প্রসংগঃ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী Vs মতিউর রহমান মাদানী
লিখেছেন লিখেছেন শরফুদ্দিন আহমদ লিংকন ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:৫২:৫৩ সকাল
মতিউর রহমান মাদানী, আর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী- দু জনই পরীক্ষিত দায়ী। ইসলামের জন্য তাঁদের উভয়েই নিবেদিত প্রান। অথচ আমার আপনার মত অল্প বিদ্যার অধিকারী কিছু ব্যক্তি এ দুই আলেমের মাঝে বিশাল দেয়াল সৃষ্টি করছে।
আমার জানা মতে- আল্লামা সাঈদী সর্বদা সত্যকে তালাশ করেছেন। ওনার বিবেচনায় যখন যেটাকে সত্য বলে মনে করতেন, তখন সেটার সামনে মাথা নত করে দিয়েছেন। এ সাঈদীই এক সময় ছিলেন চর্ম নাই পীরের মুরীদ। এমনকি শুনা যায়- 'মুক্তির মূলমন্ত্র, ইসলামী শাসনতন্ত্র' শ্লোগানটাও নাকি তাঁর দেয়া। কিন্তু যখন তিনি বুঝলেন, এরা ভন্ড; তখন তিনি তাদের ত্যাগ করলেন। ওনার এরপরবর্তী ওয়াজ মাহফিলে দ্ব্যার্থহীন ভাষায় চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ভেদে মারেফাতের কুফরী বক্তব্য।
আল্লামা সাঈদী এক সময় দাঁড়িয়ে দূরুদ পড়তেন। কিন্তু যখন জানতে পারলেন এটা ইসলাম বিরোধী, তখন এটা বাদ দিলেন। একবার ওনাকে একজন প্রশ্ন করেছিলো- আমরা কেন দাঁড়িয়ে মিলাদ পড়বো না? উনি খুব সুন্দর ভাবে বললেন- কারন, আল্লাহ বলেন নি, রাসূল করতে বলেন নি, সাহাবারা করেন নি। ওনার এ ভিডিও একদিন আমি ফেবুতে শেয়ার দিলে এক ভাই ওনার দাঁড়িয়ে দূরুদ পড়ার একটা ভিডিও লিংক কমেন্টে দিয়ে ওনাকে মুনাফিক মন্তব্য করলেন। আল্লাহ মাফ করুক। আমি ওনার জবাবে বলেছিলাম- এ ভিডিওটা বহু আগের, যখন সাঈদি সাহেবের দাঁড়ি কালো ছিলো, তখনকার। আর মানুষ পরিবর্তনশীল। নিজের ভুল বুঝতে পেরে যারা অতীতের কাজকে দূরে নিক্ষেপ করে সত্যের সামনে আত্মসমর্পন করে, তাদের দলের অন্তর্ভূক্ত আল্লামা সাঈদী। আল্লামা সাঈদীর দিকে ইংগিত করে জুমার খুতবায় শাইখ মোযাফফর বিন মহসিন একাধিকবার বলেছেন- সাঈদী হুজুর এখন পরিপূর্ন সুন্নাত ত্বরিকায় নামায আদায় করেন। জাল হাদীসের কবলে রাসূল (সাঃ) এর সালাত বইটি পড়ে তিনি ৯ (সম্ভবত) পৃষ্ঠার মন্তব্যও লিখেন।
মানুষ মাত্রই ভুল। ভুলকারীর মধ্যে সে-ই উত্তম যে ভুল বুঝতে পারলে নিজেকে সাথে সাথে শুধরিয়ে নেয়। জনাব সাঈদী আমার বিবেচনায় তাদেরই দলে।
বহু আগে, যখন সাঈদী হুজুর মুক্ত ছিলেন, তখন ওনার বিভিন্ন আলোচনার ভুলগুলোর উপর কুরআন হাদীস মোতাবেক একটি দীর্ঘ লেকচার দেন মতিউর রহমান মাদানী। উক্ত লেকচারের শুরুতে বারবার তিনি আল্লামা সাঈদীকে তাঁর দ্বিনী ভাই বলে উল্লেখ করেন এবং এ লেকচারের উদ্দ্যেশ্য সবার কাছে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন। উনি শুধু সাঈদী সাহেবেরই না, তাবলীগ জামায়াত, চর্মনাই, শর্ষিনা, ফুরফুরা ইত্যাদির ইসলাম বিরোধী কাজগুলোর উপরও কুরআন হাদীস মোতাবেক আলোচনা করেন। তাই সাঈদী সাহেবের সাথে তাঁর কোন শত্রুতাঃবসত তিনি বক্তৃতা দিয়েছেন একথা বলাটা আমি মনে করি বোকামী।
প্রত্যেকেরই ভালো খারাপ ন্যাচার থাকে। আমারও কিছু খারাপ ন্যাচার আছে। আমি জানি এগুলো খারাপ। কিন্তু এগুলো থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারছিনা। কারন নিজের ন্যাচার চেঞ্জ করা খুবই কষ্টকর। মতিউর রহমান মাদানীর একটা ন্যাচার হচ্ছে, উনি বক্তৃতার সময় যে ভাষা ব্যবহার করেন, যেভাবে খোঁচা মারেন- তা দ্বীনের দায়ীদের জন্য শোভনীয় নয়। উনি ওনার এ ন্যাচার চেঞ্জ করতে পারলে ওনার বক্তৃতা লেকচার আরো অধিক ইফেক্ট ফেলতো জনসমাজের উপর।
আল্লামা সাঈদীকে নিয়ে ওনার বক্তৃতা বহু আগে হলেও বিগত দেড় দুই বছরে এগুলো অধিক হারে ছড়িয়েছে। আর তখনই শুরু হলো- এই দুই আলেমের কট্ররপন্থী অন্ধ সমর্থকদের কামড়াকামড়ি।
মতিউর রহমান মাদানীও মানুষ। তাঁর ভুল হওয়াও খুব স্বাভাবিক। অথচ এ সামান্য ভুল গুলোকে হাইলাইটস করে কেউ কেউ তাঁকে দাজ্জাল প্রভৃতি আখ্যায়িত করা শুরু করলো।
আমি আগেই বলেছি- সাঈদী সাহেব না জানার কারণে আগে অনেক কিছু করতেন, যা তিনি সত্যটা জানার পর শুধরে নেন। যেমন- হিল্লা বিয়ে নিয়ে উনি আগে যে ধারনা করতেন, তা ছিলো ইসলাম বহির্ভূত। মতিউর রহমান মাদানী ওনার সে বক্তৃতার উপর আলোচনা করে সে কথাটিকে ইসলাম বিরোধী প্রমান করেন। পরবর্তীতে সাঈদী সাহেব যখন সত্যটা জানতে পারলেন, তখন তিনি ফতোয়া দিলেন আগের মত পরিবর্তন করে সম্পূর্ন কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক। সাঈদীর কিছু অন্ধ ভক্ত মাদানী সাহেবের সে সমালোচনা এবং সাঈদী সাহেবের পরবর্তী বক্তব্য একত্রিত করে মাদানী সাহেবকে মিথ্যাবাদী বানিয়ে দিলেন। এমন ঘটনা তারা ঘটিয়েছে বহু।
আমার বিবেচনায়- সাঈদী সাহেব এবং মাদাণী সাহেব; দুজনি দুজনের জায়গায় ঠিক আছেন। দুজনের নিয়তই সৎ। দুজন-ই ইসলামের পরীক্ষিত দায়ী। এমনো হতে পারে- আল্লাহ যদি সাঈদী হুজুরকে আবার মুক্ত দুনিয়ায় ফিরিয়ে আনেন, তাহলে তিনি মাদানী সাহেবকে ধন্যবাদ জানাবেন। সাঈদী হুজুর ওনার মাহফিলে দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলেছিলেন- কেউ ওনার ভুল ধরিয়ে দিলে তা গ্রহন না করার মত ভুল তিনি করেন না। আর মানুষ মাত্রই ভুল।
শয়তানের প্ররোচনায় বা মনের কুপ্রবৃত্তির তাড়ানায় বা অল্প বিদ্যার ভয়াবহতার বাস্তব ফল স্বরূপ এ দুই বিশিষ্ট আলেমের মাঝে ভালোবাসার দেয়ালের বদলে শত্রুতার দেয়াল সৃষ্টি করছেন যারা তারা কি একটু ভেবে দেখবেন বিষয়টা????
শেষ কথাঃ আল্লামা সাঈদী ও মাদানী দুজনকেই আমি আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। তবে মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়। তাই কারো কথা অন্ধভাবে মানিনা। ওনাদের যে কথাগুলো আমার কাছে ইসলাম বিরোধী মনে হয়, সেগুলোকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। এ দুই মহান মনিষী নিজেরা একত্রিত হলে তাঁরা একজন অপরজনকে বুকে টেনে নেবেন বলেই আমার বিশ্বাস। মাদানী সাহেব, সাঈদী হুজুরের যে বিষয়গুলোতে সমস্যা ধরেছেন, তার অনেকগুলোই ভিডিওগুলো ব্যাপাক হারে প্রচার পাবার অনেক আগেই সাইদী সাহেব নিজে নিজেই শুধরিয়ে নিয়েছেন। মাদানী সাহেবের ভিডিওগুলো ব্যাপক প্রচার পেয়েছে দেড় দুই বছর আগে। অথচ এ লেকচারটি ছিলো সাঈদী হুজুর যখন জেলের বাহিরে ছিলেন তখনকার সময়ের। পরিশেষে আমার ভাইদের বলবো- অল্প জ্ঞান নিয়ে এসব কাদা ছোঁড়া ছোঁড়ি আমাদের নিজের পায়ে নিজে কুড়ার মারার সামিল।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে সত্যকে বুঝার ও মানার তাওফিক দিন- আমিন।
বিষয়: বিবিধ
৬৬৩৯ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লামা সাঈদী ও মতিউর রাহমান মাদানী-কে নিয়ে সুন্দর পোস্ট ভাল লাগল!
তবে,মাদানী সম্পর্কে অনেক বিতর্ক আছে,সৌদি সরকারের টাকায় ও তাদের মতাদর্শ প্রচারই তার কাজ!
কিছু দিন আগে প্রচার পাওয়া এই মাদানী-র নিয়ত আল্লাহই ভাল জানেন!!
মতিউর রহমান মাদানীর কিছু ভিডিও দেখেছি, তখনও জানতাম না তিনি সাইদী সাহেবের কিছু ভুল ধরে বিতর্ক তৈরি করে চলেছে। ওনার মজবুত ইসলামী জ্ঞান আছে।
যাক, মাদানী সাহেবের বক্তব্যের ধরন গুলো তার মত মর্যাদা বান মানুষের সাথে মিলে না। 'পূঁজি থাকলেই ধনপতি হতে পারেনা, পূঁজিকে যথাযত কাজে লাগানোর জ্ঞান থাকলে সে পূঁজি মুল্যহীন'। মাদানী সাহেবের পূঁজি আছে কিন্তু কিছু কারণে সেসব কখনও মূল্যহীন বস্তুতে পরিনত হয়।
যেমন,
খোঁচা মেরে হেদায়েতের কথা বলা,
টিপ্পনী মেরে নিজের জ্ঞান জাহির করা,
হেয় করে সত্য প্রকাশের চেষ্টা করা।
ইসলাম প্রচারের মুল কনসেপ্ট ধৈর্য্য, প্রজ্ঞা, দূরদর্শীতা, বিচক্ষনতার অভাব দেখা যায় তাঁর বচন ভঙ্গিতে। নতুবা অনর্থক কেন কিছু মানুষ তাঁর বিরোধীতায় লেগে যাবে? মানুষ সত্য জানতে চায়, সত্য বললে ফেসবুকে লাইক পাওয়া যায়। কোরআন-হাদিসের শিক্ষাকে মানুষ পছন্দ করছে। মাদানী সাহেবও কোরআন-হাদিস বলছেন কিন্তু কিছু মানুষ অপছন্দ কেন করছে? এখানে নিশ্চয়ই সাইদী সাহেব মূল ফ্যাক্টর নয়। আসল ফ্যাক্টর হল, 'তিনি যত বড় জ্ঞানীই হোক না কেন, কথাকে বিদ্ধেষ মুক্ত না করা পর্যন্ত তিনি সকলের গ্রহনীয় হতে কষ্ট হবে। অনেক ধন্যবাদ
মাদানী সাহেবের বাড়ী হিন্দুস্তানে। তার বক্তব্যে কোনদিনই হিন্দুস্তানের কোন সমালোচনা দেখি নি বা থাকলেও তা চোখে পড়ার মতো নয়। কেন ভাই? হিন্দুস্তান কি সংশোধিত হয়ে গেছে? সেখানের আলেম-ওলামারা সবাই মাদানী সাহেবের মতো? নিজের দেশের প্রতি তার দ্বায়িত্ব বেশী, নাকি বাংলাদেশের প্রতি?...
একটি ভিডিওতে দেখেছিলাম (এই http://www.greatvideo.org/#/video/NpxEmkv2mpc/Moududi and Tahfeemul Quran: Review of Islamic Center, Saudi Arabia.htmlলিংকে ভিডিওটি ছিল আগে, এখন মুছে দেওয়া হয়েছে) তাহফিমুল কুরআনের বিরধিতা করতে গিয়েও তিনি নির্জলা ডাহা মিথ্যা কথা বলেছেন। তাহফিমের নাকি ইংরেজী অনুবাদ হয়নি? সত্য নাকি মিথ্যা? গুগুলে দেখুন। এর পর বললেন, যদি তাহফিম এত বিখ্যাত হতো, তাহলে নিশ্চয় আরবীতে অনুবাদ হতো। তার এই মিথ্যা কথাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আরো কয়েকটা মিথ্যা বললেন। বললেন, আল্লামা সাফিঊর রহমান মোবারকপুরী লিখিত রাহিকুল মাখতুম নাকি সাথে সাথে আরবীতে অনুবাদ হযে গেছে। আরো বললেন, মোবারকপুরি সাহেব তার উস্তাদ। অথচ দেখুন, রাহিকুল মাখতুম সরাসরি আরবীতে লিখিত হয়েছিল যা সৌদী আরব থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। এটা ছিল সৌদি বাদশা কর্তৃক সিরাত প্রতিযোগিতার প্রথম হওয়া গ্রন্থ। লেখক পরে উর্দুতে অনুবাদ করেন। আপনি গ্রন্থটি বাংলায়ও পাবেন। অন লাইনেও আছে। বাংলা ভার্সনের ভুমিকায় লেখক এই গ্রন্থ কিভাবে লিখিত, প্রকাশিত এবং অনবাদ হয়েছে তা সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন। অথচ তিনি বলেন, আল্লামা মোবারকপুরি তার উস্তাদ। অথচ এটাও জানেনা যে এই কিতাব সৌদিতে প্রকাশিত হয় এবং সেটা ছিল আরবীতে। আরো বিস্ময়ের বিষয় হল, তিনি নিজে বহুদিন হেকে সৌদিতে আছেন এবং এই লাইনেও আছেন।
মযহাব মানা কি জরুরি?
----------------------------
আবদুস শহীদ নাসিম
০২/০৪/২০১৪
----------------------
প্রশ্নঃ আসসালামু আলাইকুম। চার মযহাবের কোন মযহাব মানা কি জরুরি? ফরয? ওয়াজিব? কেউ যদি চার মযহাবের কোন মযহাব না মানে, সে কি ফেতনাবাজ হবে? কেউ যদি মযহাব পরিবর্তন করে, কিংবা প্রত্যেক মযহাবের উত্তম মতগুলো অনুসরণ করে, তাতে কি অসুবিধা আছে?
জবাবঃ ওয়ালাইকুম সালাম। আপনার প্রশ্নগুলোর সক্ষিপ্ত জবাব প্রদত্ত হোলঃ
০১। চার মযহাবের কোন মযহাব মানা জরুরি নয়। ফরযও নয়। ওয়াজিবও নয়।
০২। কেউ চার মযহাবের কোন মযহাব না মানলে সে ফেতনাবাজ হয়না।
০৩। তবে কেউ যদি মযহাবের বিরোধিতা করাকে নিজের আমল বা কর্মকাণ্ডের অংশ বানিয়ে নেয়, সে ফেতনাবাজ।
০৪। ঐ ব্যক্তিও ফেতনাবাজ, যে অজ্ঞতা নিয়ে অন্ধভাবে কোন মত ও পথের সমর্থন করে এবং অপর মত ও পথের বিরোধিতা করে।
০৫। যে ব্যক্তি কুরআন সুন্নাহর যথার্থ জ্ঞান রাখেন,সাহাবায়ে কিরামের আমল ও মতামত সম্পর্কে জানেন এবং ইসলামের প্রাচীন মুজতাহিদগণের মতামত বিশ্লেষণের যোগ্যতা রাখেন, তার জন্যে মযহাব পরিবর্তনে সমস্যা নেই। কোন নির্দিষ্ট মযহাব অনুসরণ না করলেও তার সমস্যা নেই।
০৬। পঞ্চম দফায় বর্ণিত গুণাবলির অধিকারি ব্যক্তি সরাসরি কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণ, সাহাবায়ে কিরামের অনুসরণ এবং অতীত মুজতাহিদগণের যে কারো উত্তম মতামতের অনুসরণ করতে পারেন।
০৭। যিনি পঞ্চম দফায় বর্ণিত গুণাবলির অধিকারি নন, তার জন্যে প্রচলিত নির্দিষ্ট মযহাব বা মত অনুসরণ করাই নিরাপদ।
০৮। তবে দীন ও শরিয়তের জ্ঞানী, কম জ্ঞানী এবং জ্ঞান রাখেন না, এমন সবাইকেই সারাজীবন সবসময় দীন ও শরিয়তের জ্ঞান অর্জন করা উচিত এবং অর্জন করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত। এর ফলে যখনই তিনি নিজের কোন আমল বা আমলের পদ্ধতি ভুল বলে জানতে পারবেন, তা সংশোধন করে নিতে পারবেন, অথবা উত্তমটা গ্রহণ করতে পারবেন। ধন্যবাদ
============================
https://www.facebook.com/abdusshaheed.naseem/posts/463597807130234
মতিউর রহমান মাদানী কে? ভদ্রলোকের পরিচয় কি?
একা কাতারে দাঁড় করালেন?
ভাই যেভাবে সরলীকরণ করলেন তাতে মনে হচ্ছে আপনি নিজেও মাদানীকে জানেন না।
===================
মাদানী সঠিক সহীহ পথে আছেন - এটা কিসের মানদন্ডে ঠিক করলেন?
কে বলেছে - আল্লামা সাঈদী মুরীদ ছিলেন। এই তথ্য কোথা থেকে পেলেন?
ভাই একটু রহম করুন।
অনেক ধন্যবাদ।
পৃথীবির কোন দায়ী তার লেকচারে অন্য কারো ভুল শুধরানোর জন্য তার লেকচারের পাশাপাশি অন্যের ভুলের ভিডিও সংযুক্ত করেছেন ?
এটা একজন দায়ীর আচরন !
আর আপানার অবগতির জন্য জানাচ্ছি সাঈদী জেলে যাও্রয়ার পরও সমান তালে গীবত চালিয়ে যাচ্ছেন। বেশ কিছুদিন আগে তাঁকে জেদ্দা কিলো খামছা ইসলামিক সেন্টারে নিষিদ্ধ করেছিল কেন্দ্র তেকে বিদ্ধেষ চডানোর কারনে। কিন্তু তিনি জেদ করে তাঁর ভক্তদের দিয়ে চাঁদা তুলে জেদ্দার অন্য স্হানে মিটিং করে গেছেন।
সবচেয়ে বড কথা হচ্ছে মতিউর রাহমান সাহেব নিজের গীবতকে জায়েজ করার জন্য রাসুল সা. কে ও গীবতকারী বলেছেন, নাউজুবিল্লাহ। ভিডিওটা আমি দেখেছি, রাসুল সা. এক সাহাবিকে দেওয়া একটা পরামর্শকে মতি.সাহেব গীবত বলে চালিয়ে দিয়েছেন।
মাঞ্জুরে এলাহি স্যার, ইব্রাহীম স্যার,আবদুররাজ্জাক, ডা. জাকির নায়েক, আরও অনেক উস্তাজ আছে যারা বেদায়াতিদের বিরুদ্ধে কোরআন ও সহী হাদীস দিয়ে জীহাদ করে যাচ্ছেন।তাদেরকে আল্লাহ রহম করুন ।
কিন্তু এই লোকটার লেকচারগুলি দেখেশুনে মনে হয়েছে সে মসুলমাদের উপর খুব ক্ষেপ্যা, যেমন ক্ষেপ্যা ইহুদি ও 'র' চালিত মিড়িয়া গুলি।
মতি. সাহেব ওদের চালিত মিড়িয়া কিনা খোঁজ করে বের করা দরকার। কারন সে উম্মাহতে বিভ্রান্তি চড়াতে কিছুটা সফল হয়েছে। বিণীত
ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহ খায়ের
এ জাতীয় কথা বলা মনে হয় ঠিক না।
যিনি ওয়াজ মাহফিল করেন, তিনিও এর বিনিময়ে টাকা নেন। এমনকি মসজিদের ইমামও কিন্তু টাকার বিনিময়ে ইমামতি করেন।
জাযাকাল্লাহ----
মন্তব্য করতে লগইন করুন