COPD: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
লিখেছেন লিখেছেন শরফুদ্দিন আহমদ লিংকন ১৯ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:০৬:৫৩ রাত
COPD’র পূর্নরূপ হচ্ছে-Chronic obstructive pulmonary disease বা দীর্ঘ সময় ধরে ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধার ফলে সৃষ্ট এক প্রকার মারাত্মক রোগ। এটি ফুসফুসের এমন একটি রোগ যার ফলে শ্বাসপ্রশ্বাস বাধাগ্রস্ত হয় এবং রোগী শ্বাসকষ্টে ভোগেন। এটি chronic obstructive lung disease (COLD), chronic obstructive airway disease (COAD), chronic airflow limitation (CAL), এবং chronic obstructive respiratory disease (CORD) নামেও পরিচিত।
COPD একটি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, যা বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা (Chronic morbidity) সৃষ্টি করে এবং মৃত্যুর একটি কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে শীতকালে অনেকেই এই রোগে ভোগেন এবং কম বয়সে এই রোগে অথবা এই রোগের জটিলতায় মৃত্যুবরণ করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, ২০১২ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী COPD রোগ বিস্তৃতি হিসেবে পঞ্চম এবং মৃত্যুর কারণ হিসেবে তৃতীয়। তাছাড়া অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষতির কারণ হিসেবেও COPD উল্লেখযোগ্য। COPD রোগ আমাদের দেশের অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা। চিকিৎসক এবং রোগী উভয়ের জন্যই এটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় এবং কখনো কখনো হতাশাজনকও বটে। কারণ বেশির ভাগ রোগী প্রাথমিক পর্যায়ে আসেন না। কারন অনেক ক্ষেত্রেই এটি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরাও পড়েনা। কিছুদিন ঔষুধ সেবনের ফলে সাময়িকভাবে রোগের প্রকোপ কিছুটা কমলেই অনেকে ঔষুধ সেবন বন্ধ করে দেন। ফলে কিছুদিন পর রোগ আবার চাঙ্গা হয়ে উঠে। তাই অনেক চিকিৎসককেই এ রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে বেশ বেগ পোহাতে হয়। এক গবেষণায় দেখা যায়, শতকরা ৬ ভাগ লোক এই রোগে আক্রান্ত। আমেরিকার একটি গবেষনায় প্রাপ্ত তথ্য মতে, এটি আমেরিকার তৃতীয় সর্বোচ্চ ভয়াবহ রোগ।
এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ২০ নভেম্বরকে ‘বিশ্ব COPD দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- “It’s not too late.” রোগের লক্ষন প্রকাশ পাবার সাথে সাথেই উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহন করার ব্যাপারে জনগনকে সচেতন করে তোলাই এবারকার ‘বিশ্ব COPD দিবস’র মূল লক্ষ্য। দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন প্রকার কর্মসূচীর আয়োজন করে থাকে।
আজ আমরা এ রোগ সম্পর্কে কিছুটা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
শুরুতেই ফুসফুস সম্পর্কে কিছূ জেনে নেয়া প্রয়োজন।
ফুসফুস আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসের কাজে ব্যবহৃত প্রধান অঙ্গ। এটা দেখতে স্পঞ্জের মত এবং বক্ষ গহবরের উভয় পাশেই বিস্তৃত। ফুসফুসের ডান অংশ তিনভাগে বিভক্ত এবং বাম অংশ দুইভাগে বিভক্ত।
ফুসফুসের গঠন ও কার্যকরী একক হচ্ছে এলভিওলাই। এটি গ্যাস, অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড আদান-প্রদান করে। একজন মানুষের শরীরে সাধারনত সর্বমোট ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন এলভিওলাই থাকে। একজন পূর্ন বয়স্ক মানুষের এলভিওলাইয়ের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৫ বর্গমিটার।
স্বাভাবিক অবস্থায় বাতাস সহজেই ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং ফুসফুস থেকে বের হয়ে যায়। যখন মানুষ শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়, তখন এ স্বাভাবিকতা ব্যহত হয়। এ অস্বাভাবিক অবস্থাকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়।
১) অবস্ট্রাক্টিভ লাঞ্জ ডিজিসঃ এতে ফুসফুসের বায়ু প্রবাহের পথ সংকীর্ন অথবা ব্লক হয়ে যায়। COPD, ইম্পাইসিমা, এজমা এর প্রকৃষ্ট উদাহরন।
২) রেস্ট্রিক্টিভ লাঞ্জ ডিজিসঃ এতে ফুসফুস বা লাঞ্জ টিস্যু নষ্ট হয়ে যায়। যেমন-লাঞ্জ ক্যান্সার।
বর্তমান বিশ্বে দীর্ঘদিনযাবত শ্বাসনালীর আবদ্ধতাজনিত রোগ(COPD)- এর প্রকোপ ব্যাপক । এ রোগের কারণে রোগী এবং রোগীর পরিবারের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে এবং এর কারণে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তারপরেও বাস্তবতা হচ্ছে প্রতি দুই থেকে চার জন COPD-এ আক্রান্তদের মধ্যে এক জন এখনও জানেই না যে তার এ রোগ হয়েছে। ২০০৪ সালের এক হিসেবে সারা পৃথিবীতে আনুমানিক ৬৪ মিলিয়ন মানুষ COPD তে আক্রান্ত। ২০০৫ সালে এ রোগের কারণে ৩০ লাখ মানুষ মৃত্যু বরণ করেছে। সারা পৃথিবীতে যত মানুষ মারা যায় তার প্রতি ২০ জনে ১ জন মারা যায় এ রোগে আক্রান্ত হয়ে। আর এ মৃত্যুর ৯০% ঘটে কম এবং মাঝারি আয়ের দেশগুলিতে।
কাদের বেশি হয়?
COPD রোগের জানা কারণগুলোর মধ্যে ধূমপান প্রধান। সাধারণত যে যত দীর্ঘ সময় ধূমপান করবে তার COPD হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। নিজে ধূমপান না করে ধূমপায়ীর কাছে দীর্ঘ সময় থাকলেও এ রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন অতিরিক্ত ধূম পান করলে শ্বাস নালী ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ধীরে ধীরে এ রোগের লক্ষন উপসর্গ প্রকাশ পেতে থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধূমপান ছাড়লে অনেকে এ রোগের আক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে পারে ।কিন্তু বেশী দেরী করলে ধূমপান ছাড়লেও আর উপকার পাওয়া যায় না।
আগে এ রোগের প্রকোপ মূলত পুরুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল; কিন্তু আজকাল বিশ্বের অনেক দেশে মহিলাদের ধূমপান করার প্রবণতা বাড়ার ফলে তাদের মধ্যেও COPD-এর প্রকোপ বাড়ছে।
কর্মক্ষেত্রে জৈব-অজৈব ধূলিকণা বেশি হলে।
রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে কাঠ, শুকনো খড় ইত্যাদির ব্যবহারের কারনে।
মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণ হলে।
ফুসফুসের সংক্রমণ হলে, যেমন ঘন ঘন ভাইরাস সংক্রমণ। তাছাড়া জন্মগতভাবে ফুসফুস ঠিকমতো না গড়লে এবং আলফা ওয়ান এনটিট্রিপসিন নামক এনজাইমের ঘাটতি হলেও COPD রোগ হয়। তাছাড়াও যাদের এজমা সংক্রান্ত সমস্যা আছে, তাদের এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এই রোগ নিরাময়যোগ্য নয়। কিন্তু আগে শনাক্ত করা গেলে এবং চিকিৎসা দিলে এর গতি শ্লথ করা যায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে এর ঝুঁকি উপাদান বিশেষত ধূমপানের হার কমাতে না পারলে, আগামী ১০ বছরে দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসনালীর আবদ্ধতাজনিত রোগ(COPD)-এ মৃত্যু হার ৩০% বৃদ্ধি পাবে।
লক্ষন- উপসর্গ শুনে অনেক সময় হাঁপানি(asthma) ও COPD এ রোগ দুটিকে আলাদা করা মুশকিল। কিন্তু এদের গতি প্রকৃতি এবং পরিণতি এক রকম নয়।
COPD রোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে – ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস বা শ্বাস নালীর দীর্ঘ মেয়াদী প্রদাহ এবং এম্ফাইসেমা বা ফুসফুসের অতি প্রসারণ।
এদের মূল বৈশিষ্ট্য হল ফুসফুসের বায়ু পথ সরু হয়ে যাওয়া । এ কারণে ফুসফুসে বাতাস পুরোপুরি ঢুকতে পারে না এবং দম ছাড়ার সময় ফুসফুসের বায়ু পুরো খালি হয় না। এ কারণে দম ভারি হয়ে আসে এবং শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়। সমস্যা হচ্ছে একবার ফুসফুসে বায়ু সরবরাহকারী নালী সমূহ সঙ্কীর্ণ হয়ে গেলে, তা সহজে আগের অবস্থায় পুরোপুরি ফিরে আসে না। এ কারনে সংশ্লিষ্ট কোষসমূহে দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহজনিত একটি অতি সংবেদনশীল অবস্থা বিরাজ করতে থাকে।
রোগের লক্ষণ :
শ্বাসকষ্ট ও কাশি COPD রোগের প্রধান লক্ষণ। সাধারণত এ রোগে কাশি প্রতি বছর কম পক্ষে তিন মাসের বেশী স্থায়ী হয়, শীত কালে এর প্রকোপ বাড়ে। কাশির সঙ্গে প্রচুর শ্লেষ্মা নিসৃত হয়। শ্বাসকষ্ট সাধারণত কমবেশি সার্বক্ষণিক বিদ্যমান থাকে এবং চলাফেরায় বা কাজ কর্মে বৃদ্ধি পায়।এ অবস্থা পর পর দুই বছর বা তার চেয়ে বেশী স্থায়ী হলে মনে করা হয় COPD হয়েছে। সঠিক চিকিৎসা না নিলে শ্বাসকষ্ট দিন দিন বাড়তে থাকে। কাশির সঙ্গে কফ (Sputum) থাকতে পারে এবং কোনো কোনো সময় শ্বাসকষ্ট, খুকখুক কাশি অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। রোগী অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে যায় এবং শরীরের ওজন কমে যায়।
যাদের ফুসফুসের বায়ু থলি অতিরিক্ত প্রসারিত হয়ে যায় তাদের শ্বাস কষ্ট বেশী হয়। এ রোগের ভোগান্তি রোগী এবং তার পরিবারের নিকট জনই কেবল উপলব্ধি করতে পারে।
রোগ নির্ণয় :
COPD নিশ্চিত হওয়ার জন্য Spirometry পরীক্ষা করা যেতে পারে। এ পরীক্ষা করতে কোনও ব্যথা লাগে না কিংবা অন্য কোনও জটিলতার আশঙ্কা নাই। কিন্তু COPD যত তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যায় ততই মঙ্গল। এর ফলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায় এবং রোগ প্রতিরোধের পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়। তাছাড়া ফুসফুসের অন্য কোণ সমস্যা আছে কি না জানার জন্য প্রাথমিকভাবে বুকের X-Ray করা প্রয়োজন। Spirometry পরীক্ষার মাধ্যমে রোগনির্ণয় ছাড়াও রোগের তীব্রতা পরিমাপ করা যায়, যা যথাযথ ও সঠিক চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সময় মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উপযুক্ত পরামর্শ গ্রহণ না করলে COPD’র ফলে নানা রকম জটিলতা হয়। এ রোগের কারণে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। এর ফলে শরীরে সব সময় দুর্বলতা অনুভূত হয়। এ ছাড়া রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন COPD তে ভুগলে হৃদপিণ্ডের ডান নিলয় প্রসারিত হয়ে যায় এক পর্যায়ে বিকলতা দেখা দেয়। রক্তে অক্সিজেন কমে যাওয়া এবং কার্বনডাই অক্সাইড বেড়ে যাওয়ার কারণে এক পর্যায়ে শ্বাসতন্ত্রও বিকল হয়ে যেতে পারে।
COPD প্রতিরোধের জন্য আমাদের কতগুলি বিষয় বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে-
-ধূমপান পরিহার করতে হবে।
-বিভিন্ন কারণে আমরা যে ধোঁয়া-ধুলা-বালি শ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করি , তার পরিমাণ কমাতে হবে। এ জন্য ঘরের ভিতরে এবং বাইরে সব রকম উত্তেজক ও অ্যালার্জি সৃষ্টি কারী উপাদান সযত্নে পরিহার করতে হবে।
-ঘরে চুলা থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে।
-ঘন ঘন যেন শ্বাস নালীর জীবাণু সংক্রমণ জনিত প্রদাহ না হতে পারে , সে জন্য সজাগ থাকতে হবে।
চিকিৎসাঃ
যারা COPDতে ভুগছেন তাদের অবশ্যই হাসপাতালে কিংবা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারনত শ্বাস নালীকে প্রসারিত করার জন্য উপশমকারী ওষুধ ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়া জীবাণু সংক্রমণের লক্ষন প্রকাশ পেলে উপযুক্ত অ্যান্টি বায়োটিক ব্যবহার করতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার প্রকোপ কমানোর জন্য আজ টীকা পাওয়া যায়। টীকা দিলে ঘন ঘন ফ্লু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এ ছাড়া ফুসফুস এবং শ্বাস নালীর ব্যায়াম COPD’র জন্য বিশেষ উপকারী। উপযুক্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ , মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ প্রশমন করার মাধ্যমেও ক্রনিক শ্বাসনালীর আবদ্ধতাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা যথেষ্ট উপকার পেতে পারেন।
সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এ রোগ আগে শনাক্ত করা হলে, ঝুঁকি উপাদান বিশেষত ধূমপান কমাতে পারলে এবং যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে এই দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমানো সম্ভব হবে।
এ ভয়াবহ রোগের চিকিৎসায় আমাদের দেশের এক কৃতি সন্তানের অবদান স্মরন না করলে প্রবন্ধটি বহুলাংশেই অপূর্ন থেকে যাবে।
বাংলাদেশের মেয়ে আয়েশা আরেফিন।
বর্তমানে তিনি লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরিতে গবেষণার পাশাপাশি ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকোতে ন্যানো-সায়েন্সের উপর ডক্টরেট করছেন। আয়েশা লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরির বায়ো-সিকিউরিটি বিভাগে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপরেই ওই ল্যাবের ভারতীয় গবেষক প্রখ্যাত টক্সিকোলজিস্ট রাশি আইয়ার আয়েশাকে অপ্টোজেনিক্স সংক্রান্ত গবেষণা কাজের জন্য নিয়োগ দেন। অপ্টোজেনিকস হচ্ছে জিন-বিদ্যা ও প্রোটিন প্রকৌশল (ইঞ্জিনিয়ারিং)-এর মাধ্যমে জীবন্ত টিস্যুর মাঝে ঘটতে থাকা বিভিন্ন স্নায়ুবিক কাজ (neuron activity) নিয়ন্ত্রণ করা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কৃত্রিম টিস্যু বা কলা তৈরি করা সম্ভব। আয়েশা ও রাশি আয়ারের দলের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট বিষক্রিয়া, রোগ ও কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপনের জন্য সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন। তারা একটি কৃত্রিম মানব ফুসফুস তৈরি করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, Chronic Obstructive Pulmonary Disease-এর সময় ফুসফুসের কোষগুলো কিভাবে কাজ করে তা জানা ও এর প্রতিষেধক উদ্ভাবন করা।
আয়েশা বলেন আমাদের উদ্ভাবন নিয়ে আমি আনন্দিত। আমার গবেষণাগারের মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি আনন্দিত যে ব্যতিক্রম কিছু করার সুযোগ পেয়েছি।'
বিষয়: বিবিধ
৪৫২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন