মুসলমান ব্লগার ভাই/বোন ব্লগিং করার আগে জেনে নিন .....
লিখেছেন লিখেছেন শহীদ ভাই ১১ জানুয়ারি, ২০১৩, ১০:৫৪:১০ রাত
অনেকেই কু’রআন থেকে না শিখে আনুসঙ্গিক কিছু ধর্মীয় বই, মনীষীর জীবনী ইত্যাদি পড়ে অনেক সময় নানা ধরণের বিতর্কিত উপদেশ শিখে বিভ্রান্ত হয়ে নিজের, পরিবারের, সমাজের ক্ষতি ডেকে আনেন; যেখানে কিনা স্বয়ং আল্লাহ আমাদেরকে আদেশ করেছেনঃ
@ কথা বলার সময় সবচেয়ে মার্জিত শব্দ ব্যবহার করবে এবং সবচেয়ে সুন্দর ভাবে কথা বলবে – ২:৮৩।
@ কোন ভণিতা না করে, ধোঁকা না দিয়ে, যা বলতে চাও পরিস্কার করে বলবে – ৩৩:৭০।
@ চিৎকার করবে না, কর্কশ ভাবে কথা বলবে না, নম্র ভাবে কথা বলবে – ৩১:১৯।
@ মনের মধ্যে যা আছে সেটাই মুখে বলবে– ৩:১৬৭।
@ ফালতু কথা বলবে না এবং অন্যের ফালতু কথা শুনবে না। যারা ফালতু কথা বলে, অপ্রয়োজনীয় কাজ করে সময় নষ্ট করে তাদের কাছ থেকে সরে যাবে – ২৩:৩, ২৮:৫৫।
@ কাউকে নিয়ে উপহাস করবে না, টিটকারি দিবে না, ব্যঙ্গ করবে না – ৪৯:১০।
@ অন্যকে নিয়ে খারাপ কথা বলবে না, কারো মানহানি করবে না – ৪৯:১০
@ কাউকে কোন বাজে নামে ডাকবে না। – ৪৯:১০।
@ কারো পিছনে বাজে কথা বলবে না – ৪৯:১২।
@ যাদেরকে আল্লাহ বেশি দিয়েছেন, তাদেরকে হিংসা করবে না, সে যদি তোমার নিজের ভাই-বোনও হয় – ৪:৫৪।
@ অন্যকে কিছু সংশোধন করতে বলার আগে অবশ্যই তা নিজে মানবে। @ কথার চেয়ে কাজের প্রভাব বেশি – ২:৪৪।
@ কখনও মিথ্যা কথা বলবে না – ২২:৩০।
@ সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঘোলা করবে না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করবে না – ২:৪২।
@ যদি কোন ব্যপারে তোমার সঠিক জ্ঞান না থাকে, তাহলে সে ব্যপারে মুখ বন্ধ রাখো। তোমার মনে হতে পারে এসব সামান্য ব্যপারে সঠিকভাবে না জেনে কথা বললে অত সমস্যা নেই। কিন্তু তুমি জানো না সেটা হয়ত আল্লাহর কাছে কোন ভয়ঙ্কর ব্যপার – ২৪:১৪, ২৪:১৬।
@ মানুষকে অত্যন্ত বিচক্ষণভাবে, মার্জিত কথা বলে আল্লাহর পথে ডাকবে। তাদের সাথে অত্যন্ত ভদ্র, শালীনভাবে যুক্তি তর্ক করবে – ১৬:১২৫।
পাদটিকাঃ
উপরের অনুবাদগুলো সরাসরি কু’রআনের আয়াতের অনুবাদ নয়, বরং আয়াতের যে অংশগুলো প্রয়োজন শুধু সেই অংশগুলোর মর্মার্থ। কু’রআনের সার্বিক বাণীর প্রতি লক্ষ্য রেখে আয়াতগুলোর প্রাসঙ্গিক অনুবাদ করা হয়েছে এবং যে আয়াত থেকে অধিকাংশ তথ্য নেওয়া হয়েছে তার নম্বর দেওয়া হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১২০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন