ইসলাম শান্তির ধর্ম ,ইসলাম মানবতার ধর্ম, ইসলাম শালিনতার ধর্ম, ইসলাম মানুষকে সত্যিকারের মানুষ হতে শেখায়

লিখেছেন লিখেছেন শহীদ ভাই ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১২:৫৩:৪৭ রাত

ইসলাম শান্তি, ন্যায়পরায়ণতা ও সাম্যের ধর্ম। ইসলাম ধর্ম আশরাফ-আতরাফ, ধনী-নির্ধন,ভেদাভেদ করে না। ইসলাম ধর্ম জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, নারী-শিশু নির্যাতন, মানবাধিকার লংঘন সমর্থন করে না ।

যুগে যুগে অনেকেই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এর পিছনে অনেক চেষ্টা, মেহনত, শ্রম ও বাক্য ব্যয় করেছেন। কিন্তু তাদের সেসব প্রচেষ্টা মানব জীবনের সর্বক্ষেত্রে বিস্তৃত ছিল না। যেমনটি ছিল রসূল (স.)-এর শান্তি মিশন। তিনি মানুষের সার্বিক জীবনে, জীবনের প্রতিটি ধাপে ধাপে, কিভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় সে চিন্তায় বিভোর ছিলেন। তিনি মানুষকে বাতলে দিয়েছেন মহাশান্তির শাশ্বত পথের সন্ধান। মানুষের সামনে উন্মোচিত করেছেন ইহলৌকিক ও পারলৌকিক শান্তির আলোকিত দিগন্ত। মানব জীবনে যেসব পথে অশান্তি আসতে পারে তিনি সেগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন: "জুলুম কেয়ামত দিবসে (জুলুমকারীর জন্য) অন্ধকার হয়ে দাঁড়াবে" তিনি আরো বলেছেন: প্রকৃত মুসলমান সে-ই যার যবান ও হাত থেকে অন্য মুসলমানরা নিরাপদ থাকে।

একজন মুসলিম তার চারপাশে কি ঘটছে, সে ব্যাপারে র্নিবীকার থাকতে পারে না। একই সঙ্গে তার এ ধরনের মনোভাবও থাকতে পারে না যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার কোন ক্ষতি হচ্ছে না, ততক্ষন কোন কিছুতেই কিছু যায়-আসে না। এর কারণ, সে নিজে আল্লাহর প্রতিনিধি; কল্যাণের পথে নিবেদিতপ্রাণ দূত। আসুন ইসলামের শান্তির বাণী সবাইকে জানাই এবং নিজেও মেনে চলি। কেউ যেন ইসলামকে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার না করতে পারে, ধর্মের কথা বলে অমুসলমানদের ওপর অবিচার করা যে চরম পাপ আল্লাহর রাসূল (সা.) মুসলমানদের সতর্ক করে বলেছেন, ‘কেউ যদি কোন অমুসলিমের প্রতি অন্যায় করে, তবে কিয়ামতের দিন আমি সেই মুসলমানের বিরুদ্ধে সাক্ষী হব।’ হযরত মুহাম্মদ (সা.) যদি আল্লাহর কাছে কোন মুসলমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন, তবে সে কি বেহেশতে যাওয়ার আশা করতে পারে ? ?

ইসলাম শান্তির ধর্ম ,ইসলাম মানবতার ধর্ম, ইসলাম শালিনতার ধর্ম, ইসলাম মানুষকে সত্যিকারের মানুষ হতে শেখায় , ইসলাম নিজেকে ক্ষুধার্ত রেখে অন্য ক্ষুধার্ত ভাইয়ের মুখে খাবার তুলে দিতে শেখায় ,

শুধুমাত্র এক মহান আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে দুনিয়ার সকল অবৈধ সুখভোগ সম্পদের লোভ ত্যাগ করে সত্য পথে লড়তে শেখায় , বিত্তহীন হয়েও সুখি জীবন যাপন করতে শেখায় ।

আর এই জন্যই আমি মনে প্রানে চাই আমাদের বাংলাদেশে ইসলামি শাসন ব্যাবস্থা কায়েম হোক।

আমি আরও মনে করি যে,

এই ইসলামি শাসন কায়েমের জন্য আমাদের সবাইকে একই প্লাটফর্মে দাড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে , বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে কাজ করলে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌছতে পারবনা হয়তো আর এই ইসলামি শাসন কায়েমের জন্য আমাদের মধ্যে আলোচনা করা এখন সময়ের দাবী ।

বিষয়: বিবিধ

১২১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File