জাতিতে জননী তাই যত আবদার সবই তোমার

লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ২৯ মে, ২০১৪, ০১:০৮:৫৮ দুপুর

তোমরা জননী জাতি; তোমাদের আবদারের শেষ নাই। সেই ছোট্ট বেলা থেকেই তোমাদের আবদার শুরু হয়। একটি ছেলে শিশুকে যখন কোন মা চারটে ভাত চটকিয়ে খাইয়ে দেয় ৫মিনিটে আপনাদের লেগেছে ঘন্টা দেড়েক নাকশিটকানো আর অরুচির বায়নায়। সে বায়না বেড়েছে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের অতি আদরে। আর একটু বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনাদের বায়নার সাথে যোগ হয়েছে ন্যাকামির। বাইরে উচ্চিঙ্খল যতই হন না কেন আপনার ঘরে ভাবটি এমন যেন দুধের খুকি; আর সে ভাবেতেই মা খালারা আপনাকে খাইয়ে দেয় হাতে ধরে। বাইরে আপনি বন্ধুর হাতে হাত রেখে ঘুরলেও ঘরে দেখান এমন ভাব যেন ছেলে মানেই খারাপ আর আপনার চোখের বিষ। সবাই মেনে নেয় আপনি যে মায়ের জাতি; আল্লাহ আপনাদের তৈরী করেছি ১৬কলায় কলাপূর্ণ করে।

যৌবনে পা দিয়ে ন্যাকামি আর রঙ্গহাসিতে সবার সহযোগিতা পেয়ে বিনা পরিশ্রমে বড় হন আপনি। বাড়ীতে আদরীনিকে কোন কাজে হাত দিতে দেয়না মা; মেয়ে আমার পরের বাড়ী গিয়ে কতই না কাজ করবে। বাবা তার কলিজার টুকরোকে আগলে রাখে বিনাপরিশ্রমে যাতে রূপ লাবন্য নষ্ট হয়ে ভাল ছেলে না হরাতে হয় সে খায়েশে।

এবার এল বিয়ের পালা। বাবা মা সবাই মিলে বিয়ে দিয়ে দিলেন আপনার ভালবাসার অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়েই। বাঁচলেন হাঁফ ছেড়ে। স্বামীর ঘরে এই কেটে গেল আপনার বেশ কদিন নতুনের বায়নায়। শ্বাশুরীর সোহাগ আর স্বামীর আদরে মধুচন্দ্রিমায় ন্যাকামিতে ভরিয়ে তুলে উচ্ছাসিত রাখেন সবাইকে।

নতুনের গন্ধ ছুটলে পরিবারের অন্যান্য সবার মত আপনাকেও কিছু কাজ করতে হয় নিজের টানেই। কারণ তখনতো আর মা-বাবার আদরে লুতুপুতু না যে চিরজনম রান্না করে খাওয়াবে শুাশুরী মা। তিনিও তো আপনারই মত একজন ছিলেন একসময়, তাই তিনিও চান বিলাসি জবিন কাটাতে।

রান্না ঘরে ঢুকেই ভাবখানা এমন যেন রান্না করছেন অন্য সবার জন্য কিন্তু আসল রহস্য কিন্তু অন্য জায়গায়। রান্না করছেন আসলে আপনার জন্যই মূলত। নিজের রান্নার সাথে চারটে চাল বড়িয়ে দিয়ে আর দু'চারাটা সবজি অতিরিক্ত কাটতে কিন্তু বেশী পরিশ্রম নয় আর সেই কাজটি করেই আপনাদের গর্বিয় বয়ান শুরু হয়ে যায়।

ঘর গোছানো আর পরিষ্কার সেটি কিন্তু আপনি থাকবেন বলেই; ছেলেরা সারাদিন থাকে ঘরের বাইরে, ঘরে থাকে বড়জোর ঘন্টা দশেক। এবং সেখানেও থাকে আপনাদের রক্ত চক্ষু; জুতা খুলে ঢুকতে হবে; মেঝেতে কিছু ফেলা যাবে না; উচ্চ স্বরে কথা বরা যাবে না; কথা বলা যাবে না বন্ধুবান্ধদের সাথে------ - - - - - -- - - -- - - - - মোটামুটি এফএম ২৪ চালু। বিছানাটি ঠিক করেন বটে মশারিটা কোনদিনই আপনাদের হাতে ওঠে না; আছেন ঐ যে স্বামী বেচারা বাইরে সরাদিন চেহারা দেখিয়ে যে টাকা রোজগার করে তিনিই টাঙাবেন কারণ সে যে আপনার বিছানায় একটু শেয়ার করবে।

বাজারে এখন এককেজি চাউলের চাম মোটামুটি ৫০টাকার উপরে, আপনার স্বামী বেচারা সেই চাউলের যোগন দিয়ে চলে প্রতিনিয়তই আর অন্যান্য তো বাদই দিলাম।

ঈদ বা কোন অনুষ্ঠানে আপনি সর্বদায় আপনারটির বায়না ধরেন সবার আগে দিতেও হয় তাই; যে বেচারা অর্থের জোগানদার তারটি কিন্তু সবার পরেই; তাও আবার যদি বাঁচে সবার কেনাকাটা করার পরে। এতে কিন্তু আপনার কোন অনুশোচনা বা অনুরাগ নেই উল্টো যদি স্বামী একটু দামি জিনিস কিনেছে তা হলেই হয়েছে মরণ; ঘরে আর টেকা দায় খোটার অন্তজালে।

আপনারা কখনই মানতে চান না বা বুঝতে চান না; এক বেটার পকেট থেকে অন্য বেটার টাকা বেরকরাটা কতটা কষ্টসাধ্য কাজ। আপনারা মনে করেন (বাবা শুরু করে বন্ধু স্বামী বা আত্মীয় স্বজন) আপনাদের পেছনে যেমন টাকা খরচ করে সবাই ছেলেরা মনে হয় ঠিক অতটা সহজেই টাকা নিয়ে এসে খরচ করে আপনাদের পেছনে।

এতকিছুর পরও আপনারা কি মনে করেন এই সংসার আপনার? বিয়ে মানে আপনাদের ধারণা আপনার স্বামী বেচারা তার চাহিদার জন্য বিয়ে কিন্তু গোপন রহস্য আপনারও যে বেজায় চাহিদা সেটা কিন্তু কখনই স্বীকার করেন না; আর সেই বেজায় চাহিদায় যদি না থাকে স্বামীর সাথে তার ছোট বেলার পড়ার সয়ই বা ভার্সিটির বন্ধবী দেখলে এত আক্রমন করেন কি জন্য?

বংশানুক্রমে একই কথা শুনেছি দাদির মুখে; দাদাকে উদ্দেশ্য করে- ভুতের খাটুনি খেটে গেলাম তোমার সংসারে এসে মা বাবাকে আর আমিতো শুনিই উনার কাছ থেকে। সর্বদায় শুনি তোমার ছেলে; তোমার সংসারের পরিশ্রম করতে করতে শেষ হয়ে গেলাম; পেলাম না কিছুই; কখনও চিন্তা করে বলেন না যে আপনার আছে ৩৬ইঞ্চি টিভি যেখানে চলে ভারতীয় ভিলেনী চালের সিরিয়াল; যে রিমোর্টে স্বামীদের হাত দেয়া নিষেধ। আবার স্বামী বেচারা যে অন্যকোথাও গিয়ে সময় কাটাবে সেটিও হবে না দেখতে হবে আপনাদের সাথে বসেই।

বিয়ের সময়ে ১০ভরির সাথে বছর বছর বিভিন্ন অজুহাতে বাড়িয়েছেন কিন্তু স্বর্ণ অনেকই আর সেটি কিন্তু রাখেন আপনার দাদা দাদি বা নানা নানির কাছে স্বামীর ঘরেও রাখেন না যদি বিপদে পড়ে স্বামী ভেঙে ফেলে।

যা কিছু পরিশ্রমের তার সবই ছেলেদের আর গয়ানা শাড়ি সম্পদ সবই আপনাদের। নিজেদের অতিথি না ভেবে যদি ভাবেন সংসারের একজন তা হলে মিটবে মনের যত দুঃখ আছে।

এতকিছুর পরও কিন্তু আমরা আপনাদের সবকিছু উর্ধে রাখি; রাখি ভালবাসায় সিক্ত করে; মানকরলে ভাঙাতে ছুটি হন্যে হয়।

বিষয়: বিবিধ

১১৪৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

227901
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:২৩
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : নারী বিদ্বেষী খেতাবটা পেয়ে যাবেন কিন্তু। ;Winking ;Winking ;Winking Tongue

ভগিনীরা কৈ গেল? At Wits' End At Wits' End At Wits' End At Wits' End
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:২৪
174704
চোরাবালি লিখেছেন : তাহাদের দেখা মিলবে না এখানে কখনও। কছিু সত্যকথা যে এখানে যা সর্বদায় অপ্রিয় ভগিনীদের কাছে
227904
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৩৪
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪২
174711
চোরাবালি লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও
227907
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪৪
আহ জীবন লিখেছেন : সবার বেলায় তো এরকম হয় না ভাই। ঢালাও ভাবে না বলাটাই ভালো। কাউকে ছাড়া কেউ চলতে পারবে না।
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪৮
174715
চোরাবালি লিখেছেন : সেকথাটা ছেলেরা মানলেও মেয়েরা মানে না। ১০০০টা ঘটনায় একটা ব্যতিক্রম ঘটলে সেটাকে সামনে না এনে বাকি ৯৯৯টি কি ঘটছে সেটা দেখা উচিত

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File