আল্লামা শফীর তেতুল তত্ব, পুরুষের লালা ঝরানো নিয়ে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা আর আমাদের চুশীল নারীবাদীদের তেতুল নিয়ে অতি চুলকানি
লিখেছেন লিখেছেন রোজবাড ১৭ জুলাই, ২০১৩, ০৬:৩৬:২৭ সকাল
আল্লামা শফী নিশ্চয় এই রিসার্স পেপার পড়ে বয়ান দেননি।তিনি নিজের কায়াদায় নারী পুরুষের মধ্যকার স্রষ্টা প্রদত্ত আকর্ষণ বুঝাতে গিয়ে তেতুলের উপমা টেনেছেন। এক্ষেত্রে তিনি ভাষার যে ভঙ্গি ও উপমা প্রয়োগ করেছেন সেটা কেন করেছেন তা বুঝতে গেলে তার অডিয়েন্স এ কারা ছিল সেটাও মাথায় রাখা ধর্তব্য। অথচ এসব বাছ বিছার না করেই আমাদের তথাকথিত সুশীলদের গা জ্বলে ছার খার হয়ে যাচ্ছে। সুন্দরী নারীরা কেন তেতুলের মতো হবে? তারা কেন পুরুষের (মুখে বা দিলে) লালা ঝরানোর ফ্যাক্টর হবে? অতএব নারীত্বের প্রতি আল্লামা শফীর এমন অবমাননা মেনে নেওয়া যায়না! অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক! ইত্যাদি ইত্যাদি।
আল্লামা শফীর এই তেতুল তত্ব হজম করতে না পেরে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবশ্য একধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেছেন, " উনি (খালেদা জিয়া কে লক্ষ্য করে) যদি আল্লামা শফীর তেতুল হতে চান তবে আমার আর কিছু বলার নেই। অথচ এই উক্তির একদিন আগেই এই তেতুল উপমাকে তিনি নিকৃষ্ট ভাষা বলে অভিহিত করেছিলেন।
যাহোক আল্লামা শফী সুন্দরী নারীদেরকে তেতুলের সাথে তুলনা করে পুরুষের লালা ঝরানোর কারণ বলায় যদি তথাকথিত নারীবাদীদের সম্মান নাই হয়ে যায় তবে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐসব গবেষকদের বিরুদ্ধেও এই ধরণের অভিযোগ করা উচিৎ। যারা কিনা গবেষণা করে প্রমান করেছেন সুন্দরী মেয়েরা পুরুষের মুখে লালা ঝরায়।
এছাড়া যে প্রথম আলো পত্রিকা আজ এই তেতুল তত্ব নিয়ে সরব সেই একই পত্রিকা যখন পাশ্চাত্যের বিভিন্ন জরিপের সূত্র ধরে রিপোর্ট করে অমুক নারী যৌনাবেদনময়ীতে বর্ষ সেরা, বিশ্ব সেরা ইত্যাদি ইত্যাদি তখন নিশ্চয় এসব সংবেদনশীন নারীবাদীরা অনুভূতিতে গন্ডারের চামড়া পরিধান করে থাকেন না। পণ্যের বিপননে নারীদেরকে আবেদনময়ী রূপে ব্যবহার, সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে নারীদেরকে অর্ধ নগ্ন রূপে ব্যবহার, সিনেমায় ভিলেনের ধর্ষনের উপকরণ রুপে ব্যবহার প্রভৃতি ক্ষেত্রে তাহলে কেন এসব নারীবাদীদের ও সুশীলদের জাত যায়না। কেন সরব হতে দেখা যায়না নারীদের এমন অবমাননাকর রূপে সমাজে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে?
click here
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন