বৈশাখের কাপড় খোলা
লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ২০ এপ্রিল, ২০১৫, ০৯:১৩:৫২ সকাল
গত কদিন ধরে বেশ রমরমা অবস্থানে আছে বৈশাখের কাপড় খোলার ইস্যুটি। আর এই কাপড় খোলা নিয়ে সুশীলরা যেমন বলার মত বা লেখার মত কিছু পেয়েছেন তেমনি নব্য কিছু সেলিব্রেটিওর উৎপত্তি হয়েছে দেখলাম। গতকাল কয়েকজন সেলিব্রেটির ডায়লগ শুনলাম। বেশ পজা পেলাম। প্রথমে যারটা শুনলাম প্রথমেই সেই চোখের ভ্রু নাচিয়ের তার কৃতিত্বের বা কারশিমার জানান দিলেন। তারপর তিনি ছেলেদের জাঙ্গিয়া পড়িয়ে রাখার জন্য বললেন। কথাটায় বেশ মজা পেলাম। আমার মনে হয় না যেসব ছেলেরা এগুলি করে তাদের জাঙ্গিয়া কেন ল্যাংট করে রাখলেও কিছু এসে যায়। আর আপু তাদের যে ল্যাংটো করবেন পর্যাপ্ত শক্তি আছে তো বাহুতে??? তার আগে বরং বেরে ওঠার ডোজ রোজ রোজ হরলিক্স খেয়ে শক্তি বানান; সাথে কমপ্লান খেয়ে হাইট আর বনভিটা দিয়ে মগজ বাড়ান। তা না হলে তো শক্তি পাবেন না; সবাই তো আর মহম্মদ আলীর কন্যা না যে ঘুষি মেরে ফেলে দিতে পারবেন ছেলেদের। সর্বপরি আপনার চাহুনিটা ছিল দারুন দেখার মত।
আরেক আপু আইলেন বোরখা পিইন্দা মুখে কালা কাপড় বাইন্দা। প্রথমেই কালাকাপড়ের টানাটানি দিয়ে শুরু করলেন হয়তো জীবনের পয়লা পড়েছেন আইজকা অথবা চাপে পড়ে বান্ধেন মাঝে মাঝে। আপনি নাকি আবার সৌদি থেকে। তা আপুন সৌদি থেকে এটা জানান দেয়ার মত কি হল বুঝে আসে খাটে না আমার। সৌদিতে কি সব ফেরেস্ত সমতুল্য নিষ্পাপ লোক থাকে নাকি? নাকি থাকে সব জান্তা বাসুদেব গোছের লোকজন। আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন সৌদিতে কেন নবী করিম (সঃ) পাঠিয়ে ছিলেন জানেন তো?? সে এলাকার লোকেরা খারাপের সর্বসীমিয় পৌছে গিয়েছিল। আর নবী করিম (সঃ) কি সবাইকে মুসলিম করতে পেরেছিলেন? নাহ্ তখনও কিছু কাফের মুশরিক ছিল যার বংশধরেরা এখনও কিন্তু বিদ্যমান। কেও মুখোশ পড়ছে কেও ভেক ধরেছে। দয়া করে ভেক না ধরে আল্লাহ দ্বীনকে মেনে চলুন।
লালবসেনর আপু না খালামনিই বলি; আপনি আইয়া ইসলামে কি বলেছে কি না বলেছে শুরু করলেন সেই ফরমান দিয়ে। ইসলাম যে কথাটি আপনার জন্য বলেছে সেটি কি আপনি পালন করেছেন? যদি না আপনি নিজেই পালন করলেন তা হলে বাপু আপনার কেন ইসলামিক বিষয় নিয়ে মাথা ব্যথা??? সবার আগে ইসলাম কি নিষেধ করেছেন সেটি নিজে পালন করেন তারপর অন্যকে ইসলাম শেখাবে। আর যারা করেছে তারা যে ইসলামিক ভাবপন্ন বা ইসলামিক ভাব গাম্ভির্য মেনে চলে সেটি কিন্তু নয়। তারা আপনাদের মত সেটিব্রেটিই হতে চায়। কারণ ইসলামিক ভাবাপন্ন বা যারা ইসলামিক রীতিনীতি মেনে চলে তারা টিএসসি মোরে পোলামাইয়া বা ছেলে মেয়ে গাদাগাদি হয়ে রং মেখে ঢং সাজে না। আসলে সমস্যাটা হয়ে গেছে আপনাদের মনে; যেখানে যাই হউক ইসলামকে অথাব সে রীতি যারা মেনে চলে তাদেরকে না প্যাচেলা আর আপনাদের চলে না।
আমার বাবা কখনও আমাদের নিয়ে বৈশাখী মেলায় ঘুরতে যান নাই; বরং আমাদের রীতিছিল এই দিনে মিলাদ মাফফিল করা, শিন্নি করা গরীব মিসকিনকে খেতে দেয়া। আবার আমার শ্বশুর মশাইও কিন্তু তার মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বের হন নাই কোনদিন গাদাগাদি ঠেলাঠেলির মাঝে। ওখানে গিয়ে থাকে সর্বদা আপনাদের মতরাই। আর প্রগতি প্রগতি ভাই ভাই; কেন এত দ্বন্দঘটায়, কনচেন দেহি??? একটু ফ্রেন্ডলি নিলেই তো সব কিছু চুকে যায়। আফটার অল আপনারা তো মাইন্ড ফ্রি; ধর্মীয় বেড়াজাল থেকে মুক্তিপেতে চান বলেই নাভিদর্শন ঘটাতে রাস্তায় বের হন রঙ্গিলা শারীতে লাল ব্লাউজের নিচে কালো অর্ন্তবাস। আর যারা মুক্তিপেতে না চাই তারা কিন্তু সারাদিন থাকে ঘরেই (ছেলে মেয়ে উভয়ই) তারা নতুন বছরকে গ্রহণ করে আল্লাহ তালার নাম দিয়ে; তারকাছে কৃপা পার্থনা করে যেন আগামীর দিনগুলি পাপ মুক্ত থাকতে পারে। যা হউক ত্যানা পেচাইয়া লাভ নাই আল্লাহ আপনাদের হেদায়েত দেন নাই আমরা বলে আপনাদের হেদায়েত দিতে পারব না।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা দিয়েই শেষ করি; একটা হত্যায় যদি অনেক হত্যা রাক্ষা পায় তা হলে একটা হ্যতায় কি ভাল না? (কথাটি হুবুহু নয়)।
তেমনি একজনার কাপড় খুলে যদি হাজার জনার বেহায়াপনা বন্ধ হয় তা হলে এই কাপড় খোলাতে দোষের কি?
বিষয়: বিবিধ
২২৮১ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মুড়ি নিয়ে গ্যালারীতে বসলাম।
আসিতেছে
তবে আপুনরা ভাবটা এরকম করে রাখবে যে বিরা.....ট কিছু লস হয়েছে।
সুশীল ম্যামদের যারা এই ধস্তাধস্তি উপভোগে শামিল হতে পারেন নি তারা যে ভিতরে ভিতরে ঐসব মজা পাওয়া নারীদের হিংসা করছে তা বোঝা যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন