শ্রমিক দিবসঃ আজো শ্রমিকরা পায়না তাদের ন্যায্য অধিকার

লিখেছেন লিখেছেন শরফুদ্দিন আহমদ লিংকন ০১ মে, ২০১৩, ১২:৩০:৫৮ দুপুর



চিরসুখী জন, ভ্রমে কী কখন, কথিত বেদন, বুঝিতে কী পারে?

কি যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে, কভু আশিবিষে, দংশেনি যারে!

হ্যাঁ। কবির কথাটি অক্ষরে অক্ষরে ঠিক। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে মানুষ উপলব্ধি করতে পারে না শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট। প্রচন্ড রোদে মাথার ঘাম পায়ে পেলে কত কষ্টে একজন দিনমজুর তার খাবারের ব্যবস্থা করে, তা এসি করা সুগন্ধযুক্ত রুমে, আরামের চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে চিন্তা করার সময়ও থাকে না অনেকের। আর যারা অনেক কষ্ট করে কিছু সময় বের করে এসব চিন্তা করার জন্য, তাদের অনেকেই মনে করে গরীবের জন্মই তো হয়েছে ধনীর সেবা করার জন্য। এটাই তো তাদের কাজ। তাই তাদের খাটানো হয় গাধার মত। দৈনিক ১৩ ঘণ্টা, কখনো কখনো আঠারো ঘন্টা, এমনকি কখনো দৈনিক বিশ ঘণ্টা পর্যন্ত তাদেরকে খাটানো হত। তাদের মানুষ বলে কোন মর্যাদা ছিল না। তারা ছিল ধনীদের দাস মাত্র। এভাবে চললো দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। বছরের পর বছর। দিন যায়, ঋতু বদলায়। শুধু বদলায় না শ্রমিকদের ভাগ্য।

দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিত হতে হতে তাদের মধ্যে জেগে উঠে প্রতিবাদের আগুন।

১৯৮৪ সাল।

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের একদল শ্রমিক আন্দোলন শুরু করে দৈনিক ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের জন্য। এবং তাদের এ দাবী কার্যকর করার জন্য তারা সময়ও বেঁধে দেয় ১৯৮৬ সালের ১লা মে। কিন্তু কারখানার মালিকগণ মেনে নিল না তাদের এ দাবী।

৪ঠা মে, ১৯৮৬। দুপুর গড়িয়ে হলো বিকেল। উপর থেকে নামল হালকা বৃষ্টি-পরিবেশকে ঠান্ডা করতে। আর যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে-মার্কেট নামক এক বাণিজ্যিক এলাকায় শ্রমিকগণ জড়ো হন-তাদের ন্যায্য দাবী আদায় করতে। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে বৃষ্টিস্নাত বিকেল। কেঁপে উঠে শোষক শ্রেনীর মসনদ। বক্তৃতা দিচ্ছিলেন শ্রমিক নেতা আগস্ট স্পীজ। হঠাৎ শ্রমিকদের উপর শুরু হয় পুলিশের অতর্কিত আক্রমণ। যা রায়টের রূপ নেয়। এতে ১১ জন শ্রমিক নিহত হন। কিন্তু দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার-এটা যেন চিরাচরিত এক ব্যাপার। ভিক্টিমদের উপরেই দেয়া হয় মিথ্যা মামলা। গ্রেফতার করা হয় আগস্ট স্পীজ সহ আট জন শ্রমিক নেতাকে। এক প্রহসনমূলক বিচারের পর ১৮৮৭ সালের ১১ই নভেম্বর উন্মুক্ত স্থানে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। লুইস লিং নামে একজন একদিন পূর্বেই কারাভ্যন্তরে আত্মহত্যা করেন, অন্য একজনের পনের বছরের কারাদন্ড হয়। ফাঁসির মঞ্চে আরোহনের পূর্বে আগস্ট স্পীজ বলেছিলেন, "আজ আমাদের এই নি:শব্দতা, তোমাদের আওয়াজ অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী হবে"।

শিকাগোর ফরেস্ট পার্কে জার্মান ওয়াল্ডহেইম কবরস্থানে যেখানে তাঁদেরকে সমাহিত করা হয়, ১৮৯৩ সালে সেখানে তাঁদের স্মরণে একটি মনুমেন্ট নির্মাণ করা হয়। আর একশ’ বছর পরে এসে ভাস্কর আলবার্ট ওয়েইনার্ট নির্মিত এই মনুমেন্টকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ন্যাশনাল হিস্টরিক ল্যান্ডমার্ক হিসেবে ঘোষণা করে।

২৬শে জুন, ১৮৯৩ সালে ইলিনয়ের গভর্ণর অভিযুক্ত আটজনকেই নিরপরাধ বলে ঘোষণা দেন, এবং রায়টের হুকুম প্রদানকারী পুলিশের কমান্ডারকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের "দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার" দাবী অফিসিয়াল স্বীকৃতি পায়। ১৮৮৯ সালে ফ্রেডারিক এঙ্গেল্‌স-এর নেতৃত্বে প্যারিসে অনুষ্ঠিত এক সন্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুসারে সমগ্র দুনিয়ার শ্রমিক শ্রেণী একটি সৈন্যবাহিনী হিসাবে একই পতাকা তলে সমবেত হয়ে ১৮৯০ সাল হতে মে দিবসকে শ্রমিক শ্রেণীর আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

অতি দুঃখ জনক হলেও সত্য, শিকাগোর শ্রমিকেরা যেসব দাবিতে রাজপথে নেমেছিলেন, আজও সেসব দাবির অনেক কিছুই এ দেশে পূরণ হয়নি। বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষকে ন্যায্য মজুরি, কার্যক্ষেত্রে নিরাপত্তা, সদাচরণসহ ন্যূনতম মানবিক পরিবেশের দাবিতে এখনো রাজপথে আন্দোলন করতে হয়। আজও তাঁরা অনেক মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত।

গত দুই দশকে বিশ্বায়নের ফলে আমাদের দেশেও অর্থনৈতিক গতিশীলতা বেড়েছে, কিন্তু বাড়েনি শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নতি। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে শ্রমিকদের একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। অনেক জায়গায় শ্রমিকদেরকে সংঘটিত হতেও বাধা দেয়া হয়। আবার অনেক জায়গায় তারা সংঘটিত হতে পারলেও তাদের আক্রান্ত করে পেলে জাতীয় রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাব। ঝুঁকিপূর্ন ভবনে উঠে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। যার ফলে ঘটেছে রানা প্লাজার ট্রেজেডীর মত হৃদয়বিদারক ঘটনা।

কৃষিশ্রমিক, রিকশাচালকসহ বহু খাতের বিপুলসংখ্যক শ্রমজীবী মানুষের শ্রমিকের স্বীকৃতি আজো মেলেনি। সাধারণত কলকারখানার শ্রমিকদের বর্তমানে নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা ও সাপ্তাহিক ছুটির ব্যবস্থা থাকলেও, এ জাতীয় শ্রমিকের কোন নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা নেই। তাদের নেই কোন সাপ্তাহিক ছুটিও। এক দিন কাজ না করলে সে দিন উপোষ থাকা ছাড়া তাদের আর কিছুই করার নেই।

শ্রমিকের ঘামের বিনিময়েই গড়ে উঠে বিশাল অট্রালিকা। কিন্তু এ শ্রমিকরা আজো পায়নি তাদের যথাযথ মর্যাদা। প্রতি বছর মে মাস এলে আমরা দেখতে পাই, শ্রমিকদের জন্য মানুষের দরদ যেন উথলিয়ে পড়ে। পত্র-পত্রিকায় কঠিন পরিশ্রম রত অবস্থার শ্রমিকদের ছবি ছাপা হয়। কিন্তু এভাবে শিল্পির ভাগ্যের ছাকা ঘুরলেও শ্রমিকের ভাগ্যের ছাকা ঘুরেনা। ঠেলার চাকা ঘোরে, রিকশার চাকা ঘোরে। যে শ্রমিক যানবাহনের চাকা সচল রাখে, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে; সেইসব শ্রমজীবী মানুষের জীবনের চাকা জগদ্দল পাথরের মতো স্থির হয়ে থাকে-যা কিছুতেই সচল হয়না।

শ্রমিকের ভাগ্য তখনই সচল হবে, যখন তাদেরকে তাদের ন্যায্য প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়া হবে। আর তারা তাদের ন্যায্য প্রাপ্য তখনই পেতে পারে যখন তাদের শ্রমের মূল্য দেয়ার সময় ধর্মীয় দৃষ্টিকোন বিবেচনায় আনা হবে। ইসলামে শ্রমিকের যে মর্যাদা দেয়া হয়েছে, যদি তা যথাযথ ভাবে আদায় করা হয়, তাহলেই শ্রমিকরা তাদের পুরোপুরি ন্যায্য অধিকার বুঝে পাবে।

কারন ইসলামে শ্রমিককে দেয়া হয়েছে বিশেষ মর্যাদা। শুধু তাই নয়, যারা কাজ না করে অন্যের কাছে হাত পাতে তাদেরকে কঠোর হুমকি দেয়া হয়েছে।

হাদীস শরীফে এসেছে- কোন ব্যক্তি (সামর্থ্যবান) মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করতে থাকলে সে কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উপস্থিত হবে যে, তার মুখমন্ডলে একটুকরাও গোশত থাকবে না। (বুখারী ১৩৮১, মুসলিম ১৭২৪)

প্রত্যেক নবী-রাসূল পরিশ্রম করে উপার্জন করেছেন বলে হাদীসে উল্লেখ আছে। হযরত আদম (আঃ) কৃষিকাজ করতেন, হযরত দাউদ (আঃ) বর্ম তৈরি করতেন, হযরত নূহ (আঃ) কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন, হযরত ইদ্রিস (আঃ) সেলাইয়ের কাজ করতেন এবং হযরত মূসা (আঃ) রাখালের কাজ করতেন। (মুসতাদরাকে হাকিম) মহানবী (সাঃ) নিজে মেষচারণ করেছেন, কাপড় সেলাই করেছেন, ঘর ঝাড়– দিয়েছেন, বালতি দিয়ে কূপ থেকে পানি উঠাতেন, এমনকি রান্নার কাজও করতেন। হযরত খাদিজার (রাঃ) সহকারী হিসেবে বাণিজ্য করেছেন। নিজের হাতের উপার্জনকে উত্তম খাদ্যও বলা হয়েছে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন- ‘নিজের হাতের শ্রমের উপার্জন দ্বারা খাওয়া হতে উত্তম খাবার আর কেউ কোনদিন খায়নি।’ (বুখারী)

নবিজীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল-কোন প্রকার উপার্যন উত্তম? তিনি জবাবে বলেছিলেন, “ব্যক্তির নিজ শ্রমের উপার্জন এবং সৎ ব্যবসায় লব্ধ মুনাফা।”

উপার্যনের কোন পেশা গ্রহণকারীকে আল্লাহ ভালোবাসেন বলে হাদীসে উল্লেখ আছে।

মালিকরা তাদের অধীনস্থ শ্রমিকদের সঙ্গে কিরূপ আচরণ করবে সে সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘এরা (শ্রমিকরা) তোমাদের ভাই, আল্লাহ এদের তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন। অতএব আল্লাহ তা‘আলা যে ব্যক্তির ভাইকে তার অধীন করে দিয়েছেন, তার উচিত সে যা খাবে তাকেও তা খাওয়াবে, সে যা পরবে তাকেও তা পরাবে, আর যে কাজ তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে কাজের জন্য তাকে কষ্ট দেবে না। আর যদি কষ্ট দেয় তাতে নিজেও তাকে সাহায্য করবে।’ (আহমদ ৫/১৬৮, আবু দাউদ ২/৩৩৭)

রাসূল (সাঃ) আরও বলেছেন, ‘তোমার যে পরিমাণ কাজ অনায়াসে করতে পারবে, সে পরিমাণ কাজই তোমরা (তোমাদের অধীনস্থদের জন্য) আয়োজন কর।’ (নাসাঈ, ইবনে মাযাহ)

রাসূল (সাঃ) নিজের জীবনে এ আদর্শগুলো বাস্তবায়ন করে মানব সমাজকে দেখিয়ে গেছেন। রাসূল (সাঃ) এর একান্ত খাদেম হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আমি দশ বছর রাসূল (সাঃ)-এর খেদমতে ছিলাম। তিনি কখনও উহ্ শব্দ উচ্চারণ করেননি এবং এও বলেননি যে তুমি এটা কেন করলে বা কেন করনি।

রাসূল (সাঃ) তো শ্রমিকের সঙ্গে উত্তম আচরণের নজির দেখিয়ে গেছেনই, তাঁর সাহাবায়ে কেরামও তাদের অধীনস্থদের সঙ্গে উত্তম ব্যবহারের অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। একদা হযরত ওমর (রাঃ) আপস চুক্তি সম্পাদনের জন্য যখন বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে রওনা হলেন তখন তিনি এবং তাঁর ভৃত্য পালাক্রমে উটের ওপর সওয়ার হয়ে মদিনা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত দীর্ঘপথ অতিক্রম করেছিলেন। এমনকি বায়তুল মুকাদ্দাসে পৌঁছার পর সেখানকার লোকেরা বুঝতে পারেনি এ দু’য়ের মধ্যে কে আমীরুল মুমিনীন!

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: তোমার ভৃত্য যদি তোমার অন্ন প্রস্তুত করে এবং তা নিয়ে তোমার নিকট আসে- যা রান্না করার সময় আগুনের তাপ এবং ধুম্র তাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে-তখন তাকে তোমার সাথে বসিয়ে খাওয়াবে। খাবার যদি শুকনো রান্না হয়ে থাকে, তবে তা হতে তার হাতে এক মুঠি বা দুই মুঠি অবশ্যই তুলে দিবে। (মুসলিম)

শ্রমিকের পারিশ্রমিক আদায় করা সম্পর্কে আল্লাহপাক হাদীসে কুদসীতে বলেছেন- ‘এমন তিনটি লোক আছে কেয়ামতের দিন আমি তাদের শত্রু হয়ে দাঁড়াব। এর মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তিটি হচ্ছে, যে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কোন লোক নিয়োগ করে অতঃপর তার কাছ থেকে পুরোপুরি কাজ আদায় করে নেয় কিন্তু তার বিনিময়ে কোন পারিশ্রমিক দেয় না।’

পারিশ্রমিক আদায়ে দীর্ঘসূত্রতা শ্রমিকদের জন্য একটি কষ্টকর ব্যাপার। সময়মতো বেতন না পেলে তাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এজন্য শ্রমিকের পারিশ্রমিক আদায়ের তাড়া সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেছেন- ‘শ্রমিকের পারিশ্রমিক তার ঘাম শুকানোর আগেই দিয়ে দাও।’ (ইবনে মাযাহ ২/৮১৭ সহীহ আল জা‘মে ১৪৯৩)

শ্রমিকদের রক্ষণাবেক্ষণ, তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার দায়িত্ব মালিকদের। মালিক তার অধীনস্থদের সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হবে, তাদের ওপর কোন রকম অত্যাচার-নির্যাতন করতে পারবে না। শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন করলে তার কঠোর শাস্তি রয়েছে। একদা আবু মাসুদ আনসারী বলেন, একদিন আমি আমার কৃতদাসকে মারধর করছিলাম। এমন সময় পেছনের দিক থেকে আওয়াজ এলো হে আবু মাসুদ! জেনে রাখ, আল্লাহ তোমার চেয়ে অধিক শক্তিশালী, আমি মুখ ফিরিয়ে তাকিয়ে দেখি স্বয়ং রাসূল (সাঃ) আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে নিবেদন করলাম হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আমি এ কৃতদাসকে আজাদ (মুক্ত) করে দিলাম। রাসূল (সাঃ) বললেন, তুমি এরকম না করলে দোজখের আগুন তোমাকে ঝলসে দিত।

শ্রমিকের ঘামের বিনিময়েই গড়ে উঠেছে আজকের আধুনিক সভ্যতা। কিন্তু মানব রচিত আইনে পরিচালিত হওয়ায় আজ তারা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের ন্যায্য অধিকার হতে। তাদেরকে তাদের প্রাপ্য অধিকার বুঝিয়ে দেয়ার জন্যে ইসলামী শ্রমনীতির বিকল্প নেই।

শ্রমিক দিবসে বিশ্বের সকল মেহনতি শ্রমিকের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। Rose Rose Rose

বিষয়: বিবিধ

১৯৪৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File