এবারের এসএসসিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নিঃ নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন (শ্রদ্ধা না জানিয়ে থাকতে পারলাম না)
লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ১৭ মে, ২০১৪, ০৪:১৪:৫২ বিকাল
পরীক্ষার রেজাল্ট দেখে এখন আর কেমন জানি আনন্দিত হতে পারি না; আবেগে জড়িয়ে ধরে কাউকে কাঁদতে দেখি না কত দিন এই রেজাল্টের কারনে। রেজাল্টকে ঘিরে যে সাজ সাজ রব ছিল সেটি চোখে আর পড়ে না এখন। মাঝে মধ্যে মনে হয় না আবেগেরই হয়তোবা ঘাটতি; ফলেই এসব কিছুই চোখে পড়ে না। জানিনা বাপু হতেও পারে; বছর তো ৩৭টা কেটেই গেল। চোখে সমস্য না হলেও অনুভূতিতে যে সমস্যা হবে না এটা বলি কি করে। অনুভূতির সমস্যার কারনেই হয়তো পড়ে না চোখে কিছুই।
অবশ্য এখনকার দিনের শিক্ষকদের যে প্রচুর ধর্য্য আর ছাত্রদের লেখার মর্মকথা বুঝতে কোন সমস্যা হয় না সেটির গুনকির্তৃন না করে আর পারা যায় না। গতবার গত দু'বছর আগে আমারই বড় ভাইয়ের ছেলে যে পাশ করবে কিনা এ নিয়ে যখন শংসয়ে ছিলাম সে যখন জানালো যে ৪.০৩ পেয়েছে শিক্ষকদের তখন শ্রদ্ধা না করে পারলাম না। আবেগে নতুজান হয়ে পরলাম শিক্ষা ব্যবস্থার হাল দেখে। কেননা পরীক্ষার কিছুদিন আগে যখন বাড়ীতে গিয়েছিলাম তখন ওর খাতাপত্র দেখে সে লেখা বুঝবার ক্ষমতা আছে এমন শিক্ষক আছে কিনা ভাবতে লাগলাম আর নাসিরউদ্দিন হোজ্জার সেই গল্প মনে পড়ল। এক প্রতিবেশী হোজ্জার কাছে চিঠি লিখে দেবার আবদার করলে হোজ্জা বলল তার পায়ে ব্যথা সে চিঠি লিখতে পারবে না। প্রতিবেশী এতে মর্মাহত হয়ে বলল হোজ্জা- চিঠি তো তুমি লিখবে হাতে, পায়ে ব্যথাতে সমস্যা কি? হোজ্জা উত্তরে বলল আমাকেই তো পড়ে দিয়ে আসতে হবে। আর আমার পায়ে ব্যথা আমি যেতে পারব না।
ছেলেকে ডেকে হোজ্জার গল্প শুনালাম আর বললাম যেখানে তোর খাতা যাবে পারলে একটু খোজ করে রাখিস কারন তোকেই তো পড়ে দিয়ে আসতে হবে। যা হউক তাকে পড়ে দিয়ে আসতে হয় নাই মাষ্টার মহাশয়েরাই পড়েছেন এবং যেহেতু ৪.০৩ সেহেতু ভালমতই পড়েছে বলে মনে হয়।
রেষ্টাল্টের পর এক মাষ্টার দোস্তর সাথে কথা প্রসঙ্গে বললাম, হ্যাঁরে মাষ্টার মশায় তোরা মনে হয় এখন অনেক সহজ ভাবে খাতা দেখিস তা না হলে মান কি এতই ভাল হযে গেল যে পাশের হার সামলানো দায়। আমাদের সময় যেখানে পাশ করত মাত্র ৪০ থেকে ৪৫% সেখানে এখন শত ছুঁই ছুুঁই ভাব। মিষ্টি হেসে হালাকা গালি দিয়ে বলল- আরো ভো---ই গতবার ৪২জনের মত পাশ করাতে পারি নাই ২০০মধ্য; উপায় ছিলনা লিখে দেয়া ছাড়া আর যেহেতু লিখে দেবার নিয়ম নাই সেহেতু পাশ নাম্বার দেবার মত কোন জায়গাও ছিল না তাই তারা ফেল করল; আর সে কারনেই আমাকে জেরার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল; কেন পাশ করালাম না। পেটের দায়ে চাকুরী করি; বেতন ঠিক রাখতে হলে নির্দেশনা মেনেই খাতা দেখতে হয় আর তা না হলে বিভিন্ন অজুহাতে নোটিশ সাসপেনশন তো আছেই।
তাই শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন দরকারই নেই যেখানে শিক্ষকদের প্রতি নির্দেশনা হচ্ছে ফেল করানো যাবে না।
বিষয়: বিবিধ
১০৭৬ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পাতা গাঁজা হয়ে গিয়েছে।সরকারের তাবৎ
মন্ত্রীরা ঐ পাতা খেয়ে ডায়লগ
ডেলিভারি করে রে ভাই!! মামাবাড়ির কথা!কোশ্চেন
নাকি ফাঁস হয়না!!
হয়তো মদদেই তাই এটাকে ফাঁস বলতে নারাজ উনি
বামপন্থীরা যে এত জনদরদী তা আগে জানতাম না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন