কিছু যদি চাইতে হয়-----রবের কাছে চাও
লিখেছেন লিখেছেন শরফুদ্দিন আহমদ লিংকন ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:০৮:৫৮ রাত
সাধারণত কারো কাছে কিছু চাইলে তিনি রাগ করেন বা বিরক্ত হোন। বারবার চাইলে ধমক দিয়ে তাড়িয়েও দিতে পারেন। কিন্তু সবার সব সময় এক রকম যায় না। হয়তো আজ যাকে সে ধমক দিল, কাল তার কাছেই তাকে যাওয়া লাগতে পারে। তারপরেও মানুষের এ অবস্থা! কিন্তু মহান আল্লাহ এমন এক মহান সত্ত্বা, যিনি অমুখাপেক্ষী। তারপরেও কেউ তাঁর কাছে কোন কিছু চাইলে তিনি অত্যন্ত খুশি হন। না চাইলে রাগ করেন।
‘যে আল্লাহর কাছে কিছু চায় না আল্লাহ তার ওপর রাগ করেন।’ (তিরমিজি)।
কুরআন মাজীদে আল্লাহ তায়ালা তাঁর কাছে দুয়া করার নির্দেশ দিয়েছেন-
“আমার কাছে প্রার্থনা কর, আমি তোমাদের দোয়া/প্রার্থনা কবুল করব”। (সূরা মুমিন আয়াত-৬০)
বান্দা যত চাইবে আল্লাহ তত দেবেন এবং তত বেশি খুশি হবেন।
দোয়া আরবি শব্দ, যার শাব্দিক অর্থ আহবান করা, ডাক দেওয়া ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় মানুষ আল্লাহর দরবারে বিনয়ের সঙ্গে যে আরজি পেশ করে থাকে, আকুতি মিনতি করে, নম্র ও ভদ্রতার সঙ্গে যে আবেদন-নিবেদন করে, কায়মনোবাক্যে তাঁকে ডাক দিয়ে থাকে, তাকেই দোয়া/প্রার্থনা বলা হয়।
দোয়া দুই প্রকার : এক. দোয়াউল ইবাদাহ বা উপাসনামূলক দোয়া। সর্বপ্রকার ইবাদতকে এ অর্থে দোয়া বলা হয়। দুই. দোয়াউল মাছআলা অর্থাৎ প্রার্থনাকারী নিজের জন্য যা কল্যাণকর তা চাবে এবং যা ক্ষতিকর তা থেকে মুক্তি প্রার্থনা করবে। (বাদায়ে আল-ফাওয়ায়েদ : ইবনুল কায়্যিম)
যেমন কেউ সালাত আদায় করল। এ সালাতের মধ্যে অনেক প্রার্থনামূলক বাক্য ছিল। যেমন সূরা ফাতিহাতে আমরা বলি- “আমাদের সরল পথ প্রদর্শন করো-----”।এগুলোই দোয়াউল ইবাদাহ বা উপাসনামূলক প্রার্থনা।
আবার কেউ কোন কাজে যাবে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করল হে আল্লাহ! তুমি আমার কাজটা সহজ করে দাও। এটা হলো দোয়া আল-মাছআলা বা চাওয়া।
দোয়া আল্লাহর সঙ্গে বান্দার কথোপকথনের প্রধান মাধ্যম। ইসলামে দোয়াকে একটি স্বতন্ত্র ইবাদতের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। দুনিয়াতে যারাই আল্লাহর প্রিয় হয়েছেন তারা দোয়ার মাধ্যমেই হয়েছেন। দোয়ার মধ্যে মানুষের পার্থিব ও পরকালীন সফলতা নিহিত আছে।
দোয়ার মাধ্যমে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ), তাঁর সাহাবীগন ও মুসলিম মনিষীগন আল্লাহর অনেক নিকটে চলে যেতেন। যে কোন বিপদে তাঁরা অসীম ধৈর্যসহকারে, বিনীতভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন। দয়াময় মহান আল্লাহও তাঁদের প্রার্থনা কবুল করতেন।
দোয়ার কিছু আদব আছে। সে আদব গুলো মেনে না চললে তা বরং বেয়াদবীর মধ্যে গণ্য হতে পারে। ইসলাম আমাদেরকে পবিত্র কুরআন ও হাদীসের মাধ্যমে এ আদবগুলো শিখিয়ে দিয়েছে।
দোয়ার শুরুতে আল্লাহর নাম নেয়া উচিৎ।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন: যেসব দোয়ার প্রথমে "বিসমিল্লাহির রাহ্মানির রাহিম" থাকে, সেসব দোয়া ফেরৎ দেয়া হয় না। (বিহারুল আনওয়ার, খঃ ৯০, পৃঃ ৪১৩।)
কোরআন মাজীদে আমরা দেখতে পাই-নবী, ফেরেস্তা এবং আল্লাহর নেক বান্দাগণ দোয়ার সময় আল্লাহর নাম দ্বারা শুরু করতেন। যেমন:-
হযরত আদম ও হাওয়া (আঃ) নিম্নোক্তভাবে দোয়া করেন:
"হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিজদের প্রতি জুলুম করেছি। আপনি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি করুণা না করেন, তাহলে আমরা অবশ্য অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব"। (সুরা: আল আ'রাফ ২৩)
হযরত নুহ (আঃ) দোয়া করেন:
হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে ক্ষমা করুন! (সুরা: নুহ, ২৮।)
হযরত ইউসুফ (আঃ)দোয়া করেন:
“হে আমার রব! তুমি আমাকে রাষ্ট্র ক্ষমতা দান করেছো এবং আমাকে কথার গভীরে প্রবেশ করা শিখিয়েছো৷ হে আকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা! দুনিয়ায় ও আখেরাতে তুমিই আমার অভিভাবক৷ ইসলামের ওপর আমাকে মৃত্যু দান করো এবং পরিণামে আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তরভূক্ত করো”। (সুরা: ইউসুফ, ১০১)
হযরত ইসা (আঃ) দোয়া করেন:
হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের জন্যে আকাশ থেকে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা প্রেরণ করুন!
(সুরা মায়েদা; ১১৪)
সুতরাং বুঝা যাচ্ছে আল্লাহকে ডাকার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত নাম হচ্ছে 'রব বা পালনকর্তা'।
কুরআন মাজীদে আল্লাহর আরো অনেক গুনবাচক নাম রয়েছে। সে সব নামেও আল্লাহকে ডাকা যাবে।
“আর আল্লাহর রয়েছে সর্বোত্তম নামসমূহ। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক! আর ওদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে। ওরা নিজদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই পাবে”।(সুরা: আল্ আ'রাফ, ১৮০।)
প্রার্থনার একটি শর্ত হলো এটা শুধু আল্লাহর কাছে ও তাঁরই উদ্দেশ্যে নিবেদিত হবে। আল্লাহর সাথে দোয়ার সময় অন্য কোনো কিছুকে অংশীদার করা যাবে না। যেমন করে থাকে খ্রিষ্টান ও মুশরিকরা। তারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে যেয়ে যিশু ও অন্যান্য দেবদেবীকে আহ্বান করে।
আবার কেউ কেউ আল্লাহর কাছে প্রার্থনার মাধ্যম হিসেবে নিজের পীরকে ব্যবহার করে। তারা মনে করে আল্লাহ সরাসরি তাদের কথা শুনবেন না, তাই পীরের সাহায্য নিতে হবে। পীর তাদের সমস্যার কথা আল্লাহর কাছে বলবে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন- “আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাউকে ডাকবে না”। (আল-জিন : ১৮)
“আল্লাহ ব্যতীত তোমরা যাদের আহ্বান করো তারা তো তোমাদেরই মতো বান্দা”। (আল-আরাফ : ১৯৪)
তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডেকে থাকো তারা তোমাদের ও সাহায্য করতে পারে না এবং নিজেরাও নিজেদের সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে না৷ (আল-আরাফ : ১৯৭)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর চাচাতো ভাই ইবনে আব্বাস রা: কে নছিহত করেছিলেন-
হে খোকা! আমি তোমাকে কয়েকটি কথা শিক্ষা দেবো : আল্লাহকে হেফাজত করো, আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করবেন। আল্লাহকে হেফাজত করো, তুমি তাঁকে সামনে পাবে।যখন প্রার্থনা করবে তখন আল্লাহর কাছেই প্রার্থনা করবে। যখন সাহায্য কামনা করবে তখন আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাবে। জেনে রাখো! পুরো জাতি যদি তোমাকে উপকার করতে একত্র হয় তবুও তোমার কোনো উপকার করতে পারবে না, তবে আল্লাহ তোমার জন্য যা লিখে রেখেছেন। এমনিভাবে পুরো জাতি যদি তোমার ক্ষতি করার জন্য একত্র হয় তবুও তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না, তবে আল্লাহ যা তোমার বিপক্ষে লিখে রেখেছেন। কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে আর দফতর শুকিয়ে গেছে। (তিরমিজি)
লোক দেখানো প্রার্থনা না করে একাগ্রচিত্তে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- যে মানুষকে শুনানোর জন্য কাজ করল আল্লাহ তা মানুষকে শুনিয়ে দেবেন। আর যে মানুষকে দেখানোর জন্য কাজ করল আল্লাহ তা মানুষকে দেখিয়ে দেবেন। (ফলে সে আল্লাহর কাছে এর কোনো বিনিময় পাবে না।) (বুখারি)
দোয়া হতে হবে বিনয়ের সাথে। বিনয় বহির্ভূত দোয়া বেয়াদবীর সামিল। একাকী দুয়া করা অধিকতর ভালো। উচ্চস্বরে দোয়া করা ঠিক নয়। কেননা দোয়াকারীর লক্ষ্য রাখা উচিত যে,আল্লাহ মহা ক্ষমতার অধিকারী, তিনি সবকিছু শুনেন ও জানেন।
পবিত্র কুরআনে তাই নির্দেশ দেয়া হয়েছে-
তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে কাকুতি-মিনতি সহকারে এবং সংগোপনে ডাক।(সুরা: আল্ আ'রাফ, ৫৫।)
“আর স্মরণ কর স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে, ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং উচ্চস্বর ব্যতিরেকে, নিম্নস্বরের সাথে, সকালে ও সন্ধ্যায়”।(সুরা: আল্ আ'রাফ, ২০৫।)
হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) বলেন: রসুলুল্লাহ (সাঃ) দোয়ার সময় এমনভাবে দু'হাত উত্তলোন করতেন, যেভাবে একজন মিসকিন খাদ্যের জন্যে আবেদন করে থাকে।
(বিহারুল আনওয়ার, খঃ ১৬, পৃঃ ৩৭৮।)
হজরত মুসার (আঃ) প্রতি এ মর্মে ওহি নাযিল হয়: হে মুসা! বিনয়ের সহিত তোমার হাত দুখানি স্বীয় প্রভুর নিকট সেভাবে উত্তলোন কর যেভাবে গোলাম স্বীয় মনিবের নিকট বিলাপ ও বিনয়ের সহিত আবেদন করে।
(এদ্দাতুদ দায়ী, পৃঃ ১৮২।)
আল্লাহর কাছে দোয়া করার সময় প্রথমে নিজ গুনাহের কথা স্বীকার করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন। যে কোন কিছু আল্লাহর কাছে চাওয়ার আগে প্রথমে নিজের গুনাহগুলোকে মাফ করিয়ে নেয়া উচিৎ। নিজের গুনাহ মাফের জন্য আমরা কিভাবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইব, পবিত্র কুরআন আমাদেরকে তাও শিখিয়ে দিয়েছে।
"হে আমার রব! আমি নিজের ওপর জুলুম করেছি, আমাকে ক্ষমা করে দাও” (ক্বাসাস-১৬)
ইমাম সাদিক বলেন: “দোয়াকারী ব্যক্তি প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা করবে, অতঃপর নিজের ভুলস্বীকার করবে, তারপর নিজের প্রয়োজন উপস্থাপন করবে”।
(বিহারুল আনওয়ার, খঃ ৯০, পৃঃ ৩১৭।)
ভয় ও বিনয়ের সাথে আল্লাহকে ডাকতে হবে এবং তাঁর কাছে উত্তম আশা পোষন করতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন- “আল্লাহকে ভয় ও আশা সহকারে ডাক, নিশ্চয়ই আল্লাহর করুণা সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী”। (সুরা: আল্ আ'রাফ, ৫৬।)
আল্লাহর দয়া থেকে কখনো নিরাশ না হয়ে আশায় বুক বেঁধে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।
“(হে রসুল!) আপনি বলুন! হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজের উপর জুলুম করেছ তারা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না! নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গুনাহ্ মাফ করবেন। তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু”। (সুরা: আল্ যুমার, ৫৩)
দোয়া কবুল হবার জন্য অবশ্যই হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর উপর দুরুদ পাঠ করতে হবে।
রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: “আমার উপর দরূদ পাঠ করলে তোমাদের দোয়া কবুল হয় এবং ইহা তোমাদের আমলের জাকাত স্বরূপ”। (বিহারুল আনওয়ার, খঃ ৯১, পৃঃ ৫৪।)
“সব দোয়াই আসমানের পর্দার আড়ালে থাকে; যতক্ষণ না মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর আহলে বাইতের উপর দরূদ পাঠ করা হয়”।(মিজানুল হেকমাহ্, হাদিস নং ৫৬২৬)
যদিও সব সময় দোয়া করা যায়, তবুও অযুর সহিত দোয়া করা অনেক বেশি কল্যাণকর। ইমাম সাদিক বলেন: “যে ব্যক্তি অজুর সহিত দোয়া করে, সে খালি হাতে ফিরে না”। (বিহারুল আনওয়ার, খঃ ৯০, পৃঃ ৩১৪।)
দোয়া কখনো বৃথা যায় না। হাদিসে এসেছে- আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- “যখন কোনো মুমিন ব্যক্তি দোয়া করে, যে দোয়াতে কোনো পাপ থাকে না ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয় থাকে না, তাহলে আল্লাহ তিন পদ্ধতির কোনো এক পদ্ধতিতে তার দোয়া অবশ্যই কবুল করে নেন। যে দোয়া সে করেছে হুবহু সেভাবে তা কবুল করেন অথবা তার দোয়ার প্রতিদান আখিরাতের জন্য সংরক্ষণ করেন কিংবা এ দোয়ার মাধ্যমে তার ওপর আগত কোনো বিপদ তিনি দূর করে দেন। এ কথা শুনে সাহাবিরা বললেন, আমরা তাহলে অধিক পরিমাণে দোয়া করতে থাকব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- তোমরা যত প্রার্থনাই করবে আল্লাহ তার চেয়ে অনেক বেশি কবুল করতে পারেন”। (বুখারি : আল-আদাবুল মুফরাদ ও আহমদ)
দুঃখের বিষয়, আজ আমাদের অনেকই দোয়ার প্রকৃত মর্ম বুঝে না। কোন কোন মসজিদে জুমাহর ফরজ নামাযের পর দেখা যায়, কিছু লোক সালাম ফিরানোর সাথে সাথে মসজিদ থেকে বের হয়ে আসছে। ইমাম যখন মুনাজাত দিচ্ছেন, তখন তাঁর সাথে হাত উঠিয়ে আমিন আমিন বলছেন, আর হাঁটতে হাঁটতে বের হচ্ছে। এ জাতীয় দোয়ার মধ্যে থাকে না কোন একাগ্রতা। আর প্রার্থনার সময় দেহের সাথে মনের যোগাযোগ যদি না থাকে তাহলে তা বৃথা যায়।
আবার কিছু দিন আগে এক অদ্ভূত রকমের প্রার্থনা দেখতে পেলাম, এমন প্রার্থনা জীবনে আর কখনো দেখি নি।
আজ ফেইস বুকে আরেক রকমের প্রার্থনার দৃষ্টান্ত প্রত্যক্ষ করলাম।
আমার কাছে মনে হয়, এসব আল্লাহর সাথে ফাইজলামী ছাড়া আর কিছুই নয়। আশ্চর্য কথা!!! আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় যে অপরাধ, সে অপরাধের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি, আবার তা উদ্ভোদনের সময়, আল্লাহর কাছে মুনাজাতও করছি!!!! কত বড় স্পর্ধা আজ আমাদের!!!! মহান আল্লাহ আমাদেরকে এসব ফিতনা থেকে হেফাজত করুন।
হে আল্লাহ, যেভাবে তোমাকে ডাকলে তুমি খুশি হবে, সেভাবে যেন তোমাকে ডাকতে পারি, যেভাবে তোমার কাছে চাইলে তুমি খুশি হবে, সেভাবে যেন তোমার কাছে চাইতে পারি, সে তাওফিক আমাদের দাও-আমিন।
বিষয়: বিবিধ
৫৪৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন