মানুষের কথাও একটা শিল্প !
লিখেছেন লিখেছেন মামুন আব্দুল্লাহ ০৪ এপ্রিল, ২০১৪, ০৫:৪৪:১৩ বিকাল
পৃথিবীতে মানুষ যা কিছু করে সব কিছুই শিল্প হিসেবে পরিগনিত হবে যদি না,সেটা হয় মানুষের মংগলের জন্যে,কল্যানের জন্যে । যেমনি শিল্পীর ছবি আকা ,একজন ফুটবলারের ফুটবল খেলা ,একজন ক্রিকেটারের ব্যাটিং অর্থ্যাত মানুষ সুন্দর করে অন্যের সামনে যা ফুটিয়ে তুলতে পারে ।
আমরা অনেক সময় সহকর্মী,বন্ধুবান্ধব,পরিচিতজন,আত্নীয় বা শ্রদ্বেয়ভাজন ও সম্মানিত কারো সাথে যখন কোনো কথা বলি আমরা সকলেই হয়তো চেষ্টা করি নিজের কথাকে অন্যের সামনে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে ; কিন্তু ভাষায় আঞ্চলিকতা থাকার কারনে হয়তো অনেক সময় একটি ভালো কথাও অনে্য খারাপভাবে নিতে পারে । তারপরও বিশেষ করে যারা শিক্ষিত তারা হয়তো চেষ্টাও করে থাকেন নিজের কথাকে অন্যের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে ;কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যারা ভালোভাবে নিজের ভাবটাকে অন্যের সামনে প্রকাশ করতে হয়তো চেয়েছে,যে শুনছে সে হয়তো উত্তরটা আরো ভালোভাবে আশা করেছেন বা যে বলেছেন সে হয়তো উত্তরটা আরো সুন্দরভাবে দিতে পারতেন ;কিন্তু উত্তরটা সুন্দরভাবে না পাওয়ার কারনে সে ব্যক্তি হয়তো উক্ত ব্যক্তিকে ভূল বুঝতে ও খারাপও ভাবতে পারে ! এতে করে বন্ধু বান্ধব,সহকর্মী,গুরুজনরা ও নিজের খুব কাছের মানুষগুলোও ভূল ভাবতে পারে আমাদের !
তাই আমরা যখন একে অপরের সাথে কথা বলবো যাতে ওই ব্যক্তি আমায় কথায় কোনো ধরনের কষ্ট বা মনক্ষুন্ন না হয় সেদিকগুলো আমাদের অবশ্যই একটু খেয়াল রাখা উচিত । কথা সঠিক মতো উপস্থান না করার কারনে এতে করে আমরা আমাদের খুব আপনজনদের সাথেও ভূল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে । এর কারন হয়তো আমরা নিজেরাও বুঝতে পারবো না যে,সে আমাকে কেন ভূল বুঝছে এবং এর কারনে আপনার প্রতি উক্ত ব্যক্তির একটি ভূল ধারনা সৃষ্টি হবে । তাই যেকোনো মানুষের সাথেই কথা বলতে আমরা একটু সর্তকতা অবলম্বন করবো । যাতে আমাদের কথার দ্বারা অনন্তত কেউ মনে কষ্ট ও ভূল না বুঝে !মনে রাখা প্রয়োজন যে,মানুষের কথাটাও একটা শিল্প যে শিল্প দিয়ে মানুষের খুব কাছে চলে যাওয়া যায় ও যে শিল্প দিয়ে মানুষের সাথে সুসর্ম্পক বজায় করা যায় । যে শিল্প দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায় ।
বিষয়: বিবিধ
১১৪৬ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খুব ছোটবেলায় শখ করে গান(হামদ, নাত, গজল)শিখেছিলাম। মামণির এক বান্ধবী বাসায় এসে গান শিখাতেন। উনার কাছেই প্রথম জেনেছিলাম যে, গান হচ্ছে একটা শিল্প। আর শিল্পর প্রয়োগে শিল্পী হতে প্রয়োজন অনেক সাধনার। সত্যি অনেক সাধনা করেছিলাম। সেই সময় আইসক্রিম খুব পছন্দ করতাম কিন্তু কণ্ঠস্বর খারাপ হয়ে যাবে সেই ভয়তে আইসক্রিম খেতাম না। কুসুম গরম পানি, আদা, লেবু, মধু, যষ্টিমধু আরো কত কি খেতাম সুন্দর কণ্ঠস্বরের জন্য। আর সকালে উঠে খালি গলার আ-আ-আ-আ- সেতো ছিলোই। এইসব কষ্ট খুব মনের আনন্দ নিয়ে করতাম কারণ আমার শখ ছিলো শিল্পী হবার। আর মানুষ যখন মন থেকে কোন কিছু হতে চায়, তখন তারজন্য নিরলস পরিশ্রম করে যেতে পারে। আমিও পেরেছিলাম। আর সেই কষ্ট ও ত্যাগের ফল স্বরূপ কিছু পুরষ্কার, আপনজনদের প্রশংসা, স্পেশ্যাল মূল্যায়ন যোগ হয়েছিলো জীবন ঝুলিতে।
ছোটবেলা থেকেই রান্নার ভীষণ শখ ছিল। স্বপ্ন দেখতাম সবাই আমার রান্না খেয়ে পরিতৃপ্তির ধ্বনি তুলছে। সবচেয়ে পছন্দ করতাম যেই মানুষটির রান্না তাকে গিয়ে ধরেছিলাম আমাকেও তার মত রাঁধুনী বানিয়ে দেবার জন্য। উনি হেসে বলেছিলেন, আমার রান্না মজা হবার সবচেয়ে বড় কারণ হলো আমি রান্না করতে ভালোবাসি। উপভোগ করি রান্না করাটাকে। আসলে উপভোগ না করলে মানুষের কোন গুণ বিকশিত হয় না পরিপুর্ণ ভাবে। কারণ কোন কিছুকে উপভোগ না করলে মানুষ সেই কাজে মনোনিবেশ করতে পারে না। আর মন যেখানে অস্থির বা অমনোযোগী সেখান থেকে ভালো কিছু আশা করাটাই আসলে ঠিক না। তাই কোন কিছুতে পারদর্শী হতে সেই জিনিসকে ঘিরে মনে সুখ সুখ আবেশ থাকাটা খুব জরুরি। তাই ভালো রান্না করতে হলে তোমাকে সবার আগে ভালবাসতে হবে রান্নাকে। কেননা রান্না একটি সাংঘাতিক আর্ট। একদম ছবি আঁকার মতো। মনের মাধুরী মিশিয়ে যে শিল্পকে রূপদান করতে হয়। রান্নাকে আমি ছবি আঁকার মতই বহু যতনে আয়ত্ত্ব করতে চেষ্টা করেছি এরপর থেকে।
মানুষের মন নিয়ে স্টাডি করতে করতে আজ হঠাৎ একটা উপলব্ধি হলো। মনেহলো শিল্পর প্রয়োগে শিল্পী হতে হলে সেই সম্পর্কে জ্ঞানের প্রয়োজন। প্রয়োজন যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জনের। এবং সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন চেষ্টার। নিরলস ভাবে লেগে থাকার ইচ্ছার। শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে যার প্রচেষ্টা যত বেশি থাকে, সে তত বেশি সফল হয়। ঠিক তেমনি ভালো থাকতে জানাটাও বোধ করি এক ধরনের শিল্প। কেননা এমন অনেক মানুষকে দেখেছি যারা ভালো থাকার জীবনাপোকরণে ভরপুর থাকা স্বত্ত্বেও হতাশা-নিরাশায় দিনযাপন করছে। জীবনকে ঘিরে শুধুই হাহাকার ধ্বনি তোলে তারা। আবার কিছু মানুষ দেখেছি যারা জীবনাপোকণেরর সন্ধানে ছুটে চলছে একরাশ তৃপ্ততা নিয়ে। তাদের কণ্ঠে সর্বদা ধ্বনিত হয় “আলহামদুলিল্লাহ”।
আসলে ভালো যে আছি সেটা বুঝে নিতে জানতে হয়, শিখতে হয়। আর সেজন্যও প্রয়োজন হয় জ্ঞানার্জন ও চর্চার। প্রয়োজন হয় যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জনের। দরকার হয় প্রচণ্ড চেষ্টা ও নিরলস লেগে থাকার ইচ্ছার। ত্যাগ করতে হয় অনেক অ-নে-ক কিছুকে। তা না হলে কখনোই অর্জন করা যায় না মনের আরাধ্য প্রশান্তিকে......
অনেক ভালো লেগেছে । সত্য নির্বাক কেন,মামুন আব্দুল্লাহ,উভয়কে ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন