“গোল আলু” এর পুষ্টিগুণ
লিখেছেন লিখেছেন শরফুদ্দিন আহমদ লিংকন ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১২:৪১:৪১ দুপুর
বাংলাদেশের অতি পরিচিত খাদ্য ‘গোলআলু’। এই খাদ্য আমাদের দেশে আনা হয়েছিল ইউরোপের হল্যান্ড থেকে।আমাদের দেশের শহর-বন্দর থেকে শুরু করে গ্রাম গঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃতি এ সবজির। মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও ব্যচেলারদের খাদ্য তালিকায় মোটামুটি নিয়মিত থাকতে দেখা যায় তুলনামূলকভাবে সস্তা ও খাদ্য হিসেবে পক্রিয়াজাত করতে সুবিধাজনক এ সবজিকে। আজ আমরা আমাদের অতি পরিচিত এ খাদ্যের পুষ্টিগুন সম্পর্কে কিছু জানার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
প্রতি ১০০ গ্রাম আলুতে আছে-
শর্করা – ১৯ গ্রাম,
খাবার আঁশ – ২.২ গ্রাম,
উদ্ভিদ প্রোটিন – ২ গ্রাম,
খনিজ লবণ – ০.৫২ গ্রাম যার মধ্যে পটাশিয়াম লবণই ০.৪২ গ্রাম,
এবং ভিটামিন – ০.০২ গ্রাম।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, এতে একদিকে যেমন ভাতের মত শর্করা আছে, তেমনি অন্যদিকে সবজির মত খাবার আঁশ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন আছে। যার ফলে এটিকে সুষম খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
তাইতো কথায় বলে-
বেশি করে আলু খান,
ভাতের উপর চাপ কমান।
আলুতে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি থাকে, যা আমাদের শরীরের দূর্বলতা দূর করতে সহায়তা করে। আলুতে কোন চর্বি বা ফ্যাট নেই বললেই চলে। তাই এ খাবার মোটামুটি সবার জন্যই উপকারী। আলুতে থাকে লোহা ও ক্যালসিয়ামের মত খনিজ উপাদান, যা হৃদরোগের অন্যতম প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আলু একটি উপকারী খাদ্য, কারন এটি রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে। পটাশিয়ামের পরিমান বেশি থাকায় এটি শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য আলু তাই অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার।
আলুতে এক ধরনের প্রোটিনেস ইনহিবিটর থাকে, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। খেলোয়াড়দের জন্য আলু একটি উত্তম খাদ্য। কারন আলু থেকে প্রাপ্ত শক্তি লাইকোজেন হিসেবে মাংসপেশি ও লিভারে সঞ্চিত থাকে। আলু সহজেই হজমযোগ্য। পস্রাবের জ্বালাপোড়া দূরীকরণেও এটি ভূমিকা পালন করে। কিডনী রোগীদের জন্য আলু একটি উপকারী খাদ্য। যথেষ্ট ক্যালরি থাকার কারনে ডায়রিয়া জনিত কারনে শরীরের ঘাটতি পূরনের জন্যও আলু একটি উত্তম পথ্য।
বিষয়: বিবিধ
৫০৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন