শিশুর নৈতিকতা গঠনে বাবা মার ভূমিকা
লিখেছেন লিখেছেন মামুন আব্দুল্লাহ ০৮ মার্চ, ২০১৩, ০৭:০০:৪১ সন্ধ্যা
একটি শিশু ছোট বেলা বা শৈশব কাল থেকে বাবা মার কাছ থেকেই প্রথমে শিক্ষা গ্রহন করে । একজন আদর্শ বাবা মা যদি তার সন্তানকে ভালো কিছু শিক্ষা দেয় তাহলে তার বাচ্চা বা ছোট শিশু ভালো কিছু আত্নস্ত করতে পারে । বাবা মা যদি তার ছেলে মেয়েকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষা দেয় তাহলে সেই ছেলে মেয়ে বাবা মার শিক্ষাটুকু যদি ধরে রাখে তাহলে ভবিষ্যতেও তারা ভালো পথেই হাটবে । যদি সে বাবা মাও হয়ে থাকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত। আমাদের দেশই নয় পাশ্চ্যাত বা পশ্চিমাদেশগুলো ও বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে সবচেয়ে বেশী দেখা যায় যে, বাবা মা এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবে যখন তাদের ছেলে মেয়ে আস্তে আস্তে বড়ো হতে থাকে । সব বাবা মা-ই চায় তাদের ছেলে মেয়ে বড়ো হয়ে ভালো কিছু করুক । একটি শিশুর জন্মের পর থেকে প্রতিটি বাবা মার স্বপ্ন থাকে । কোনো কোনো বাবা মার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়, যদি না তার ছেলে মেয়ে জীবনের কোনো একটি সময়ে এসে তাদের নৈতিক শিক্ষা থেকে দুরে সরে যায় । কোনো বাবা মা চায় না তাদের ছেরে মেয়ে খারাপ পথে চলে যাক। একজন খারাপ বাবা মাও চায় তার সন্তান বড়ো হয়ে ভালো পথে ও সমাজের জন্যে দেশের জন্য মংগলজনক কাজ করুক । কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো বাবা মা দায়ী;কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই সমাজ ও বন্ধু বান্ধবরা বেশী দায়ী । তাই বাবা মার উচিত তাদের ছেলে মেয়ে কার সাথে মিশে কোথায় যায় সে দিকগুলোর দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা । হয়তো বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারনে সন্তান বাবা মার আদর্শ থেকে দূরে সরে যায় তা হয়তো বাবা মাও জানে না । যখন সন্তান বাবা মা এর আছল ছেড়ে আস্তে আস্তে নিজের ভাবনার গন্ডিতে ঢুকে পড়ে তখন আর বাবা মা চাইলেও সেই সন্তানকে আর ফিরিয়ে আনতে পারে না, সেজন্য ছোট বেলা থেকেই সন্তানকে নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে- যেমন বড়োদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে, শিক্ষকদের সাথে কি ধরনের ব্যবহার করতে হবে, একজন অপরিচিত ভদ্রলোক দেখলে তার সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে এবং বন্ধু বান্ধবের সাথে কিভাবে চলতে হবে । আজকাল তো আমাদের দেশের নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা শিক্ষকদের সাখে সদ্বব্যবহার করে না ও বড়োদেরকেও সম্মান দিয়ে কথা বলতে চাই না যদিও কিছু কিছু ছেলে মেয়ে এর থেকে আলাদা সেটা ভিন্ন কথা ;কিন্তু বেশীর ভাগ ছেলে মেয়েরাই আজ কাল এসব ক্ষেত্রে খুবই উদাসীন। এর জন্য দায়ী সাম্প্রতিক কালে ছেলে মেয়েদের মোবাইল সংস্কৃতি, ফেইসবুক ও ইনটারনেট এবং কিছু অশ্লিল মুভি । আমাদের দেশের সরকার এই তরুন প্রজন্মকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারে । আমরা লাখো রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি । আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পটভূমি এবং আমাদের বাংলাভাষা অনেক মযার্দার । সেই মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে যদি আমরা বিশ্ব দরবারে আরো উচু করে ধরতে চাই তাহলে আমাদের এই নতুন ও তরুন প্রজন্মের কোনো বিকল্প নাই । তারাই জাতির ভবিষ্যত তারাই জাতির পরবর্তি কর্ণধার । তাই সন্তানের ভবিষ্যত গঠনে আগে বাবা মার করনীয়টাই বেশী প্রাধান্য পায় এবং ছেলে মেয়ে খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়লে তা বাবা মার ওপর দোষ এসে পড়বে ।
বিষয়: বিবিধ
১৬৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন