আসুন আমরা সকল মুসলিম দলাদলি ও সকল বিভেদ ভুলে একতাবদ্ধ হই

লিখেছেন লিখেছেন শহীদ ভাই ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:২৭:২৬ বিকাল

মুসলমনাদের অবস্থা এখন বড়ই করুণ।

কোথাও তারা নিরাপদ নয়। না দেশে, না বিদেশে। না মুসলিম রাষ্ট্রে, না বিধর্মী রাষ্ট্রে। গোটা পৃথিবীতে যখন ইসলামের শত্রুরা মুসলমানদের ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মুসলমান দেখলেই “সন্ত্রাসী” উপাধী দিয়ে হেনস্থা করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। ইসলাম ধর্মকে সন্ত্রাসী ধর্ম, সাম্প্রদায়িক ধর্ম আখ্যা দেওয়ার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে উপর্যুপরিভাবে।

বাংলাদেশের নাস্তিক-মুরতাদরা পবিত্র কোরআনকে অবমাননা করছে, মহান আল্লাহ্ ও তাঁর প্রিয় হাবীব রাসুল (সা.)এর শানে চরম বেয়াদবি করছে।

ঠিক এমনি সময় বাংলার মুসলমানরা আজ শতধা বিভক্ত।

অথচ এখন সবচে’ প্রয়োজন হল মুসলমানদের মাঝে একতা সৃষ্টি করা। ঐক্যমত্ব প্রতিষ্ঠিত করা। নবীজী সাঃ এর কালিমায়ে তায়্যিবার প্লাটফর্মে এক হওয়া আজ সময়ের আবশ্যকীয় দাবি।

যখন মুসলমানদের দুশমনরা মুসলমানদের উপর হামলা করে, তখন তারা এটা দেখেনা যে, সে কি জামাত শিবির করে না তাবলীগ জামাত করে, সে কি বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন করে না বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ করে, সে কি ইসলামী ঐক্য আন্দোলন করে না নেজামে ইসলামি পার্টি করে, সে কি সুন্নি না আহলে সুন্নত, সে কি দেওবন্দী না বেরেলবী? সে কি মুকাল্লিদ না গায়রে মুকাল্লিদ? সে কি কিয়াম করে না করেনা?

সে কি মাজারে যায় কি যায়না? সে ইমামের পিছনে কিরাত পড়ে না পড়েনা?

“লোকটি মুসলমান” সে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করে, মাথায় টুপি-মুখে দাড়ি কেবল এই অপরাধেই তার উপর হামলা করা হয়, রাজাকার বলা হয় ।

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এই উম্মত হল একটি দেহের মত ৷ যদি দেহের কোথাও ব্যথা লাগে, তাহলে গোটা দেহ জ্বরাক্রান্ত হয় ও ঘুমাতে পারেনা ৷’ (বুখারী)৷ অর্থাৎ কারও হাত বা পায়ে আঘাত লাগলে, সে ব্যথার কারণে ঘুমাতে পারেনা, এবং তার দেহ ব্যথা সারাতে গিয়ে জ্বরগ্রস্থ হয়ে পড়ে ৷ পূর্ব, পশ্চিম বা উত্তর, দক্ষিণের মুসলিম জাতি ব্যথা পেলে, আপনারও এমন ব্যথা লাগা উচিত যেন আপনার নিজ পরিবার আহত হয়েছে ৷ আপনি যদি শুধু নিজের এবং আপনজনদের নিরাপত্তা নিয়েই চিন্তিত হন – তবে একটা সমস্যা আছে, তখন আপনাকে আর দেহের (উম্মাহ) অংশ বলা যায় না ৷ মুসলিমরা রাষ্ট্র, মাযহাব, দলাদলি নিয়ে বিভক্ত হতে পারে, কিন্তু তাদের বড় পরিচয় তারা মুসলিম (যদি না তারা পথভ্রষ্টদের মধ্যে কেউ হয়) ৷ অনেকে দাবী করেন ‘আমি ও আমার দল মুসলিম’, অন্যরা যেহেতু তাদের দলের অনুসরণ করেন না তাই অন্যরা মুসলিম না ৷ আপনি যতক্ষণ না কোন ভাইকে বা বোনকে কাফের প্রমাণ করতে পারবেন, ততক্ষণ সে মুসলিম [একজন মানুষের অন্তরে ঈমান আছে কি নেই তা দেখার ক্ষমতাও আমাদের নেই বা তা দেখার নির্দেশও আমাদের দেয়া হয়নি ৷ রসূল (সা) আমাদের বাহ্যিক আমল দেখে মুসলিম সনাক্ত করতে বলেছেন ৷

যেমন: নামায, যাকাত, হজ্জ ইত্যাদি]৷

আমরা মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য চাই ৷ ঐক্য বলতে বলছিনা দল, মাযহাব সব বাদ দিয়ে সবাইকে একটা জামাতের অনুসরণ করতে হবে ৷ সেটা হয়তো এই মুহূর্তেই সম্ভব নয় ৷ ঐক্য বলতে আমরা বলছি, আপনি যে মুসলিম গোষ্ঠীর (বা group-এরই) হননা কেন, যে মাযহাবের হননা কেন – আপনি বিপদে আপনার ভাইয়ের পাশে এসে দাড়াঁবেন ৷

এটাই ঐক্য!

অন্য মুসলিম ভাইদের সাথে আপনার চিন্তাধারার মিল নাও থাকতে পারে, কিন্তু তাদের বিপদে আপনি সাহায্য করবেন – একেই বলে একতা ৷

আমরা বাংলাদেশের মুসলিমরা, বর্তমানে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি।

আসুন আমরা বাংলার সকল মুসলিম ভাই/বোন

দলাদলি ও সকল বিভেদ ভুলে একতাবদ্ধ হই।

নাস্তিক-মুরতাদ, ইসলামের দুশমনদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই।



বিষয়: বিবিধ

১১৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File