ইসলামে কি গনতন্ত্র হারাম ? !
লিখেছেন লিখেছেন শরফুদ্দিন আহমদ লিংকন ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:১৬:০৭ দুপুর
অনেক আগ থেকেই বিভিন্ন দেয়াল লিখনে দেখে আসছিলাম- ‘ইসলামে ভোট নির্বাচন হারাম’ এ জাতীয় কথাবার্তা। কিন্তু এগুলোকে কোন পাত্তাও দেইনি। কারন মনে মনে ভাবতাম- ভোট নির্বাচন হারাম হলে পছন্দমাফিকভাবে রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচনের সিস্টেম কি? আমি মনে করতাম, যারা ভ্রান্ত ধারনায় বিশ্বাসী, তারাই এ জাতীয় কথা প্রচার করে বেড়ায়।
কিন্তু সম্প্রতি কিছু ইসলামিক স্কলারের মুখেও এ জাতীয় কথা শুনে চিন্তার মধ্যে পড়ে গেলাম। আমি সবসময় সত্যকে জানতে চাই। সত্য আমার নিজের বিরুদ্ধে গেলেও আমি তা-ই মানবো। তাই আমি সব সময় সত্যের খোঁজ করে বেড়াই। কারো অন্ধ আনুগত্যে আমি বিশ্বাসী নই।
বিভিন্ন ইসলামিক স্কলার প্রকাশ্যেই গনতন্ত্রকে কুফরীতন্ত্র বলে আখ্যায়িত করছেন। তবে অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে গনতন্ত্র নাজায়েজ হলে পছন্দমাফিকভাবে রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচনের সিস্টেমটা কি, তা ওনারা ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করছেন না।
ইউটিউবে এক ইসলামিক স্কলারের আলোচনা শুনলাম এ বিষয়ের উপর। একজন তাঁকে প্রশ্ন করে তাঁর মতামত জানতে চেয়েছিল- এক মসজিদের ইমাম সাহেব মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন গনতন্ত্র নাজায়েজ কিছু নয়।
এ ব্যাপারে শাইখের মতামত জানতে চেয়েছিল সে।
সে শাইখ (তাঁকে আপনারা হয়তো সবাই চেনেন। তাঁর নামটা ইচ্ছা করেই বললাম না) প্রায় ৫০ মিনিট ধরে তার সে প্রশ্নের জবাব দিলেন। এবং জবাবের এক পর্যায়ে এটাও বলেছিলেন- ঐ ইমাম তাওবা না করলে তার পিছনে নামায জায়েজ হবে না।
সে শাইখ গনতন্ত্র নাজায়েজ এ বিষয়ে অনেক দলিল প্রমান পেশ করলেন। কিন্তু আফসোস লাগলো তখন, যখন দেখলাম ওনার আলোচনাটা ‘যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা’ টাইপের।
কারন দলিল প্রমানের মাঝে মাঝে এমন কিছু দলিলও পেশ করলেন, যা তাঁর পুরো বক্তব্যকে আমার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করলো। (ইসলামিক স্কলার হিসেবে ওনাকে আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। তবে কারো সাথে মতের মিল সব সময় নাও হতে পারে।)
যেমন উনি বললেন- আল্লাহ সুদ হারাম করেছেন, আর গনতন্ত্র সুধকে বৈধতা দিয়েছে।
আমার প্রশ্ন হলো সুদের সাথে গনতন্ত্রের সম্পর্ক কি!!!???
কুরআন থেকে এ জাতীয় আরো কিছু দলিল উনি পেশ করেছেন, আমার দৃষ্টিতে যার সাথে গনতন্ত্রের কোনই সম্পর্ক নেই।
যাই হোক ওনার যেসব যুক্তি প্রমানগুলো গনতন্ত্রের সাথে রিলেটেড ছিল সেগুলোর মূল কথা একটিই। আর তা হলো- ওনার দৃষ্টিতে গনতন্ত্রে আল্লাহকে সকল ক্ষমতার মালিক এ কথা স্বীকার করা হয়না, সেখানে সকল ক্ষমতার মালিক বানানো হয় জনগনকে। যদি সংখ্যাগরিষ্টের কথা আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধেও যায়, তাহলেও গনতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্টের কথাকেই প্রাধান্য দিয়ে, আল্লাহর আইনকে অবজ্ঞা করা হয়।
অনেকক্ষন ধরে এ বিষয়টি উনি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলেও পছন্দমাফিকভাবে রাষ্ট্রপ্রধান/ কোণ দায়িত্বশীল নির্বাচনের সিস্টেম তাহলে কী হবে, এ বিষয়ে তিনি একটি কথাও বলেন নি।
কোন ডাক্তার আপনাকে ভাত খেতে নিষেধ করলে ভাতের পরিবর্তে কি খাবেন তা তো তার বলে দেয়া উচিৎ!
এক জনের ফেইসবুকে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে অপর এক ইসলামিক স্কলারের মন্তব্য জানার সুযোগ হলো গনতন্ত্র বিষয়ে। ওনার মতে গনতন্ত্র যে শুধু নাজায়েজ তাইই নয়, এটা নির্বুদ্ধিতারও কাজ। বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য উনি ওনার দুই হাতে দুইটি মোবাইল নিয়ে একের পর একটিকে নির্দেশ করে বললেন- এখানে দাঁড়িয়েছে একজন ব্যরিস্টার, আর এখানে দাঁড়িয়েছে একজন মুছি। নির্বাচনের পর দেখা গেলো ব্যরিস্টার পেয়েছে ১০০ ভোট আর মুছি পেয়েছে ১০১ ভোট। এখন জয়ি হবে কে? অন্যরা জবাব দিলো- মুছি। তিনি বললেন, কিন্তু যোগ্যতা কার বেশি- সবাই জবাব দিল- ব্যরিস্টারের।
তিনি বুঝাতে চাইলেন- এভাবেই গনতন্ত্র অযোগ্য লোকের হাতে দায়িত্ব অর্পন করছে। ওনার মত লোকের কাছে এ জাতীয় বিশ্লেষন শুনে আমার কাছে অবাক লাগলো। কারন ব্যরিস্টার যদি জনগণের হিতাকাঙ্ক্ষী না হয়, তবে যত বড় যোগ্যহতাই থাকুক না কেন তা জনগণের কোন কাজে আসবে না। বরং তারা জনগণের সেবক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ন হবে।
তাছাড়াও ইসলামের ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ), হাবসী কৃতদাস বেলাল (রাঃ)কে মসজিদে নববীর মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন।
তাই ওনার ব্যরিস্টার ও মুছির মধ্যাকার তুলনাটিকে আমি ভালো দৃষ্টিতে দেখতে পারলাম না।
যাই হোক এরপর উনি পছন্দমাফিকভাবে দায়িত্বশীল নির্বাচনের একটা সিস্টেমের কথা বললেন। উনি বললেন, দেশের বিশিষ্ট দশ জন ব্যক্তিকে সিলেক্ট করেন। ওনারা এক সঙ্গে বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দায়িত্বশীল/রাষ্ট্রপ্রধান মনোনিত করবেন।
ওনার প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রেখে বলছি বর্তমান পরিস্থিতেতে ওনার এ জাতীয় কথাবার্তা আমার কাছে বেশ হাস্যকর মনে হলো। কারন দশ জন ব্যক্তিকে কিভাবে সিলেক্ট করবেন? এ দশজনকেও কেউ বলবে মানি, আবার কেউ বলবে মানিনা।
আর এ দশজনকে সিলেক্ট করবে কারা?
তারপর এ দশজন মিলে যাকে মনোনীত করবে তাকে যে সবাই মানবে এ নিশ্চয়তা কে দেবে?
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চিন্তা করলে আমরা দেখি বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি। ধরলাম ১৮ বছরের উপর জনসংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। এদের বেশিরভাগ যাকে ভোট দেয় তাকেও তো অন্যরা মানেনা। যার ফলে হানাহানি, হরতাল, ধর্মঘট ইত্যাদি যেন বাংলাদেশের এক নিত্ত নৈমিত্তিক ব্যাপার। আর দশ জনের সিদ্ধান্ত সবাই মানবে এ কথা চিন্তা করাটা কি বোকামী নয়!
তাছাড়াও বর্তমান যুগ সাহাবায়ে কেরামের যুগের মত নয়। এখন বেশিরভাগ মানূষই ক্ষমতালোভি এবং স্বার্থপর। তাই কাউকে রাষ্ট্রক্ষমতা প্রদান করলে তার যদি জনগনের কাছে জবাবদিহীতার কোন অনুভূতি না থাকে তাহলে সে কেমন স্বেচ্ছাচারী হবে তা ভাবতেও বুক শিউরে উঠে।
জনগনের কাছে জবাবদিহী করতে হয় বলেই এসব স্বার্থপর লোকেরা নিজেদের লাগাম নিজেরাই টেনে ধরে।
কিছু ব্লগার ভাইও গনতন্ত্রের প্রতি বিষোধাগার করছেন। অনেক আগ থেকেই আমি ওনাদের এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত পোস্ট দেয়ার অনুরোধ করে আসছিলাম। হয়তোবা ওনাদের সময় হয়নি।
ফেইসবুকে আমার একটি স্ট্যাটাসে এক বোন(SI) কমেন্ট করে গনতন্ত্রকে হারাম বুঝাতে চেয়েছেন। তাহলে পছন্দমাফিকভাবে রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচনের সিস্টেম সম্পর্কে জানতে চাইলে উনি বললেন-
ইসলামের বিধান হচ্ছে নেতৃবৃন্দ বড় নেতা বা আমীর নির্বাচন করবে। যেমন জামায়াতে ইসলামী। সেখানে আমীর নির্বাচিত হন রুকনদের ভোটে। রুকনরাও নেতা। তাদের ভোটে নির্বাচিত হবেন আমীর। তেমনি দেশের ক্ষেত্রেও তাই।
কিন্তু দেশের ক্ষেত্রে কি এভাবে নির্বাচন করা সম্ভব????? জানিনা এগুলো ওনাদের কেমন ধরনের যুক্তি!!!!
এ বিষয়ে জানার জন্য আমি নেটে সার্চ দিলাম। সেখান থেকে জানলাম ডঃ আসাদুল্লাহ আল গালিবের লেখা ‘ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন’ বইয়ের কথা। অনেক চেষ্টা করেও বইটির ডাউনলোড লিংক সংগ্রহ করতে পারিনি। তারপর বইটি কিনতে গেলাম তাওহীদ পাবলিকেশন্সের শো’রুমে। সেখানেও সাক্ষাত মিললো না বইটার।
আমারও তৃষ্ণা দূর হলোনা। কারন আমি বিশ্বাস করি, ইসলামে যদি গনতন্ত্রকে হারাম করা হয় তাহলে ইসলামে অবশ্যই এর চেয়েও অনেক গুনে বেশি ভালো পদ্ধতি আছে দায়িত্বশীল ব্যক্তি নির্বাচনের। সে পদ্ধতিটি কি?- তা আমাকে জানতেই হবে।
জানার আর কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে গত ৭ই ফেব্রুয়ারী সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী স্যারকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলাম।
আমার প্রশ্নটি ছিল এরকম-
বর্তমানে বিভিন্ন ইসলামিক স্কলারগন গনতন্ত্রকে কুফরীতন্ত্র বলে থাকেন। এ বিষয়ে আপনার মতামত কি? গনতন্ত্র যদি নাজায়েজ হয়, তবে পছন্দমাফিকভাবে রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচনের সিস্টেমটা কি? আর গনতন্ত্র নাজায়েজ হলে যেসব দেশে মুসলমানরা সংখ্যালঘু, তাদের করনীয় কী হওয়া উচিৎ?
আমার প্রশ্নের প্রথম লাইন পড়েই উনি একটি মুছকি হাসি দিলেন। উনি যা বললেন তার মূল কথা হলো-
আমিও মানি ওনারা স্কলার। তবে কোন স্কলার ভুল করতে পারে না, এমন তো কোন কথা নেই! ওনারা যে কারনে গনতন্ত্রকে নাজায়েজ বলেন, তার মূল কারন হলো তারা বলেন গনতন্ত্রে আল্লাহকে বাদ দিয়ে সকল ক্ষমতার উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয় জনগনকে।
কিন্তু লক্ষ্য করুন, জনগন আল্লাহর প্রতিনিধি। তাই বুঝানো উচিৎ জনগনকে, যাতে তারা তাদের প্রতিনিধিত্বের কাজ সঠিকভাবে করতে পারে। জনগণ যদি নির্বাচন ও ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিজেকে আল্লাহর প্রতিনিধি মনে করে কাজ করে, তাহলে এটি কেন নাজায়েজ হবে?
‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’- কারো প্রতিনিধি এ কথা বলবে না। প্রতিনিধি বলবে ‘আমার ভোট আমি দেব মালিকের খুশি মত’।
আল্লাহর নির্দেশকে সামনে রেখে যখন কেউ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং আল্লাহর নির্দেশকে সামনে রেখে যখন কেউ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহনকরে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, তখন তা প্রকারান্তরে আল্লাহকেই সকল ক্ষমতার উৎস হিসেবে সাক্ষ্য দেয়া হয়।
তাই সমস্যা তো আসলে গনতান্ত্রিক সিস্টেমের মধ্যে না।
ইসলামের বিধান হচ্ছে মজলিসে শূরা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেবে। গনতন্ত্রেও তাই করা হয়। এবং এখানে মজলিশে শূরা গঠনে জনগণের পরামর্শ নেয়া হয়।
এটা মু’আমেলাত। মু’আমেলাত ততক্ষন পর্যন্ত জায়েজ, যতক্ষন পর্যন্ত এতে নাজায়েজ কিছু না আসে।
তাই যদি ভোট দিতে গিয়ে দেখেন এমন একজন প্রার্থীও নাই, যাকে আপনার ভালো মনে হয়, তাহলে এর থেকে দূরে থাকবেন।
সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরির এ জাবাবে দীর্ঘদিন পর মোটামুটি একটা ধারনা লাভ করলাম।
ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের উচিৎ কোন কিছুকে নাজায়েজ বললে সেক্ষেত্রে কোন কাজটি করা উচিৎ তাও জানিয়ে দেয়া। কিন্তু আফসোস!!! আমাদের অনেক ভাইই মনে হয় বিষয়টি খেয়াল করেন না।
বিষয়: বিবিধ
৮৯৯৭ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিশ্বে বা বাংলাদেশে যে গনতন্ত্র চর্চা হচ্ছে সেটা কি সঠিক?
নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদলের গনতন্ত্রে কি সঠিক ব্যাক্তিকে নির্বাচিত করা সম্ভব?
সকল শ্রেনীর মানুষের বুঝার সক্ষমতা সমান।
এর পর মিডিয়ার মিথ্যাচারের কারনে Right Person কে নির্বাচিত করা সম্ভব?
কিন্তু শিবির যেভাবে সভাপতি নির্বাচন করে সেটা সম্ভবত ঠিক। কারন এতে তৃনমুল নেতা কর্মীর সমর্থনের প্রতিফলন ঘটে।
ধরুণ একজন কাফের একজন মুসলিমকে বন্দী করে হাত পা বেঁধে একটা অন্ধকার কক্ষে অচেতন করে আটকে রেখেছে। নামাজ পড়া ফরজ। কিন্তু এমতাবস্থায় উক্ত মুসলমানের নামাজ পড়ার কি কোন ব্যবস্থা আছে? সেক্ষেত্রে নামাজ এর মত মহা গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত নষ্ট হলেও পাপ হবেনা। কারণ ইসলামের সাধারণ একটা নীতি হচ্ছে- যে বিষয় আপনার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত, কিংবা যেখানে আপনি একান্তই ঠেকে যাবেন সেক্ষেত্রে শরীয়তের হুকুম আহকাম এ ছাড় আছে। আমি আরেকটি উদাহরণ দিচ্ছি-নামাজের সামনে দিয়ে চলাচল করা নাজায়েজ ও গুনাহের কাজ। কিন্তু পবিত্র কাবা শরীফে এটা মানা হয়না। কারণ অতিরিক্ত ভিড়ের পরিস্থিতির কারণে সেটা মানা সম্ভব নয়।
গণতন্ত্রের বিষয়টাও তদরূপ। এটা ইসলামসম্মত না হলেও বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত। এটাকে কৌশলগত কারণে মেনে নিয়েই বোধ হয় এগুনো উচিত। কারণ নয়তো আমাদের আরো পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে, মুসলিমদের উপর জঙ্গি অপবাদ এর সম্ভাবনাও আরো বেশি তৈরি হবে। বলা হবে- এরা জঙ্গি, এরা গণতন্ত্র মানেনা।
৫১% ভোট পেয়েও কি আপনি টেকসই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করতে পারবেন? যদি পারতেন তাহলে মিশরের ঘটনাকে কি বলবেন? হয়তো তুরস্কের কথা বলবেন, কিন্তু তুরস্কের একে পার্টি ইসলামের মৌলিক বিষয়ে যে ছাড় দিয়েছে সেটা কতটুকু গ্রহনযোগ্য তা চিন্তার বিষয়।
ঠিক বলেছেন। কোনো কিছু করতে মানা করলে সেখানে কি করলে সেটা জায়েজ হবে সেরকম পরামর্শ কেউ দেয় না।
ধরুণ একজন কাফের একজন মুসলিমকে বন্দী করে হাত পা বেঁধে একটা অন্ধকার কক্ষে অচেতন করে আটকে রেখেছে। নামাজ পড়া ফরজ। কিন্তু এমতাবস্থায় উক্ত মুসলমানের নামাজ পড়ার কি কোন ব্যবস্থা আছে? সেক্ষেত্রে নামাজ এর মত মহা গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত নষ্ট হলেও পাপ হবেনা। কারণ ইসলামের সাধারণ একটা নীতি হচ্ছে- যে বিষয় আপনার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত, কিংবা যেখানে আপনি একান্তই ঠেকে যাবেন সেক্ষেত্রে শরীয়তের হুকুম আহকাম এ ছাড় আছে। আমি আরেকটি উদাহরণ দিচ্ছি-নামাজের সামনে দিয়ে চলাচল করা নাজায়েজ ও গুনাহের কাজ। কিন্তু পবিত্র কাবা শরীফে এটা মানা হয়না। কারণ অতিরিক্ত ভিড়ের পরিস্থিতির কারণে সেটা মানা সম্ভব নয়।
গণতন্ত্রের বিষয়টাও তদরূপ। এটা ইসলামসম্মত না হলেও বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত। এটাকে কৌশলগত কারণে মেনে নিয়েই বোধ হয় এগুনো উচিত। কারণ নয়তো আমাদের আরো পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে, মুসলিমদের উপর জঙ্গি অপবাদ এর সম্ভাবনাও আরো বেশি তৈরি হবে। বলা হবে- এরা জঙ্গি, এরা গণতন্ত্র মানেনা।
ধরুণ একজন কাফের একজন মুসলিমকে বন্দী করে হাত পা বেঁধে একটা অন্ধকার কক্ষে অচেতন করে আটকে রেখেছে। নামাজ পড়া ফরজ। কিন্তু এমতাবস্থায় উক্ত মুসলমানের নামাজ পড়ার কি কোন ব্যবস্থা আছে? সেক্ষেত্রে নামাজ এর মত মহা গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত নষ্ট হলেও পাপ হবেনা। কারণ ইসলামের সাধারণ একটা নীতি হচ্ছে- যে বিষয় আপনার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত, কিংবা যেখানে আপনি একান্তই ঠেকে যাবেন সেক্ষেত্রে শরীয়তের হুকুম আহকাম এ ছাড় আছে। আমি আরেকটি উদাহরণ দিচ্ছি-নামাজের সামনে দিয়ে চলাচল করা নাজায়েজ ও গুনাহের কাজ। কিন্তু পবিত্র কাবা শরীফে এটা মানা হয়না। কারণ অতিরিক্ত ভিড়ের পরিস্থিতির কারণে সেটা মানা সম্ভব নয়।
গণতন্ত্রের বিষয়টাও তদরূপ। এটা ইসলামসম্মত না হলেও বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত। এটাকে কৌশলগত কারণে মেনে নিয়েই বোধ হয় এগুনো উচিত। কারণ নয়তো আমাদের আরো পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে, মুসলিমদের উপর জঙ্গি অপবাদ এর সম্ভাবনাও আরো বেশি তৈরি হবে। বলা হবে- এরা জঙ্গি, এরা গণতন্ত্র মানেনা।
আপনি নিজেও জানেন হয়তবা "মওদুদী" (রহ) কিন্তু গনতন্ত্রকে কুফরী মতবাদ হিসেবে আক্ষ্যায়িত করেছেন। তবে কোন পদ্দতিতে ইসলামি রাষ্ট্রের খলিফা নিযুক্তহবেন তা পরিস্কার করা জরুরী।
গনতন্ত্রকে ইসলামি পোষাক পরাবার কোন মানে হয়না। ইসলাম নিজেই ১০০।
আজ আমাদের দেশের প্রধন যারা তারা নামে মুসলিম কামে অমুসলিম। তাই আমাদের ধয্য ধরা ছাড়া আর কোন পথ নাই। এবং আল্লাহর কাছে সাহয্য চাওয়াটাই শ্রেয়। (তবে জালিম হলে তার বিরুদ্ধ্যে কথা বলতে হবে)
আমার মনে হয় আমাদের জন্য কোরআনে আসহাবে কাহাফের ঘটনা থেকে এক্ষেত্রে শিক্ষা নেয়া যেতে পারে।
সেই যুবকরা তার ৯০০শত আরো ৯ বছর পর যখন ঘুম থেকে উঠলো তখন তারা কিন্তু ভেবেছিল এখোন সেই অত্যাচারি রাজা/শাসক আছে।
কিন্তু আল্লাহ তা পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন ন্যায়বান,সত্যনিষ্ঠ শাসক দারা।
তাই, আজ হয়ত বা আমরা পথ খুজে পাচ্ছিনা বা ভাবতেছি গনতন্ত্র ছাড়া কি ভাবে সম্ভব???
কিন্তু আল্লাহর কাছে এটা কোন ব্যাপারি নয়।
ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ আমাদেরকে সাহয্য করবেন তার পক্ষথেকে যদি আমরা সঠিক মুমিন,তাকওয়াবান,তাওহীদবাদী হই।
আল্লাহ আমাদের সত্য পথ দেখার সরল পথে থাকার তাওফিক দিন আমিন।
৩০০ শত ৯ বছর।
(সুরা কাহাফ আয়াত/২৫)
ধরুণ একজন কাফের একজন মুসলিমকে বন্দী করে হাত পা বেঁধে একটা অন্ধকার কক্ষে অচেতন করে আটকে রেখেছে। নামাজ পড়া ফরজ। কিন্তু এমতাবস্থায় উক্ত মুসলমানের নামাজ পড়ার কি কোন ব্যবস্থা আছে? সেক্ষেত্রে নামাজ এর মত মহা গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত নষ্ট হলেও পাপ হবেনা। কারণ ইসলামের সাধারণ একটা নীতি হচ্ছে- যে বিষয় আপনার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত, কিংবা যেখানে আপনি একান্তই ঠেকে যাবেন সেক্ষেত্রে শরীয়তের হুকুম আহকাম এ ছাড় আছে। আমি আরেকটি উদাহরণ দিচ্ছি-নামাজের সামনে দিয়ে চলাচল করা নাজায়েজ ও গুনাহের কাজ। কিন্তু পবিত্র কাবা শরীফে এটা মানা হয়না। কারণ অতিরিক্ত ভিড়ের পরিস্থিতির কারণে সেটা মানা সম্ভব নয়।
গণতন্ত্রের বিষয়টাও তদরূপ। এটা ইসলামসম্মত না হলেও বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত। এটাকে কৌশলগত কারণে মেনে নিয়েই বোধ হয় এগুনো উচিত। কারণ নয়তো আমাদের আরো পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে, মুসলিমদের উপর জঙ্গি অপবাদ এর সম্ভাবনাও আরো বেশি তৈরি হবে। বলা হবে- এরা জঙ্গি, এরা গণতন্ত্র মানেনা।
কাফের যে মুসলিমকে বেধে রেখেছে সেটা কোন রাস্ট্র? কাফের রাস্ট্র না ইসলামিক রাস্ট্র?
যদি কাফের রাস্ট্র হয় তাহলে তো তার চান্স আসলেই হিজরত করা জরুরী এবং এটা জীবন মরন সমস্যা তাই তার জন্য ফরজের আইন শীথিল।
কিন্তু যদি মুসলিম সংখাগরিস্ট দেশে হয় তাহলে শাসকেই যথেস্ট সাথে মুসলিম সকলেই থাকবে।
এখন এই গনতন্ত্র যে আমরা করব তা কি কোন কাফের প্রধান দেশে না কি মুসলিম প্রধান দেশে?
কাফের দেশে হলে দেখা যেতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের মতো মুসলিম প্রধান দেশে হলে কিন্তু গনতন্ত্রকে ইসলামের পোশাক পরার কোন মানেই হয় না।
তাই গনতন্ত্রকে ইসলামের পোষাকে ইসলামাইজড না করাই উত্তম।
এই জাতি তখনই মুক্তি পাবে যদি পূর্ববর্তী স্বর্ন যুগের মানুষ গুলোর মতো চলতে চেস্ঠা করে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
ধরুণ একজন কাফের একজন মুসলিমকে বন্দী করে হাত পা বেঁধে একটা অন্ধকার কক্ষে অচেতন করে আটকে রেখেছে। নামাজ পড়া ফরজ। কিন্তু এমতাবস্থায় উক্ত মুসলমানের নামাজ পড়ার কি কোন ব্যবস্থা আছে? সেক্ষেত্রে নামাজ এর মত মহা গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত নষ্ট হলেও পাপ হবেনা। কারণ ইসলামের সাধারণ একটা নীতি হচ্ছে- যে বিষয় আপনার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত, কিংবা যেখানে আপনি একান্তই ঠেকে যাবেন সেক্ষেত্রে শরীয়তের হুকুম আহকাম এ ছাড় আছে। আমি আরেকটি উদাহরণ দিচ্ছি-নামাজের সামনে দিয়ে চলাচল করা নাজায়েজ ও গুনাহের কাজ। কিন্তু পবিত্র কাবা শরীফে এটা মানা হয়না। কারণ অতিরিক্ত ভিড়ের পরিস্থিতির কারণে সেটা মানা সম্ভব নয়।
গণতন্ত্রের বিষয়টাও তদরূপ। এটা ইসলামসম্মত না হলেও বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত। এটাকে কৌশলগত কারণে মেনে নিয়েই বোধ হয় এগুনো উচিত। কারণ নয়তো আমাদের আরো পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে, মুসলিমদের উপর জঙ্গি অপবাদ এর সম্ভাবনাও আরো বেশি তৈরি হবে। বলা হবে- এরা জঙ্গি, এরা গণতন্ত্র মানেনা।
ইমাম আবু হানীফা (র)এর সময়ে কোন তন্ত্র ছিল ? উনার প্রধান ছাত্র ইমাম আবু ইউসুফ (র)যে উমাইয়া খেলাফতের প্রধান বিচারক ছিলেন সেটা কি ইসলামী রাষ্ট্র ছিল না ?
আসলে আমরা বড় বড় কথা/চিন্তা করতে ভালবাসি।
যদি জিগ্গেস করি ইমানের কয়টা খুটি, অনেকেই বলতে পারবে না।
ফজরের নামাযে কয় পার্সেন্ট মানুষ মসজিদে যায়, ১% ও হবে না হয়ত। যেদিন কমপক্ষে ৭০% মানুষ ফজরে মসজিদে যাবে সেদিন আল্লাহ ইসলাম বাস্তবায়নকারী দের হাতে ক্ষমতা দিবেন ইনশা আল্লাহ। এই ওয়াদা আল্লাহ নিজে করেছেন সুরা নুর এ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন