বেলের কাঁটা-২ (নারী যে দেশেতে স্বাধীন তোমরা সেথায় কি তুমি মেশিন না???)
লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ০৫ জুন, ২০১৪, ০৮:২৮:৫০ রাত
নারী বিদ্বেষী ট্যাগ যেহেতু লেগেছে আর বউও বাসায় নাই তাই আরো কিছু লেখা। তিনি থাকলে তো হয় ভাঙতো ডাল ঘুটুনি না হয় ভাঙতাম আমি এসব লেখার দায়ে
আমরা কথায় কথায় ইউরোপ আমেরিকার উদাহরণ এনে কি বোঝাতে চাই সেটি মাঝে মধ্যেই আমার কাছে পরিষ্কার না। স্বাধীনতার এক উদারতাময় দেশ নাকি ইউরোপ আর আমেরিকা তথা নষ্ট-ভ্রষ্ট দেশগুলি। আমার কাছেও সেটাই মনে হয়; অবশ্যই তারা স্বাধীন; কেননা তাদের দুজনকেই কাজ করতে হয় যৌবন থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত হাড়ভাঙা খাটুনি করে সমখরচে থাকতে হয় ছেলে বন্ধুরূপী সে_ পার্টানারের সাথে যৌবনে। আরেকটু বন্ধুত্বময় গভীরতায় যখন বিয়ে হয় তখনও কিন্তু কম নয়; সমখরচই চালাতে হয় দু'জনকে যাকে বলা হয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে সকলে কাজ করার কোন বিকল্প নেই বলে। যৌবন যখন ভাটা স্বামীর মনও ছুটে অন্যকারে পিছে কেননা হাত বাড়ালেই মেলে। দোষের কিছু নেই সেখানে। ততদিনে বাচ্চা দুটি হয়ে যায় তাদের আর মেলে ঠিকানা আশ্রমে। আপনারা যত দিন পারেন পরিশ্রম করে চলেন নির্বিঘ্নে আর যখন পেশির জোর কমে আসে তখন আপনাদের নির্ভর হতে হয় অন্য কারো উপরে সেটি আর কেও নয় আশ্রম বা সরকারী দান খয়রাত যাকে বলা হয় ভাতা। দিবস করেছে সেদেশগুলির সরকার যাতে অনন্ত একবার হলেও দেখা মেলে আপনার সন্তানদের বছরে। সে সন্তান আপনার আসে খনিকের জন্য; ধুমকেতুর হয়ে।
বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় মারফত জানা যায় আপনার স্বাধীনতার দেশের খবরাখবর। আপনারা দেখেন শুধু যৌবনাদের কাহিনী আর রোমন্স বা মধুময় শরীর প্রদর্শণী যেখানে তারা বদলাচ্ছে তারা হাতে হাতে স্বাধীনতার নামে। এখনে যদি কোন ছেলে খারাপ হতে চায় তা হলে তাকে করতে হয় খরচ আপনাদের পেছনে কিন্তু আপনাদের স্বাধীতার দেশে লাগেনা কিছুই মেলে খুব সহজে কারণ পাটাতে পারলেই সমখরচে শরীর ফায়দা কি দারুন লাগেরে।
এসব দেশের খবর বাদই দিলাম; দেখেন আমাদের ঘরের দিকে তাকিয়ে। পরাধীনতায় আবদ্ধ পরিবারগুলি কত সুখে শান্তিতে দিনাতিপত করছে আর আপাদের ভাষায় স্বাধীনরা!!! কিভাবে দিনাতিপাত করছে। দেশ ত্যাগী লেখিকার উদাহরণ নাই বা দিলাম দেশিদের দেখেন না কি দশা? চরম স্বাধীন অপি করিম তাহার চলে গেছে দু'জন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভি ভাইয়ের প্রসঙ্গ টেনে তাকে ছোট করতে চাই না। থাক সেসব কথা ছাত্রী বয়সে তো অনেক কিছুই হতে পারে।
আবার দেখেন রোকেয়া পাচী স্বাধীনতার জোয়ারে স্বামি বদলিয়েছেন। সুবর্ণা আপা, রুনা লায়লাদের মত তারকাদের দিকে গিয়ে আর স্বাধীনতার উদাহরণ দিতে চাই না। নোভা প্রভা মোনালিসা এরা তো সবাই তারকা; আর তারকাদের দিকে আঙুল তুললে আপনারা বলবেন এসবে ওসব লাগেই।
আমাদের মালিকের অন্য একটি কোম্পানিতে জব করেন যিনি রূপে গুনে অপরূপ মহিমায় মহিমান্বিত; স্বামী বদলিয়েছেন দু'বার স্বাধীনতার বানে। চলছে তিন নাম্বার জন জানিনা বাপু কদিন টেকে। বেশী স্বাধীনা খুজতে গেলে বদলিয়ে যাবেন স্বামী হয়ে যাবে শুধু ছেলেদের শারীরিক সঙ্গী। আর ছেলো তো চাইবে আপনাকে স্বাধীনতা দিকে খারাপ আচরনের মাধ্যমে যাতে আপনি গেলেই জটে আরেকজন। এরকম হাজারো উদাহরণ আনাযাবে সামনে আপনারা যাদের স্বাধীন বলেন তাদের নিয়ে।
আর আমরা যারা নারী পরাধিনতায় বিশ্বাসী তাদের ঘরের মেয়ে বা বউরা কিন্তু আছে অনেকটা রানির হালে শুধু ঘরের কাজ নিজেরটার সাথে অন্যের বা স্বামীরটা করে। সাথে থাকে কাজের লোকও বটে। পরাধীন পরিবারগুলিতে স্বামীরা চায় না তাদের বউ সকালে উঠে দৌড়দিক কাজের উদ্দেশ্যে ভাতের বাটি হাতে (কেও ব্যাগে নেয় আর কেও হাতে নেয় পার্থক্য কিন্তু এটুকুই)। তারা চায় তারা ঘর সামলে নিলেই আর্থিক বিষয়টা সামলে নেবে পুরুষে।
পরাধীন পরিবারের সন্তানেরা বরা হয় মায়ের আদরে আর দাদীর স্নেহে এবং পরিবারের সকলের আহলাদে। স্বাধীতায় উচ্ছাসিত পরিবারগুলিতে বাচ্চারা বড় হয় কাজের মেয়ের রংকরা আদরে। পরাধীন পরিবারে বৃদ্ধারা পরিবারের সম্পদ আর বাচ্চারা বাগানের ফুল; দুষ্টুমি আর বায়নাতে উচ্ছাসিত রাখে সকলকে। আমরাও উচ্ছাসিত হয়ে পরি তাদের উচ্ছাসে রংহীন ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে। আমাদের সন্তানেরা কখনই মা বাবাকে ঘর থেকে বের করে দেয় না (হাজারে একজন উদাহরণ নয়)। নিজে না খেলেও বাবা মা শ্বশুর শ্বাশুরীর দিকে খেয়াল রাখে প্রতিনিয়তই। কোন ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠানে আগে কেনা হয় ঘরের মেয়েদের জন্য তার পরে হাত যায় অন্যদের জন্য আর যে কিনে সে কিন্তু নিজেরটা কিনে সবার পরি অকৃত্রিম ভালবাসার টানে।
একশ্রেণীর পুরুষ আছে যারা সর্বদায় আপনাদের স্বাধীনার ঘাটতি বলে স্বনির্ভর হতে বলে। এর উদ্দেশ্য কিন্তু দারুন। নিজের অযোগ্যতাকে আড়াল করতেই আপনার স্বাধীনতার বুলি এনে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটনাতে চায়। পুরুষেরা একটি বাড়ী করতে পারছে না; দিতে পারছে না গহনা অথাবা ভাল খাবার সেটি কিন্তু তার ব্যর্থতা বা অযোগ্যতা অথবা অসমর্থতা; আর সেটিকে ঢাকতে আপনাদের স্বাধীনতাকে সামনে এনে।
পরিশেষে আপনারা যত বেশী স্বাধীন হবেন, হয়ে যাবেন তত বেশী সে_ মেশিন; আর সে ফায়দা লুটবে ছেলেরাই; আপনার থাকবে আমাদের গ্রাম্য ভাষায় ততটায় ভাগারে এখন যেমন থাকে আপনাদের ভাষায় স্বাধীনতাময় দেশগুলোতে।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৭ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নারি স্বাধিনতা নামে যা হচ্ছে তা অনেক নারিও এখন বুঝতে পারছেন।
যতবেশী স্বাধীন হবেন...
মন্তব্য করতে লগইন করুন