কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা, তিরস্কার-ভর্ৎসনা ও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা ইত্যাদির ব্যাপারে কঠিনভাবে নিষেধ করেছেন মহান আল্লাহ্ সুবহানুওয়াতায়লা
লিখেছেন লিখেছেন শহীদ ভাই ৩১ অক্টোবর, ২০১৪, ১১:৫৭:৪০ সকাল
আমার এই লেখাটি প্রিয় সন্মানিত ব্লগার বাকপ্রবাস ভাইকে উৎসর্গ করলাম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বীল আলামিন।
রাব্বিশ রাহলী ছাদরী ওয়াইয়াসিসরলি আমরী ওয়াহলুল উক্বদাতাম মিল্লিসানী ইয়াফ ক্বাহুকাওলী।
মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে একমাত্র মনোনীত দ্বীন ও জীবনব্যবস্থার নাম ইসলাম। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নারী-পুরুষ-ধনী-গরিব-শাসক-শাসিত-নির্বিশেষে সব মানুষের সম্মান রক্ষায় ইসলাম দিয়েছে এক অভূতপূর্ব বিধান, সর্বাঙ্গীণ নীতিমালা। আল্লাহ তায়ালা কারো কুৎসা রটানো, পরনিন্দা ও পরচর্চা করা, কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা, তিরস্কার-ভর্ৎসনা ও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা ইত্যাদির ব্যাপারে কঠিনভাবে নিষেধ করেছেন। গোপন দোষ তালাশ করাকে হারাম করেছেন। এমনিভাবে কারো সম্পর্কে কুধারণা পোষণ করতেও আল্লাহ নিষেধ করেছেন। ইসলাম প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, সম্মান, সুনাম ও নিজ অবস্থা সুরক্ষা করার অধিকার দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মু’মিনগণ! কোন পুরুষ যেন অপর কোন পুরুষকে বিদ্রুপ না করে; কেননা তারা তাদের চেয়ে উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর কোন নারীকেও যেন বিদ্রুপ না করে; কেননা সে তাদের অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না। এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পরে মন্দ নামে ডাকা গর্হিত কাজ। যারা এ ধরনের আচরণ পরিত্যাগ করে না তারাই অত্যাচারী।
(সুরা-হুজরাত-১১) ।’ অহেতুক প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে মানুষকে খাটো করা উচিত নয়। ইসলামে এসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সমালোচনার ঝড় তুলে তীব্র বাক্যালাপে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করাকে নিষেধ করেছে ইসলাম। ব্যক্তি, সামাজিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক জীবনে মানুষের প্রতিপক্ষ থাকতেই পারে। চলতেই পারে পারস্পরিক বিরোধ। তাই বলে একে অন্যকে এমন ভাষায় বা এমন বাক্যবাণে জর্জরিত করা যাবে না, যা দ্বারা তার মানহানি ঘটে। এমন বক্তব্য দেয়া যাবে না, যার কারণে জনসমক্ষে বেইজ্জতি হতে হয়। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে অন্য ভাইয়ের দোষ গোপন করবে, মানুষের কাছে প্রকাশ করবে না, আল্লাহ তায়ালাও তার সব দোষত্র“টি কিয়ামতের দিন প্রকাশ করবেন না’। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ছোটদের হেয় করে না, বড়কে শ্রদ্ধা করে না, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়’। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামের দিক-নিদের্শনা মেনে আদর্শ জীবন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানুষকে সম্মান করার তাওফিক দান করুন। আমিন, সুম্মা আমিন।
বিষয়: বিবিধ
৩২০৩ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : কেননা- "কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা, তিরস্কার-ভর্ৎসনা ও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা ইত্যাদির ব্যাপারে কঠিনভাবে নিষেধ করেছেন মহান আল্লাহ্ সুবহানুওয়াতায়লা"গুরুত্বপুর্ণ দ্বীনি একটা বিষয়ে অসাধারণ একটি লেখনী,আমরা যেন বিষয়টার বুঝার প্রয়োজনীতা উপলব্ধি করে চলতে পারি-এই দোয়া চাই শ্রদ্ধেয় শহীদ ভাই........
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে তোফিকদিন। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
"গোপন দোষ তালাশ করাকে হারাম করেছেন। এমনিভাবে কারো সম্পর্কে কুধারণা পোষণ করতেও আল্লাহ নিষেধ করেছেন। ইসলাম প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, সম্মান, সুনাম ও নিজ অবস্থা সুরক্ষা করার অধিকার দিয়েছে।" - কিন্তু, পিছে বাজে কথা না বললে, বাংগালীর যে ভাত হজম হয় না !!
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : আবু জেহেলের আসল নাম কি?এই তাগুতি কুত্তাদের হত্যা করা ফরজ । আপনি বলছেন নিন্দা ও না করতে । তাই তো নেতারা আজ ফাসির মন্ঞ্চে । আপনাদের মত কিছু নেতার ফাসি হয়ে যাক । ৯১ ইতে নিজামীর উপর হামলা কিন্তু ক্ষমতায় এসে একটি মমলা ও করা হয়নি । আমরা রাস্তায় নেমে হাউ মাউ করলাম কেন ?
আমার ব্লগের অন্যান্য লেকাগুলো পড়ুন ভালো করে ... আল্লাহ্ র হুকুম না মেনে নিজের মনগড়া আবেগ দিয়ে ইসলাম কায়েম করা যায় না ভাই।।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, পৃথিবীতে যখনই কোনো সম্প্রদায় ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছে তখনই তাদের পতন হয়েছে। ধর্মের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘন করে অনেক জাতি-গোষ্ঠী ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। ধর্মের নামে অনাচার, ধর্মকে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থে ব্যবহার, ধর্মের মর্মবাণীর বিকৃতি, ধর্মের বিধানকে এড়িয়ে চলা, ধর্মের নামে অন্ধত্ব, ধর্মের সহজ-সরল সাবলীল রূপকে রুক্ষ-শুষ্কভাবে উপস্থাপন, ধর্ম পালনের আড়ালে ধর্মব্যবসা ও ধর্মের আশ্রয়ে অমানবিকতা ও অধর্ম চর্চার মাধ্যমে বিশ্বসমাজ থেকে বহু ধর্মের বিলুপ্তি ঘটেছে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি হলে ধর্ম তার শাশ্বত ও চিরন্তন অবস্থানকে হারিয়ে ফেলে এবং মানব সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতা ও উপযোগিতা হ্রাস পায়। ধর্ম নিয়ে ইতিহাসের এই শিক্ষাকে পাশ কাটিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি পরিলক্ষিত হচ্ছে যা কোনো ধর্মপ্রাণ মানুষের কাজ হতে পারে না।
ধর্মের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যুগে যুগে ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি হয়েছে। হজরত মুসা (আ.)-এর সময়ে তাঁর অনুসারীদের মধ্য থেকে একটি অংশ চরম ধর্মীয় বাড়াবাড়িতে লিপ্ত হয়েছিল। কুরআনে তাদের কার্যক্রম ও পরিণতির বর্ণনা রয়েছে। একইভাবে হজরত ঈসা (আ.)-এর সময়ও ধর্মীয় বাড়াবাড়ি ছিল। তাকে ক্রুশবিদ্ধ করেছিল সমসাময়িক আদালত। মুহাম্মদ (সা.)-এঁর সময়েও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি হয়েছে। এসব বাড়াবাড়িকে উপেক্ষা করে মহানবী (সা.) আল্লাহ কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন - ‘লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়াদিন’ অর্থাৎ তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য আর আমাদের ধর্ম আমাদের জন্য। রাসুল (সা.) অবিশ্বাসীদের সঙ্গে কোনো প্রকার বাদানুবাদে লিপ্ত হননি; তিনি কৌশলে ধর্মীয় উস্কানি ও সংঘাতকে এড়িয়ে গেছেন। ধর্মের ব্যাপারে অন্যরা বাড়াবাড়ি করলেও মহানবী (সা.) ও তাঁর অনুসারীদের পক্ষে তা করা সম্ভব নয়। আর সে জন্যই আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ করেছেন - ‘লা ইক্রাহা ফিদ্দিন’ অর্থাৎ ধর্মের ব্যাপারে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই।
আল্লাহ্ আমাকে আপনাকে বুঝ দান করুন।
যে লোক(মুজিবুল হক) ইসলামই মানেনা, মাজারে গিয়ে মৃত ব্যক্তিকে সেজদা করে, মদ গিলে, মাজারে রক্ষিত মেয়ের সাথে বছরের পর বছর ব্যভিচার করে সে নিশ্চয়ই ইসলাম মানতে গিয়ে বিয়ে করছে না। এ বিষয়টি বুঝতে হবে। তার প্রিয় আস্তানা কুমিল্লার ১৪ গ্রামের লতিফ শিকদার মাজার।
ইসলামকে খন্ডিতভাবে বুঝতে যাবেন না, তাহলে বিপদ। মৃতব্যক্তির সমালোচনা নিষেধ আছে হাদীসে। তবে বুঝতে হবে সেটি সাধারণ ক্ষেত্রে।
যেসকল মৃত ব্যক্তির সমালোচনা হতে শিক্ষণীয় বিষয় আছে মুসলমানদের সেসব ব্যক্তির শুধু সমালোচনা নয় তা সম্পর্কে মুসলমানদের সতর্ক ও শিক্ষা দেয়ার জন্য বেশি বেশি আলোচনা জরুরী। যেমন-আবু জেহেল, আবু লাহাব, মুসায়লামা বিন কাজ্জাব, মীর জাফর এরাও মৃত। এদের সমালোচনা করা ও তা হতে শিক্ষা নেওয়া মুসলমানদের কর্তব্য।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : আছ্ছা, কোরাণ তা হলে একমুখে ১৪ রঙ্গের কথা বলে। দুষ্ট ইসলামকে চারিত্রিক সার্টিফিকেট দেয়ার সময় আপনার মত মুমিনের হুশ থাকে না।মানুষ এত বোকা না, ইসলামের ভেজাল রসোগোল্লা সবাই চিনে ফেলেছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন