টুডের ব্লগারদের আনন্দ ভ্রমন (ছবি ব্লগ)
লিখেছেন লিখেছেন শরফুদ্দিন আহমদ লিংকন ২৪ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৩:৩৩:১৪ দুপুর
গত ২২ জানুয়ারী টুডে ব্লগের বেশ কিছু ব্লগার বিভিন্ন ইতিহাস ঐতিহ্যসমৃদ্ধ স্থানে এক আনন্দ ভ্রমনে সারা দিন অতিবাহিত করে। ভোর ছয়টা থেকে এক এক করে মাইক্রোতে উঠেন ব্লগাররা।
ব্লগারদের এ টিম নিয়ে মাইক্রো চলে মানিকগঞ্জের উদ্দ্যেশ্যে। পথিমধ্যে নাস্তার সামান্য বিরতিতে খিচুড়ি খেয়ে একটানা মানিকগঞ্জের বালিয়াটি জমিদারবাড়িতে পৌছে ব্লগারদের এ টিম।
জমিদার বাড়ির প্রাসাদের ভেতরে ও বাহিরে বেশ কিছুক্ষন ঘোরাফেরা করেন ব্লগাররা।
এরপর ব্লগারদের এ টিম যায় রামকৃষ্ণ মিশনে।
এখান থেকে এ টিম যায় ইশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে।
এখানে খানিকটা ঘোরাঘোরির পর কাজী নজরূলের স্মৃতি বিজড়িত তেওতা জমিদার বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে মাইক্রোযোগে আবারও যাত্রা শুরু হয়।
এই পুকুর ঘাটের সাথে জড়িত আছে কবির জীবনের অনেক স্মৃতি। এখানে বসে তিনি কবিতা লিখেছেন। এ পুকুরে তিনি সাঁতার কাটতেন।
এখান থেকে সবাই প্রবেশ করে জমিদার বাড়ির ভেতরে।
সবাই ঘুরে ফিরে দেখে অবহেলায় পড়ে থাকা এ ঐতিহাসিক স্থানটি।
জমিদার বাড়ির ছাদেও উঠেন সবাই।
অনেকক্ষন ঘুরাঘুরি হয় এখানে।
তারপর সবাই মিলে মাইক্রো যোগে রওয়ানা হয় যমুনার চরের উদ্দ্যেশ্যে। পথিমধ্যে জুমাহর সালাত সেরে সবাই যমুনার চরের নিকটবর্তী একটি হোটেলে লাঞ্চ সারেন। এরপর নামেন যমুনার চরে।
প্রচন্ড শৈত্ব্যপ্রবাহ থাকলেও ব্লগারদের আনন্দের কোন কমতি ছিলো না।
বরং কেউ কেউ রোমান্টিকতার উচ্চতর শিখরে আরোহন করে বালির মধ্যে প্রিয়তমার নাম লিখতে উদ্যত হন
এখানে ঘুরাঘুরির পর ক্লান্ত তবে প্রশান্ত শরীর নিয়ে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা হয় টুডে ব্লগের এ ব্লগারবৃন্দ।
বিষয়: বিবিধ
২৫৯৭ বার পঠিত, ৬৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উপাইতো নাই
এমন ভ্রমন কখনো হয়নি । প্রবাসের জীবনে শুধু মাত্র অপরের ভ্রমন বা আনন্দের খবর শুনেই নিজে খুশি থাকতে হয়। তারপরেও অন্য ভাইরা আনান্দ করবে তাতে অবশ্বই খুশি
ধন্যবাদ
সালাউদ্দিন ভাই, এটা ঢাকায় যারা আছি, তাদের ব্যক্তিগত আয়োজনে হয়েছিলো।
ছবির সাথে আরেকটু বিবরন দিলে ভাল হইত। শেষ ছবিটার বিষয়ে কিছু না বলাই ভাল!!!
আগে-ভাগে জানিয়ে এমন সুন্দর আয়োজন করলে হয়তো কাছা-কাছির ব্লগারবৃন্দ শামিল হতে আগ্রহ দেখাতেন!
আমরা দূরে থাকায় সম্ভব না হলেও লোক সংখ্যা আরো বাড়তো এতে!
অনেক ধন্যবাদ আপনাদের সবাই কে!
আসলে বাংলাদেশের আর সব স্থানের মত মানিকগঞ্জ জেলাও শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিনির্মান স্থাপনা... ইত্যাদী সব কিছুতে ঐতিহাসিক ভাবে হিন্দুদের অবদান চোখে পরে। যাক সে কথা।
বালিয়াটি থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ী কিন্তু খুব দুরে না। সাটুরিয়া থেকে নাগরপুর, তারপর যমুনা নদী। যমুনার ঠিক ঐ পাড়ে বাঘা বাড়ী। বাঘা বাড়িতেই আমাদের ছোট গ্রাম।
আমি ও গেয়েছিলাম আপনাদের বাড়ির এলাকাতে সত্যিই সুন্দর
ধন্যবাদ!!
ধন্যবাদ পায়েস পরিবেশনকারী বড় আপুকে,
দোয়া থাকল টিমকে রিসিভ করতে দাড়িয়ে থাকা ছোট্ট দু-জন মা-মনির জন্য।
এবং বড় আপুর ভাইকে, যিনি আমাদের নিয়ে গিয়েছিলেন ওখানে।
ব্লগারদের মাঝে কে কে ছিলেন? জানালে ভালো লাগতো।
-মাই নেম ইজ খান
- আবু আসফাক
-নেহায়েত
- সজীব
-মাজহার
- এম এম ওবায়দুর রহমান প্রমুখ
-মাই নেম ইজ খান
- আবু আসফাক
-নেহায়েত
- সজীব
-মাজহার
- এম এম ওবায়দুর রহমান
-জিনাথ প্রমুখ
মন্তব্য করতে লগইন করুন