জাতী যখন অসৎ ধ্বংশ তখন অনিবার্য
লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১০:০০:৫৪ সকাল
আরে ভাই এটা তো ধর্মের কথা, ধ্বংশের কি দেখলেন, সবাই তো আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। !!!!!!!!!!!! আপনারা কেন সবকিছুতে ধর্ম টানেন।
এটা আমাদের দেশের কমন ডায়লগ। কিন্তু এ বিষয় কি শুধুই ধর্মের!!
শুধু আমার দেখা বিষয়গুলি তুলে ধরছি।
আমি গার্মেন্টস ট্রেডের কামলা মাসিক বেতন ভুক্ত। নিয়মিত কামলা দেয় নিজের তাগিদে। এ ট্রেডে কাজ করছে এ দেশের লাখ লাখ মানুষ। সাথে দেশের প্রায় সবকটি বেসরকারী ব্যাংক, বীমা, পরিবহন, দোন-পাট সহযোগী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে আমাদের দেশের গার্মেন্টসগুলিতে বড় পদে দেখা যায় বিদেশীদের, যার মধ্যে অন্যতম শ্রীলংঙ্কান, ভারতীয়। এ নিয়ে বেশ মাথা ব্যথা আমাদের এবং পত্রপত্রিকায়ও মাঝে মধ্যেই লেখালিখি হয়ে থাকে। আগে তো একটি কারখানায় টপ লেভেলে ১/২জন থাকত, কিন্তু এখন সে হাড় বেড়ে ডিপার্টমেন্টর টপ লেভেলে চলে এসেছে প্রায়। এবং অনেক প্রতিষ্ঠান তো টেকনিক্যাল বিষয়গুলিতেও এখন শ্রীলংকান এবং ভারতীয় নিয়োগ দিচ্ছেন। কিন্তু এখানে কি শুধুই মালিক পক্ষের দোষ বা দেশের প্রতি অবিচার??? আমার দৃষ্টিতে অবশ্যই না, সু-বিচার পেতে হলে তো আগে ন্যায় পরায়ন হতে হয়। এই নিয়োগগুলির পেছনের কারণগুলি হলো- অসৎ
আমাদের দেশে একটি কমন চিন্তা সৎ মানে অনৈতিক অর্থের লেনদেন না করা। বাস্তবে কি সৎ মানে শুধুই অর্থের লেনদেন। ৯টার অফিস ৯টায় আসাটাও সততার অংশ। আমাদের দেশের অধিকাংশ বড়পদ ধারী লোকেরা সকাল ৮টার অফিস আসতে চান ১০টায়। পারিবারিক কাজে বের হবেন যখন তখন, আর রাত করে অফিস করাটা তাদের কাছে একটা টেডিশন (এটা অবশ্য ভারতীয়দের মধ্যে ব্যাপক টেডিশন, কুত্তার মত দিনে ঘুমাবে রাতে কাজ করবে)। মালিকও তাদের কিছু বলতে পরেন না কেননা ব্যাবসাটা অনেকটা তাদের উপরই নির্ভরশীল।
তারপর আছে কমিশনের ব্যপার, কেনাকাটা থেকে শুরু করে পথচলতেও অনেকেই কমিশন বাণিজ্য করে থাকেন। মালিকেরা বুঝলেও মাঝে মধ্যে কিছু করার থাকে না, কেননা লোকও তো দরকার, আর সেও যে তার থেকে ভালো হবে তার নিশ্চয়তা কি, আমরা তো জাতে বাঙ্গালী, ভাগবাটোরা নিয়েই যেখানে আমাদের জন্ম!!!!
সবথেকে অসৎ আমাদের দেশের লোকেরা সেটি হল স্বজনপ্রীতিতে। কেও একজন বড় অবস্থানে আছেন, তার ভাই চাচা খালু যেখানে যা আছে সব নিয়ে এসে জড় করবে সে কাজের হউক বা না হউক। মালিকেরা ইন্টারভিউ নিবে!!! সেখানে তো তাদের সহযোগিতায় দরকার। তো তারা ইন্টারভিউ বোর্ডে এমন সব প্রশ্ন করবে যা প্রার্থীর পক্ষে উত্তর দেয়া সম্ভবপর না। যেমন আমি চাকরী করি গার্মেন্টেস এ আমাকে একবার জিঙ্গেস করা হল গমের হারমোনাইজ কোড কত?? মালিকের সামনে অধিকাংশ প্রার্থী যখন ফেল তখন ছেড়ে দেন বড় পদের কর্মকর্তাদের উপর। তখন তারা নিজের আত্মীয় স্বজন এবং কখনও কখনও আর্থিক লেনদেনও হয়ে থাকে।
পিছনে লেগে থাকা একটা স্বভাবজাত চরিত্র আমাদের। নিজের একটু অতিরিক্ত সুবিধার জন্য আমরা অরেকজনার গলা কেটে হলেও তার উপর দাড়িয়ে নিজের অতিরিক্ত সুবিধা নিতে চাই।
অঙ্গজ্বালা বা হিংসা আমাদের জ্বাতির পরম ধর্ম। আমি কিছু পাচিছ না তাতে কোন সমস্যা নাই কিন্তু অন্যজন পাচ্ছে তাতেই আমার গায়ে লেগে যায়। গত্রজ্বালায় ঘুমাতে পারি না সহযোগিতা তো দুরের কথা। কখনও ভাবিনা আমার প্রতিবেশী যদি ভালো থকে সাহায্য না হউক আমি তো বিপদে পড়ব না।
গ্রুপিং আরেক ভয়াবহ রূপ, বরিশাল গ্রুপ, রংপুর গ্রুপ, চাটিগাইয়া পোয়া, ইত্যাদি গ্রুপিংএর শেষ থাকে না, এক দেশের ভিতরে যেন হাজার দেশ।
একজন বিদেশীকে নিয়োগ দিলে এ সমস্ত সমস্যার ১০০ভাগ না হলেও অনন্ত ৫০ভাগ থেকে নিস্তার পান এ দেশের মালিকেরা। কেননা বিদেশীর নিয়োগ হয় কন্ট্রাক বেসিস। সে চিন্তা করে আমাকে ভালো করতেই হবে পেটের তাগিদে। ---------------
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন