সুবহানআল্লাহ! মাত্র এক মাসে কুরআনে হাফেজ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার অন্ধ দুই শিশু।
লিখেছেন লিখেছেন শরফুদ্দিন আহমদ লিংকন ২৪ জুন, ২০১৩, ০৯:১৩:০২ সকাল
যেমনি কণ্ঠস্বর, তেমনি মায়াবী চেহারা। যেন একই বৃন্তে দু’টি ফুটন্ত গোলাপ। দু’ভাইয়ের কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত শুনে মুগ্ধ ফরিদগঞ্জবাসী। জন্মান্ধ হয়েও শুনে শুনে পবিত্র কোরআনের সমস্ত সূরাগুলো মুখস্ত করেছে ৭ বছরের জমজ দু’ভাই হাসান-হোসাঈন।
জন্ম থেকেই পৃথিবীর আলো দেখেনি তারা। ছোট বেলা থেকেই কোরআন শোনার প্রতি আগ্রহ ছিল তাদের দু’জনের। যেখানেই কোরআন তেলাওয়াত হতো সেখানেই ছুটে যেত। চোখে না দেখলেও মন দিয়ে শুনতো কোরআনের সূরাগুলো। আর সেই আগ্রহ থেকেই কোরআনে হাফেজ হল ৭ বছরের দু’সহোদর।
শনিবার ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের মাহফিলে দু’ভাইয়ের কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত শুনে মুসল্লিরা শুধু মুগ্ধই হননি, পুরস্কৃতও করেন তাদের।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সাহেবগঞ্জ গ্রামের কামিন উদ্দিন ছৈয়াল বাড়ির মো. আলমগীর হোসেনের জমজ দু’সন্তান হাসান-হোসাঈন। প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেওয়ার পর যখন তারা সমাজের চোখে অবহেলিত ছিল, তখন তাদের বাবা-মা তাদের কোরআনে হাফেজ করে সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য করার স্বপ্ন দেখলেন। গত এক মাস আগে হাসান-হোসাঈনের বাবা মো. আলমগীর হোসেন তাদের ফরিদগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড জামে মসজিদের ইমাম আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলামের কাছে কোরআন শিক্ষার জন্য ভর্তি করিয়ে দিয়ে যান। মাত্র এক মাসে আলহাজ মো. নজরুল ইসলামের নিরলস প্রচেষ্টায় তারা এখন কোরআনে হাফেজ। তারা শুধু কোরআনের সূরাগুলো বলতেই পারেন না। শুদ্ধ তেলাওয়াতও করতে পারেন।
এ ব্যাপারে আলহাজ মো. নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওরা দু’জনই আমার ছাত্র। ইচ্ছাশক্তি থাকলে অন্ধ থেকেও যে আল্লাহর কালাম শরীফ পবিত্র কোরআন যে কেউ মুখস্ত করতে পারেন হাসান-হোসাঈন তার বাস্তব উদাহরণ। আমি আশাবাদী ওরা আগামিতে আরও ভাল করবে।
এখানে দেখুন
বিষয়: বিবিধ
২২৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন