বর্তমান সময়ের অমুসলিম এক রাষ্ট্রনায়ক ও ইসলামের মহান চার খলিফা

লিখেছেন লিখেছেন শহীদ ভাই ১২ জানুয়ারি, ২০১৩, ০১:৪৭:১৩ দুপুর



হে মুসলিম রাষ্ট্রের রাষ্ট্র-প্রধানেরা !

আমিরুল মুমিনীন উমরের(র.) জীবনধারা তোমরা গ্রহন করতে পারলে না বটে কিন্তু দেখো একজন অমুসলিম ঠিকই গ্রহন করতে পারলো।

কি জবাব দেবে তোমরা মহান আল্লাহ্ র কাছে !?





লোকটি জরাজীর্ণ একটি বাড়িতে থাকেন। যে বেতন পান তার ৯০ শতাংশ দান করেন।

টাইতো (গলা বন্ধনি ফিতা) দূরের কথা জাঁকজমক পোশাকও পরেন না।

ফুলের চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

এই অনাড়ম্বর জীবন যেন তেন কোন ব্যক্তির নয়। তিনি একজন প্রেসিডেন্ট।

কি চমকে উঠলেন নাকি!? কোন গল্প নয়।

যেখানে আমাদের দেশের একজন মন্ত্রী কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন, বিলাসবহুল বাড়িতে থাকেন। কয়েক কিলোমিটার দূরত্বের অফিস যেতে রাস্তা ফাঁকা করেন, সঙ্গে থাকে ডজন সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। এই বাস্তবতায় উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট জোসে মুহিকার জীবনযাপন গল্পই মনে হবে।

রাজধানী মন্টিভিডিওর বাইরে জরাজীর্ণ বাড়িটিতে সিনেটর স্ত্রীসহ থাকেন তিনি।

কোন পরিচারক-পরিচারিকা নেই তাদের। নিজেরাই নিজের কাজ করেন। মাত্র দুজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে মুহিকার। সাদা পোশাকধারী এই দুই নিরাপত্তারক্ষীদের কখনও সঙ্গে নেন, আবার কখনও নেন না।

প্রেসিডেন্টের এই সাধারণ জীবন দেখে অনেকের চোখে ভেসে উঠতে পারে লাতিন আমেরিকার দেশটি বুঝি দরিদ্র। কিন্তু তা নয়। সুয়ারেস ই রিইয়েস নামে বিলাসবহুল প্রাসাদ রয়েছে প্রেসিডেন্টের জন্য। প্রেসিডেন্টের সেবা করার জন্য ৪২ জন কর্মীর একটি দলও রয়েছে প্রাসাদে।

কিন্তু প্রাসাদ ছেড়ে নিজের বাড়িতে থাকছেন হোসে মুহিকা ও তার স্ত্রী লুসিয়া তোপোলানস্কি। বাড়ির সংলগ্ন এক খণ্ড জমিতে চন্দ্রমল্লিকার চাষ করেন এ দম্পতি। স্থানীয় বাজারে আবার বিক্রিও করেন ফুল।

২০১০ সালে যখন ক্ষমতা হাতে নেন তখন তার সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র এক হাজার ৮শ মার্কিন ডলার। পুরোনো মডেলের একটি গাড়ি না থাকলে সম্পদের পরিমাণ আরও অনেক কম হতো লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের প্রেসিডেন্টের। সরকারি কোষাগার থেকে যে বেতন পান তার ৯০ শতাংশ দান করেন যার বড় অংশ ব্যয় হয় গরীবদের মাথাগুজার ঠাই নির্মাণে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মাসিক বেতন ১২ হাজার মার্কিন ডলার।

মুহিকার এই দরিদ্র জীবনযাপন অনেকের কাছে খটকা লাগতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কিন্তু অর্থ-বৈভব-প্রার্চুয থাকলেই মানুষের চাহিদার অবসান ঘটে না। রোমান দার্শনিক সেনেসার উদ্ধৃতি দিয়ে মুহিকা বলেন, “ যার কম আছে যে গরিব নয়, যে যত চায় সেই গরিব।”

উরুগুয়ের এই বিপ্লবী রাষ্ট্রনায়কের বিশ্বাস ও জীবনাচারের সাথে ইসলামের মহান চার খলিফার জীবন ও কর্মের অনেক মিল রয়েছে। ব্যতিক্রম হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট হোসে খ্রীস্টান আর ইসলামের চার খলিফা ছিলেন মুসলিম উম্মাহর মহান সেবাদানকারী।

বড়ই অবাক লাগে, বড়ই লজ্জা লাগে এই অমুসলিম একজন রাষ্ট্র-প্রধান কিভাবে মুসলিম রাষ্ট্র-প্রধানদের গালে চপেটাঘাত করলেন।

মহান আল্লাহ্ র কাছে এই মুহিকার জন্য প্রান খুলে দোয়া করছি;

হে আল্লাহ্ ! আপনি উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট জোসে মুহিকাকে মহান ইসলামের সুশীতল ছাঁয়া তলে আশ্রয় দিন।


এই ব্যাপারে আরও জানতে নিচের লিংক দেখুন।

Jose Mujica: The world's 'poorest' president

জোসে মুহিকার রাজকীয় গাড়ি




বিষয়: বিবিধ

১৩১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File