আল্লাহর দীনকে প্রতিষ্ঠিত ও বিজয়ী করা এবং বিজয়ী রাখার চেষ্টায় সংগ্রাম করা মুসলমানদের দায়িত্ব।

লিখেছেন লিখেছেন শহীদ ভাই ১৩ জানুয়ারি, ২০১৩, ০১:১৯:১২ দুপুর

কোনো জাতির কাছে যদি শ্রেষ্ঠ জীবনাদর্শ ও নিখুঁত জীবন-ব্যবস্থা বর্তমান থাকে এবং সেই জীবন-ব্যবস্থা যদি প্রতিষ্ঠিত হবার জন্যেই অস্তিত্ব লাভ করে থাকে, তবে সে জাতির জন্যে সংগঠন ও সংঘবদ্ধতার গুরুত্ব আরো অনেক অনেক বেশি। সংঘবদ্ধতা ছাড়া কোনো উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যই অর্জন করা যেতে পারেনা।

সংগঠিত হওয়া ছাড়া সাধন করা যেতে পারেনা কোনো বিপ্লবই। সংগঠন সংঘবদ্ধতা ছাড়া কোনো আদর্শের বিজয় চিন্তা সম্পূর্ণ অলীক কল্পনা।

আমাদের মুসলিম উম্মাহ্ এমন একটি জাতি, যারা ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বে। মুসলমানরা যদি ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত না হয়, তবে অমুসলিমদের শাসনই চলতে থাকবে তাদের উপর। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে তারা বিলীন হয়ে যাবে অমুসলিমদের মধ্যে।

মুসলিম উম্মাহ মানেই ইসলামি আদর্শের বাহক। আর ইসলামের আদর্শ কেবল তখনই বাস্তবায়িত হতে পারে, যখন মুসলিমরা হবে ঐক্যবদ্ধ, সংগঠিত। বিচ্ছিন্নতা তাদের মধ্যে কেবল ফিতনা আর বিপর্যয়ই সৃষ্টি করবে। বিচ্ছিন্নতার সুযোগে যে কোনো পরাশক্তি মুসলমানদেরকে ফিতনা এবং গুমরাহিতে নিমজ্জিত করে দিতে পারে। আর বিচ্ছিন্নতার কারণে এ ধরণের ফিতনা তারা প্রতিরোধও করতে পারবেনা। ইতিহাস সাক্ষী, বিচ্ছিন্নতার যুগে মুসলমানদের মধ্যে ফিতনা কিভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল?

ইসলামের প্রতিষ্ঠা ও বিজয় তখনই সম্ভব, যখন ইসলামি উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত হয়ে এর জন্যে চালিয়ে যাবে প্রাণান্তকর চেষ্টা সংগ্রাম।



আল্লাহর দীনকে প্রতিষ্ঠিত ও বিজয়ী করা এবং বিজয়ী রাখার চেষ্টায় সংগ্রাম করা মুসলমানদের দায়িত্ব। আর এ দায়িত্ব পালনের জন্যেই তাদের জন্যে ঐক্য সংহতি, ও মজবুত সংগঠন অপরিহার্য।

রসূলুল্লাহ সা. বলেছেন :

“মুমিন মুমিনের জন্যে প্রাচীরের মতো, যার একটি অংশ আরেকটিকে শক্তি ও দৃঢ়তা দান করে।’ একথা বলে নবী করিম সা. এক হাতের সবগুলো আংগুল আরেক হাতের আংগুলের ফাঁকে রেখে মজবুত করে দেখালেন।” -সহীহ বুখারি ও মুসলিম।



বিষয়: বিবিধ

১০৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File