সুচিত্রা সেনের বাড়ি
লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ০৫ মে, ২০১৪, ০৮:৪৩:৪৬ সকাল
বাঙ্গলী নয় বাংলাদেশী বাঙ্গলী হিসেবে মাঝে মাজে ধিক্কারই জানাতে হয নিজেকে আমাদের বেহায়াপনা দেখে আর চাটুকারিতায় মুগ্ধতা দেখে।
সর্বশেষ দেখলাম মহানায়িকা সুচিত্রা সেন যিনি ১৯৫১সালে স্বপরিবারে দেশের ভালবাসায় সীমানা ত্যাগ করে ভগবানের আর্শিবাদপুষ্ঠ হিন্দুস্থানে চলে যান। হ্যঁ, যে বাড়িটি নিয়ে কথা হচ্ছে সেটি কিন্তু তার নিজের বাড়ী নয় তার বাবার বাড়ী যেখানে ১৯৮৭সন থেকে একটি স্কুল পরিচালিত হয়ে আসছে। যে মাহন ব্যক্তিটি জন্মস্থানের সীমানাটি পর্যন্ত পেরিয়ে গেল সেই মাহান ব্যক্তিটির জন্যই আমাদের অন্তর পুড়ে খারখার হয়ে গেল; নেমে গেলাম তার সম্পত্তি রক্ষায়। ৬৪বছর আগে থেকে পরিত্যাক্ত বাড়ি যে বাড়ির কথা সুচিত্রা দেবী জীবনে মনেও রেখেছেন কিনা, আমরা নেমে পড়লাম তার বাড়ী রক্ষায়। ভুলে গেলাম পাবনা শহরে যেখানে এখনও প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্কুলের অভাব সেখানে একটি স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের শিশুরা পড়া লেখা না করলে কি এসে যায়, আমাদের দেশের মায়া মমতাকে লাথি দিয়ে ভগবানের আর্শিবাদ পুষ্ঠদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন তার সম্মান দেখানোটাই তো আমাদের জন্য জরুরী। কথা প্রসঙ্গে বলতে হয় যারা এ দেশে ছেড়ে ওপারে (ভারতে) চলে গেছে তারা এদেশকে দেশই মনে করে না।
আচ্ছা তা হলে লেদু;গেদা চান্দু অনেকেই তো এদেশ ছেড়ে গেছেন তা হলে কি তাদের সবার বাড়ীই রক্ষা করা হবে? আমাদের এলাকায় শতশত বাড়ী ঘর আছে যারা ভারত পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর মাতৃভূমি মনে করে ভারতে গছেন কঠোর সাম্প্রদায়িক মনোভাবে।
অন্যদিকে এই মহানায়িকা তার বাড়ীতে তো দুরে থাক আমাদের দেশে পা রেখেছে বলে আমার মনে পড়ে না দেশান্তরিত হওয়ার পরে। এখন আমাদের মাঝে জেগে উঠল মহানায়িকার মহাছাপ স্কুল অপসারণ করে সংস্কৃতিক জাদুঘর।
ভাবতেই হয় এসব জাদুঘর জাদুঘর খেলাকি শুধু ইসলাম নামীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলে?
বিষয়: বিবিধ
১১২৬ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যুদ্ধের সময় সকল হিন্দুরাই ভারতে পালিয়ে যায়।
বাংলার মুসলমানের লড়াই করে দেশ স্বাধীন করে।
চট্টগ্রামের পটিয়ার আশুতোষ চক্রবর্তীর সাত ভাই ব্রিটিশ আমলে এম এ পাশ করে। তার মা বাংলাদেশী হিসেবে রত্মাগর্ভা উপাধী পেয়েছিল। সেই আশুতোষের সকল ভাই ভারতে চলে গিয়েছিল আজিবন বাংলাকে ঘৃণা করত। তাদের নামে পটিয়ায় আশুতোষ কলেজ প্রতিষ্ঠা পাবার পরও তাদের কাছে ভারতের দাসত্ব ভাল লেগছিল।
আশুতোষ চক্রবর্তীর ছেলে শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সলর ছিল। ঢাকাতে যাতে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়' হতে না পারে সেজন্য সে রবী ঠাকুরের সাথে মিলে আমরণ অনশন করেছিল। এত বড় নিমক হারামের দল স্বয়ং বরী ঠাকুরও বাংলাদেশী ছিল! ভারতে বাংলাদেশী চক্রবর্তীদের কোন সম্মান নাই, তাই চক্রবর্তীরা ভারতে গেলে মুখার্জী, ব্যনার্জি, মুখোপাধ্যায়, পাছাপাধ্যায় নাম দিয়ে বিলীন হয়ে যেতে হয়।
সুচিত্রা সেনা বলেন আর হাসিনা গান্ধী বলেন এগুলো সবই হিন্দুের হিংসার বীজ থেকে উৎপন্ন। এদের দেশপ্রেম বলতে কিছু নেই। বাংলাদেশকে বাপের বাড়ির সম্পদ তোলার জায়গা মনে করে মাত্র।
যে মাতবেনা সে হবে ব্যাকডেটেড, আনকালচার্ড।
মন্তব্য করতে লগইন করুন