কওমী মাদ্রাসায় যাকাতের টাকা দেওয়া যাবে না : মাসউদ

লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ০৫ আগস্ট, ২০১৩, ১০:০২:১৩ সকাল

মাওলানা মাসুদের নতুন ফতোয়া

পবিত্র কোরআনে যাকাত দেওয়ার ৮টি খাত উল্লেখ থাকলেও বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ মসজিদ ও মাদ্রাসায় যাকাত দান করেন। ধর্মপ্রাণদের দানের টাকায় চলা কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা হেফাজতে ইসলামের নামে দেশ জুড়ে সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত থাকেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে কওমী মাদ্রাসায় যাকাতের টাকা নিয়ে।

বাংলাদেশে দুইটি মাদ্রসার ব্যবস্থা হল -আলীয়া ও কওমী। আলীয়া মাদ্রাসাগুলো সরকারের তদারকি থাকে। কিন্তু কওমী মাদ্রসাগুলোর প্রতি সরকারের কোনো তদারকি করে না। তারা সম্পূর্ণ চলে ধর্মপ্রাণ মানুষের দেওয়া যাকাত, ফিতরা ও দানের টাকায়। কিন্তু কোরআন কী বলছে? যাকাত আসলে পাওয়ার যোগ্য কারা। এই বিষয়ে পবিত্র কোরআনের সূরা তাওবা: আয়াত ৬০ উল্লেখ করে সুস্পষ্ট ব্যাখা দিলেন যাকাত বোর্ড সহ-সভাপতি মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ।

মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, দরিদ্র, মিসকিন এবং রাষ্ট্রকর্তৃক নিযুক্ত যাকাত সংগ্রহের ও যাকাত বিতরণ কর্মচারী, দাস স্বাধীন করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্র¯ত্মর ক্ষেত্রে, যারা আল্লার রা¯ত্মায় জিহাদ করে তাদের জন্য এবং যারা মুসাফির তাদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে। যাকাতের টাকা দিয়ে মসজিদের ইমারত নির্মাণ করা যাবে না। ঠিক তেমনিভাবে যাকাত থেকে কোনো মাদ্রাসার ইমারত বানানো বা মাদ্রাসার কর্মচারিদের বেতন ভাতা বাবদ টাকা দেওয়া যাবে না।

তিনি আরোও বলেন, যাকাত কোনো প্রতিষ্ঠানকে না দিয়ে কোনো ব্যক্তিকে দিতে হবে। যাতে করে ঐ ব্যক্তিও ভবিষ্যতে যাকাত দিতেন পারেন। দরিদ্র্যতা দূর করার জন্য যাকাতের প্রভাবটি গুরুত্বপূর্ণ।

ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া বলেন, যাকাতে টাকা কওমী মাদ্রসাগুলোতে না দিয়ে প্রতিটি গরীব মানুষকে দিতে। কওমী মাদ্রসায় যারা আছেন তারা জঙ্গিদের সাথে জড়িত।

পবিত্র কোরআনে কওমী মাদ্রাসাগুলোতে যাকাত দেওয়ার কথা না থাকলেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা যাকাত দান করছেন কওমী মাদ্রাগুলোতে। এই কওমী মাদ্রাসাগুলোর ছাত্র হেফাজতের নামে দেশজুড়ে চালিয়েছে ধ্বংসাত্মক তাণ্ডব।

বিষয়: বিবিধ

১৭৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File