ফেইসবুক থেকেও ভয়াবহ হচ্ছে মোবাইল ! উঠতি বয়সের তরুণ-তরুনীদের নৈতিক পদস্থলন বেড়েই চলছে !
লিখেছেন লিখেছেন মামুন আব্দুল্লাহ ১৯ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:৪৯:৩৮ রাত
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর মধ্যে বর্তমানে ফেইসবুক খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে পুরো দুনিয়ায় খবর পৌছে দেয়া যায় ; আর মোবাইলের মাধ্যমে যেখানে সেখানে যেকোনো পরিস্থিতিতে টুইটার ,ইউটিউব ও অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যমে সারা দুনিয়ায় সংবাদ নিমিশেই সবার কাছে পৌছে যাচ্ছে । এটা সবাই জানেন ;কিন্তু এই মোবাইলেই একজন তরুণ-তরুণী খুব অল্প সময়ে নিজেদের মধ্যে খুবই ঘনিষ্ট সানিধ্যে চলে আসছে ! প্রথমে হয়তো ফেইসবুকে পরিচয় তারপর চ্যাট এর মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার দেয়া নেয়া হয় তারপরই শুরু হয় আসল খেলা ! একদিন দুইদিন ফোনে কথা বলার পর তারা এক ধরনের আসক্তে জড়িয়ে যায়,যা থেকে এসব তরুণ-তরুণীরা আর বের হয়ে আসতে পারে না,আর এভাবেই তাদের ফোন আলাপ র্দীঘ থেকে আরো র্দীঘতর হতে থাকে ! এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকে! এক সময় তা আরো ভয়াবহ রুপ নেয় ! তাদের নিজেদের অজান্তেই তারা একসময় ঢুকে পড়ে যৌনালাপে তখন শুরু হয় তাদের অন্য এক জগত ! শুরু করে তারা ফোনসেক্স ! আর এই ফোনসেক্স থেকেই তরুণ-তরুণীরা আরো ফ্রি হয়ে যায়, তখন তারা সরাসরি একে অন্যের সাথে কোনো এক স্থানে দেখা করে ! আর এভাবেই তারা অবাধ যৌন মিলনে নিজের ভাসিয়ে দিচ্ছে যা সম্ভব হয়েছে একমাত্র মোবাইলের দ্বারাই !ফেইসবুকে হয়তো পরিচয় ঘটে ;কিন্তু মোবাইল না থাকলে সেই পরিচয়টা হয়তো ফেইসবুকেই সীমাবদ্ধ থাকতো ! এই মোবাইলের মাধ্যমেই তরুণরা পর্ণো ভিডিও ,পর্ণো ছবিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে । মেমোরি কার্ড নামের এক যাদুতে নিমিশেই পর্ণো ছবি ,ভিডিও এসব তরুণদের হাতে চলে আসছে ! আর এসব পর্ণো ছবি ,ভিডিও দেখে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা ফেইসবুক চ্যাট ও মোবাইলে কথা বলায় আরো বেশী আসক্ত হয়ে যাচ্ছে ।
এছাড়া রয়েছে স্কাইপির মতো আরো স্পর্শ কাতর সাইটগুলো যা দ্বারা স্কুল ,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ তরুণীরা অনায়েসেই এসব মাধ্যমগুলো খুব সহজেই ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে । বাংলাদেশের প্রতিটি তরুণ তরুণীর হাতে একটি র্স্মাট ফোন না থাকলে যেনো এদের প্রেসটিস ইসু্ হয়ে দাড়ায় । বর্তমানে প্রতিটি র্স্মাট ফোন দ্বারা ফেইসবুক ইউটিউব স্কাইপিসহ সব ধরনের ভিডিও ডাউনলোড ও আপলোড করা যাচ্ছে সুতরাং খুব অনায়াসেই এসব মাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে পারছে । বর্তমানে দেখা যাচ্ছে অষ্টম শ্রেনী থেকে শুরু করে সব বয়সী তরুণ তরুণীদের হাতেই মোবাইল ! বেশ কয়েকদিন আগে একুশে টেলিভিশনে তরুণ তরুণীদের বেপোরোয়া জীবন যাপনের ওপর একটি প্রতিবেদন দেখানো হয় এতে দেখা গেছে স্কুল ও কলেজের ছেলেমেয়েরা ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলগুলোতে আপত্তিকর কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে দেখা যায় । এসব তরুণ-তরুণীদের অনেকের গায়ে স্কুল কলেজের ড্রেস পড়া ও কাধে স্কুল ও কলেজ ব্যাগ দেখা গেছে !
দেশ যে কতটা অধ:পতনের দিকে চলে গেছে তা এসব উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের সরাসরি এসব অনৈতিক কাজে না দেখলে কারো বিশ্বাস হবে না ! যে বয়সে ছেলেমেয়েরা নিজেদের পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা অথচ এ বয়সে তারা নিজেদের অশ্লীলতা বেহায়াপনা ও যৌন খেলায় নিজের সুন্দর ভবিষ্যত ও যৌবনটাকে যৌন সুরসুরিতে ডুবিয়ে নিজের জীবন নিজের পরিবারের আশার প্রদীপ নিভিয়ে নিজেদের জীবনকে অন্ধকারময় করে তুলছে । কিছুদিন এভাবে আনন্দ ফুর্তি করার পর ছেলেটি মেয়েটিকে ফেলে চলে যাচ্ছে বা তরুণীটি যখন ছেলেটিকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে তখনই বাধে বিপত্তি !
দেশের বিভিন্ন পার্কের দৃশ্য বর্তমানে খুবই খারাপ অবস্থা ।
ন্যাশনাল পার্ক ,আশুলিয়া ,বলদা গার্ডেন ও অন্যান্য পার্কের অবস্থা একই রকম যা আজ থেকে ১০ বছর আগে তা দেশের মানুষ কল্পনাও করেনি ।
বর্তমানে ফেইসবুকের যেমন উপকারী দিক আছে তেমনি ক্ষতিকর দিকগুলোই অনেক বেশী । এই মোবাইল ও ফেইসবুকের কারনে অনেকের সংসার ভেংগে তছনছ হয়ে গেছে । এই মোবাইলের কারনে অনেকের জীবন হয়েছে শেষ । অনেক সম্মানিত ব্যাক্তিরা এই মাধ্যমগুলোর জন্যে যেমন হয়েছেন সম্মানিত আবার অনেকেই হয়েছেন অপমানিত ও লান্চিত । তারপরও সকলের কাছেই ফেইসবুক ও মোবাইল দুটিই জনপ্রিয় !
এই ক্যান্সার ব্যধি দুর করা আর সম্ভব হবে কিনা জানি না?তবে একমাত্র সচেতন অভিভাবকরাই পারে এই ভয়াবহ নগ্ন কালো অন্ধকার জগত থেকে তরুণ তরুণীদের ফিরিয়ে আনতে । স্কুল ,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই ভয়াবহ অনৈতিক কাজ থেকে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের ফেরাতে পারতো ; কিন্তু বর্তমানে শিক্ষকরাও এই ঢেউ খেলানো সাগরে নিজেদের গা ভাসিয়ে দিচ্ছে ! আর সুশীলদের কথা কি বলবো ! সুশীলরা হয়তো মুখে বলবে ;কিন্তু তারা অন্তরালে যৌন কাজে তরুণ-তরুণীদের সুরসুরানী দিয়ে যাচ্ছে । এই জন্যেই দেশে আজ এসব কাজ করতে উতসাহ পাচ্ছে উঠতি বয়সের যুবক যুবতীরা ।
বিষয়: বিবিধ
২৪১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন