আমার গ্রাম আমার প্রিয়।

লিখেছেন লিখেছেন নিমু মাহবুব ১৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:৪১:৩৩ দুপুর



গ্রামের চেয়ে শহরকে কখনোই বেশি পাত্তা দেইনি। শহরে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে যাই। তবুও কিছু করার নেই আপাতত। দাখিল পাশের পরে সেই যে গাঁ থেকে বের হয়েছি আর থিতু হওয়া যায়নি। ২০১০ সালের দিকে টানা ১০ মাস গ্রামে ছিলাম। এক মুহূর্তের জন্যেও খারাপ লাগেনি। যদিও বাংলাদেশের সবচে অবহেলিত গ্রামে আমার জন্ম। নাগরিক সুবিধা যেখানে শূন্যের কোঠায়। এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি এখানে। তবুও আমার জন্মস্থল আমার অনেক প্রিয়। এখানে এখনো আছে স্নিগ্ধ - সবুজের মায়াময় হাসি। আছে ভোরের পাখিদের কলকাকলিতে ভরপুর মধুময় সুরের তান। অাঁধার রাতে জোনাকির ক্ষীণ আলো বারে বারে উদাস কের দেয় আমাকে। শীতের সকালে সবুজ ঘাসের ডগায় শিশির কণার ফোকলা হাসি জানান দেয় নির্মল পরিবেশের। গাঁয়ের কাঁচা মেঠো পথে হেঁটে যেতে অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করে। কর্মস্থল শহরে হওয়াতে তথাকার মোটরযানের কালো ধোঁয়া, অস্বাস্থ্যকর- দূষিত খাবার, ময়লা - আবর্জনার উটকো গন্ধ, বিশুদ্ধ পানির তীব্রতর অভাব সত্তেও এখানেই থাকতে হচ্ছে। কিন্তু আমি গ্রামকেই সবচেয়ে ভালোবাসি।

মাস দেড়েকের বেশি হলো আমার অফিস ডিউটি হচ্ছে গ্রামের এক ছোট্ট পরিবেশে। অফিসে দু একটা সাইন দেয়া ছাড়া তেমন কোন কাজ নেই এখানে। তাই মাঝে মাঝে এসে দাঁড়াই অফিসের বারান্দায়। রবির কিরণময়ী নারিকেল পাতা, এক ফসলী চাষের জন্য পতিত জমি, লম্বা লম্বা মেহগনি গাছ, মাঠে চরে বেড়ানো গরুর দল, পাখিদের কোলাহল সবই যেন কত আপন, কত কাছের!!!!

বিষয়: বিবিধ

৯৩৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386147
২১ নভেম্বর ২০১৮ দুপুর ১২:৫০
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : ছোটকালটা যাদের গ্রামে কাটে তাদের প্রত্যেকের কিছু মজার স্মৃতি মনের গহীনে অংকিত থেকে যায়। এ স্মৃতি মাঝে মাঝে নিজেকে আনমনা করে ফেলে।
২২ নভেম্বর ২০১৮ দুপুর ০৩:০২
318101
নিমু মাহবুব লিখেছেন : ঠিক বলেছেন।
386158
২৩ নভেম্বর ২০১৮ সকাল ০৯:২৩
হতভাগা লিখেছেন :
যদিও বাংলাদেশের সবচে অবহেলিত গ্রামে আমার জন্ম। নাগরিক সুবিধা যেখানে শূন্যের কোঠায়। এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি এখানে।


আপনার এলাকা থেকে পর পর দুইবার রাষ্ট্রপতি হল তাও অবহেলিত!!
২৬ নভেম্বর ২০১৮ সকাল ১১:১৩
318114
নিমু মাহবুব লিখেছেন : তাহারা রাষ্ট্রের পতি হইয়াছেন ঠিক তবে গ্রামের পতি হইতে পারেন নাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File