর্ষনের মতো জঘন্যতম অপরাধ চলছে এতে করে দেশের সাধারন মানুষ আতংকিত । তাই সরকারকে এখনই ওইসব নরপশুদের বিচার করে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে না হয় এর ভয়াবহতা আরো দিন দিন ভয়ংকর আকার ধারন করবে।

বিষয়: বিবিধ

১০৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File