পরিবেশ

লিখেছেন লিখেছেন শরফুদ্দিন আহমদ লিংকন ২২ নভেম্বর, ২০১৪, ০৯:১৬:০৯ সকাল



পরিবেশের এমন প্রভাব আছে, যার ফলে ভালো মানুষ খারাপ হয়ে যায়। আবার পরিবেশের প্রভাবেই খারাপ মানুষ হীরার টুকরায় পরিনত হয়। পরিবেশের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় যুব সমাজ। বহু যুবক এমন আছে- যাদের মন ভালো, ভালো হতে চায়, ভালো কাজ করতে চায়, ইসলামী পদ্ধতিতে জীবন পরিচালনা করতে চায়- কিন্তু পরিবেশের কারনে পারেনা। কারন প্রচলিত সিস্টেমের বাহিরে গিয়ে কোন কাজ করতে গেলেই তাকে কটাক্ষ-টিপ্পনি, ঠাট্রা-উপহাস, ব্যাঙ্গ- বিদ্রুপ ইত্যাদি শুনতে হয়। আবার এমন লোকও আছে, যারা খারাপ কাজ করতে চায়- কিন্তু পরিবেশের কারনে পারেনা। যেমন ইসলামের সোনালী যুগে খোলাফায়ে রাসেদীনের আমলে জেনা করার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও পরিবেশের কারনে তা অসম্ভব ছিলো। বর্তমান যুগে ইসলামিক পরিবারগুলোতে পর্দা করার ইচ্ছা না থাকলেও পরিবারের পরিবেশের কারনে সেসব পরিবারের মহিলার পর্দা মানতে বাধ্য থাকেন। এ থেকে মানব জীবনের উপর পরিবেশের প্রভাব সহজেই অনুমেয়।

যতই দিন যাচ্ছে, পরিবেশ ততই খারাপ হচ্ছে। এবং সামনে দিন যতই যাবে, পরিবেশ ততই খারাপ হবে।

“যত বছর বা যত দিন অতিবাহিত হবে তার তুলনায় আগামী বছর ও দিন হবে আরো মন্দতর” (আহমদ, বুখারী, ইবনে মাজাহ, সহীহুল জামে ৭৫৭৬ নং)

এ হাদীসের যথার্ততা আজ আমরা একটু চিন্তা করলেই সহজে বুঝতে পারি।

বর্তমান এ পরিবেশে ঈমানকে বাঁচিয়ে রাখা চরম কষ্টসাধ্য এক ব্যপার। হাদীসের ভবিষ্যত বাণী-

“এমন দিন আগামীতে আসছে যে, ধৈর্যের সাথে দ্বীন বাঁচিয়ে রাখতে ঠিক ততটা কষ্টকর মনে হবে, যতটা কষ্টকর মনে হয় হাতের মুঠোয় আগুনের আঙ্গার রাখা” (তিরমিযী, সহীহুল জামে’ ৮০০২ নং)

বর্তমানের এ ধরনের দ্বীনহীন পরিবেশে একজন মানুষের ‘মুসলিম’ হিসেবে বেঁচে থাকতে হলে প্রয়োজন অগাধ ধৈর্যের। তবে এ ধরনের ধৈর্য সহজ নয়, যেমন সহজ নয় হাতের মুঠোয় আগুনের আঙ্গার রাখা। আবার এ পরিবেশ থেকে বের হয়ে যাওয়াও সম্ভব নয়। কারন মানুষ সামাজিক জীব। তাকে অবশ্যই সামাজিক জীবন যাপন করতে হবে। সমাজচ্যুত হয়ে বৈরাগ্যবাদীতার জীবন যাপনে মহান আল্লাহ নিষেধ করেছেন।

পরিবেশের মধ্যেই থাকতে হবে একজন মুসলিমকে। একেবারে পিচ্ছিল কাদাযুক্ত পথে, সাদা পোশাক ও চপ্পল পরিধান করে তাকে এমনভাবে চলতে হবে, যাতে তার জামায় এক ফোঁটা কাদাও না লাগে।

চিন্তা করতে পারেন, এ কাজটা কত কঠিন!!!!!

এ কঠিন কাজকে যারা সম্ভব করে তুলতে পারবে তাদের ব্যাপারে মহা পুরষ্কারের ঘোষনা দেয়া হয়েছে- তাদের প্রত্যেকে ৫০ জন শহীদ সাহাবীর সমপরিমান সওয়াব লাভ করবে। (ত্বাবারানী, সহীহুল জামে’ ২২৩৪ নং)

বর্তমানের নোংরা পরিবেশে কঠোর সতর্কতার পরেও মুমিন ব্যক্তির ঈমানও দূর্বল হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। তাইতো হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা যাতে আল্লাহর কাছে ঈমান তাজা করে দেয়ার প্রার্থনা করি।

“তোমাদের দেহের ভিতরে ঈমান ঠিক সেইরূপ পুরাতন হয়ে যায়, যেরূপ পুরাতন হয়ে যায় নতুন কাপড়। সুতরাং তোমরা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা কর, যাতে তিনি তোমাদের হৃদয়ে ঈমানকে (ঝালিয়ে) নতুন করে দেন”। (ত্বাবারানী, হাকেম, সহীহুল জামে’ ১৫৯০ নং)

মানুষের পোশাক পরিচ্ছদ, খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে আচার ব্যবহার, কথাবার্তা পর্যন্ত সবকিছুর উপরই পরিবেশ তার প্রভাব বিস্তার করে। একই পোষাক কোথাও পরে গেলে মানুষ হাসে, আনকালচার্ড করে টিপ্পনি মারে। আবার সেই পোষাকই কোথাও পরে না গেলে মানুষ বিষ্মিত হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কমনসেন্স নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

পরিবেশ অবৈধ কাজকে বৈধ করে দেয়। আবার বৈধ কাজকেও অবৈধ বানিয়ে দেয়। নারী-পুরুষের অবাধ শারীরিক সম্পর্ক যে খারাপ, তা বুঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হয়না, সবাইই তা বুঝতে পারে। কিন্তু এ খারাপ কাজটিও কোন কোন পরিবেশে বৈধ। এমনকি ঐসব পরিবেশে গড়ে উঠা কেউ যদি শুনে আমাদের মত বয়সের একজন যুবক জীবনে এখনো এ কাজের ধারেকাছেও যায়নি, তাহলে হয়তো সে অবাক হবে।

আমাদের সমাজে আমাদের মত বয়সের একজন যুবক যদি রমজানে দিনের বেলায় কিছু খায়-তাহলে অন্যরা তাকে ‘মুসলিম নয়’ বলে ট্যাগ লাগিয়ে দেবে। কিন্তু এ ছেলেটিই যখন নামাযের টাইমে আড্ডা দিয়ে বেড়ায়, তখন কেউ তাকে কিছু বলেনা। অথচ নামাযের মর্যাদা রোজার চাইতে বহুগুনে উর্ধ্বে। এমনকি মুসলিম ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্যকারী করা হয়েছে নামাযকে, রোজাকে নয়। অথচ আমাদের পরিবেশে নামায না পড়া ততটা অপরাধ নয়, যতটা অপরাধ রোজা না রাখা।

আরেকটি উদাহরন দিচ্ছি। আমাদের সমাজে মসজিদের ইমাম সাহেব চা দোকানে বসে লোকদের সাথে খানিকটা গল্প করলেও লোকে তা ভালো দৃষ্টিতে দেখেনা। এমনকি আমাদের এলাকার একটি মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী ইমাম সাহেবকে বলে দিয়েছেন, যাতে তিনি মসজিদের সামনের দোকানগুলোতে না বসেন। ফলস্রুতিতে ইমাম সাহেবের চা খাওয়ার ইচ্ছা হলে তিনি কাউকে দিয়ে চা আনিয়ে খেতেন। ধরুন, কোন মসজিদের ইমামকে যদি কেউ বিড়ি সিগারেট খেতে দেখে, তাহলে আমাদের সমাজের মানুষের চোখ মাথায় উঠে যাবে। ইমামকে বের করে দেয়া হবে মসজিদ থেকে। আবার মাত্রাতিরিক্ত অতি উৎসাহী কেউ থাকলে হয়তো মারপিটও শুরু করে দিতে পারে। কিন্তু এ ইমামকেই যখন কেউ শির্কী তাবিজ লিখতে দেখে, তখন বাধা তো দেয়ই না, উল্টো ‘তার তাবিজে উপকার হয়’ বলে প্রশংসা করে। অথচ শির্কী তবিজ লেখা, বিড়ি সিগারেট খাওয়ার চেয়েও অনেক বড় অপরাধ।

সুতরাং আমরা বুঝতে পারছি- ভালো মন্দ বিচারের দাঁড়িপাল্লা পরিবেশ তৈরী করে থাকে। এবং এ দাড়িপাল্লার বাটখারাটিও পরিবেশের সৃষ্টি।

অথচ একজন মুসলিমের জন্য এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি মাপকাঠি হওয়া উচিৎ নয়। একজন মুসলিমের জন্য কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ; কোনটা সে গ্রহণ করবে আর কোনটা সে বর্জন করবে-তার মাফকাঠি হচ্ছে মহান আল্লাহর বিধান, পরিবেশ নয়। একজন মুসলিমকে সর্বদা পরিবেশকে ইসলামের ছাঁচে ঢেলে সাজাতে হবে। ইসলামকে পরিবেশের ছাঁচে ঢেলে সাজানো কিছুতেই একজন মুমীনের জন্য শোভনীয় নয়।

একজন মুমিনকে অবশ্যই পরিবেশের সাথে মিশতে হবে, কারন তা ছাড়া পৃথিবীতে বসবাস করা তার পক্ষে অসম্ভব। তবে এ মেশার ক্ষেত্রে তাকে খেয়াল রাখতে হবে- পরিবেশটা কি ইসলামিক? নাকি অনৈসলামিক? পরিবেশ যদি ইসলামিক হয়, তবে তাকে মিশতে হবে- শরবত বা দুধে চিনি মেশার মত। আর পরিবেশ যদি অনৈসলামিক হয়, তবে তাতে মিশতে হবে মুড়িতে চানাচুর মেশার মত, যাতে নিজের স্বকিয়তা নষ্ট না হয়।

মাছ ধরবো, কিন্তু গায়ে কাদা লাগবে না- তা কি সম্ভব??? তা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে অনৈসলামিক পরিবেশে নিজের স্বকিয়তা বজায় রাখা কেমন করে সম্ভব???

জ্বি, এটাও সম্ভব। যদি হিকমাহ অবলম্বন করা হয়। গায়ে কাদা লাগানো ব্যতিতও মাছ ধরা যায়- নৌকায় করে জাল দিয়ে মাছ ধরা যায়। গায়ে কোন কাদা লাগেনা, মাছ বরং বেশি পাওয়া যায়।

অনৈসলামিক পরিবেশে চলার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হিকমাহ। আমার মত যুবকভাইদেরকে তাই প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হবে হিকমাহ’র সাথে। কিন্তু পদক্ষেপ কোথায় ফেলবে? কারন যেখানে পা ফেলবে, সে জায়গাটাও তো কাদাময়। ‘টকের ভয়ে দেশ ছাড়লাম, আর এখন দেখি তেঁতুল তলায় বাসা’- বিষয়টা অনেকটা এমন।

পাশ্চাত্যের দিক থেকে ঝড় আসছে মুসলিম যুব সমাজের দিকে। জরায়ু স্বাধীনতার ঝড়, অবাধ যৌনাচারের ঝড়, ধর্মনিরপেক্ষতা তথা ধর্মহীনতার ঝড়, কুফরীর ঝড়। এ ঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে হলে ১৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত অনুযায়ী চলতে হবে আমাদেরকে। দৌড়িয়ে চলে যেতে হবে আশ্রয় কেন্দ্রে। যে আশ্রয় কেদ্রের নাম ‘শরিয়ত’। যাবার সময় নিজের প্রিয় জনদেরকেও নেয়ার চেষ্টা করতে হবে, কারন আমরা নিশ্চিত- যে-ই এ আশ্রয় কেন্দ্রের বাহিরে থাকবে সে-ই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এ ঝড়োবাতাসে। নূহের (আঃ) ছেলের মত যদি কোন বোকা ভাবে, সে নৌকায় না উঠে উঁচু পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেবে, তাহলে নিজের ভুলের এমন খেসারত তাকে দিতে হবে, যার কোন সুরাহা নাই। কারন এ পশ্চিমা ঝড় আকাশ চুম্বী। হিমালয়কেও তা ডুবিয়ে চাড়বে।

আমার কিছু বন্ধু ভাবে- ইসলামী শাসন কায়েম না হলে পরিবেশ ভালো হবেনা। আমি তাদের সাথে একমত। কিন্তু বন্ধু ! বর্তমান পরিবেশে কি তুমি ইসলাম কায়েম করে তা রক্ষা করতে পারবে!!!! তুমি কি জানো না, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করা কঠিন। পরিবেশের ৯৮% লোকই যদি খেলাফত না চায়, ইসলামী শাসন না চায়- তবে তুমি কিসের জোরে ইসলামী শাসন কায়েম করবে!!!! বেশিরভাগ লোক যদি ইসলামী শাসন না মানে, তবে কার উপর তুমি ইসলামী শাসন প্রয়োগ করবে???? সব কিছুকি গায়ের জোরে চলে????

তবে প্রত্যেকের একটি রাজ্য আছে, যার রাজা সে নিজেই। আমার নিজ রাজ্যে আমার এমন ক্ষমতা আছে, যে এর অভ্যন্তরিন বিষয়ে বাহিরের কারো হস্তক্ষেপ মানতে আমি বাধ্য নই। আমি চাইলে আমার সাড়ে তিন হাত আয়তনের এ রাজত্ত্বে ইলাহী শাসন কায়েম করতে পারি। আবার আমি চাইলে এ রাজত্বকে দূর্নিতী ও ভোগ বিলাশ দিয়ে মুড়িয়ে ফেলতে পারি। এ রাজত্ত্বের চাবিকাঠি আমার হাতে।

আমরা যদি সবাই নিজ নিজ রাজ্যে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করতে পারি, তাহলে অটোম্যাটিক্যালি রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে। কারন ব্যক্তির সমন্বয়েই রাষ্ট্র। তখন সমাজ ইসলামী পরিবেশের রঙে রঙিন হবে। বর্তমানে ইসলামিক জীবন যাপন করতে আমাদের যতটা কষ্ট হচ্ছে, তখন মুসলমান নাম ধারন করে অনৈসলামিক জীবন যাপন করতেও ততটা কষ্টের সম্মুখীন হতে হবে।

প্রিয় যুবক ভাইয়েরা। আমিও আপনাদের মত একজন তাজা যুবক। আসুন আজ থেকে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহন করি-

-নিজের রাজত্ত্বে কোন প্রকার অশ্লীলতা ও পাপাচার ডুকতে দিবোনা।

-নিজের রাজত্ত্বের মধ্যে যে দুটি ক্যামেরা আছে, তা আর নিষিদ্ধ জিনিসের ছবি তুলবে না।

-আমার রাজত্বের হেড কোয়ার্টার আর কখনো খারাপ কোন কিছুর পরিকল্পনা আঁকবেনা।

-আমার রাজত্ত্বে নির্দিষ্ট সময়ে সালাত আদায় বাধ্যতামূলক করা হলো।

প্রিয় যুবক ভাইয়েরা, রাস্তাঘাটের কুকুরের ঘেউ ঘেউ আমরা হয়তো এখন বন্ধ করতে পারবোনা। কিন্তু এতটুকুতো পারবো- নিজের রাজত্ত্বে ঢুকতে দেবো না এসব কুকুরের দলকে। নিজের রাজত্ত্বের অফিসিয়াল মূল্যবান টাইম ব্যয় করবো না এসব ঘেউ ঘেউ শুনার কাজে। অহেতুক সময় নষ্ট করবোনা টিভিতে এসব কুকুরের ডেন্স দেখার কাজে।

প্রিয় যুবক ভাইয়েরা! আমাদের জন্য শোভনীয় নয়, এমন কথা বলা-

-সবাই করে, তাই আমিও করি।

-সবাই দেখে, তাই আমিও দেখি।

-সবাই যায়, তাই আমিও যাই।

কারন আমি সবাইকে অনুসরন করবোনা। আমি শুধু তাকেই অনুসরন করতে পারি, যে জান্নাতের পথে অগ্রগামী। কারন, আমার যে জান্নাতে যেতেই হবে---------!

গোটা সমাজ খারাপ। তার মধ্যেও ভালো থাকা যায়। উদাহরন সৃষ্টি করে গেছেন, আমাদের পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ)। এমন একটা সময় ছিলো, যখন উনি এবং ওনার স্ত্রী ছাড়া আসমানের নীচে, জমিনের উপরে আর কোন মুসলিম ছিলোনা। নিজের রাজত্ত্বে ওনারা দুইজন পরিপূর্ন ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর আমরা হচ্ছি সেই নবীর (সাঃ) উম্মত, যে নবীর (সাঃ) উম্মত হবার জন্য হযরত ইব্রাহিম (আঃ)ও প্রার্থনা করেছিলেন।

বিষয়: বিবিধ

১৬৫৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

286755
২২ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৮
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : পাশ্চাত্যের দিক থেকে ঝড় আসছে মুসলিম যুব সমাজের দিকে। জরায়ু স্বাধীনতার ঝড়, অবাধ যৌনাচারের ঝড়, ধর্মনিরপেক্ষতা তথা ধর্মহীনতার ঝড়, কুফরীর ঝড়। এ ঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে হলে ১৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত অনুযায়ী চলতে হবে আমাদেরকে। দৌড়িয়ে চলে যেতে হবে আশ্রয় কেন্দ্রে। যে আশ্রয় কেদ্রের নাম ‘শরিয়ত’। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File