মেয়েদের নাম রঙ্গ ও তার প্রতিফল
লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১০:৩২:১৯ সকাল
কর্পরেট জগতে নামের ডাল পালা বা ফরে নাম বেশ জাকজমক। যেমন সেলিনা খাতুন হয়ে গেল সেলি, জরিনা বানু নাম জেরিন, হাসিনা খাতুন হয়ে যায় হ্যাপি/হাসি। এরকম বিভিন্ন নামকরনে কর্পরেট জগত বশ জমজমাট থাকে। সে কর্পরেটের ছোয়ায় সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের এই গার্মেন্টস ট্রেডের মেয়েরাও বেশ অগ্রগামী। তারা পিতা/মাতা প্রদত্ত নাম বাদ দিয়ে নিজেদের তৈরী নাম নিয়ে বেশ জমজমাট থাকেন। যার ফল তারা মাঝে মধ্যে ভোগ করে থাকেন।
আসল নাম রোজিনা খাতুন। তার সাধের নাম নিপা নাসরিন। বেশ ভালই চলছে। তার স্বামি দুর্ঘটনানা কবলিত হয়ে হাসপাতালে। প্রতিবেশী খোজে আসলেন অফিসে। হাজার তিনকে মেয়ের মাঝে খুজে পাওয়া সম্ভব না বা বাইরের কাউকে ঢুকতে দেয়া সম্ভব না কাজের ব্যঘাত হয় বলে। যথারীতি মাইকে ঘোষণা করা হল। প্রথমে নাম ধরে, তার পর নামের সাথে এলাকার নাম ধরে। কিন্তু কোন খোজ পাওয়া গেল না। বেচারী যখন রাতে বাসায় ফিরল তখন শোনে তারা স্বামী হাসপাতালে। কয়েকদিন বাদে স্বামী সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফিরল। তখন বাঁধল আরেক বিপত্তি। স্বামী বলে তুই ঐদিন কার সাথে ছিল ক, এই নিয়ে সংসার তার ভাঙা ভাঙা অবস্থা।
এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে কিন্তু বড় ঘটনা যেটি ঘটল সেটি ভয়াবহ ও দুঃখ জনক। বাবা মায়ের দেয়া নাম আসমা খাতুন। সে নিজে বানিয়েছে কানিজ জাকিয়া। কাগজপত্রও সে মোতাবেক কমপিউটার থেকে তৈরী করিয়ে নিয়েছে। বেচারীর বাবা মারা গেলে সংবাদ আসল অফিসে। অফিস যথারীতি মাইকিং করা হল। তারপর তার ছবি নিয়ে আসল, তাতেও খোজ পাওয়া গেল না অফিসের ডাটা বেশে সেই এলাকার নামের সব মেয়ের ছবি দেখানো হলো তার আত্মীয়কে। কিন্তু তার খোজ মিলল না। কমপিউটারে ক্যারামতিতে।
যার যায় তার জ্বলে যে গ্রাম্য প্রবাদটি সেটি হয়তো সত্য। তাই সে মেয়েটি সন্ধ্যায় আসল বাড়ীতে যাবে তার বাবার জন্য খারাপ লাগছে বলে। এইচ.আর তার বাড়ী কোথায় জিঙ্গেস করতেই বেড়িয়ে পড়ল তাদের কয়েক ঘন্টার পরিশ্রম। জিঙ্গেস করা হল তার আসল নাম কি। সে বলল। শুধু তাকে বলা হল সোজা বাড়ীতে যেতে। আর তার সন্ধানে আসা ব্যক্তিটির ফোন নাম্বার ধরিয়ে দেয়া হল হাত।
বিষয়: বিবিধ
১৬২৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নাম নিয়েও আমাদের মধ্যে আছে আধুনিক হওয়ার লোভ!!!
মুশফিক - মুশি , মুস্তাফিজ -ফিজ ।
ম্যাক্সিমাম বিবিএ এমবিএ করাদের নাম ধাম আনকমন দেখা যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন