বাংলাদেশে উচ্চতর গবেষণার সম্ভবনায়ী নতুন ক্ষেত্র !!!!!!!!!! গবেষণার বিষয়ঃ ৫০০০ ভুয়া পিএইচডি !!!!!!!!!!! ডিগ্রী দেওয়া হবেঃ ১ টা জেনুইন পিএইচডি !!!!!!!!!!
লিখেছেন লিখেছেন রোজবাড ১১ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:২১:০৭ দুপুর
খবরে প্রকাশঃ
"গাজীপুরের একটি বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী তিনি সহকারী অধ্যাপক। অথচ তিনি নিজেকে অধ্যাপকের পাশাপাশি ডক্টরেটধারী বলে প্রচার করছেন। এমনকি তার রুমের সামনে টাঙানো নামফলকে নামের আগে ‘ড.’ লিখে রেখেছেন। বিষয়টি ওই কলেজে কৌতূহল তৈরি করে। তার পিএইচডি ডিগ্রি তদন্ত করে ষোল আনাই ভুয়া বলে প্রমাণ পায় "
"মেহেরীন ইসলাম কলি, তিনি আমেরিকা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি (ইউকে ক্যাম্পাস) থেকে বিবিএ নিয়েছেন লন্ডনের গ্রিলহল কলেজ থেকে। তার ডিগ্রির সমতা বিধান করতে গিয়ে ইউজিসি দেখতে পায় ওই ছাত্রী লন্ডনে কোন দিন যাননি। বাংলাদেশে বসেই লন্ডনের ওই কলেজের সার্টিফিকেট দিয়েছেন আমেরিকা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে।"
"জানা গেছে, কয়েক জন যুগ্ম সচিব, উপ-সচিব, কয়েকটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা অবৈধভাবে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন। এছাড়াও একটি জেলার শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, হাইকোর্টে দুই ডজন আইনজীবী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপক, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ক্যাটালগার, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী আঞ্চলিক পরিচালক, তথ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং কয়েকটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে চাকরি করছেন এমন ডিগ্রি নিয়ে। তারা ২০১৩ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এই ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি জমা দিলেও এখন তারা নীরব রয়েছেন। তদন্ত সূত্র বলছে, সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে বাড়তি সুবিধা নেয়ার জন্যই অনেকে এমনটি করে থাকেন।"
উপরোক্ত তথ্যগুলো আমার মনগড়া কোন লেখা নয়। এটা দেশের একটা জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটা প্রতিবেদনের অংশ। নিচের লিঙ্কেই দেখুনঃ
এইখানে চাপ দিন
খবরটি অন্য সবাইকে অবাক করলেও আমাকে কিন্তু মোটেও অবাক করেনি। কারন এদেশের মাটিতে বড় হতে হতে এধরনের অনেক ঘটনায় আমি কিছুটা সয়ে গেছি।
এইতো কয়েকদিন আগে আমাদের স্বাস্থ্য সচিব এবং পিএসসির একজন সচিব পদত্যাগ করলেন। উনারা সমাজে ছড়িয়ে গেলেন মহান মুক্তিযোদ্ধার সনদ জাল করে অতিরিক্ত সুবিধা আদায়ের কুৎসিত দুর্গন্ধ। এর আগে এলএলবি'র সনদ জাল করে আমাদের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকের আসন অলঙ্কৃত (কলঙ্কৃত) করার দৃশ্যও দেখেছি। তাই ভূয়া পিএইচডি করে ৫০০০ ব্যক্তি নামের আগে ডক্টরেট শব্দটি লাগিয়ে অতিরিক্ত সুবিধা নেওয়া নতুন কিছু ঘটনা নয়। বরং মনে করি বাংলাদেশে আর কিছু না হোক অন্তত একটা জেনুইন পিএইচডি করার টপিকস পাওয়া গেছে। সেটা হতে পারে এই ৫০০০ ভূয়া পিএইচডি ডিগ্রীধারীদের উপরেই। প্রক্রিয়ায় সেটা যেমন হতে পারেঃ
১। নমুনা সংগ্রহঃ এই ৫০০০ জনের নাম, বয়স, পিতা মাতার নাম, সম্পূর্ণ ঠাকানা, কর্মক্ষেত্রের বিস্তারিত বিবরণ সম্বলিত বিস্তারিত ডাটার সংগ্রহ
২। এই জেনুইন গবেষণায় এদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের তুলনা দিয়ে দেখানো যেতে পারে এদের কত পার্সেন্ট নারী, কত পার্সেন্ট পুরুষ; কতজন সরকারী আর কতজন বেসরকারী চাকুরী করছেন; কে কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই ভূয়া ডিগ্রী পেয়েছেন; এটা পেয়ে কে কতটুকু স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে সুবিধা পেয়েছেন; দেশের অর্থনীতিতে তাদের এই ডিগ্রী কতটুকু অবদান রেখেছে এবং কী ধরণের অনুভূতি তাদের এই ভূয়া ডিগ্রী প্রকৃত ডক্টরেটের ফ্লেভার দিচ্ছে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
৩/ এখানে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে এদের নেপথ্যের নায়ক গুলোর ও প্রতিষ্ঠান গুলোকে- তথাকথিত সুপারভাইজারদের ও তাদের প্রতিষ্ঠান গুলোকে
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন