রাজীব হত্যা ও আল্লাহর নিদর্শন
লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১২:২২:৩৬ দুপুর
আধুনিকতার ফাঁদে পড়ে আমাদের মাঝে একটা ধারনা এমন ভাবে গেড়ে বসেছে যে আল্লাহর উপর মাঝে মাঝে আস্থা রাখতে অনীহা হয় কারণ তার নিদর্শন ও শাস্তিগুলি সম্পর্কে আমরা অবগত হতে পারি না বা অবগত হওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই অথবা আবেগে ভুল বুঝে থাকি বা ভুল বোঝানো হয় আমাদের জ্ঞান স্বল্পতার কারনে।
কোন হত্যাই মেনে নেয়া যায় না রাষ্ট্রীয় আইনে। আর রাষ্ট্রীয় আইন যতসময় না ধর্মীয় আইনের পরিপন্থী রূপে আর্বিভূত হয় তত সময় রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলা সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং মেনে না চলা ধর্মের পরিপন্থী।
মানুষের মৃত্যু কোথায় কখন হবেন সে বিষয়ে আল্লাহ তালা ভাল জানেন এবং তিনিই নির্ধারণ করে দেন মানুষের আয়ুষ্কাল। কিন্তু কি অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে সেটি নির্ভর করে মানুষের কর্মফলের উপর। যেমন একই স্থানে কেও মৃত্যু বরণ করতে পারে আল্লাহর দিন বাস্তবায়নের জন্য আবার ঠিক সেই ব্যক্তিই মৃত্যু বরণ করবে হয়তো নষ্টামির ফাঁদে পরে নস্টামির করতে গিয়ে। এখানে পার্থক্য শুধু তার মৃত্যুর পরিচিতি টা। মৃত্যু অবধারিত।
ব্লগার রাজিব থাবা বাবা রূপে ণূরানী চাপাসমগ্র নামে ইসলামের বিরুদ্ধে কটাক্ষের শেষ রাখেন নাই। (আল্লাহ তার সুন্দর ফয়সালা করুন)। তার শাস্তি বিচারের দিনে কি হবে সেটি একমাত্র আল্লাহ রব্বুল আলামিনই ভাল জানেন। অপরদিকে পৃথিবীর বুকে আল্লাহ রব্বুল আলামিন কতবড় শাস্তি দিলেন সেটি হয়তো অনেকেই লক্ষ্য করে থাকবেন অথবা থাকবেন না জ্ঞান স্বল্পতার কারনে। তার মৃত্যু হল এমন একসময়ে যেখানে ব্লগার রাজিব একদিনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রূপ নিলেন। এবং মানুষ্য সমজে তার স্বরূপ প্রকাশিত হয়ে গেল। এখানে আল্লাহর শাস্তিটা কতটা কঠোর সেটি কি কেও চিন্তা করতে পেরেছেন?
# এখন কি তার সম্বন্ধ্যে কোন ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখাবে?
# তার বাবা মাকে কি কোন ধর্মী প্রাণ লোকজন শ্রদ্ধাভরে দেখবে?
# স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হলে হয়তো কিছু লোক জানত তার কর্ম সম্পর্কে এবং অধিকাংশই তার কর্মকান্ড সম্পর্কে না জেনেই শুধু মাত্র মুসলিম পরিবারে জন্ম বলেই তাকে ভাল হিসেবে জানত বা তার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করত। কিন্তু আল্লাহ রব্বুল আলামিন কি সে পথ খোলা রাখলেন?
# স্বাভাবিক মৃত্যু হলে হয়তো কিছু ধর্মপ্রাণ লোকেরাও জানাযা পড়াত বা দোয় দরুদ পড়ত তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে কিন্তু আল্লাহ এমন এক সময় তার মৃত্যু ঘন্টা বাজালেন যখন তার সব অপকর্ম জনসমক্ষে চলে আসল আর তার মত কিছু জ্ঞানহীন মিসকিন ছাড়া তার জানাযায় কাউকে পাওয়া গেল না এবং সামান্যতম সময়ে দায়সারা ভাবে জানাযা হল ছেলে মেয়ে একসাথে দাঁড়িয়ে আরেক নষ্টামির মধ্যদিয়ে।
# জানাযা শেষে আল্লাহর দরবারে দোয়ার পরিবর্তে কপালে জুটল জয় বাংলা ধ্বণি।
এখানে হয়তো তার মত অনেকেই আসবেন যারা ধর্ম মানেন না, তা হলে মরার পর আপনারা কেন ধর্মের ফরমেটে শেষ সমাধি করতে গেলেন?
আল্লাহ্ মানুষকে এমন কঠোরভাবেই শিক্ষা দিয়ে থাকেন কিন্তু আমাদের জ্ঞান স্বল্পতার কারণে আমরা অধিকাংশ সময় বুঝতে পারি না।
তাই আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা চাই ক্ষমা করো আমাদের ক্ষমা করো, সঠিক পথ দেখাও আমাদের।
বিষয়: বিবিধ
১৯০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন