সোহগীর শহরে বসবাস ও পুরনো একটি স্মৃতি-
লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১১:৪৭:৩২ সকাল
কুমিল্লা শহর বেশ ছোট হলেও সৌন্দর্য বর্ধনের সম্ভব্য চেষ্টা করেছেন শহর কর্ণধর। আর সোহাগীদের আনাগোনায় কুমিল্লার প্রাণ কেন্দ্র কান্দিরপর হয়ে ওঠে সোহাগীদের শহর। এই সকল সোহাগীদের দেখা মেলে খন্দকার টাওয়ারের আশপাশ থেকে রুপালী চত্তর ও তার আশে পাশে, সন্ধ্যে হলেই তারা উদিত হয় আশ পাশের এলাকা থেকে। শহরে শহস্র সুশীল থাকলেও সোহাগীদের সোহাগ তাড়াতে কেও এগিয়ে আসে না। সোহগী বলার কারণ যখন এই শহরে এসেছিলাম তখন চিনতাম না কিছুই দাঁড়িয়ে ছিলাম টাউন হলের পাশেই একজনার অপেক্ষায় রাত সাড়ে নটার সময়। পাশ দিয়ে বোরখা পড়া কিছু মেয়ে প্রতিনিয়ত হেটে যাওয়া আসা করতে দেখে সন্দেহ হল; একজনার বোরখার ফাঁকে বেরিয়ে থাকা মেকাপের ঝলকানি দেখেই সাথে থাকা সহকর্মীকে জিঙ্গেস করলাম; ভাই এসবকি? এই ছোট্ট শহরে। উত্তরে বলল এরা কুমিল্লার সোহাগী।
বর্ণনানাটি অপ্রাসঙ্গীক।
আসল ঘটনা গতকাল ১২টার পর গেলাম কান্দিরপাড়ে একটা কাজে। কলেজ মোড় দিয়ে পূবালী চত্তরের দিকে এগুতে হয় প্রায় সব সময়ই একটু ভড়ি ঠেলে। এই ভিরের মধ্যেও পাশ দিয়ে হেঁটে চলেছে একজুটি; মেয়েটি বোরখা পড়া, তারও মেকাপের ঝলকানি সোহাগীদের মত যে অশংটুকু দেখা যায় সে অংশে। বিশেষ ভাবে মেয়েটির হাতের ভিতর হাত ঢুকিয়ে আছেন ছেলে বাবাজি যার ফলে হাতের পাঞ্জাটা মেয়ের বক্ষের সাথেই লেগে আছে প্রায়; চেহারা সুন্দর যাকে অনেকে ভদ্রঘর বলে থাকে। আর আমি বুঝি ভদ্র ঘরের সন্তানেরা এসব করে না রাস্তায় অনন্ত।
পাশের একাউন্ট ম্যানেজারকে বললাম; ভাই এই ছোট্ট শহরে যেখানে বের হলেই বাবা/চাচা/খালুর দেখা মেলে সেই শহরের ব্যস্ততম এলাকায় দেখেন কিভাবে হেঁটে যাচ্ছে। দীর্ঘস্বাস ছেড়ে বলল ভাই টেনশন করি এসব দেখে; উর্মিনাও তো বড় হচ্ছে। এসব দেখে ওরাও তো ভুল করতে পারে।
ঘটনাটি বছর ১৬আগের। সিনেমা দেখায় নেশা ছিল বেশ আবার ভদ্র নম্র বিনীয় হিসেবেও খ্যাতি ছিল বেশ; পরিবারের লোকজন সবাই বেশ গর্বিত হত এসব নিয়ে তাই প্রচন্ড নেশা থাকলেও যা কিছু করতে হত খুবই গোপনে। বাইসাইকেলে চড়ে চলে যেতাম ৮কিমি দুরে সালমান শাহ সাবনুরের ছবি দেখতে আমারই মত আরেক ভদ্র নম্র বন্ধু মিলে। ১২/৩টাশোতে। নানাবাড়ীও সেই শহরে তাই রিস্ক ছিল প্রচন্ড যদিও আমার বাবার তরফ থেকে বাধা ছিল না কখনও। বার হিসেবে বেছে নিতাম বৃহঃষ্পতি কারণ এদিন সবাই বেশ ব্যস্ত থাকে পরের দিন ছুটি বলে।
তো সেদিন শো মেরে সাইকেল নিয়ে গড়াই নদীর পাড় দিয়ে রওনা হয়েছি ৩বন্ধু ফিরব বলে। ওমনি চোখ আটকে গেল আমাদের কলেজের বন্ধুর ভাগনীকে দেখে যে কিনা তখন মাত্র ক্লাস নাইন'এ পড়ে। ঠিক একই কায়দায় নদী তীরে হাটছে। এলাকাটি অনেকটা নির্জন আর লোকজনও কম চলে এই রাস্তায় তার উপর ৩টা মানে দুপুর টাইমে বলে আমরা বেছে নিতাম এই রাস্তাকে।
ঘটনাটি এসে বললাম বন্ধুকে; বন্ধুতো প্রথমে বিশ্বাসই করতে চায় না এবং পরবর্তীতে আরো দুজন বললে সে বিশ্বাস করল এবং ওর সহপাঠীদের কাছে খোজ নিয়ে সত্যতা পেলে তার বোনের কাছে বিচার করলে তার বোনতো উল্টা ধমক দিছে তার ভাইকে; তার মেয়ে কখনও এ কাজ করতে পারে না। পরবর্তীতে আমাকে নিয়ে গেছে বিশ্বাস করাতে তাতে হিতে বিপরীত তো ঘটেছে বরং যে আমার সাথে সুন্দর ছোট ভাইয়ের মত আচরণ করত তিনিই দুর দুর ব্যবহার করে অনেকটা তাড়িয়ে দিয়েছিল আমাকে। তারপর যদিও কোন দিন তার সাথে দেখা হয়নি; কারণ আমি আর লজ্জায় কখনও তার সামনে যায়নি ঐ ঘটনার পর থেকে।
গতকালের সেই হাঁটা দেখে মনে পড়ে গেল সেই স্মৃতিকথাটি।
বিষয়: বিবিধ
১০৩৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এভাবেই আমাদের অবস্থা শেষ হচ্ছে দিনদিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন