ভাই এতটুকু যাবেন টিকেট লাগবোনা!! একটু খাড়ান আমি ব্যবস্থা করে দিমুনে!!!!!!
লিখেছেন লিখেছেন রোজবাড ০২ মে, ২০১৩, ০৮:৩৮:৪১ রাত
দৃশ্যপট-১ঃ
সেদিন কমলাপুর থেকে উত্তরা আসতে গিয়ে ভাবলাম ট্রেনে যায়। এয়ারপোর্ট স্টেশনে নেমে পরে বাসে বাকীটুকু যাওয়া যাবে। তো স্টেশনে ঢুকতেই দেখি একটা ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। সাদা ড্রেসে ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা এক রেল কর্মচারীকে কখন ছাড়বে জিজ্ঞাসা করতে উনি বললো আর ২০ মিনিট পর। বললাম এটা এয়ারপোর্ট স্টেশনে থামবে তো! আমি ওখানে নামবো। উনার হ্যাঁ সূচক জবাবে আমি বললাম তাহলে টিকেট নিয়ে আসি। উনি সাথে সাথে বললেন ভাই এতটুকু যাবেন টিকেট লাগবেনা। একটু খাড়ান, দূরের টিকেটের যাত্রীরা বসে গেলে আমি ব্যবস্থা করে দেব। বললাম তা আপনি টিকেট দিতে পারবেন কীনা? উনি বললেন ভাই আমরায় তো টিকেট চেক করি আপনি শুধু শুধু টিকেট নিয়ে এতো উদ্বেলিত হচ্ছেন কেন? পরে একটু সরে এসে চিন্তা করলাম টিকেট না কেটে গেলেও ওনাকে হয়তো ১০ বা ২০ টাকা দিতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্র তো সেটা পাবেনা। তাই দ্রুত কাউন্টারে গিয়ে একটা টিকেট নিলাম ৩৫ টাকা দিয়ে। এসে দেখি ততক্ষণে সবাই উঠে গেছে। অনেক ঠাসাঠাসি করে উঠার কিছুক্ষণ পরেই ট্রেন ছাড়লো। একটু পর টিকেট চেকার আসলো। দেখলাম আমার আসে পাশের শতকরা ৯৫ জনেরই টিকেট নেই। চেকার জিজ্ঞাসা করতেই তারা বললো এয়ারপোর্ট যাব। পরে আমি পাশের একজনকে বললাম এয়ারপোর্ট স্টেশন পর্যন্ত যেতে কোন টাকা লাগেনা। উনি বললেন উঠার সময়তো উনাদের হাতে ১০ টাকা ধরিয়ে দিছি।
তইলে বুঝেন ট্রেনে লোকসান ক্যমনে হয়!
দৃশ্যপট-২ঃ
উত্তরা থেকে শাহবাগ যাবার উদ্দেশ্যে বাসে উঠলাম। বাসে প্রায় সীটই ফাঁকা পড়ে আছে। এরমধ্যে তিনজন মধ্যবয়সী পুরুষ উঠে সামনের মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনে গিয়ে বসে পড়লো। বাস চালক তাদেরকে বললেন এটা মহিলাদের সীট। আপনি পিছে গিয়ে বসেন। তার নিষেধের প্রতি তারা কোন কর্ণপাতই করলোনা। কয়েকমিনিট পরে যাত্রীতে বাসে ঠাসাঠাসি অবস্থা। এমতাবস্থায় দুইজন মহিলা উঠলো। কোন সীট না পেয়ে তাদের জন্য সংরক্ষিত সীটে বসে থাকা পুরুষগুলোকে সীট ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলো। কিন্তু তারা ছাড়তে নারাজ। পরে মহিলাগুলো তর্ক জুড়ে দিল। তাদের পক্ষ নিল প্রায় সব পুরুষ। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা অনেকটা অপমানিত বদনে সীট ছেড়ে দিয়ে দাঁড়ালো। অথচ এই বলদ গুলো শুরুতেই অ্ন্য সীটে আরামে বসে যেতে পারত!
দ্বিতীয়বারের মতো এভাবে উঠে দাঁড়ানো বলদ দেখার সুযোগ যখন পেলাম তখন মনে হলো এটা নিয়ে একটু লিখি।
দৃশ্যপট-৩ঃ
ঢাকাতে লোকাল বাসে যাতায়াত করেন অথচ যাত্রীর সাথে বাসের কন্টাক্টরের ভাড়া নিয়ে ক্যাচাল শোনেননি এমন যাত্রী বিরল। কিছু কিছু ত্যাড়া যাত্রী আছে একটাকা কম দিতে পারলে মনে হয় বিশ্বকাপ জিতে ফেলেছি। কিন্তু এটা করতে গিয়ে যে উনার প্রেস্টিজের বারোটা বেজে যায় সেদিকে ভ্রুক্ষেপ থাকেনা। দেখতে ভদ্র গোছের অনেক যাত্রীকেও দেখেছি দু’একটাকার জন্য বাসের মধ্যে লঙ্কাকান্ড বাঁধিয়ে দিতে। আবার কন্টাক্টররাও কম যান্না। আপনি খুব সরল মনে ওদের কাছে আপনার গন্তব্যস্থলের ভাড়া যানতে চাইবেন তখন দেখবেন বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মূল ভাড়ার চেয়ে পাঁচ ছয়টাকা বেশী দাবী করে বসে আছে।
কোন্দিকে যাবেন!
বিষয়: বিবিধ
২১৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন