ধর্ষনে বিপদজনক দেশে পরিনত হচ্ছে বাংলাদেশ ! নারীরা আসলে নিরাপদ কোথায় ?
লিখেছেন লিখেছেন মামুন আব্দুল্লাহ ২৫ মে, ২০১৫, ০৬:৩৪:১৪ সন্ধ্যা
সমাজে ও দেশে যতোগুলো অপরাধ বর্তমানে সংঘটিত হচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে বিকৃত ও স্পর্সকাতর অপরাধগুলোর একটি ধর্ষণ । আমাদের দেশে এই ধর্ষণ শব্দটির সাথে আগে খুব কম মানুষই পরিচিত ছিলো ! অথচ এখন এই শব্দটিই সবচেয়ে বেশী বার মানুষের মুখে মিডিয়া রেডিও টেলিভিশন ও সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রতিদিন প্রচারিত হচ্ছে । বিগত ২/৩ বছর থেকে দেশে ধর্ষণ এতোটাই বেড়েছে যে মাঝে মাঝে পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে ! কিন্তু বর্তমানে এটা মারাত্নক আকারে মহামারির মতো দেশে বিস্তার করছে ।দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীরা প্রায় সময়েই গণধর্ষনের শিকার হচ্ছেন । ঘরে ঢুকে হাত পা মুখ বেধে স্বজনদের সামনে নিজ সন্তানদের সম্মুখে বিকৃত কায়দায় নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। চলন্ত বাসে র্পাকে স্কূল, কলেজ,ইউনিভারসিটিতে এমনকি হাসপাতালেও বিকৃত যৌন নিপিড়নের শিকার শিশু নারীসহ সব বয়সের মহিলারা । অথচ আজ থেকে ৬/৭ বছর আগেও এমনটি ছিলো না । একটি দেশ যে কতোটা অধ:পতনের দিকে চলে গেলে এধরনের বিকৃত যৌন চর্চায় যুব সমাজ ও তরুনরা জড়িয়ে পড়তে পারে ? নারীরা আসলে কোথায় নিরাপদ ? একজন নারী ঘর থেকে বের হয়ে আবার যে ঘরে নিরাপদে ফিরে আসবে এটার কোনোই নিশ্চয়তা নেই । যে দেশে একজন নারী তার চলার পথে নিরাপদ নয় ! সহকর্মীর কাছে নিরাপদ নয় ! বন্ধুর কাছে নিরাপদ নয় ? তার কর্মস্থলে নিরাপদ নয়,রাস্তা ঘাটে,বাসে এমনকি তার সবচেয়ে প্রিয় আশ্রয় স্থান নিজ ঘরেও অনেক সময় নারীরা নিরাপদে বসবাস করতে পারছেন না ?
প্রতি বছর ভারতে সরকারী পুলিশের হিসেব মতে প্রায় ৬০,০০০ শিশু নারী ও মহিলা ধর্ষনের শিকার হচ্ছে । সরকারী হিসেব ছাড়াও এ সংখ্যাটা আরো ৮০ হাজার এর উপরে ছাড়িয়ে যাবে ! যেভাবে আমাদের ছোট্ট একটি মানচিত্রের দেশে দিন দিন বিকৃত যৌন চর্চা বেড়েই চলছে জানি না এ জাতির ভবিষ্যত প্রজন্ম কোন পথে যাচ্ছে । এর জন্যে আসলে দায়ী কে ? যুব সমাজ,নাকি দেশীয় অপসংস্কৃতি,নাকি শিক্ষার অভাব ?নাকি কিছু কিছু গণমাধ্যম,নাকি ইন্টারনেট সংস্কৃতি ,নাকি দেশের প্রশাসন ও সরকারের গাফলতি আসলে কোনটা ? নাকি এর জন্যে সবাই দায়ী ? নাকি নারীদের অশ্লীল ও বেহায়পনা এর জন্যে দায়ী ? নাকি ধর্মীয় অনুশাসন ও ধর্মীয় নিয়মকানুন মেনে না চলার জন্যে দিন দিন নারীরা এই বিকৃত যৌন চর্চার শিকার ? আসলে উত্তর খুজতে গেলে এর উত্তর আমাদের কমবেশী সবারই জানা । শুধূ প্রয়োজন আমাদের মানসিক দৃষ্টিভংগি পরিবর্তনের তাহলে নারী তথা শিশুরা এ ধরনের বিকৃত যৌন নিপিড়ণ থেকে রেহাই পেতে পারে ? সাথে সাথে নারীদের আরো সর্তক ও সাহসীভাবে এগিয়ে আসতে হবে । সবশেষে যারা সমাজে এলিট শ্রেনীতে আছেন তাদের বিভিন্ন যৌনতার নামে প্রতিযোগিতামূলক সুরসুরানী অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে যা যুব সমাজ তথা পুরো জাতিকে বিকৃত যৌন চর্চায় প্রভাবিত করছে !
এলিট শ্রেনী যতোদিন না তাদের মানসিকতায় পরির্বতন না আনবে ততোদিন এই ধর্ষন নামক বিকৃত অপরাধ সমাজ তথা দেশ থেকে বন্ধ করা যাবে না ? যেখানে এসব বিকৃত অপরাধের সাথে অনেক সময় এলিট শ্রেনীও জড়িত থাকে বলে সংবাদ ও মিডিয়ায় প্রচারিত হয় ।
________এম.এ.মামুন
বিষয়: বিবিধ
১২১২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন