সাইয়েদ আহমদ বেরেলভি (রহঃ)- প্রেরনার এক অনন্য নাম
লিখেছেন লিখেছেন শরফুদ্দিন আহমদ লিংকন ০৬ মে, ২০১৫, ১০:১২:৪৮ রাত
আজ ৬ই মে।
১৮৩১ সালের এই দিনে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের বালাকোট প্রান্তরে নিহত হন সাইয়েদ আহমদ বেরেলভি (রহঃ) ও শাহ ইসমাইল (রহঃ) সহ ১৩৫ জন মুজাহিদ।
মুসলিম বাহিনীর পক্ষে ছিলেন মাত্র ৯০০ মুজাহিদ, অন্য পক্ষে ছিল আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ও প্রশিক্ষিত ২০ হাজার সৈন্যসংবলিত শিখবাহিনী এবং স্থানীয় বিশ্বাসঘাতক চক্র।
মুসলিম বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন সাইয়েদ আহমদ বেরেলভি (রহঃ)।
তিনি ১৭৮৬ সালের ২৯ নভেম্বর উত্তর প্রদেশের রায় বেরেলিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮০৪ সালে দিল্লি গিয়ে শাহ আবদুল কাদেরের কাছে আরবি-ফারসি ভাষায় ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
একপর্যায়ে নবাব আমির খানের সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। কিন্তু কয়েক বছর পর আমির খান ইংরেজদের সাথে সন্ধি সূত্রে আবদ্ধ হওয়ায় তিনি শাহ আবদুল আজিজের খেদমতে হাজির হন।
তিনি আধ্যাত্মিক সাধনায় অনেক উচ্চশিখরে আরোহণ করেছিলেন। আবদুল আজিজের ভ্রাতুষ্পুত্র শাহ ইসমাইল ও জামাতা আবদুল হাই তার হাতে বায়াত গ্রহণ করেন।
তাঁর দাওয়াতে প্রায় ৪০ হাজার হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ইসলাম গ্রহণ করেন। ১৮২২ সালে তিনি ৭৫৩ জন যাত্রী নিয়ে পবিত্র মক্কা নগরীতে যান। হজ করে ১৮২৪ সালে রায় বেরেলি ফিরে আসেন।
মুসলিম সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার দূরীকরনে তিনি আপ্রান প্রচেষ্টা চালান। গড়ে তোলেন এক মুজাহিদ বাহিনী, যাদের দিন কাটতো ময়দানে আর রাত কাটতো জায়নামাযে।
বালাকোটের যুদ্ধ পর্যন্ত প্রায় ১১ যুদ্ধে তাঁর নেতৃত্বে মুজাহিদরা শিখ সৈন্যদের বিশাল বিশাল বাহিনীকে পরাজিত করেছিলো।
আমৃত্যু দ্বীনের পথে সংগ্রামকারী এ মহান মুজাহিদ ১৮৩১ সালের ৬ই মে বালাকোট প্রান্তরে শিখ সৈন্যদের সাথে এক অসম যুদ্ধের এক পর্যায়ে মারাত্মক আহত হয়ে ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। ইন্নালিল্লাহি-----রাজিউন।
মহান আল্লাহ ওনার শাহাদাতকে কবুল করুন। ওনার সাথে সেদিন আর যারা ইসলামের পক্ষে যুদ্ধে নিহত হয়েছেন প্রত্যেককে শহীদ হিসেবে কবুল করুন। আমাদেরকেও শাহাদাতের মর্যাদা লাভের তাওফিক দান করুন।– আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৭৬২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
-
কিন্তু তিনি ছিলেন জামানার মহান মোজাদ্দীদ, তাই দমে না গিয়ে তিনি সর্বপ্রকার অন্যায়, অত্যাচার, অধর্মের বিরুদ্ধে তার সত্যের তরবারি চালিয়ে যেতে থাকেন। তা দেখে কাফির-মুনাফিকদের অন্তরাত্মা কেঁপে উঠে, এবং তারা চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এবং বিপ্লবের এই দীপ্তমান সূর্যকে অস্তমিত করতে উঠেপড়ে লেগে যায়।
-
এরই ফলশ্রুতিতে সিন্ধু পারের তামাম মুসলমানদের সর্বপ্রকার মুক্তির নিমিত্তে বালাকোটের রুক্ষ প্রান্তরে নিজের বুকের তাজা রুধির বিসর্জন দিয়ে ছিন্ন মস্তকে মাওলায়ে হাক্বীকির সান্নিধ্যে পাড়ি জমান। আর রেখে যান এক বিপ্লবী চেতনা, যে চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে লক্ষ কোটি মুসলিম জনতা চলে মদীনার পানে।
-
বালাকোটের অবিনাশী চেতনা শতাব্দীর পর শতাব্দী আমাদেরকে পথ দেখাবে এগিয়ে চলার। চেতনার বাতিঘর অনুসরণ করে চললে মুসলিম জাতি কখনও পথ হারাবে না।
এখন লিখুন জাতির জনক শেখ মুজিবের নাম
তবেই পাবেন সম্মান আর বড় বড় ইনাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন