সরকারী বিল্ডিং তৈরীতে রডের বদলে বাঁশ! ধন্যবাদ বাঁশ! এ জাতির হাজারো বাঁশ খাওয়ার ঘটনায় নিজেই অন্তত একটা করেছ ফাঁস।
লিখেছেন লিখেছেন রোজবাড ০৮ এপ্রিল, ২০১৬, ০১:৪৭:১৬ রাত
গ্রামীন মধ্যবিত্তদের জন্য বাঁশ একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারিক জিনিস। বাড়ীর সীমানা প্রাচীর থেকে শুরু করে ঘর বানানোর ছাউনি, পান ক্ষেত, সবজি ক্ষেতের বেড়া দেওয়া প্রভৃতি কাজে বাঁশের বহুবিধ ব্যবহারের সাথে গ্রামীন সমাজ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বাঁশ মানুষের বহুবিধ উপকারী কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকলেও রসিক বাঙালি তাদের কথ্য ভাষায় বাঁশের এইসব উপকারিতা স্বীকারে মোটেও কৃতজ্ঞতা দেখায়নি। তাইতো “বাঁশ দেওয়া” বা “বাঁশ খাওয়া” শব্দগুলোর সাথে আমাদের অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর না। শত্রুর চরম বিব্রতকর বা বিপদাপন্ন অবস্থায় “বাঁশটা জায়গা মতোই গেছে” জাতীয় শব্দ ব্যাবহার করতে আমরা অনেক পটু। মাঝে মাঝে নিজেরাও চরম বাঁশ খেয়ে আপন মনে হাসফাস করে কষ্ট লাঘব করার চেষ্টা করি। লক্ষ্য রাখি সেটি যাতে আসে পাশে আবার ফাঁস হয়ে না যায়।
ঠিক এমনি একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা সমগ্র দেশবাসী। চোখের সামনে শুধু চুরি আর চুরি। রিজার্ভ চুরি, ব্যাংক চুরি, সরকারী জায়গা দখল, ঘুষের রামরাজত্ব, ডেস্টিনি, হলমার্ক আর শেয়ার বাজারের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট, রানা প্লাজার ধ্বস, চাকরীতে চরম দলীয়করন, নিত্যদিনের গুম-খুন, সরকারী টাকা দেদারসে তসরুফ, বিচারক নিয়োগে দলীয় প্রাধান্য, বিরোধী মতের মিডিয়ার দলনে্র মাধ্যমে একচোখা সরকার পন্থি মিডিয়ার অবাধ বিচরণ। এরকম হাজারো অন্যায় আর অনিয়মের বানে ডুবে আছি আমরা। সর্বত্র এবং প্রতিনিয়ত বাঁশ খেতে খেতে আমরা গোটা জাতিটাই এতই রেজিস্ট্যান্স হয়ে গেছি যে স্বয়ং বাঁশকেই আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হল কীভাবে আর কত প্রকারে আমরা বাঁশ খাচ্ছি।
ধন্যবাদ বাঁশ তোমাকে। এই রেজিস্ট্যান্স অসাড় দেহে তোমার স্বশরীরে একটিবারের জন্য পদার্পণ করে জানিয়ে দেওয়ার জন্য। সেই সাথে নিজেকে জানাই ধিক! জানি এরপরও এই আমি জাগবো না! বাঁশ খেতেই থাকবো! এ যে আমার প্রাপ্য! কারণ বাঁশ দেওয়ার লাইসেন্স তো আমিই দিয়েছিলাম একবার! আর এখন সেই লাইসেন্সের নবায়ন হচ্ছে বারবার। হচ্ছেনা আমার মতো এই কাপুরুষদের দরকার। তাই আমি এখন উপভোগ করি বাঁশ খাওয়ার একশ একটি উপকার!
বিষয়: বিবিধ
১৭৫১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন