তাগুতী শক্তির মোকাবেলায় ইসলামকে বিজয়ী করতে

লিখেছেন লিখেছেন রকিব ইসলাম ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:০০:১৫ রাত

লৌহজংয়ে বিশাল ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই

তাগুতী শক্তির মোকাবেলায় ইসলামকে বিজয়ী করতে

উলামায়ে কেরামদেরকে এগিয়ে আসতে হবে

...

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, তাগুত ও খোদাদ্রোহী শক্তির তাঁবেদারী না করে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামকে বিজয়ী করতে ওলামা-মাশায়েখগণকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের বড় দু’টি দল দেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যা”েছ। তাদের হিংসাত্মক রাজনীতির কবলে পড়ে আশরাফুল মাখলুকাত অকাতরে প্রাণ দি”েছ। এই বড় দুটি দলের তাঁবেদারী না করে আল্লাহর জমিনে ইসলামকে বিজয়ী করতে কাজ করতে হবে। অভিশপ্ত নারী নেতৃত্বের অবসান করে উলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে। অভিশপ্ত নারী নেতৃত্বের কারণে দেশে আজাব-গজব শুরু হয়েছে। আল্লাহর রাসূল সা. নারী নেতৃত্বকে গজব হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বৃটিশ খেদা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলনসহ যে কোন গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রামে ওলামাদের ব্যাপক ভূমিকা থাকলেও ওলামাগণ কখনো নিজের অব¯’ানে দাঁড়ানোর চিন্তা ও চেষ্টা না করে তাগুতের সহযোগি ভুমিকা পালন করে আসছেন ফলে মাথা উঁচু করে দাড়ানো আজো সম্ভব হয়নি। এঅব¯’া থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

আজ বুধবার সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লৌহজং উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা শহরের ডিগ্রী কলেজ রোড¯’ একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হযরত পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন। থানা সভাপতি মাওলানা আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওলামা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব শফিকুল আমীন খান, জেলা সভাপতি মুফতী হারুন অর রশিদ, শ্রমিক নেতা ডা. শহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মাওলানা আবদুল গাফ্ফার, মুফতী কামরুজ্জামান, মুফতী আবু হানিফ, মুফতী মোহাম্মদ ইয়াসীন, ছাত্রনেতা মুজাহিদুল ইসলাম।

পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, নৈরাজ্য, সংঘাত ও হিংসার রাজনীতি পরিহার করে প্রকৃত দেশ ও ইসলামের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করাই ছিলো বড় দলগুলোর কর্তব্য। কিš‘ তারা সে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেত পারেনি। তিনি বলেন, দলীয় রাজনীতি সংকীর্নতা সৃষ্টি করে। মারামারি, কাটাকাটি, হিংসা-বিদ্বেষ বাড়ায়, ফলে উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়। দলীয় রাজনীতির কারণেই দেশে সন্ত্রাস, দুর্নীতি বেশি হয়। আর এই কারণেই দেশ বার বার বিশ্বে দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর ইসলামী রাজনীতি পারস্পারিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা শিক্ষা দেয়। ফলে হিংসা-বিদ্বেষ লোপ পায় এবং পারস্পারিক ভালবাসা সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কাজ করতে না পারবো ততক্ষন পর্যন্ত দেশকে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করতে পারবোনা। দুর্নীতি সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে ঢুকে পরেছে। এমনকি মানুষের রক্তরেষে ছড়িয়ে পড়েছে। এমতাব¯’ায় মানুষকে নৈতিকতা শিক্ষা দিয়ে আদর্শ মানুষরুপে গড়ে তোলা সম্ভব না হলে দেশ দিন দিন আরো অধপতনের দিকে চলে যাবে। এমতাব¯’ায় ওলামাগণ দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে ব্যর্থ হলে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আগামীতে যেন দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয় সেজন্য কাজ করতে হবে।প্রেস বিজ্ঞপ্তি। তারিখ ঃ ০৬/০২/২০১৩

বিষয়: বিবিধ

১০৭২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File