অধিকাংশ Gang rape এবং rape ই প্রেম ঘটিত
লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ২৮ জানুয়ারি, ২০১৩, ১২:৩৭:৩৮ দুপুর
ব্যবস্ততায় লেখার সময় না থাকলেও পত্রিকায় এত এত্ত পরিমাণ rape এর নিউজ আসছে যে বিষয়টি রগরগাই হয়ে যাচ্ছে। আমাদের পত্রিকাগুলি ছেপে চলেছে বেশ ধারাবাহিক ভাবে অনেকটা রগরগা করেই। অবশ্য আমাদের পত্রিকা বা মিডিয়ার আরেকটা ভাল দিক আছে সেটা নিজেদের সংবাদ না ছাপাতে পারলেও অন্যদের নিউজ বেশ কলেবরেই প্রকাশ করে।
যা হউক হেড লাইনে যাদের আপত্তি তারা আজ থেকে ঘটনার মূল ঘটনা যাচাই শুরু করবেন। আশা করি দেখতে পাবেন অধিকাংশ ঘটনার পেছনে দায়ী এই ফেরন স্টাইলে প্রেম।
বছর তিনেক আগে। শিলাইদহ রবী ঠাকুরের কুঠি বাড়ীতে বেড়াতে যায় কজন বন্ধু মিলে। ধুমপানের অভ্যেস থাকলেও সিনিয়রদের সামনে ওকাজ আমরা কখনও করতাম না বলেই আড়াল খুঁজতে আলো কমপ্লেক্স এর চিপা জায়গায় গেলাম। কারণ বাড়ী থেকে ৮/৯কি মি দূর হলেও অনেকেই চেনা জানা ও আত্মীয় স্বজন আছে এবং ব্যাচ হিসেবে ৯৬এর একটা সুনাম এখনও আছে। হঠাৎ ই পাশের টুরিস্ট থেকে উচ্চ স্বরে আওয়াজ শুনতে পেরে এগিয়ে গেলাম আমি সহ নম্ন ভদ্র লেট মফিজ চিরহরিৎ। গেটে আটকে দিল ২জন ছেলে, ঘটনা জানতে চাইলে ধমকের সূরে এড়িয়ে যেতে চাইলে উচ্চারণ করতে হল স্থানীয় একজনার নাম যে কিনা এক বন্ধুর মামা। চুপ করে সড়ে গেলে ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখতে পেলাম ইন্টার মিডিয়েটে পড়ুয়া একটি মেয়ে আর সদ্য ভার্সিটিতে পড়ুয়া ছেলে যাদের বাড়ী শহরেই। ছেলেটি চিনতে পেড়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল। মেয়েটির কাপড় তখনও অনেকটাই অগোছালো। স্থানীয় মাস্তানেরা অনেকটা তুই তুকারী শুরু করলে ফোন দিতে বাধ্য হল চিরহরিৎ থানার এসআইকে। এবার তারা কিছুটা নম্র হল এবং ভদ্র ভাষায় কথা বলে বিবরণ তুলে ধরল।
সকালে তারা রুমে ঢুকেছে দাড়ায়োনকে টাকা দিয়ে এখন বাঁজে প্রায় বারোটা। আমরা যখন রুমে টোক দেয় তখন তাদের রগরগা অবস্থা। আরো দুবার এসে দেখে গেছি রুমের দরজা বন্ধ। এবং রুম খুলতে সময় লেগেছে প্রায় ৭/৮ মিনিট। তারা বলছে ফ্রেস হতে ঢুকেছিল কিন্তু চেহারা দেখেন কি অবস্থা, আমরা তো বেবী না। এখন যেহেতু আপনারা এসেছেন সুন্দর ফয়সালা করবেন দয়া করে তা না হলে কাউকে যেতে দিব না। রুম থেকে সবাইকে বের হতে অনুরোধ করলাম ৫মিনিটের জন্য। কথা বলে জানা গেল সকল থেকেই আছে তারা, প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের মেয়ের বাড়ীর লোক জানলেও ছেলের কেও জানে না।
ছেলে বেশ উত্তেজিত কথা বললে বাম হাতের একটা থাপ্পড়ে মাথা নিচু করে কান্না শুরু করল এবং মেয়েটি উত্তেজিত গলায় ছেলেকে গালিগালাজ শুরু করল কারণ ছেলেটি মেয়েটিকে বলেছে তাদেরকে ম্যানেজ করতে। মেয়েটি ছেলেদের পায়েও ধরেছে কিন্তু কোন অবস্থাতেই ছেলেগুলি পায়ে ধরাতে খুশি হতে পারে নাই, পরবর্তী পদক্ষেপে নিতে গেলেও ছেলে তেমন কোন প্রতিবাদ না করে নিজেকে সেইভ করতে চেয়েছে। আপনারা আসতে রক্ষা। মেয়ে তার বাবার মোবাইল নম্বর সহ সব কিছু দিয়ে দিল এবং মেয়ের মা ও ভাবী জানে ওর সাথে সম্পর্ক এবং আজ ঘুরতে আসবে। অনুরোধ করলো তার বাবাকে ফোন না করতে। ছেলে কোন অবস্থাতেই তার বাবার নাম্বার বা আত্মীয় স্বজনের নাম্বার দিল না। রুমের দরজা খুলে সমাধান চাইলাম মাস্তানদের কাছেই। উদ্দেশ্য সময় পার করা যত সময় না এসআই আসছে। প্রায় ২০মিনিট পর এসআই এলে পাশের রুমে নিয়ে গিয়ে বুজলাম এখানে এসব হয় ও আগেই জানে মাঝে মাঝে এসে টাকাও নিয়ে যায়। দারোয়ানদের কাছ থেকে। যা হউক আজও ছেলেকে ডেকে থাপ্পর দিল আরেকটা। এবার ছেলে মেয়ে দুজনায় পা জড়িয়ে ধরল এসআইয়ের।
অনুনয় বিনয় করে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে চাইল। কিন্তু পুলিশ মাস্তানদের ভয়ে নিতে রাজি হল না। একটা পর্যায়ে ভেবে চিন্তে পুলিশকে সামান্য কিছু দিয়ে মাস্তানদের সর্দারকে টাকাগুলি দিয়ে অনুনয় বিনয় করলে তারা চলে গেল আর তাদের দ্রুত চলে যেতে বলা হল মটরসাইকেলে।
কদিন আগের একটি সংবাদ। আমার দেশের প্রাইভেট টিচারের কাছে পড়তে গিয়ে গণ ধর্ষণ। সংবাদে জানা যায় যারা ধর্ষণ করেছে তারা সন্ধ্যে বেলা ছেলে মেয়েকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে পরবর্তীতে ঘটনা ঘটায়।
মটর সাইকেল যোগে খালাতো ভায়ের সাথে এসে Gang rape এর শিকার হয় যে নিউজটিও এসেছিল পত্রিকায় ভাইকে বেধে Gang rape। সেখানেও খালাতো ভাইয়ের সাথে মটর সাইেকেল এসে রেস্টুরেন্টের চিপা জায়গায় অবস্থান ও অপত্তিকার অব্স্থায় ধরে ফেলে মাস্তানেরা পরবর্তী আর কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না।
অধিকাংশ ঘটনায় ঘটে এভাবে এর জন্য অবশ্যই যারা রেপ করছে তারা দায়ী, অপর দিকে প্ররোচনা কিন্ত দিচ্ছে প্রেমই।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন